২০ টি ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা জানবো ড্রাগন ফল খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে। ড্রাগন ফলের চাষ এখন দেশেই হচ্ছে। ফলে এর দেখা মিলছে এখন প্রায় সবখানেই ড্রাগন ফল দুই ধরনের হয় ভেতরের অংশ লাল ও সাদা। চলুন আজকে আমরা জেনে নেই ড্রাগন ফল খাওয়ার ২০ টি  উপকারিতা সম্পর্কে। দেখতে ও খেতে চমৎকার হওয়ায় পাশাপাশি পুষ্টি গুলো দিক থেকেও অন্যান্য ড্রাগন ফল। জেনে নিন ড্রাগন ফল খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে। 

ড্রাগন ফল খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
দেখতে ও খেতে চমৎকার হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অন্যান্য ড্রাগন ফল। সেজন্য চলুন আমরা জেনে নিয়েই ড্রাগন ফল খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে।

পেইজ  সূচিপত্রঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার ২০ টি  উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

ড্রাগন ফলের ২০ টি উপকারিতা

পুষ্টিগুনে ভরপুর এই ফলটি স্বাস্থ্য সচেতন দেন নিত্যকার খাদ্যশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি যদি আপনার ফ্রুট ডায়েট এর ক্ষেত্রে কিছু বৈচিত্র যুক্ত করতে চান তবে ড্রাগনের বিকল্প আর নেই। ভরপুর সুস্বাদু একটি ফল যা আপনার খাবার টেবিল কে আরো রঙিন করে তুলবে। চলুন নিম্নে জেনে নিয়ে ড্রাগন ফলের ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে-
আরো পড়ুনঃ 

ওজন কমাতেঃ
ওজন কমানোর জন্য আদর্শ ফল হল ড্রাগন। ড্রাগনের খুব কম পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে। যার ফলে আপনার শরীরে চর্বি বাড়ে না আপনাকে সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান রাখে ড্রাগন ফল। নিয়মিত খেলে আপনার ওজন সঠিকভাবে বজায় রাখে এটি আপনার দাঁতকে শক্তিশালী অসুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

হার্ট এর জন্যঃ
এর রোগীদের জন্য ড্রাগন ফল ব্যাপক উপকারী। ড্রাগনের মধ্যে আশ্চর্যজনক শক্তি রয়েছে যা মানুষের পুরনো খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং নতুন ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অমুক ওমেগা তিন এবং ওমেগা নয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর। তাছাড়া এটি হৃদ রোগ জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা এবং বিষন্নতার ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

হজমের জন্যঃ ড্রাগন ফলে প্রচুর হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটিতে অতিরিক্ত ফাইবার থাকে দুর্বল হজম শক্তিকে শক্তিশালী করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি লাভ করে। শরীরকে শক্তিশালী করতে বেশি বেশি ড্রাগন ফল এবং মাংস খান এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।

ক্যান্সার প্রতিরোধঃ আপনি কি ক্যান্সারে আক্রান্ত, তবে নিয়মিত ড্রাগন ফল খান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার আপনাকে রেডিকলস মুক্ত এবং ক্যান্সার উপাদানকারী উপাদান হ্রাস করে। ড্রাগন ফল ৯০ % অক্সিডেন্ট মুক্ত ফল।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তবে আপনার খাদ্য তালিকায় আদর্শ খাবার হিসেবে ড্রাগন ফল রাখুন। ড্রাগন ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার যা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। চিনির মাত্রা কমায় এবং সরকারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আপনি আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ড্রাগন ফল রাখুন।

ত্বকের যত্নেঃ আপনার ত্বকে কি ছিদ্র ছিদ্র গর্ত এই গর্ত দূর করতে আপনি প্রতিদিন ড্রাগন ফল খান। ড্রাগন ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক টানটান রাখে এবং তরলতা ভাব মুখে বজায় রাখে। তাছাড়া আপনি ইচ্ছা করলে ফ্রেশ মাক্স তৈরি করে মধুর সাথে ড্রাগন ফলের টুকরো মিশিয়ে প্রাকৃতিক মুখে এন্টি এজিং মার্কস তৈরি করতে পারেন।

চুল পড়া প্রতিরোধঃ আপনার কি অতিরিক্ত চুল পড়ছে অথবা অকালে চুল পেকে যাচ্ছে তাহলে আপনি আপনার চুলকে সতেজ ও সুন্দর রাখতে প্রতিদিন ড্রাগন ফল খান ড্রাগনে রয়েছে একটি চমৎকার এজেন্ট যা আপনার চুলকে সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে। ড্রাগন ফলের রস মাথার ত্বকে 30 মিনিট লাগিয়ে যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন এটি আপনার পাকা চুল রোধ করবে চুলকে সুস্থ রাখবে। পুনরাবৃত্তি করবে ফলে আপনার চুলগুলো অক্সিজেন পাবে এব। মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর হবে।

