ছোট বাচ্চার জামার ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত
সূচিপত্র: ছোট বাচ্চার জামার ডিজাইন
ছোট বাচ্চাদের জামার ডিজাইন। আশা করি ভাল আছেন আজকে আমরা যে বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব আপনারা ইতিমধ্যে তা বুঝতে পেরেছেন। আজকে আমরা আলোচনা করবো ছোট বাচ্চার জামার ডিজাইন সম্পর্কে। যেগুলো আপনারা আপনার বাচ্চাদের জন্য তৈরি করতে পারবেন খুব সহজেই। বর্তমান সময়ে সকল ক্ষেত্রে অনলাইনে সহযোগিতা নিয়ে থাকে অনেকই। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় ছোট বাচ্চাদের জামার ডিজাইন গুলো নিয়ে অনেক সংখ্যক মানুষ অনলাইনে অনুসন্ধান করেন।এই পোস্টে আমরা ছোট বাচ্চাদের জনপ্রিয় কিছু জামার ডিজাইন সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব এবং এই ডিজাইনগুলো আপনাদের সামনে ছবি আকারে প্রকাশ করবো।
সুতরাং আপনাদের ছোট্ট সোনামণিদের জন্য নতুন নতুন ডিজাইনের জামা তৈরির ক্ষেত্রে এই পোস্টটি অনেক সহযোগিতা করতে পারেন। সুতরাং যারা ছোট বাচ্চাদের নতুন নতুন ডিজাইনের জামা তৈরি করতে চান সে জামা তৈরি করার পদ্ধতি এবং জামার ডিজাইন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ থাকলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন আমরা আশা করি এখান থেকে আপনি উপকৃত হবেন।
ছোট বাচ্চাদের জামার ডিজাইন
আপনি যদি ছোট বাচ্চার জামার ডিজাইন এ বিষয়ে জানার জন্য এসে থাকেন তবে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হতে পারেন। এখানে আমরা ছোট বাচ্চাদের জামার ডিজাইন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো ।
আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আপনারা যেন এই সকল ডিজাইন অনুসরণ করে বাসায় জামা তৈরি করতে পারেন এ কারণেই জামার কাটিং সহ সম্পূর্ণ ডিজাইন সম্পর্কে জানতে পারবেন । এর বাইরে ছবির মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজাইনের জামা দেখানো হবে। অর্থাৎ আপনার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট।
নতুন জামার ডিজাইন ছোট বাচ্চার
আপনি কি নতুন জামার ডিজাইন গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়বেন আমরা চেষ্টা করেছি নতুন জামার ডিজাইন গুলো দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য।
সুতরাং যারা ছোট বাচ্চাদের নতুন নতুন ডিজাইনের জামা তৈরি করতে চান তারা এখান থেকে ডিজাইনগুলো পছন্দ করে আপনার দর্জি অথবা নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের ছোট বাচ্চার জামা।
নিচে কিছু বাচ্চার জামার ডিজাইন দেওয়া হয়েছে:
ছোট বাচ্চার জামা কাটিং
জন্মের পর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা যে পোশাক ব্যবহার করে তাকে জামা বলে। জামা নানা ধরনের নকশা করে বানানো যায়। যেমন গলায় বা ঝুলে কুচি দিয়ে অথবা কুচি ছাড়া।
জামা পাতলা কাপড় দিয়ে বানানো হয় যা দুই হাত থেকে আড়াই হাত বহরের হয়। এখন আমরা জানবো দুই বছর বয়সে একটি শিশু পড়তে পারবে এমন একটি কুচি ছাড়া জামা কিভাবে তৈরি করতে হয়।
প্রথমে বলা যাক দুই বছর বয়সী শিশুর জামার আনুমানিক সাইজ কেমন হবে:
- জামার ঝুলের মাপ হবে ৬ ইঞ্চি
- জামার বুকের মাপ হবে ২০ ইঞ্চি
- জামার কাধের মাপ হবে ৯ ইঞ্চি
- জামার গলার নম্বার মাপ হবে ২ ইঞ্চি
- জামার গলার চওড়ার মাপ হবে ২ ইঞ্চ
কিভাবে জামার জন্য নির্ধারিত কাপড়টি কাটতে হবে নিয়মগুলো হল:
- জামা বানানোর জন্য প্রথমে দুই হাত বহরের আনুমানিক মনে করি আধা গজ কাপড় নিতে হবে।
- এ কাপড়টি আড়াআড়ি ভাবে ৪ ভাঁজ করতে হবে।
- এবার জামার পাশের ঘের অংশটুকু কাটতে হবে তারপর ঝুলের নিচের দাগ দেয়া অংশটুকু কাটতে হবে।
- এবার উপর থেকে দাগ দেয়া কাপড়ের টুকরাটি নিয়ে নিতে হবে একইভাবে সামনের অংশের গলা ও বগল কেটে ফেলতে হবে।
এবার কিভাবে কাপড়টি জামার মত করে সেলাই করতে হবে তা জানা দরকার এজন্য নিজের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
- প্রথমে কাটা জামার একটি ভাঁজ খুলে একটি অংশের উপর আরেকটি অংশ রাখতে হবে।
- এরপর একে একে নিমার দুই কাঁধ সেলাই করতে হবে।
- এরপর গলা ও হাতা সেলাই করতে হবে।
- এরপর জামার লম্বার ঘের দুই পাশ সেলাই করতে হবে।
- তারপর জামার ঝুলের অংশ সেলাই করতে হবে।
- এবার জামাটি উল্টিয়ে দিতে হবে এভাবেই ধাপে ধাপে একটি জামা তৈরি করা হয়।
আজকের মতো এতোটুকুই আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন কিভাবে ছোট বাচ্চার জামার ডিজাইন ও ছোট বাচ্চার জামা কাটিং সম্পর্কে বিস্তারিত। আবার আসব নতুন কিছু নিয়ে ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url