ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি - ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার
পেইজ সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি - ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার
- ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার
- ফ্রিল্যান্সিংয়ে খুব সহজ পাঁচটি কাজ
- ফ্রিল্যান্সিং এ জনপ্রিয় পাঁচটি কাজ
- ফ্রিল্যান্সিং এ ডিমান্ডেবল পাঁচটি কাজ
- ফ্রিল্যান্সিং এ ট্রেন্ডিং পাঁচটি কাজ
- উপসংহার
ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশিঃ
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর অনেক বড়। ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার পূর্বে অবশ্যই
আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে যে আপনি কোন কাজটি শিখতে চান তাই আপনি যদি
নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ না করে নির্দিষ্ট কাজ টার্গেট না করে ফ্রিল্যান্সিং
জগতে প্রবেশ করেন তাহলে কখনো ফুল হতে পারবেন না ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বশর্ত হলো
ভালোভাবে কাজ করা বা জানা। আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ার ফ্রিল্যান্সিং জগতে
প্রতিষ্ঠিত করতে চান তবে আপনাকে ভালোভাবে কাজ শিখতে হবে এবং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে
সফল হতে হবে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ ভালোভাবে না শেখেন তবে ফ্রিল্যান্সার
হিসেবে ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে অবশ্যই নিজেকে ভালোভাবে
তৈরি করতে হবে যাতে করে আপনি যে কাজটা শিখছেন সেটা মার্কেটপ্লেসে প্রতিষ্ঠিত করতে
পারেন এবং একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে ডেভলপ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ গরুর মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকারঃ
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে এমন হাজার হাজার ফ্রীলান্সিং চাকুরী আছে যা একজন
ব্যক্তিকে টাকা ইনকামের সঠিক পথ দেখিয়ে দেয়। তার মধ্যে আমরা জনপ্রিয়
ফ্রিল্যান্সিং পেশা নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব। ফ্রিল্যান্সিং মোট ৭ প্রকার।
নিম্নে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
কপিরাইটিংঃ
বর্তমান যুগে কপিরাইটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। এ সকল কাজে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানি বা ক্লায়েন্টের হয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট লিখতে হবে। সেজন্য আপনি যদি অন্য কারো হয়ে লিখে থাকেন তবে সেটাকে ঘোস্ট রাইটিং বলা হয় এখানে আপনাকে অন্যের জন্য ব্লক আর্টিকেল ই-বুক বই রিসার্চ প্রেস রিলিজ মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন এর কপি এছাড়াও অন্যান্য লেখা লিখতে হতে পারে। আপনাকে ভালো সৃজনশীল লেখার দক্ষতা থাকতে হবে। সঠিক সময়ের মধ্যে লেখা শেষ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
কোডিং,প্রোগ্রামিং, ডেভেল পিংঃ
ফ্রিল্যান্সিং এ খুব সহজ পাঁচটি কাজঃ
কিওয়ার্ড রিসার্চঃ
এসিওর ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিসার্চ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যদি
মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে চান তবে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে কিওয়ার্ড রিসার্চ
করতে হবে। আপনি যদি কিওয়ার্ড রিসার্চ শিখতে পারেন তবে ক্লানসিং করে ইনকাম করতে
পারবেন খুব সহজেই।
মার্কেট রিসার্চঃ
বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে আপনি মার্কেটের সাইজ করে দিলে আপনি ভালো মানের টাকা
উপার্জন করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানির মার্কেট রিসার্চ করে থাকে আপনি যদি ভালো
মানের মার্কেট রিসার্চ এর কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য প্রচুর কাজ
রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ
আপনি যদি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টান্ট হিসেবে কাজ করতে চান তবে আপনাকে ভালোভাবে
ইংরেজি ভাষা জানতে হবে। এবং ক্লাইন্ট আপনাকে যে কাজ দেবে সে কাজ সম্পর্কে
ধারণা থাকতে হবে আপনার। সোশ্যাল মিডিয়া সহ আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞতা
অর্জন করতে হবে আপনাকে কারণ একজন ভালো মানের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
হিসেবে কাজ করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই এগুলোর বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার
লিড জেনারেশনঃ
লিড জেনারেশন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একটি সহজ কাজ যেটা করে আপনি খুব
সহজেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে পারবেন। তাই আপনার ফ্রিল্যান্সিং
ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য লিট জেনারেশন এ কাজটি শিখতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর কাজগুলো আপনিও
করতে পারেন যদি আপনি ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার হন। তাই আপনি যদি চান তাহলে
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে
পারেন মার্কেট প্লেস গুলোতে।
ফ্রিল্যান্সিং এ জনপ্রিয় পাঁচটি কাজঃ
ফিকশন রাইটারঃ
আপনি যদি একজন ফিকশন রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে
আপনাকে ভালো মানের ফিকশন স্টোরি লেখা জানতে হবে। কারণ অনেকেই অনলাইনে ফিকশন
রাইটার এর কাছ থেকে সায়েন্স ফ্রিকশন রিলেটেড গল্প লিখিয়ে নেন।
ট্রান্সলেটরঃ
আপনি যদি একজন ভালো মানের ট্রান্সলেটর হতে চান তবে আপনাকে ভালো মানের ট্রান্সলেশন
জানতে হবে এবং আপনার দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। ট্রান্সলেটর হিসেবে যদি আপনি
ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
আর্টিকেল রাইটারঃ
ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম একটি কাজ হল আর্টিকেল রাইটিং করা। আপনি যদি ইংরেজিতে
আর্টিকেল রাইটিং করতে পারেন তাহলে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে
কাজ করতে পারেন নিজের দক্ষতার সাথে।
কপিরাইটারঃ
কপিরাইটিং খুব সহজে একটি কাজ। কপিরাইটারদের কাজ হল একটা স্ক্রিপ্ট থেকে রাইটিং
গুলো ডকুমেন্ট পুনরায় লেখা এবং সেগুলোতে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা তাই আপনি আপনার
ক্যারিয়ার খুব সহজেই কপিরাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে
পারেন।
ই-বুক রাইটারঃ
আপনি যদি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে ই-বুক রাইটার হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। কারণ ই-বুক রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনাকে ভালো মানের কন্টেন্ট লেখা শিখতে হবে কেননা ভালো মানের কন্টেন্ট লিখতে না পারলে আপনি কখনোই ই-বুক রাইটার হতে পারবেন না।
ওয়াডপ্রেস এক্সপার্টঃ
ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়ারের মাধ্যমে বর্তমানে সবগুলো ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে আপনি
যদি ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট সংক্রান্ত
সার্ভিস দিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কার্টুন আর্টিস্টঃ
আপনি যদি কার্টুন তৈরি করতে দক্ষ হয়ে থাকলেন তাহলে আপনার জন্য কার্টুন আর্টিস্ট
হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। কেননা কার্টুন তৈরি করার
মত যোগ্যতা যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে কিন্তু কার্টুন আর্টিস্ট
হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার করে তোলা খুব সহজ।
এসইও কনসালটেন্টঃ
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে আপনি যদি এসইও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন
তাহলে এসইও কনছালটেন্সির মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার
গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রচুর এর কাজ রয়েছে তাই আপনি
যদি এসইওর কাজ সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকে তবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার
গড়ে তুলতে পারবেন।
ব্যানার এড ডিজাইনারঃ
আপনি যদি একজন ভালো মানের ব্যানার অ্যাড ডিজাইনার হয়ে থাকেন তবে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কোম্পানির জন্য অ্যাড তৈরি করে থাকে আর সেজন্য তারা ডিজাইনারদেরকে হায়ার করে আপনি যদি ডিজাইন করে দিতে পারেন তবে আপনার প্রচুর টাকা ইনকাম হবে। গুগল এডওয়ার্ড ফেসবুক সহ আরো অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে ব্যানার এড প্রদর্শন করা হয়।
টি-শার্ট ডিজাইনারঃ
টি শার্ট ডিজাইন এর চাহিদা মার্কেট প্লেসে অনেক বেশি তাই আপনি ভালো মানের টি-শার্ট ডিজাইনার হতে পারলে আপনি প্রচুর কাজ পাবেন এবং টি শার্ট ডিজাইন কে আপনার পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে ট্রেন্ডিং পাঁচটি কাজঃ
ঘোস্ট রাইটারঃ
বর্তমান সময়ে ক্লাইন্টরা ঘোস্ট রাইটারদের ভালো পরিমাণ টাকা দিয়ে থাকে। আপনি যদি
একজন ভালো মানের আর্টিকেল রাইটার হয়ে থাকেন তবে আপনি ঘোস্ট আপনার ফ্রিল্যান্সিং
ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন না। কারণ বর্তমান ঘোস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করলেও
মার্কেট খুলেছে প্রচুর সাড়া পাবেন।
বুক ডিজাইনারঃ
আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভালো
মানের ডিজাইনিং শিখতে হবে এবং যেভাবে আপনাকেও ডিজাইন করতে বলবে ঠিক সেভাবেই
ডিজাইন করে দিতে হবে। বুক ডিজাইনার হিসেবে খুব সহজেই আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং
ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন।
এডিটরঃ
বিভিন্ন ধরনের বই আপনাকে এডিট করতে হবে বুক এডিটিং করেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। যদি আপনি ভালো মানের এডিট করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এডিটর হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
কভার লেটার রাইটারঃ
আপনি যদি ইংরেজিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন তবে কভার লেটার হিসেবে কাজ করতে
পারেন। সাধারণত ভালো মানের ইংরেজি জানলেই এই কাজটি করা যায় এ কাজটি তেমন কোন
কঠিন কাজও নয় তাই আপনি যদি ওভার লেটার রাইটার হতে চান তবে আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ
হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা আমের উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
প্রুফ রিডারঃ
আপনি যদি প্রসিড হিসেবে প্ল্যানসিং শুরু করতে চান তাহলে ভালো কোন একটি প্লানচিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করে ফেলুন কারণ আরেকটি সহজ ফ্রীলান্সিং কাজ হল প্রুফ রিডার এ কাজটি সহজেই আপনি করতে পারবেন এবং আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
উপসংহারঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি - ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, ফ্রিল্যান্সিং জগতে যে কাজগুলো চাহিদা বেশি সেই কাজগুলোর সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ওপরে উল্লেখিত কাজগুলোর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের যেকোনো একটি কাজ শিখে গড়ে তুলতে পারেন আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। আশা করি, আমার লেখা এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে ভালো লেগে থাকলে একটু শেয়ার করতে ভুলবেন না কেননা এই আর্টিকেলটি পড়ে তারাও একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারে।- ধন্যবাদ
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url