সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম নিয়ত ও ফজিলত
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের জানাবো সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ত নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে। দুনিয়াতে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন জিনিস অথবা বিভিন্ন মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। মানুষ সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। আমরা অনেকেই জানিনা সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম নিয়ত ও ফজিলত সম্পর্কে তাই আজকে আপনাদের জানাবো সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম নিয়ত ও ফজিলত সম্পর্কে।
সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার মূল কারণ হচ্ছে নিজের ইচ্ছা বা প্রয়োজনের কথা
আল্লাহতালার কাছে জানানো বিভিন্ন বিপদের হাত থেকে আল্লাহর কাছে রক্ষা চেয়ে
প্রার্থনা করা। নিম্নে সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার নিয়ম নিয়ত ও ফজিলত সম্পর্কে
তুলে ধরা হলো।
পেইজ সূচিপত্রঃ সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম নিয়ত ও ফজিলত
- সালাতুল হাজত কি
- সালাতুল হাজত অর্থ কি
- সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম
- সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ত
- সালাতুল হাজত নামাজ কয় রাকাত
- সালাতুল হাজত নামাজের দোয়া ও মোনাজাত
- সালাতুল হাজত নামাজের ফজিলত
- সালাতুল হাজত নামাজের সঠিক সময়
- মহিলাদের সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম
- শেষ কথা
সালাতুল হাজত কি ঃ
মানুষ কোন বিপদে পড়লে কিংবা শারীরিক কোন দুশ্চিন্তা দেখা দিলে আল্লাহর
সন্তুষ্টি লাভের আশায় সালাতুল হাজত বা দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হয়।
সালাতুল হাজত হলো মহান রাব্বুল আলামিনের একটি নফল ইবাদত। সালাতুল হাজত একটি নফল
নামাজ। এই নামাজের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি যে কোন সময় সালাতুল হাজত
নামাজ আদায় করতে পারেন।
সালাতুল হাজত অর্থ কিঃ
সালাত অর্থ "নামাজ" তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু হাজত অর্থ কি-হাজতের অনেকগুলো
অর্থ রয়েছে। মূলত হাজত অর্থ হচ্ছে "ইচ্ছা" অথবা "প্রয়োজন"। অর্থাৎ সালাতুল
হাজত অর্থ হচ্ছে, ইচ্ছা পূরণ বা প্রয়োজন জন্য নামাজ।
আরো পড়ুনঃ রাম্বুটান ফল খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম ঃ
আমরা অনেকেই জানিনা সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে। সেজন্য আজকে আমরা
জানবো সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার সম্বন্ধে। আপনি কি সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার
সম্বন্ধে জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। চলুন আমরা
নিম্নে সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই।
আমরা অন্যান্য নামাজ যেভাবে পড়ি সেভাবেই সালাতুল হাজত নামাজ পড়তে হয়। সালাতুল হাজত নামাজ হচ্ছে নফল নামাজ। প্রথমে আপনাকে ওযু করতে হবে এরপরে নামাজে দাড়িয়ে সালাতুল হাজতের নিয়তে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হবে। সূরা ফাতিহা এবং অন্যান্য দুই সুরা মিলিয়ে দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতে হবে সালাতুল হাজত নামাজে। সালাতুল হাজত নামাজ আপনি চাইলে দুই রাকাত পড়তে পারেন আবার চার রাকাতও পড়তে পারেন।
