পুদিনা পাতার উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম

 পুদিনা পাতা বিশেষ উপকারী একটি ঔষধ। পুদিনা পাতা পেটের সমস্ত সমস্যা ও হাঁপানি রোগ সারাতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতায় ক্যালরি প্রোটিন চর্বি সব কিছুরই মাত্রা কম আছে। এছাড়াও পুদিনা পাতায় মেলে লৌহ, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। পুদিনা পাতা থেকে আরো পাওয়া যায় ভিটামিন এ সি আর বি কমপ্লেক্স যা ত্বকের যত্নে আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পুদিনা পাতার উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম

পুষ্টির দিকে বিবেচনা করলে পুদিনা পাতার উপকারিতা অপরিসীম । পুদিনা পাতা রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত হয়। পুদিনা পাতা পেটের সমস্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং এটি ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নিম্নে পুদিনা পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

পেইজ সূচিপত্রঃ পুদিনা পাতার উপকারিতা অপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম

পুদিনা পাতার পুষ্টি উপাদানঃ

পুদিনা পাতা ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের সমৃদ্ধ ভেষজ একটি পাতা। পুষ্টিমানের দিক বিবেচনায় পুদিনা পাতার বেশ কদর রয়েছে। নিম্নে পুদিনা পাতার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হলো-

আরো পড়ুনঃ যক্ষা রোগ কেন হয়

ক্যালোরিঃ

পুদিনা পাতা একটি কম ক্যালোরি এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার। এটি একটি ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ১০০ গ্রাম পুদিনা পাতায় ক্যালরি থাকে ৪৮ এবং চর্বি ০৬ গ্রাম সরবরাহ করে। পুদিনা পাতায় অল্প পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পুদিনা পাতায় প্রায় দুই গ্রাম ডায়েটারি থাকে যা অস্ত্র এবং কাটি ও ভাস্কুলার ওভার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সুস্থ মানুষ প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২৫ গ্রাম ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত।

ভিটামিনঃ

পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিনএবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। ক্যারোটিন হল এমন একটা উপাদানের নাম যার জন্য উদ্ভিদ বিভিন্ন রঙের হয়। এবং ভিটামিন এ এর অন্যতম প্রধান উৎস হল ক্যারোটিন। পুদিনা পাতা থেকে আমরা ১৬২০ মাইক্রো গ্রাম ক্যারোটিন সরবরাহ করে থাকি। মানবদেহে পুদিনা পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি পুদিনা পাতায় রয়েছে ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। শিশুর বৃদ্ধি ও ক্ষতিপূরণের জন্য সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি ইউনিয়ন সিস্টেম কাজে লাগে। ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে পুদিনা পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। একজন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম পুদিনা পাতা গ্রহণ করা জন্য সুপারিশ করে থাকেন বিজ্ঞানীরা।

খনিজ পদার্থঃ

পুদিনা পাতায় ভিটামিন ছাড়াও তামা, ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সহ বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের অন্যতম উৎস। প্রতি ১০০ পুদিনা পাতা প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম এবং ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে থাকে। ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্তের জন্য আয়রনের গুরুত্ব অপরিসীম। ১০০ গ্রাম অধিনায় প্রায় ১৫. ৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে যা আপনার প্রতিদিনের খনিজ চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে।

পুদিনা পাতার পরিচয়ঃ

চা এবং আলকোহল যুক্ত পানিও থেকে শুরু করে সালাত এবং ডেসার্ট পর্যন্ত বিভিন্ন খাবার এবং পানীয়তে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়। পুদিনা একটি সুগন্ধযুক্ত হবে সূর্য উদ্ভিদ যা মূল্য তা এশিয়া এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বেশি জন্মায়। পুদিনার সাধ মিষ্টি। পুদিনা বিশেষ করেছি তোর অনুভূতির জন্য পরিচিত। পুদিনা বহু ধরনের রয়েছে তবে সাধারণত দুই ধরনের পুদিনা পাতা বেশি ব্যাবহত হয় একটি পেপারমিন্ট এবং অপরটি স্পিয়ারমিন্ট।

