প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানির কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

 আজকে আমরা জানবো প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে।নারীর যৌনাঙ্গে দেখা দেওয়া নানান সমস্যা নিয়ে আমরা অন্ধকারে থাকি বা খুব একটা পাত্তা দেয় না। একটি অবহেলায় থাকা অসুখ নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা হল প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি কারণ লক্ষণ  চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে। একটি কথা জেনে রাখা ভালো আপনি যদি এই রেশগুলো বেশি চুলকান তাহলে তা আরো খারাপ হতে পারে।

প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানির কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

তবে নারীর যৌনাঙ্গ নিয়ে ফুসকুড়ি লাল হওয়া চুলকানি জ্বালাপোড়ার পেছনে থাকতে পারে বিভিন্ন রোগ।  সেজন্য আজকে আমরা জানবো প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানির কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে। আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানির কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানির কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

প্রস্রাবের রাস্তায় কেন চুলকানি হয়ঃ

ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে সাদাস্রাব বা যোনিপথে চুলকালে জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যার মূল কারণ হলো যোনিপথ ভেজা থাকে সে ক্ষেত্রে সময় নিয়ে জায়গাটা শুকিয়ে নিতে হবে। ক্ষেত্রে মাসিকের রাস্তা তার ভেতরটি পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই। সেটা নিজে থেকেই পরিষ্কার হয়। বর্তমানে গোপনাঙ্গ পরিষ্কার রাখার জন্য একাধিক প্রোডাক্ট বাজারে পাওয়া যায়।

এই প্রসঙ্গে ডক্টর ইমা ইসলাম বলেন-কেউ কেউ সাবান বা ভ্যাস পারফিউম বডি ওয়াশ ব্যবহার করে থাকেন এক্ষেত্রে জড়িপথে বাইরের অংশ তা ব্যবহার করবেন। ভেতরের অংশে ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। যোনিপথ সংলগ্ন যে কাপড় পড়া হয় তা ঢিলে ঠেলা হতে হবে। আত্মসাৎ কাপড় পড়লে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয় এবং তাতে প্রস্তাবের রাস্তায় চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আরো পড়ুনঃ মহিলাদের সাদাস্রাব কি কেন হয় ঘরোয়া প্রতিকার

প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানির লক্ষণঃ

প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানির অনেকগুলো লক্ষণ থাকতে পারে যেগুলো হল-

  • চুলকানি
  • ফুলে যাওয়া
  • জ্বালাপোড়া
  • ক্ষত বা ঘা
  • একটা এলাকায় টক ঘন হয়ে যাওয়া
  • ফোসকার মতো হওয়া
  • লাল বেগুনি বা হলুদ রং ধারণ করা
  • যোনি এলাকায় গন্ধ
  • প্রদাহ
  • প্রস্রাব বা যৌন মিলনের সময় ব্যথা
  • কোমর বা কোমর এলাকায় ব্যথা

আপনার শরীরে বিভিন্ন কারণে যোনিপথে বা প্রস্তাবের রাস্তায় চুলকানি হতে পারে। এগুলো হতে পারে দৈনন্দিন কিছু কারণ যেমন আতসা তো জামাকাপড় এবং আন্তবাস পরলে। যৌনাঙ্গের চুল কাটার সময় তার গোড়ায় সংক্রমণ হলে। এবং স্থূলতার কারণে । ত্বকের ভাজে ঘর্ষণ এবং ঘাম মিলেমিশে যোনিতে জ্বালা  হয়।

শরিয়াসিস হল একটি অটো ইউনিয়ন রোগ যাতে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধে কোষগুলো আমাদেরকেই আক্রমণ করে। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে ভালোভাবে সোরিয়াসিসের ক্ষত বেশি দেখা যায়। সহজ ভাষায় লাইকেন গুলো প্রশাস হল যৌনাঙ্গের ত্বকের প্রদাহ যেটি বেশ চুলকায়। এবং হারপিস হয় ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে।