হাড়ের জয়েন্টঃ আপনার হাড়ের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা হলে আপনি ড্রাগন ফল খেতে পারেন কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। সমস্যা থেকে বিস্তার লাভ করে। শরীরের জয়েন্ট গুলিতে প্রচুর ব্যথা এবং অচলতা সৃষ্টি হয়। আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ড্রাগন ফল যোগ করুন সমস্যার সাথে লড়াই করতে আপনাকে সহায়তা করবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যথা কমায় বলে ডাক্তাররা এর উপকারিতা দেখে এটিকে প্রদাহ বিরোধী ফল বলে উপাধি দিয়েছেন।
মুখের ব্রণের সমস্যাঃ
আপনার মুখে কি ব্রণের সমস্যা তবে আপনার এই ব্রণের সমস্যা দূর করতে ড্রাগন ব্যাপক কার্যকর। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটির ট্রপিকাল মলম হিসেবে কাজ করে। এই মলম তৈরি করতে প্রথমের দাগন ফলের ছোট টুকরো নিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট তৈরি করুন পরে মুখের আক্রান্ত স্থানে লাগান। প্রতিদিন সকালে ও রাতে ব্যবহার করলে সেরা ফলাফল পাওয়া যাবে।
রোদে পোড়া তকঃ
আপনার রোদে পরা ত্বককে সুস্থ করতে ড্রাগন ফল খান। মুখের রোদে পোড়া ত্বক দূর করতে শসার রস মধু এবং ড্রাগন ফলের টুকরো একসাথে মিক্সড করে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে তৈরি করে মুখে লাগালে তোকে দাগ প্রশমিত হবে। ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন বি থ্রি তোকে এবং রোদে পোড়া আক্রান্ত স্থানকে ঠান্ডা রাখে।
হাড়কে মজবুত রাখতেঃ
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে অন্যান্য ফলে থাকে না। এতে হারকে মজবুত করে এবং স্বাস্থ্যবান রাখে। ৩৫ বছরের অধিক বয়সী মহিলাদের যারা পোস্টমেনোপজাল সমস্যায় ভুগছেন তাদের অধিক পরিমাণের ড্রাগন ফল খেতে হবে এতে করে আপনার হার মজবুত হবে।
চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিঃ
উনার চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে বেগুনি ড্রাগন ফলে চমৎকার বিটা ক্যারোটিন থাকে। গাজরের সকল ভিটামিন বেগুনি ড্রাগন ফলে থাকে তাই আপনি গাজর পছন্দ না করলে বেগুনের ড্রাগন ফল খেতে পারেন। এতে করে আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
কিডনিকে সুস্থ রাখতেঃ
বেগুনি ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। পটাশিয়াম কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনি পাথর জমতে দেয় না। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখতে বেগুনি ড্রাগন ফল খান।
অস্টিওপরিস প্রতিরোধঃ
আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের অভাব হলে আমরা অস্টিঅ পরিস রোগে ভুগি। অস্টিও পরিস রোগ দূর করতে বেগুনের ড্রাগন ফল ব্যাপক কার্যকরী। কারণ বেগুনি ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে। যেসব শিশুরা অস্টিওপিস রোগে ভুগছেন তাদের বেগুনি ড্রাগন ফল খেতে দিন এতে করে দারুন উপকার পাবে।
ডায়েট কন্ট্রোলঃ
আপনি কি অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেছেন, তবে আপনার ডায়েট কন্ট্রোলের জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ড্রাগন ফল রাখুন। ড্রাগন ফলে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট মেলে। এবং এটি ফাইবার সমৃদ্ধ ও ফ্যাক্ট ফ্রি, ফলে নিশ্চিন্তে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফলটি রাখতে পারেন।
রক্তশূন্যতাঃ
আপনারা যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারেন এতে আপনার রক্তশূন্যতা পূরণ করে শরীরে। আয়রনের চমৎকার উৎস রঙিন ড্রাগন ফলে থাকে সেজন্য আপনি যদি রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে চান তবে প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফলটি রাখুন।
আরো পড়ুনঃ 
খনিজ পদার্থঃ
ঈমান ড্রাগন ফল দৈনিক চাহিদার ১৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহ করে। গড়ে আপনার দেহে ২৪ গ্রাম বা মোটামুটি ১ আউন্স পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এটি আপাতত দৃষ্টিতে সামান্য পরিমাণ মনে হলেও এই খনিজ পদার্থটি আপনার প্রতিটি কোষে উপস্থিত এবং আপনার দেহের মধ্যেকার ৬০০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক বিক্রিয়া অংশ নেয়।
পেশী সংকোচনঃ
একটি খাদ্যকে শক্তিকে রূপান্তরিত করে এবং আপনার পেশী সংকোচন এমনকি ডিএনএ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়াগুলিতে অংশ নেয়। কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হাঁস পেতে পারে। গবেষণাগুলিতে এটাও দেখা যায় যে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম সম্পৃক্ত খাবার খেলে বেশি সংকোচন এবং হার গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ডায়রিয়ার সংক্রমণঃ
ড্রাগন ফল মূলত দুটি স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া এবং লিখিত ব্যাকটেরিয়া বিস্তারে সহায়তা করে। নিয়মিত গ্রহণ করলে পাচনতন্ত্র ভালো থাকে এবং ডায়রিয়ায় সংক্রমনের ঝুঁকি হাঁস পায়। কারণ এটি ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলির বিকাশ ঘটায় এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়া পরিমাণ হ্রাস করে।
স্বাস্থ্যের জন্যঃ
আপনার অণে ৪০০ টিরও বেশি প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া সহ প্রায় ৬১ বিলিয়ন বিবিড মাইক্রো অগ্রণী রয়েছে। অনেক গবেষক বিশ্বাস করেন যে অণুজীবের এই সাম্প্রদায়িক আপনার স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। মানব এবং প্রাণী উভয় সম্প্রদায়ের এজমা এবং হৃদরোগের মতো ব্যাধি গুলি আপনার অন্তর ভারসাম্যহীনতার জন্য হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খান তবে এসব রোগ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন এবং আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
পেটের সমস্যাইঃ
এক কাপ(৭ গ্রাম) পরিমাণ ড্রাগন ফল সকল ধরনের খাদ্যগণের একটি দুর্দান্ত উৎস। এর মধ্যে কারো উচ্চ ফাইবার আপনার দেহের দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে। পেটের অস্তিত্ব এড়াতে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করতে প্রতিদিন উচ্চ ফাইবার খাবার অভ্যাস করুন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