পুদিনা পাতার উপকারিতাঃ

আপনি জেনে অবাক হবেন যে গবেষণায় দেখা গেছে পুদিনা পাতা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও ব্যাপক উপকারিতা প্রদর্শন করে যেমন এটি ত্বকের প্রয়োগ করলে বা এর সুগন্ধ গ্রহণ করলে বা ক্যাপশন হিসেবে গ্রহণ করলে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। পুদিনা পাতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকারে আসে। তাই চলুন আর দেরি না করে এই পুদিনা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনে নেই-

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ

পুদিনা পাতা চা পান করা এবং তাজা পাতা জীবন উভয় মুখের দুর্গন্ধ কে এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম হতে পারে কারণ টেস্ট টিউব গবেষণায় পুদিনা পাতার জীবাণু রোধ করার মত উপাদান রয়েছে। পুদিনা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দূর করতে তাজা বা শুকনো পাতা খাওয়া যায়

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং ঠান্ডার লক্ষণগুলিকে উন্নত করতে পারে পুদিনা পাতার ঘ্রাণ।

বুকের দুধ খাওয়ানোর সাথে সম্পর্কিত ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয় পুদিনা পাতা

বদহজমে সাহায্য করতে পারে পুদিনা পাতা।

ত্বকের যত্নঃ

পুদিনা পাতা ব্রণ এবং পিম্পলের জন্য বিশেষ উপকারী। পুদিনা পাতায় রয়েছে শক্তিশালী এন টি ইনফ্লো মেটরি এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা ব্রণ প্রবল তকে বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে। পুদিনা পাতার রস ত্বক পরিষ্কার হিসেবে কাজ করে। আপনি পুদিনা পাতা ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। পুরো পুদিনা পাতা এবং মধু একত্রিত করুন আপনার ত্বকের প্রয়োগ করুন এবং ২০ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন এরপরে গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

হাঁপানির চিকিৎসা করেঃ

হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে পুদিনা পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। পুদিনা পাতার এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য ভরপুর এটি একটি ভালো ঔষধ। পুদিনা পাতা মাত্রা অতিরিক্ত বেশি খেয়ে ফেললে আপনার বায়ু পথে জ্বালাতন করতে পারে।

বমি ভাব দূর করতেঃ

পুদিনা পাতায় অনেক ঔষধি গুন থাকায় বমি বমি ভাব এর জন্য এটি চমৎকার প্রতিকার। যাদের বমি বমি ভাব থাকে তারা নিয়মিত পুদিনা পাতার ঘ্রাণ নিন অথবা তা চিবিয়ে খেয়ে নিন তাহলে বমি বমি ভাব দূর হবে।

 বিষন্নতা কমাতেঃ

পুদিনা পাতায় একটি শক্তিশালী এবং স্বদেশ গন্ধ থাকে যা স্টেজকে দূর করতে এবং মনকে পুনরচিত করতে সাহায্য করে। পুদিনা এরো মা থেরাপির একটি অপরিহার্য অংশ। পুদিনা পাতায় রয়েছে কোলেস্টরেল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যা মানসিক চাপ কমায়। পুদিনা পাতা যে কোন সময় শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতার সুগন্ধের শ্বাস নিলে আপনাদের মন তৎক্ষণিক শান্ত হয়ে যাবে। আপনি নিয়মিত পুদিনা পাতা পান করুন চা এর মাধ্যমে। বা অন্য কোন উপায়ে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ

 পুদিনা পাতা ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। এবং এর কারণ হচ্ছে এর পাঁচক বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্পর্ক। পুদিনা পাতা হজমের এনজাইম গুলোকে উদ্দীপিত করে যা খাদ্য থেকে পুষ্টির আরো ভালো শোষণকে সহজতর করতে সহায়তা করে। পুদিনা পাতা আপনার শরীরে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুনঃ ফ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যথা উপশম করতে পারেঃ

শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েরা সাধারণত স্তন বৃত্তে ব্যথা অনুভব করেন যা বুকের দুধ খাওয়ানোকে বেদনাদায়ক এবং কঠিন করে তুলতে পারে আপনি যদি পুদিনা পাতা বেটে ওখানে লাগান তাহলে ব্যথা উপশম হবে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলেন যে প্রতিটা মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পরে স্তন বৃত্তের চারপাশে পুদিনা পাতা প্রয়োগ করা উচিত। সাধারণত আগেকার মায়েরা নিজেদের তাগিদে একটু অপরিহার্য তেল বা জেল বা জলের সাথে মিশে ব্যবহার করত। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরে যদি পুদিনা পাতার জল প্রয়োগ করা হয় এরিয়াল ফাটল প্রতিরোধ প্রকাশ স্থানের দুধ প্রয়োগ করার চেয়ে বেশি কার্যকর ছিল যার ফলে স্থানের ব্যথা কম হয়।