প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হওয়ার কারণঃ

যে কোনো অসুখ প্রতিকারের আগে আমাদের জানতে হবে অসুখটার কারণ কি কেননা কারণ জানলে অসুখ মোকাবেলা করা খুব সহজ হয়। তেমনি অসাধারণ রাস্তায় চুলকানি হতে পারে নানা কারণে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ হলো-

ঈস্ট বা ছত্রাকের আক্রমণঃ

কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া এই ছত্রাকের বংশবিস্তার কে নিয়ন্ত্রণে রাখে। সাধারণত এই ছত্রাকের কারণে প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হয়। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক খেলে গর্ভাবস্থায় দুশ্চিন্তা গোশত থাকলে ও খাদ্য ঘাসের কারণে এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া মরে যায় ফলে ঈস্ট গুলো তাদের জন্মের জন্য অনুকূল পরিবেশ পায়। এর কারণে প্রস্তাবের রাস্তায় ইনফেকশন হয়।

উপসর্গঃ

  • যোনিপ্থ দিয়ে ঘন ঘন সাদা তরলের নিগমন হয়।
  • চুলকানি ব্যথা ও প্রদাহ হয়।
  • যোনি মিলনের সময় ব্যথা হয়।

প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানির চিকিৎসাঃ

আপনার যদি প্রস্তাবের রাস্তায় চুলকানি বা সাদা স্রাবের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে যোনিপথে লাগানোর ওষুধ দেওয়া হয়। অনেক সময় এত দেরি হলো একটি বড় গামলায় কুসুম গরম জল এবং সঙ্গে লবণ মিশিয়ে তার ওপর বসে থাকলে চুলকানির মতো সমস্যা থেকে আরাম পাওয়া যেতে পারে। এতে করে অল্প কিছুক্ষণ চুলকানি থেকে আরাম পাওয়া যায়। তবে যতটা সম্ভব আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানির প্রতিকারঃ

আপনার যদি প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হয়ে থাকে তবে সেটা খুব তাড়াতাড়ি প্রতিরোধ করা জরুরী। ছত্রাকের বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে কৃষকের পরামর্শ নিয়ে এন্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক ড্রাগস খেতে হয়। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে সে অনুযায়ী সমাধান করতে হবে। এছাড়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যেন তা আর না হয় আপনার শরীরে।

প্রস্তাবের রাস্তায় চুলকানির প্রতিরোধঃ

  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবেন। রঙিন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু বা সাবান ব্যবহার করা যাবে না।
  • সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
  • নিয়মিত গোসল করুন।
  • ওজন কমান।
  • ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • যারা সুইমিং পুলের সাঁতার কাটেন তাদের ক্লোরিনের কারণে চুলকানি হতে পারে।
  • ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে ফেলুন।
  • দইখান এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যেটা আপনাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • আপনার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন সবসময়। পায়খানা করার সময় হাত দিয়ে সামনে থেকে পেছনে এই নিয়মে পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখবেন পায়খানার রাস্তার জীবাণু যেন যোনিতে না লাগে।
  • সহবাসের সময় কনডম ব্যাবহার করুন।
  • একাধিক ব্যক্তির সাথে যৌন সহবাস পরিত্যাগ করুন।  

আরো পড়ুনঃ মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার       

শেষ কথাঃ প্রস্তাবের রাস্তায় চুলকানির কারণ লক্ষণ  চিকিৎসা ও প্রতিকার

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, যোনিতে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ার অনুপাতে ভারসাম্যহীনতার কারণে যোনি চুলকানি সংক্রমণ ঘটে। চুলকানির সংক্রমণের লক্ষণ গুলি হল তীব্র লাল ফোলা ভাব চুলকানি এবং যোনি থেকে সিরাপ এগুলোর মধ্যে যদি কোনটি আপনার শরীর দেখতে পান তবে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে সংক্রমনের একটি সাধারণ রূপ তাই আপনি লক্ষণ গুলো পর্যবেক্ষণ করার সময় আপনার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url