গরমের ৬ টি মজাদার সবজি রান্নার রেসেপি

এখন প্রখর রোদ প্রচন্ড গরম। এই গরমে মসলাদার ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলাইয় ভালো। শীতের মতো গরমে নানা রকম সবজি বাজারে পাওয়া যায় না। যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো অনেকেই পছন্দ করে না। গরমে আপনার খাদ্য তালিকায় বেশি করে ফল ও সবজি রাখুন। তা না হলে এই আবহাওয়াতে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যারা সবজি পছন্দ করে না তাদের জন্য এই গরমে কয়েকটি মজাদার সবজি রান্নার রেসিপি নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য। যেগুলো রান্না করলে সবজিগুলো খেতে ভালো লাগবে।

গরমের  ৬ টি মজাদার সবজি রান্নার রেসেপি

প্রচন্ড গরমে মসলা যার ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। গরম বেশি মানুষ অসুস্থ হয়। সেজন্য এ সময় মৌসুমী ফল ও সবজি রাখা উচিত বেশি করে খাদ্য তালিকায়। আমি এখানে আজকে আপনাদের জন্য সবজি দিয়ে ছয়টি মজাদার সবজি রান্নার রেসিপি নিয়ে এসেছি ,যেগুলো রান্না করলে সবজিগুলো খেতে ভালো লাগবে, নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

পেইজ সূচিপত্রঃ গরমের ৬ টি মজাদার সবজি রান্না রেসিপি

পুই-ঝিঙ্গা দিয়ে ইলিশের ঝোলঃ

কড়াই এ তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেয়াজ কুচি নরম হলে হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়ো১/৪ কাপ পানি গুলে দিয়ে দিন। মসলা কষানো হলে মাছ দিয়ে কষিয়ে নিয়ে মাছগুলো আলাদা বাটিতে তুলে রাখুন। ওজনের সামান্য কিছু পানি দিন। মাছ পোষানো মসলায় ঝিঙ্গা ্দিন। ঝিঙ্গা একটু নরম হলে পুঁইশাক দিয়ে দিন। আধা কাপ গরম পানি দিন। ঝিঙ্গা ও পুঁইশাক নরম হলে কষানো ইলিশ মাছ দিয়ে ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ মাঝারি আচে রাখলে তৈরি হয়ে যাবে পুই ঝিঙ্গা দিয়ে ইলিশের ঝোল।

আরো পড়ুনঃ কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

ধুন্দুলের শুক্তোঃ

ধুন্দুল পাতলা করে  কেটে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে ফোড়ন দিয়ে আদা বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করে ধুন্দল দিয়ে দিতে হবে। এর মধ্যে হলুদ লবণ দিয়ে নাড়াচাড়া করে দুই মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। এ সময় পর্যাপ্ত পানি সবজি থেকেই উঠবে। ঢাকনা তুলে মশলা বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নেওয়া যাবে ধুন্দলের সুক্ত। 

ক্লিয়ার স্যুপঃ

লাউ, পটল, চিচিংগা, বা পাতলা করে কেটে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, লবণ ও পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর গোলমরিচের গুঁড়া, এক টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ, এক টেবিল চামচ কনফ্লাওয়ার পানিতে গুলে  দিয়ে দিতে হবে । ভুলানো হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন। 

আরো পড়ুনঃ আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - আমড়ার গুনাগুন

চিচিঙ্গা- চিংড়ি ঝোলঃ

চিচিঙ্গা কিউট করে কেটে ফুটন্ত গরম পানিতে ভাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করে জিরা দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে নিন। অল্প পানি দিয়ে গুঁড়া মসলা কষিয়ে নিন। চিংড়ি ও চিচিঙ্গা দিয়ে কষিয়ে ৩ মিনিট পরে পানিও টমেটো দিন। মাছ ওসবজি সেদ্ধ হয়ে গেলে কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

সজনে টকঃ

সজনে ডাটা খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করে আস্ত সরিষা ফোড়ন দিয়ে সেদ্ধ ডাটা দিতে হবে। ভাজা ভাজা করে সরিষা বাটা পোস্ত বাটা কশিয়ে নিয়ে পানি দিয়ে গুলিয়ে তেতুল দিতে হবে। অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে । একসঙ্গে গুড় দিতে হবে। সামান্য পানি দিয়ে দুই তিন মিনিট রান্না করে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

সরষে পটলঃ

পটলের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। পটল অল্প চিরে নিতে হবে যাতে ভেতরে লবণ মসলা ঢুকে। দুই চিমটি হলুদ, অল্প লবণ মেখে আধাঘন্টা রেখে দিন। সর্ষে, কাঁচামরিচ ও লবণ একসঙ্গে মিহি করে বেটে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে অল্প আঁচে পটল ভেজে তুলে নিন। পটল ভাজা সে তেলের মধ্যেই বাটা সরষে হলুদ গুঁড়া আর আধা কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা পটল আর অল্প চিনি দিয়ে আবার ঢেকে দিতে হবে। ঝোল শুকিয়ে মাখোমাখো হয়ে এলে নামিয়ে নিয়ে গরম ভাতের  সঙ্গে পরিবেশন ক্রুন।

আরো পড়ুনঃ কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা এবং কাঁঠাল খাওয়ার সঠিক সময়

শেষ কথাঃ

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, গরমের শীতের মত নানা ধরনের সবজি পাওয়া যায় না। যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো আমাদের মধ্যে অনেকেই পছন্দ করে না। তাই আমি সে সবজিগুলো দিয়ে ছয়টি মজাদার রান্নার রেসিপি উপরে তুলে ধরেছি। যেগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হতে পারে না। ধন্যবাদ।                                                                                          

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url