রমজানে অতিরিক্ত ঝাল মসলাদার খাবার খাওয়ার অপকারিতা

ইফতারের সময় আমরা অনেকেই ভাজাপোড়া খেতে পছন্দ করি। আবার অনেকেও অতিরিক্ত ঝাল মসলা দেওয়ার খাবারও পছন্দ করি। আপনি যদি রমজান মাসের সবগুলো রোজা করতে চান তাহলে অতিরিক্ত ঝাল মসলাদার খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবারে অতিরিক্ত ঝাল মশলা সহ্য করার ক্ষমতা ব্যক্তিভেদে আলাদা। কেউ অনেক ঝাল মসলাদার খাবার খেয়ে হজম করে ফেলে। আবার কেউ অল্প খেলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। মসলায় বিশেষ করে মরিচে  থাকে ক্যাপসাইকিন এই উপাদানটি পাকস্থল থেকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। এছাড়াও হজম প্রক্রিয়াতে ব্যাঘাত ঘটায় এবং পাতলা পায়খানাও শুরু হতে পারে।
রমজানের অতিরিক্ত ঝাল মসলাদার খাবার খাওয়ার অপকারিতা

ঝাল মসলাদার খাবারের প্রতি অনেকেরই আছে দুর্বলতা। প্রচুর ঝাল মসলা ব্যবহারের কারণে খাবার দেখতে এবং ঘ্রানে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে শরীরের পাশাপাশি অতিরিক্ত তেল মসলা ভাজাপোড়া খাবার ত্বকেরও ক্ষতি করে যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তাদের জন্য এ ধরনের খাবার খুবই ক্ষতিকর নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

পেইজ সূচিপত্রঃ রমজানে অতিরিক্ত ঝাল মশলাদার খাবার খাওয়ার উপকারিতা

ভূমিকাঃ 

বছর ঘুরে আবারও শুরু হল রমজান মাস। রমজান মাসের সিয়াম সাধনার জন্য সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয়। বছরের প্রতিদিনের রুটিনে হঠাৎ পরিবর্তন হলে কারো কারো শরীর খারাপ হতে পারে। এসব সাধারণ সমস্যার সমাধান করে সুস্থ দেহে রোজা রাখতে হবে। রমজান মাসে শারিরিক সমস্যার আরেকটি প্রধান কারণ হলো এ মাসে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যভাস। তাই রমজান মাসে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যবাস না করে খাবারের তালিকা কিছুটা পরিবর্তন করলে এবং কম ঝাল মসলাযুক্ত খাবার খেলে এসব সাধারণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাই।

আরো পড়ুনঃ iphone পাসওয়ার্ড ছাড়া ফ্যাক্টরি রিসেট - সম্পূর্ণ নির্দেশিকা

মাথাব্যথাঃ

যারা দিনে রুটিন মাফিক চা পান করেন ও যারা ধূমপান করেন রোজা রাখে তাদের দিনের বেলায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । সেটা যে কোন সমস্যা মাথা ব্যথা হতে পারে তাই রোজা শুরু হওয়ার আগে থেকে চা কফিও ধূমপান গ্রহনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে যাদের রোজার মাথা ব্যথা হয় তারা ওই সময়টা একটু বিশ্রামে থাকবেন ওই জন্য একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন।

কণ্ঠস্বরের সমস্যাঃ

'অতিরিক্ত ঝাল খেলে তা গলার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে 'এটা যুক্তরাষ্ট্রের দ্য মায়ো  ক্লিনিক এর বিশেষজ্ঞদের মতে। অতিরিক্ত ঝাল এর কারণে গলায় ব্যথা, ফুলে যাওয়া, কণ্ঠস্বর চাপা হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই আমরা অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া থেকে বিরত থাকবো।

বদহজমঃ

পেট খারাপ ও ডায়রিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ঝাল খাবার। অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে আমাদের বদহজম হতে পারে। এবং ঝাল খাবার ফলে বমি বমি ভাব পেট ব্যথা মলদ্বারে জ্বলনি এবং ডায়রিয়া দেখা দেয়। যাদের ঝাল খাবার পর এমন সমস্যা দেখা দেয় বুঝতে হবে ঝাল পেটে সইছে না। সে ক্ষেত্রে ঝাল কম খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

আরো পড়ুনঃ সংগীত বই সিনেমা এবং টিভি শো কেনার জন্য google play store  এর সেরা বিকল্প

ফুসকুড়ি ও দানা উঠাঃ

তাপের প্রতি ত্বক যেভাবে সারা দেয় ঝালের প্রতিও ত্বকের সাড়া ঠিক তেমনি। ব্যথা পেলে ত্বকে যে সব রিসেট তোর সুম্রিয় হয় যার নাম পলি মিটার মেসি সেভ কোর্স এগুলো ঝালের সংস্পর্শে আসলে সক্রিয় হয়ে ওঠে এতে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ঝুলকে ধরে নেয় আঘাত হিসেবে এবং সেইভাবে সাড়া দেয়। তখন শরীরে ফুসকুড়ি ও দানা উঠা শুরু হয়।

অনিদ্রাঃ

যারা জাল খেতে পছন্দ করেন তারা দুপুর কিংবা রাতেও ঝাল জাতীয় খাবার খেতে পিছ পা হবেন না এটাই স্বাভাবিক। ঝাল খাবার বুক জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করার কারণে তা ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে আর যাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য এই সমস্যা দ্রুত তীব্রমাত্রা ধারণ করতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ঝাল কিছু না খাওয়াই উচিত।

গ্যাস্টিক ও বুক জ্বালাপোড়াঃ

ইফতারিতে অতিরিক্ত তৈ লাগত খাবার কিংবা তেলে ডুবিয়ে যেসব খাবার তৈরি করা হয় তা যতটুকু সম্ভব পরিহার করতে হবে তা না হলে গ্যাস্ট্রিকো বুক জ্বালাপোড়া সমস্যায়  আমরা ভুগতেই থাকবো। মানবদেহের পাকস্থলীর কাজ হচ্ছে পাকস্থলীতে খাবার পরিপাক করতে সহায়তা করা যদি কোনো কারণে পাকস্থলীতে এই হাইড্রোক্লোরিক এসিড ক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ আবরণ কাশ মেমব্রেনে প্রদাহ তৈরি হয়ে যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় গ্যাস্ট্রাইটিস বলে অতিরিক্ত খাবার খেলে কিংবা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে কিংবা বেশি বেশি তৈলাক্ত খাবার খেলে পাকস্থলীতে গ্যাস্টিকের সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া করে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে chrome pdf viewer অক্ষম করবেন

ব্রণ ও একজিমাঃ

অতিরিক্ত ঝাল খাবারের ফলে পেটের নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের মারাত্মক আকার ধারণ করে অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার ফলে। তোকে লালচে ভাব, ব্রোন, একজিমা ইত্যাদি দেখা দেয়। যদি কোন নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পর এমন সমস্যা দেখা দেয় তবে সেই খাবারটা বাদ দিতে হবে।

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, খাবারে হালকা ঝাল মসলার স্বাদ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। খাবারের ঝাল মেদ কমাতে সহায়ক, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, হতাশা দূর করে। তাই আমরা অতিরিক্ত ঝাল খাবার থেকে বিরত থাকবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url