অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ
পৃথিবীর প্রত্যেক নারীদের প্রতি মাসে পিরিয়ড হয়। যাকে আমরা বিভিন্ন নামেই বলে থাকি যেমন, মাসিক, পিরিয়ড্, মিন্স, ঋতুস্রাব। এ মাসিক প্রত্যেকটা মহিলার একটা নির্দিষ্ট সময় হয়ে থাকে আবার একটা নির্দিষ্ট সময়ে চলে যায়। অনেক মহিলাদের নিয়মিত না হয়ে অনিয়মিত হয়ে থাকে এবং প্রতিমাসে দুই থেকে তিনবার হয় তাকে অনিয়মিত মাসিক বলে।অনিয়মিত মাসিক কেন হয় ঔষধ এর নাম সহ বিস্তারিত জানুন
অনিয়মিত মাসিক থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মাসিক হওয়ার কিছুদিন আগে থেকে মুড়ি
দিয়ে তৈরি চা খালি পেটে পান করুন। মৌরি পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে একপ্রকার সুগন্ধি
চা তৈরি করা যায়। এটা খেলে অনিয়মিত মাসিক থেকে রেহাই পাওয়া যায়। নিম্নে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
পেইজ সূচিপত্রঃ অনিয়মিত মাসিকের ওষুধ
- কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন
- জীবন যাপনে পরিবর্তন
- অনিয়মিত মাসিক
- সাদা স্রাব
- মাসিকের ঔষধের নাম
- অনিয়মিত মাসিক হলে যা করণীয়
- ঘরোয়া কিছু টিপস
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন
বর্তমান সময়ে নারীদের সময়মতো মাসিক না হওয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এবং এই সমস্যাটা নারীরা গোপন রাখতেই পছন্দ করে। কিন্তু এই সমস্যাটা গোপন রাখলে
ধীরে ধীরে অনেক বড় কোন অসুখের দিকে চলে যেতে পারে। নিম্নে যে সমস্যাগুলো
আমাদের শরীরে দেখা দিলে আমরা দেরি না করে খুব শীঘ্রই ডাক্তারের কাছে যাব।
আরো পড়ুনঃ রূপচর্চা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা
- যদি বছরে তিনবারের বেশি ঋতুস্রাম না হয়।
- ঋতুস্রাব এর সময় খুব ব্যথা হলে।
- ঋতুস্রাবের সময় বেশি রক্তপাত হলে।
- যদি ঋতুস্রাব ২১ দিনের আগে এবং ৩৫ দিনের পরে হয়।
- ৭ দিনের বেশি সময় ধরে ঋতুস্রাব হলে।
জীবন যাপনে পরিবর্তন
অনিয়মিত মাসিক হলে আমাদের জীবন যাপনে একটা পরিবর্তন আনতে হবে। তা না হলে এ
রোগ আমাদের ভালো করার অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা
হলো-
আয়রন জাতীয় খাবার খেতে হবে যাতে শরীরে পরিমিত পরিমাণে রক্ত থাকে।
মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।
পরিমাণ মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে যাতে শরীরের ওজন সব সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নিয়মিতভাবে শরীর চর্চা করতে হবে।
অনিয়মিত মাসিক
তিন থেকে সাত দিন মাসিকের নির্দিষ্ট সময়কাল। ১-২দিন অথবা ৮-১০-১৫ দিন কারো যদি
চলতে থাকে তবে তাকে অনিয়মিত মাসিক বলে। মাসিক এর স্রাব হওয়ার ও একটা
পরিমাণ আছে। কারো কারো কয়েক ফোটা দেখা যায় আবার কারো কারো প্রথম দিন
কিছুটা পরের দিন থেকে সামান্য কয়েক ফোঁটা আর পরে এক দুই দিন বিরতি আর তারপরে
আবার দেখা দেয়। পরিমাণের চেয়ে রক্তচাপ হলে বিভিন্ন রোগ সহ রক্তস্বল্পতায়
আক্রান্ত হতে পারেন। আবার কম পরিমাণে মাসিক হলেও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে
পারেন। তাই মাসিক জনিত রোগ থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের
কাছে যেতে হবে। তা না হলে আপনার শরীরের নানা রকম রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কাচা বাদাম খেলে কি হয় কাচা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা কি
সাদা স্রাব
মহিলাদের অন্যতম আরেকটি রোগ হলো সাদা স্রাব। যা একজন স্বাস্থ্যবান নারীকে নিমেষে
রোগা পাতলা করে দিতে দিতে পারে। এ রোগের লক্ষণ মেজাজ খিটখিটে হয়, গাল ভেঙে যায়,
সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব ,সামান্য কোন অসুখে কাতর হয়ে যায়, বিছানায় শুয়ে থাকতেও মন
