রোজা রেখে ফরজ গোসল কিভাবে করবেন জেনে নিন
আমরা অনেকেই রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ বা অন্য কারণে নাপাক হয়ে যায় এজন্য আমাদের রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম জানা খুবই জরুরী। রোজা থাকা অবস্থায় কারো যদি স্বপ্নদোষ হয় বা এরকম কোন কিছু হয় তাহলে তখন গোসল করা উচিত। রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম বা কিভাবে ফরজ গোসল করবেন তা জেনে নেওয়া উচিত।
চলুন আর দেরি না করে রোজা রাখা অবস্থায় ফরজ গোসল কিভাবে করতে হয় তা জেনে
নেই।
পেইজ সূচিপত্রঃ রোজা রেখে ফরজ গোসল কিভাবে করবেন জেনে নিন
- ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম।
- ফরজ গোসল ছাড়া রোজা রাখা যাবে কি।
- ফরজ গোসলের ফরজ কয়টি।
- রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম।
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম নিজের তুলে ধরা হলো-
আরো পড়ুনঃ টিবি রোগ কি - টিবি রোগ কেন হয়
ফরজ গোসলের জন্য মনে মনে নিয়ত করে নিতে হবে। মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে
নিয়
দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত তিনবার ভালো করে ধৌত করতে হবে।
এরপরে ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত
করতে হবে শরীরের অন্য কোন জায়গায় নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ভালো করে ধুয়ে নিতে
হবে।
এরপরে বাম হাতকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
পুরো শেষ হলে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
এবার সমস্ত শরীর ধৌত করার জন্য ডান কাঁধে তিনবার তারপরে বাম কাঁধে তিনবার পানি
ঢেলে ভালোভাবে শরীর ধুইতে হবে যারা শরীরের কোন অংশ বা লোম পর্যন্ত শুকনো তা না
থাকে নারী বগল ও লজ্জাস্থান পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হয়
সবার শেষে একটু সরে গিয়ে দুই পা তিনবার ভালোভাবে ওজুর মতো করে ধুয়ে নিতে
হবে।
এরপরে এমন ভাবে অজু করতে হবে যাতে পুরুষদের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল
ভালোভাবে ভিজে দিতে হবে।
ফরজ গোসল ছাড়া রোজা রাখা যাবে কিঃ
ফরজ গোসল ছাড়া রোজা হবে কিন্তু সে ক্ষেত্রে ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যাবে ।যা কবিরা গুনার তাই আমাদের উচিত ফজরের পূর্বে ফরজ গোসল আদায় করা । রমজান মাসে ভালো কাজ করলে যেমন সোয়াব পাবেন তেমনি খারাপ কাজ করলে শাস্তিও পাবেন। তাই ফরজ নামাজের প্রতি গাফিলতি করা যাবে না। ফরজ নামাজ নিয়মিত আদায় করা উত্তম। তাই আমাদের সবার উচিত ফজরের পূর্বেই ফরজ গোসল করা এবং ফজরের নামাজ আদায় করা। ফরজ গোসল ছাড়া রোজা করা যাবে না।
আরো পড়ুনঃ অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ
ফজরের নামাজ আদায় করা রমজান মাসে অত্যন্ত ফরজ। নামাজ পড়বে ফরজ গোসল করে নিতে হবে। পবিত্র রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীত সহবাস ও নাপাকি অবস্তায় সুভহে সাদিক অতিক্রম করা যাবে তারপরে ফরজ গোসল আদায় করে রাখতে হবে এবং রোজা রাখতে হবে।
ফরজ গোসলের ফরজ কয়টিঃ
গোসলের ফরজ হলো মোট তিনটি। এই তিনটির মধ্যে যেকোনো একটি বাদ গেলে খরচ গোসল আদায়
সম্পন্ন হবে না। খুব সাবধানে ওষুধ সতর্কতার সাথে আদায় করতে হবে।
গড়গড়ার সাথে কুলি করতে হবে, কিন্তু রোজা রাখা অবস্থায় গড়গড়া করা যাবে না এতে
গলায় পানি ঢুকে যাবে তাই সাধারণ কুলি করতে হবে।
নাকে পানি দিয়ে নাকের নরম অংশ আঙ্গুল দ্বারা বুঝাতে হবে কিন্তু রোজা অবস্থায়
স্বাভাবিকভাবে নাকে পানি দেওয়া যাবে না কারণ এতে রোজা ভঙ্গ হতে পারে।
এরপর পুরো শরীর পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা নাভির ভেতর আঙ্গুল দিয়ে ভেজানো আর
নারীরা লজ্জাস্থান সুন্দরভাবে ধৌত করবেন।
রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়মঃ
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম তুলে ধরা হলো-
ফরজ গোসলের জন্য মনে মনে নিয়ত করে নিতে হবে মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে
নিয়ত করা যাবে না।
আরো পড়ুনঃ ফ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
দুই হাত তিনবার ধৌত করতে হবে।
এরপরে ডান হাতে পানি দিয়ে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান ভালো করে ধুতে হবে। এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত করতে হবে, লেগে থাকলে সেটাও ধুয়ে নিতে হবে।
এবার বাম হাতকে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
এবার সঠিকভাবে অজু করে নিতে হবে,অজু করে নিতে হবে তবে দুই পা ধৌত করা যাবে না।
এবার সমস্ত ধোয়ার জন্য প্রথমে ডানে তিনবার এবং তারপরে বামে তিনবার পানি ঢেলে
ভালোভাবে শরীর দিতে হবে যেন শরীরের কোন অংশ লোম বা কোন কিছু না থাকে দুই পা
তিনবার ভালোভাবে মতো করে ধরতে হবে।
পরিশেষে আমি বলতে চাই, ফরজ গোসল না করলে কোন কাজই করা উচিত নয়। এবং ফজরের নামাজের পূর্বে ফরজ গোসল করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url