যে ১২ টি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা জানবো যে ১২ টি লক্ষ্য না বুঝবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত সে সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। তরুণ সমাজের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি তাদেরকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে। সেজন্য আজকে আমরা জানবো যে ১২ টি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত। তবে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক যে ১২ টি লক্ষ্য নিয়ে বুঝবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত।
দ্রুততম সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি প্রতিরোধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা
প্রয়োজন। যে ১২ টি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত । আপনি সোশ্যাল
মিডিয়ায় আসক্ত কিনা কিভাবে বুঝবেন। তাহলে চলুন জেনে নিম্নে জেনে নেওয়া যাক, যে
১২ টি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত।
পেইজ সূচিপত্রঃ যে ১২ টি লক্ষ নে বুঝবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত
- সোশ্যাল মিডিয়ায় কিভাবে কাজ করে
- সোশ্যাল মিডিয়া কেন আমাদের আসক্ত করে
- সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত ১২ টি লক্ষণ
- সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তির চিকিৎসা
- উপসংহার
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিভাবে কাজ করেঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যালগোরিদম এর ব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি অনেক আলোচনা হচ্ছে।
কারণ এসব মিডিয়াতে মানুষ কোন খবর দেখতে পাবেন বা পাবেন না সেটা এই আলগরিদম এর
মাধ্যমেই নির্ধারণ করা হয়। প্রোফাইল দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয় তিনি কি আপনার
বন্ধু, এটা কিভাবে করা হয্, ফেসবুক কেমন করে বুঝলো যে ওই ব্যক্তি আমার
বন্ধু হতে পারে। অনেক জটিল কিছু আলগোরিদম দিয়ে এই কাজটা করা হচ্ছে। কিন্তু এটা
কি শুধু আলগরিদম এর নেয়া সিদ্ধান্ত নাকি এর পেছনে মানুষেরও কোন ভূমিকা আছে।
আরো পড়ুনঃ রাম্বুটান ফল খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
যে ব্যক্তি অ্যালগরিদম ডিজাইন করেছেন তৎকালীন সময়ে তার জানা তথ্যের উপর ভিত্তি
করে আলগারিদম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ধরা যাক ফেসবুকে আপনার যিনি বন্ধু তার
বন্ধুরাও আপনার বন্ধু হতে পারে। দাম কে বলা হলো একজন ব্যক্তির যে বন্ধু রয়েছে
তার যারা বন্ধু তাদেরকে তুমি বলো যে তারাও তার বন্ধু হতে পারে। কিন্তু ধরা যাক
যিনি আল-গাড়ি দাম ডিজাইন করেছেন তার হয়তো জানা ছিল না যে চাকরির সূত্রে কিংবা
একই পাড়ায় থাকার কারণে অথবা একই স্কুলে পড়ার কারণেও বন্ধু হতে পারে।
এ প্রক্রিয়াটি ক্রমাগতই আপডেট করা হচ্ছে যার ফলে সময়ের সাথে আল করে দামও আরো
সমৃদ্ধ হচ্ছে। ফলে অ্যালগরিদম নাকি মানুষ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেটি স্পষ্ট করে বলা
কঠিন। সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ঠিকই কিন্তু মানুষের কড়া ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে আলাম
তার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। মানুষ যে বিষয়গুলো সহজে হিসাব করতে পারছে না
অ্যালগরিদম সেই কাজটা দ্রুত করে দিতে পারছে যেমন এক ব্যক্তি এক লক্ষ মানুষ থেকে
তার বন্ধুকে খুঁজে বের করতে পারেনা কিন্তু আলকারি দাম মুহূর্তের মধ্যে সেটা করতে
পারছে।
তবে বর্তমানে এমনভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে যাতে কম্পিউটার নিজেও সময়ের সাথে সাথে
ডিজাইনার ছাড়াই নতুন নতুন বিষয় শিখতে পারছে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে
এটা সম্ভব হচ্ছে যাকে বলা হয় মেশিন লার্নিং কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একটা
ছোট্ট শিশুকে প্রথমে আমরা কিছু শব্দ শিখিয়ে দেই তারপর সে নিজে নিজেই কিছু শব্দ
শিখতে পারে এ সময় হয়তো ভুলেও করে তখন আমরা তাকে ঠিক করে দেই আবার সে ভুল করে
আলগা দাম কেউ এভাবে ভাবা যায় এভাবে সোশ্যাল মিডিয়া কাজ করে।
সোশ্যাল মিডিয়া কেন আমাদের আসক্ত করেঃ
দেখুন আমরা আনন্দ পাই তখন মস্তিষ্ক ডোপামিন নামক একটি হরমোন নিষ্করন করেন। ডোপামিন আনন্দের অনুভূতির জাগিয়ে তোলে যখন কেউ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তখন সেখানে বিভিন্ন আনন্দদায়ক ঘটনা মস্তিষ্কের ডোপামিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে সে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার চালিয়ে যেতে উৎসাহিত বোধ করে। যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন করে তারা এর ব্যবহারকারীদের আসক্ত করার কথা মাথায় রেখেই করে। এভাবে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের আসক্ত করে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত ১২ টি লক্ষণঃ
আপনি কি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত, কিভাবে বুঝবেন, যে ১২ টি লক্ষণে বুঝবেন আপনি
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত নিম্নে তা তুলে ধরা হলো।