ঠান্ডার উপসর্গ কমাতেঃ

সর্দি এবং ফ্লু  চিকিৎসায় যেসব ওষুধ বা টোটকা ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে পুদিনা পাতা একটি প্রাথমিক যুগ অনেক লোক বিশ্বাস করে যে মেন্থল একটি কার্যকর অনুনাসিক দ্বিগঞ্জে ট্রাস্ট যা যা নাকের মধ্যে বায়ু প্রবাহ এবং শ্বাস-প্রশাসে সচল রাখে যাই হোক একাধিক গবেষণায় দেখায় যে মেন্থলের মধ্যে জেন্ডার ফাংশন নেই। তাই ঠান্ডা উপসর্গ কমাতে এলো ভেরার গুরুত্ব অপরিসীম।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করেঃ

পুদিনা পাতা খাওয়ার পাশাপাশি পুদিনা উদ্ভিদ থেকে প্রয়োজনীয় তেল তৈরি করা হয়। মস্তিষ্কের নিঃশ্বাস নেওয়ার ফলে মস্তিষ্ক ১৪৪ জন প্রাপ্ত বয়স্ক প্রাপ্ত বয়স্কদের সহ একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে পরীক্ষার আগে পাঁচ মিনিটের জন্য পুদিনা পাতা তেলের সুভাষ প্রয়োগ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে গাড়ি চালানোর সময় এই তেলের ঘ্রাণ নেওয়ার ফলে সতর্কতা বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তির মাত্রা কমিয়ে দেয়। যাই হোক সমস্ত গবেষণা একমত নয় যে পুদিনা পাতার প্রেম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কে বৃদ্ধি করতে পারে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যদিও তেলের সুগন্ধ উদ্দীপক ছিল এবং কম ক্লান্তি সৃষ্টি করেছিল এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার ওপর কোন প্রভাব ফেলে নেই এটি কিভাবে কাজ করতে পারে তা বোঝার জন্য এবং পেপার মিল্ক আসলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে কিনা তা নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন।

উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধঃ

পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে সেজন্য বেশি পরিমাণে গ্রহণ না করলেও কোন সমস্যা হয় না। আসলে মাত্র এক থেকে তিন কাপ চৌদ্দগ্রাম পুদিনা পাতায় থাকে-

ক্যালোরিঃ ৬

ফাইবারঃ১ গ্রাম

ভিটামিন এ ঃ১২%

আয়রন ঃ৯%

ম্যাঙ্গানিজঃ ৮%

ফোলেটঃ ৪%

এর তীব্র ঝাঁঝালো ঘ্রাণের কারণে পুদিনা পাতা প্রায় রেসিপিতে অল্প পরিমাণে যোগ করা হয় তাই এক থেকে তিন কাপ খাওয়াও কঠিন হতে পারে যাইহোক এটা সম্ভব যে আপনি যদি খারাপ রেসিপিতে এই পরিমাণের কাছাকাছি আসতে পারেন যাতে অন্যান্য উপাদান গুলোর মধ্যেও পুদিনা পাতা অন্তর্ভুক্ত থাকে ভিটামিন এর একটি বিশেষত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বদহজম উপশমের সাহায্য করতে পারেঃ

আপনার পেট খারাপ এবং বদরের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে পুদিনা পাতা প্রতিদিন খান। খাবার পাকস্থলীর বাকি অংশে যাওয়ার আগে অনেকক্ষণ ধরে পেটে যদি জমা থাকে অথবা পথে জমের কারণে দেখা গেছে যে যারা খাবারের সাথে পেপারমেন্ট তেল গ্রহণ করেন তাদের খাবার দ্রুত পেটের মধ্যে দিয়ে যাই ধরনের লক্ষণ গুলি থেকে মুক্তি দিতে পারে পুদিনা পাতা।