তবে পরের দুই রাকাতে মোনাজাতের পূর্বে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নামের পূর্বে দুরুদ শরীফ পাঠ করে আপনার মনের কথা বা আপনার প্রয়োজনের কথা আল্লাহর নিকট দোয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন। পরবর্তী নামাজে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নামে দুরুদ শরীফ পাঠ করতে পারেন, দুরুদ শরীফটি হচ্ছে-
" লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আজআলুকা মুজিবাতু রাহমাতিক হুয়া আজা ইমাম মাগফিরাতিক, ওয়াল গনিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইসমিন লাতাদাওলি জামবান ইল্লা গাফারতাহু ওয়াল হাম্মান ইল্লা ফাররাস্তাহু ওয়ালা হা- জাতান হিয়া লাকা রিজান ইল্লা কাজাইতাহা ইয়া আর-হামার রা-হিমিন"।
তাছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে আবি আলফা রাদিয়াল্লাহু বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহতালার কাছে অথবা কোন আদম সন্তানের কাছে কোন প্রয়োজন রয়েছে সে যেন প্রথমে উত্তর হয় পর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে তারপর আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দুরুদ ও সালাম পাঠ করে।( সুমানে তিরমিজি হাদিস নম্বর-৭৪৯)
সালাতুল হাজত নামাজের নিয়তঃ
বান্দা তার মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে সালাতুল হাজরত নামাজের
মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে কিছু চেয়ে থাকেন। সালাতুল হাজত এটি একটি নফল
ইবাদত। আমরা অনেকেই আছি আরবি উচ্চারণ করে পড়তে পারি না সেজন্য সালাতুল হাজত
কি সেটাও বুঝতে পারি না। তাদের জন্য সালাতুল হাজত এর নিয়ত এর উচ্চারণ
আলোচনা করা হলো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক সালাতুল হাজত নামাজের
নিয়ত সম্পর্কে।
আরবিতে সালাতুল হাজত নামাজের নিয়মঃ
আরবিতে নিয়ত করার মূল কারণ হচ্ছে আরবি হরফ বা অক্ষর পাঠ করলে প্রতিটি হরফে দশটি
করে নেকি আপনার আমলনামায় যুক্ত হবে বিশেষ করে কুরআনের আয়াত অথবা হাদিস পাঠ
করলে।
আরবি উচ্চারণঃ" নাওয়াইতু আন উসালিয়া লিল্লাহি তা'য়ালা রাক'আতাই সালাতুল হাজত সালাতি নফলি রাসূলুল্লাহি তা'য়ালা মতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারি ফাতি আল্লাহ আকবর"।
অর্থঃ "হে আল্লাহ। আমি কাবা ঘরের দিকে মুখ করে একমাত্র আপনার সন্তুষ্টির
উদ্দেশ্যে সালাতুল হাজতের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়িতেছি"।
সালাতুল হাজত নামাজ কয় রাকাতঃ
সালাতুল হাজত নামাজ সাধারণত দুই প্রকার। যে যে সকল মুসলমান ভাই ও বোনেরা
সালাতুল হাজত নামাজ পড়ে তাদের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে বিশেষ ধরনের
পুরস্কার রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ওযু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হয়
সালাতুল হাজত নামাজের সাধারণত এই নামাজ দুই রাকাত কিন্তু আপনারা চাইলে চার রাকাতও
পড়তে পারেন কারণ এটা একটি নফল ইবাদত। সালাতুল হাজত নামাজ শেষে মহান রাব্বুল
আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হামদ, ছানা এবং দুরুদ শরীফ পাঠ করবেন।
সালাতুল হাজত নামাজের দোয়া ও মোনাজাতঃ
মহান আল্লাহতায়ালা বলেছেন তোমরা নামাজের মাধ্যমে আমার কাছে চাও। মনে রাখতে
হবে নামাজ দোয়া ও মোনাজাত মহান আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। সে কারণে আপনারা
যদি কেউ বিপদে পড়েন তবে অজু করে সালাতুল হাজত এর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ুন এবং
আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য মোনাজাত করুন। নিম্নে সালাতুল
হাজত নামাজের দোয়া ও মোনাজাত তুলে ধরা হলো।
সালাতুল হাজত নামাজের দোয়া