- আপনি ক্ষণে ক্ষণে ফেসবুকে কিছু না কিছু পোস্ট করতেই থাকেন, স্মার্ট ফোনে তোলা শেষ ছবিটা যদি তৎক্ষণিক পোস্ট করেন অথবা এমন কোন লিংক পোস্ট করেন যেটা আপনি নিজেও ঠিকমতো পড়ে্নি, নি তবে বুঝতে হবে আপনি ফেসবুকে খুব বেশি মাত্রায় আসক্ত।
- আপনি কি দিনে চারটিরও বেশি আপডেট পোস্ট করেছেন ফেসবুকে, যদি করে থাকেন তবে সেটা ফেসবুকের প্রতি মাত্র অতিরিক্ত আসক্তির লক্ষণ। এটি অন্যের বিরক্তিকর কারণে হয়ে উঠতে পারে।
- রোমেন এগিয়ে ফেসবুক এ ঘন্টায় ঘন্টায় আপডেট দেওয়ার অভ্যাস আপনার, তবে আপনি সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রয়োজনের চাইতেও বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন এটা আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হওয়ার লক্ষণ।
- ফেসবুকে অন্যের পোস্টে লাইক অথবা কমেন্ট দেওয়ার বদলে যদি আপনি কেবল নিজেরই গুনাগুন করতে থাকেন তবে আপনি ফেসবুকে আসক্ত।
- কারোর সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলার চাইতে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তবে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীল।
- আপনি কোথায় যাচ্ছেন কি খাচ্ছেন সব কিছুই যদি সোশ্যাল মিডিয়া জানতে থাকেন তবে সেটা প্রমাণ করে যে আপনি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবহার করছেন সোশ্যাল মিডিয়া।
- একসময় যারা আপনার সব আপডেট গায়েব হয়ে গেছে তার মানে আপনি অতিরিক্ত পোস্ট করে ফেলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় যা আপনার গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে অন্যের কাছে।
- সব সময় হাতে ফোন রাখা এবং ঘন ঘন নোটিফিকেশন চেক করা।
- একটানা দীর্ঘ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা।
- অন্যান্য শখের কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া।
- রাতে ঘুমানোর সময় ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম গুলোর ব্যবহার করতে থাকা।
- অফলাইনে থাকলে কিংবা কোনো কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে না পারলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
- বন্ধুদের সঙ্গে সামনাসামনি আড্ডা কমে যাওয়া এবং অনলাইনে আড্ডা দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া।
- সব সময় সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে চিন্তা করা যেমন কোথাও বেড়াতে গেলে ছবি তুলে সঙ্গে সঙ্গে আপলোড করে করতে হবে এমন চিন্তা করতে থাকা।
- সোশ্যাল মিডিয়ার সময় কাটানোর ফলে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটা।
- স্বাভাবিক সামাজিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়া ও একাকী হয়ে যাওয়া।
- বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার না করার প্রতিজ্ঞা করা একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া ও প্রতিজ্ঞা রাখতে না পেরে আবারো ফিরে আসা।
সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তির চিকিৎসাঃ
যুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে উপকৃত হতে পারে। সামাজিক দল
নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে সফল পরীক্ষা নিযুক্ত করা হয়েছে। নিম্নে সোশ্যাল মিডিয়া
আসক্তির চিকিৎসা তুলে ধরা হলো-
আরো পড়ুনঃ কালিজিরা খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
জ্ঞানীয়রাপি বিষায়কঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য সবচেয়ে সাধারণ তথ্য c b t হলো সোশ্যাল ভিডিও
আসক্তির জন্য একটি সমস্যা সমাধানের জন্য যার লক্ষ্য হলো লোকদের অসামরিক আচরণের
জন্য লড়াই করার পদ্ধতি শেখানো যা কঠোরতা মুলক সোশ্যাল বিকল্প ব্যবহারের দিকে
লক্ষ্য করে।
আচরণ সংক্রিয়করণঃ বিশেষত কার্যকর সামাজিক আসক্তির পাশাপাশি অন্য স্বাস্থ্যের
অবস্থা দেখা দেয়। আচরণগত সংক্রিয়তা ব্যক্তিদের অর্থের অনুভূতি তৈরি করতে
আনন্দদায়ক অনুভূতি বাড়াতে এবং অসহায় আচরণ প্রতিস্থাপন করতে আনন্দিত করে।
নান্দনিক আচরণঃ
সোশ্যাল ভিডিও আসর সুবিধা হিরণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিবর্তনের উপায় যা একজন
ব্যক্তির আচরণের দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিযুক্ত করে কার্যকর পরিবেশ খুঁজার জন্য
আত্মহত্যা করে শান্তিতে যাতায়াতকে সহজ করতে পারে।
রাজনৈতিক থেরাপিঃ
এমন একজনের জন্য একটি আদর্শ নির্বাচনের বিকল্প যার সামাজিক আবাসিক সদস্যের বাকি
সদস্যরা শুরু করেছে। ফ্যামিলি থেরাপি পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সহানুভূতি জানতে
সাহায্য করতে পারে যে ব্যক্তিটি কি করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তির চিকিৎসা হলো জ্ঞানী ওগত pcbd স্বাগত সংস্কৃতি ওকরণ ডান
দিক আচরণ থেরাপি ডিভিটি এবং একটিভিটি অ্যাক্টিভিটি থেরাপি।
আরো পড়ুনঃ নাকের ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
উপসংহারঃ যে ১২ টি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তির কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে আসক্তি, চাপ এবং আত্মসম্মানবোধ এবং সামাজিক উদ্যোগ। এর কারণগুলি একজন ব্যক্তিকে অপ্রীতিকর অনুভূতিগুলো পরিষ্কার করতে সামাজিক মিডিয়ার অত্যাধিক ব্যবহার চালিয়ে যেতে চালিত করে। আপনারা যদি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url