পুদিনা পাতার অপকারিতাঃ

পুদিনা পাতার উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু অপকারিতা তাই আমাদের অবশ্যই পুদিনা পাতার ব্যবহারের দিকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে নিম্নে পুদিনা পাতার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

দূষণঃ

আপনি যদি পুদিনার চা নিয়মিত পান করেন তবে আপনার অসুস্থতার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার। ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিশ স্টেশন এফ দিয়ে ভেষজ পরিপূরক চা উৎপাদনের জন্য পুদিনার লাইসেন্স দেয় না। সুতরাং আপনি যে পুদিনা চা পান করছেন সেটি দূষণমুক্ত কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

ওষুধের মিথস্ক্রিয়াঃ

পেট রক্তচাপ সাইক্লো স্পিরিন এবং ডায়াবেটিসের জন্য নেওয়া ওষুধগুলি পুদিনা পাতার সাথে বিক্রিয়া করে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সুতরাং আপনি যদি স্বাস্থ্য সমস্যা গুলোর জন্য ওষুধ খাচ্ছেন তাহলে পুদিনা পাতা কে না বলুন।

এলার্জি প্রতিক্রিয়াঃ

পুদিনা পাতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার হলে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে আপনি যখন এ ধরনের লক্ষণ গুলি করেন যেমন মাথা ব্যথা অস্থির পা এবং মুখের ঘা পেপারমেন্ট এলার্জি তখন চা খাওয়া এড়িয়ে চলুন বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণঃ 

পুদিনা পাতা ছোট শিশুদের জন্য খুব তীব্র বলে মনে করা হয় আপনার শিশুকে এটি দেওয়ার আগে আপনার উচিত আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা এটি শ্বাসকষ্ট এবং মুখে জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে ওর বোন যাই হোক না কেন আপনার সন্তানকে ছোট দোষ পুদিনা পাতায় তার তৈরি খাবার দেওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন।

আরো পড়ুনঃ টিবি রোগ কি -  টিবি রোগ কেন হয়

বদহজমের রোগীদের পুদিনা পাতার চা গ্রহণের সর্তকতাঃ

আপনি কি বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন তাহলে পুদিনা পাতার চা খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। এটি বদহজানের ওষুধের হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং আরো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

চিনির মাত্রা কমায়ঃ

পুদিনা পাতার চা আপনার ডায়াবেটিস ঔষধের সাথে মিশে মিশ্র বিক্রিয়া ঘটাতে পারে পুদিনা পাতার চাপ না রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে সুতরাং যারা ডায়াবেটিস রোগী তাদের এই পুদিনা পাতা গ্রহণ এড়িয়ে চলা উচিত বা তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরে ভাবা উচিত।

পুদিনা পাতা ব্যবহারের নিয়মঃ

তাজা পুদিনা পাতা আপনার খাবারের চমৎকার স্বাদ প্রদান করে তুলতে পারে। পুদিনা পাতার চা আপনার ডায়েটে একটি ভালো উপাদান যোগ করে। আপনার যদি কাডিওভাসকুলার রোগ বা উচ্চ রক্তচাপ থাকে তবে এটি বিশেষভাবে উপকারী চরবিহীন লাল মাংসের জন্য সহজ বা মটর সবুজ মটরশুটি বা নতুন আলু সহ সেদ্ধ সবজিতে কাঁটা পুদিনা যোগ করার চেষ্টা করুন। গ্রীষ্মের শীতল পানীয় এবং ফলের মিষ্টি দের গান বিষ হিসেবে পুদিনা ব্যবহার করা যেতে পারে। সাহায্য করতে পারে। এটি একটি কাঁচা তাজা উদ্ভিদ সালাত বিশেষ করে শসা এবং টমেটোর সাথে দুর্দান্ত। আপনি সহজে সবুজ সালাত ডেজার্ট স্মুদি এবং এমনকি জলে পুদিনা পাতা যোগ করে খেতে পারেন।

পরিশেষে আমি বলতে চাই, উপকারে ভরপুর পুদিনা পাতা আপনার ভজন শক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে আপনার শ্বাসকে দীর্ঘসময়ের জন্য সতেস রাখা পর্যন্ত নানাভাবে আপনার উপকারে নিয়োজিত। আপনার ডায়েটে কিছু পুদিনা যোগ করে আপনি সত্যিই ভুল কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না তাই পুদিনা পাতা  খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url