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু হালিমুল কারীম। সুবহানাল্লাহ রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আলুকা মজিবাতি রাহমাতিকা ও আযায়িমা মাগফেরাতিকা অলগানিমাতা মিনকুল্লী বিররি ওয়াস সালামাতা মিন কল্লি ইছমিন লাতাদা হাম্মান ইল্লা ফাররাঝাতাহু ওয়াল হাছানাতা হিয়া লাকা রিদান ইল্লা ক্কাদাইতাহা ইয়া আরহামার রাহিমিন"।
অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি ধৈর্যশীল ও মহামাহিম। মহান আরশের মালিক আল্লাহ তায়ালা খুবই পবিত্র। সারা বিশ্বের প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহ তা'আলা। হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট তোমার রহমত লাভের উপায় সমূহ, তোমার ক্ষমা লাভের কঠিন ওয়াদা এবং সকল ভাল কাজের ঐশ্বর্য আর সকল খারাপ কাজ থেকে নিজেকে রক্ষা করার নিরাপত্তা চাইছি। হে মহা অনুগ্রহকারী আমার প্রতিটি অপরাধ ক্ষমা কর। আমার প্রতিটি দুশ্চিন্তা দূর করে দাও এবং যে প্রয়োজন ও চাহিদা তোমার সন্তোষ লাভের কারণ হয় সেটা তুমি পরিপূর্ণ করে দাও।
সালাতুল হাজত নামাজের ফজিলতঃ
সালাতুল হাজত নামাজের বিষয়টি আসলে আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই
নামাজ আমরা কেন করব বা এই নামাজের ফজিলত কি। আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাই সাল্লাম যদি কোন বিপদে পড়তে তবে তিনি দুই রাকাত সালাতুল হাজতের নামাজ পড়তে
এবং আল্লাহর কাছে সকল বিপদ থেকে মুক্তি চাইতেন। এবং তার সাহাবীদেরও তাদের বিপদ
আপদ অথবা প্রয়োজনের কথা আল্লাহর নিকট জানার জন্য সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার
উৎসাহ দিতেন। নিম্নে সালাতুল হাজত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো।
" এক হাদিসে এসেছে হযরত হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেন যে নবী করীম সাঃ এর সামনে যখন গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রয়োজন বা বিষয় চলে আসতো তখন তিনি সাথে সাথে আল্লাহতালার দরবারে সালাতুল হাজতের নামাজ আদায় করে আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় বা সাহায্য কামনা করতেন"
অর্থাৎ সকল মুসলমান মুমিন ব্যক্তিদের শারীরিক মানসিক সামাজিক বা পারিবারিক যে কোন
ধরনের বিপদে পড়লে বা কোন প্রয়োজনে পড়লে ধৈর্যের সাথে আল্লাহতালা ইবাদত করা এবং
আল্লাহতালার আশ্রয় দেওয়া উচিত সকল প্রকার বিপদ থেকে আল্লাহতালা রক্ষা করেন
কেননা একমাত্র আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করতে পারেন।
আমাদের রিজিকের মালিক কে নিয়ে এবং আমাদের প্রত্যেকটি প্রয়োজন একমাত্র তিনিই
পূরণ করতে পারেন। মানুষের জীবনে চলার পথে প্রত্যেকটি ধাপে বিপদ রয়েছে সে বিপদ
থেকে রক্ষার জন্য নামাজের মাধ্যমে আল্লাহতালার কাছে আশ্রয় চাইতে হবে এটা আমাদের
জন্য করনীয়।
আরো পড়ুনঃ সংসারের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করতে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
সালাতুল হাজত নামাজের সঠিক সময়ঃ
সালাতুল হাজত নামাজের সঠিক সময় জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন
তাহলে আপনি জানতে পারবেন সালাতুল হাজত নামাজের সঠিক সময় সম্পর্কে। আমরা
অনেকেই জানিনা সালাতুল হাজতের সঠিক সময় কখন সেজন্য আজকে আমরা আপনাদের জন্য এই
আর্টিকেলটিতে সালাতুল হাজতের সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি
আপনারা বললেই বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন সালাতুল হাজত এর সঠিক সময় জেনে
নেই।
- সালাতুল হাজত নামাজ হচ্ছে একটি নফল নামাজ। পড়লে পচুর সওয়াব রয়েছে। সালাতুল হাজত নামাজ যে কোন সময় পড়া যেতে পারে তবে এটি রাতের বেলায় পড়া বেশি উত্তম।