চায় সারাদিন। সাদা স্রাব একটি মারাত্মক রোগ যা মুহূর্তের মধ্যে অনেক সুন্দরী
মেয়েটির কি অবস্থা হয়েছে আফসোস করার মত। এই সমস্যাটা বেশিভাগ টিনেস মেয়েদের
ক্ষেত্রে বেশি হয়। তাই তারা বুঝতে পারে না কেন এমন হচ্ছে এক্ষেত্রে রোগী যদি
সচেতন না হয়। তবে তার অভিভাব কে বিষয়টা খেয়াল করতে হবে।
মাসিকের ঔষধের নাম
ভালো কোম্পানি হিসেবে আমি সাজেশন করব- স্কয়ার, একমি আয়ুর্বেদিক, ইবনে সিনা
ইউনানী, হামদাদ ইত্যাদি হামদাদ ইত্যাদি। অনিয়মিত মাসিক কে নিয়মিত করে
নরমেনস আমার মতে এই ওষুধটা পরীক্ষিত।
স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে। প্রতিবার প্রসাব পায়খানার পর সুতি কাপড়
দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। গুপ্তাঙ্গ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
অনিয়মিত মাসিক হলে যা করণীয়
যখন বুঝতে পারবেন আপনার অনিয়মিত মাসিক হচ্ছে তখনই দেরি না করে একজন ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এবং ডাক্তার যে দিকনির্দেশনা দেবে সেগুলো মেনে চলা উচিত। এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে যাতে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি না থাকে। ইউ নানী কোম্পানির " নিসওয়ান"২-৩ চামচ করে দিনে তিনবার২-৩ মাস খেলে মাসিক নিয়মিত হয়।
ঘরোয়া কিছু টিপস
সাধারণত বেশি পরিশ্রম ,দুর্বলতা জীবনযাত্রার বড় কোনো পরিবর্তন এসব কারণে
অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে ।অনেকের হয়তো মাঝে মাঝে মাসিকের তারিখ পেরিয়ে গেলেও
মাসিক হতে দেরি হয়। অনেক ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই সমস্যা সমাধান করা যায়।এতেও যদি
কাজ না হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিম্নে কিছু ঘরোয়া টিপস তুলে ধরা
হলো-
আরো পড়ুনঃ শশা খাবেন জেনে নিন শশা ১০ টি উপকারী করুন।
ধনিয়া
দু কাপ পানিতে এক চা চামচ ঘনিয়া দিয়ে অল্প আচে পানিটা ফুটাতে থাকুন
,ফুটানো হয়ে গেলে পানিটা নামিয়ে হালকা কুসুম গরম প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে
খালি পেটে খেলে মাসিকের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও সমাধান হয়।
আয়রনের একটি ভালো উৎস হলো গাজর। শরীরের হরমোনাল ফাংশন কে সঠিকভাবে চলতে
সাহায্য করে গাজর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গাজরের রস খেলে অনিয়মিত
মাসিকের ক্ষেত্রে খুবই উপকারি। এ গাজরের রস তিন মাস খেতে হবে।
অনিয়মিত পিরিয়ড ঠিক করার পাশাপাশি মাসিক চলাকালীন পেটব্যথা কমাতে সাহায্য
করে আদা।৬-৭ মিনিট ধরে এক কাপ পানিতে আধা চা চামচ আদা কুচি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন।
তারপরে অল্প কিছু মধু বা চিনিমেশান। এই মিশ্রণটি দিনে তিনবার এক মাস
খেতে হবে।
FASD সামান্য গোল মরিচের গুড়োর সাথে এক চা চামচ তুলসীপাতার রস, এক কাপ পানি, ১চা
চামচ মধু ৫-৬ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দুইবার খেতে পারেন।
অনিয়মিত মাসিকের কারণ ভিটামিন সি। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে
প্রচুর পরিমাণে।
মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কাঁচা ধনেপাতার রস খুব উপকারী। ধনেপাতার রস
খেতে না পারলে বেটে ভাতের সাথে খাওয়া যায়।
পরিশেষে বলা যায় যে এগুলোর পাশাপাশি যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত সেগুলো হলো-নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন ঠিক রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, এগুলো করার পরেও যদি দীর্ঘ সময় ধরে মাসিক বন্ধ না হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url