ফুলকপি এর বিজ ও বিজ তলার তথ্য ও উপকারিতা

বাংলাদেশের সব এলাকাতে ফুলকপির চাষ করা হয়। ফুলকপির ভালো ফলন পাওয়া যায় ঠান্ডা ও আদ্রতা জলবায়ুতে। ফুলকপির বিভিন্ন রকম জাত রয়েছে বৈশালী ,অগ্রহানি ,মাঘী ইত্যাদি ফুলকপি চাষের উপযুক্ত সময় হল আগস্ট ও সেপ্টেম্বর ফুলকপির চারা বীজ তলায় উৎপাদন করা হয়। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ফুলকপি সবজি হিসেবে এবং ফুলকপির পাতা শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়।

 

পেইজ সূচিপত্রঃ ফুলকপি এর বীজ ও বীজতলার তথ্য ও উপকারিতা


ফুলকপি চাষের ভূমিকাঃ

ফুলকপির ভালো ফলন পাওয়া যায় ঠান্ডা ও আদ্রতা জলবায়ুতে। ফুলকপির চাষ ভালো হয় সে সব জায়গায় শেচ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা  আছে। আমাদের দেশের বারি ফুলকপি-১,২ বৈশালী, অগ্রহনি, মাঘী, বিভিন্ন জাতের ফুলকপি পাওয়া যায়। ফুলকপি চাষের উপযুক্ত সময় হল আগস্ট, সেপ্টেম্বর। প্রতি শতকে বিচ ২ গ্রাম। বীজতলার জন্য তিনগুণ এক মিটার মাপের ১৫ সেন্টিমিটার উচু করলে ভালো হয়। বীজতলা উপরের স্তরে ১ঃ১ অনুপাতে পচা গোবর, আবর্জন, সার এবং দোআঁশ মাটির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিতে হবে।

 এরপর ৩-৪ সপ্তাহে পলিথিন দিয়ে মাটি ঢেকে রেখে শোধনের পর ৫ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাইনে ছিটিয়ে ১০ গ্রাম বিচ বুনতে হবে। দশ দিন পর দ্বিতীয় বিচ তলায় ৫ সেন্টিমিটার পরপর শারি করে ২ সেন্টিমিটার দূরে দূরে স্থানান্তর করতে হবে। অতিবৃষ্টি অরোদের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য উপরের পলিথিন বা চাটাইয়ের আচ্ছাদন দিতে হবে। দ্বিতীয় বিচ তলা চারা স্থানান্তরের ৫ দিন পর বীজতলার চারায় প্রতি ১০ লিটার পানির সাথে ৩০ গ্রাম সোহাগা মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে

পুষ্টিমানঃ

ফুলকপির পুষ্টিগুণ নানাবিধ যেমন প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে৩০.৮ গ্রাম খনিজ পদার্থ ১২%  আস,৪১ কিলোক্যালরি,২.৬% আমিষ৪১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ও৭.৫% শর্করা ইত্যাদি পাওয়া যায়।

বীজতলা প্রস্তুতকরণঃ

ফুলকপি চারা বিচ তলাই উৎপাদন করুন।১ গুন৩ মিটার বিচ তলায় সমপরিমাণ বালি মাটি ও জৈব সার মিশিয়ে ঝুর ঝুরা করে তৈরি করুন। ফুলকপির দ্বিতীয়  বিচ তলা চারা রোপণের ৭/৮ দিন আগে প্রতি বিচ তলায়১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি/ ডিএপি,  ও১০০ গ্রাম এম ও পি স্যার ভালোভাবে মিশিয়ে দিন। ফুলকপির চারা ঠিকমত না বাড়লে পরে প্রতি বিচ তলায় প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিন। ফুলকপির বীজ গজানোর১০-১২ দিন পর গজানো ছাড়া দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তর করুন।

ভালো বীজ নির্বাচনঃ

ফুলকপি চাষের জন্য প্রতি হেক্টর জমিতে৩০০-৩৫০ গ্রাম বিজ প্রয়োজন। ফুলকপি চাষের জন্য ভালোভাবে জমি তৈরি করার পর১০-১৫সে,মি উঁচু পাশাপাশি২ বেডের মাঝখানে৩০সে,মি চওড়া ও২৫সে,মি গভীর নালা রাখুন।

বীজতলার পরিচর্যাঃ

ফুলকপি চাষের জন্য সারি থেকে সারির দূরত্ব১২ ইঞ্চি এবং সারিতে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি হবে। ফুলকপির চারা রোপণের সময় সতর্ক থাকুন যেন শীকর মুচড়ে না যায়। এতে চারাটি মাটিতে প্রতিষ্ঠা পেতে দেরি হয় এবং বাড়ণ কমে। ফুলকপি চাষের জন্য ৩০ দিন বয়সের চারা লাগাতে হবে। ফুলকপি রোপনের কয়েকদিন পর প্রথম রোদে যাতে চারা ঝিমিয়ে না পড়ে সেজন্য কাগজ বা কলার খোল দিয়ে ছায়া দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url