- সালাতুল হাজতের নামাজ দুই রাকাত, যা অন্যান্য নামাজের মতই পড়া হয়। সালাতুল হাজতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নামাজের সময় কুরআন থেকে কুরআনের তেলাওয়াত অথবা সূরা পড়া।
- সালাতুল হজরতের দল কত বা ব্যক্তিগত উভয় অনুষ্ঠানে ইসলাম গ্রহণযোগ্য। সালাতুল হাজত কতবার আদায় করতে হবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন উপদেশ নেই। তবে কারো প্রয়োজন পূরণ, বা নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য যতবার ইচ্ছা ততবার এ নামাজ পড়া যেতে পারে।
- সালাতুল হাজত হলো এক প্রকার ইবাদত, এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। কিন্তু কারো ইচ্ছা পূরণ করা বা তাদের সমস্যার সমাধানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা একমাত্র আল্লাহ।
মহিলাদের সালাতুল হাজত নামাজের নিয়মঃ
মহিলারা সালাতুল হাজত নামাজ অন্যান্য নফল নামাজের মতই পড়তে
পারবে। নফল নামাজ আমরা যেভাবে দুই রাকাত দুই রাকাত করে পড়ি
সেভাবেই সালাতুল হাজত এর নামাজ পড়তে হয়। নিম্নে মহিলাদের
সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো-
- প্রথমে অজু করে কেবলামুখী হয়ে জায়নামাজে দাঁড়াব।
- " নাওয়াইতুয়ান ওসালিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবা রাকাতাই সালাতুল হাজত সালাতি নফলী রাসূলুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিসসারিফাতি আল্লাহুয়াকবার"। উক্ত নিয়তটি আরবিতে অথবা নিজ ভাষায় পড়তে হবে।
- এরপর তাকবীরে তাহরীমা, ছানা, তাশাহুদ পাঠ করার পর সালাতুল হাজত নামাজের পতিরাকাতে সুরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা যুক্ত করে পড়তে হবে।
- এরপরের রুকু সীজদা করে বাকি দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে।
- সালাতুল হাজত নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ এরপর সালাম ফিরানোর পূর্বে প্রয়োজনীয় বিষয়টির কথা নিয়তির মাধ্যমে তুলে ধরে উক্ত দোয়াটি পাঠ করতে হবে।
- নামাজ শেষে আল্লাহ তাআলার তসবি পাঠ করতে হবে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর ওপর দুরুদ পাঠ করে এই দোয়াটি পাঠ করুন-
- " লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আলহিলিমুল কারিমু সুবহানা আল্লাহ রাব্বিল আরশ আজিম আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন আশআলুকা মুউযিবাতু রহমাতিকা অয়ারহানিম মুগফির রিকা আল গানিমাতা মিন কুল্লি ইসমে লাতাদাহ লি জানাবা ইল্লা গফার তাহু অলা হাম্মা ইল্লা ফারজাতাহু ওলা হাজ্জাতু হিয়া লাকা রিদাইল্লাহ কাদিয়াতাহা ইয়া আর রহমার রহিমিন "।
আরো পড়ুনঃ নাকের ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার কারন চিকিৎসা ও প্রতিকার
মহিলাদের সালাতুল হাজত পড়ার নিয়মটি ভালোভাবে একাত্র তার সাথে এশার নামাজের পর অথবা ঘুমানোর আগে তাদের কোন হালাল বা কোন বিপদের হাত হতে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করতে পারেন।
উপসংহারঃ সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম নিয়ত ও ফজিলত
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনাদের সুবিধার্থে সালাতুল হাজত নামাজের নিয়্ম, সালাতুল হাজত কেন পড়া হয়, মহিলাদের সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি একটু মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়েন তবে বুঝতে পারবেন সালাতুল হাজত সম্পর্কে। আল্লাহতালা যেন আমাদের সকলকে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করেন। এই কামনা করে আজকে শেষ করছি ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url