ড্রাগন ফল কিঃ

ড্রাগন ফল ক্যাকটাস জাতীয় গাছের ফল। হাইলোসেরিয়াস গাছের জন্মে থাকে। ডিম বাকি তীর উজ্জ্বল গোলাপি রঙের এই ফলের বৈজ্ঞানিক নাম হল Hylocereus undatus. এই কাজ হল নুনু কুইন বা রাতের রানী হিসেবে পরিচিত। কারন এর ফুল শুধুমাত্র রাতেই ফোটে। ফুল লম্বাটে সাদা ও হলুদ রঙের হয়। অনেকটা 'Knight Queen' ফুলের মত। এর গাছ দেখতে Euphorbia গোত্রের ক্যাকটাসের মত।
তবে এ গাছপাতা বিহীন। ফুলের পরাগায়ন নিজে নিজেই হয়ে থাকে। অন্যান্য পতঙ্গ যেমন মাছি মৌমাছি ও পোকামাকড় ও পাখির দ্বারা পরামর্শ হয়ে থাকে। তারা পরাগায়নকে ত্বরান্বিত করে পরাগায়ন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে। এছাড়াও কৃত্রিম ভাবেও পরাগায়ন করা যেতে পারে।

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণঃ

পুষ্টির জন্য ড্রাগন ফল একটি আদর্শ ফল। এই ফলে অল্প অল্প পরিমাণে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। একটি আয়রন ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারের একটি ডিসেন্ট সস। এর ফলে প্রতি ৩.৫ আউন্স,বা ১০০ গ্রাম পরিবেশনের জন্য যে পরিমাণ পুষ্টি পাবেন তা হল-
ক্যালরিঃ
এতে আপনি ষাট ক্যালোরি শক্তি পাবেন। অর্থাৎ ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফল থেকে এই পরিমাণ ক্যালরি অনায়াসে পাবেন যা আপনার ক্যালরির চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে।
প্রোটিনঃ
এতে প্রোটিনের মাত্রা তুলনামূলক কম আছে। ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ১.২ গ্রাম প্রোটিন পাবেন।
চর্বিঃ
চর্বির পরিমাণ একেবারেই নেই.০ গ্রাম। অর্থাৎ ফ্যাট নিয়ে ভাবার কোন চিন্তা থাকবে না।
কার্বোহাইড্রেটঃ
কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ মোটামোটি রয়েছে। ১৩ গ্রাম কার্বন পাবেন প্রতি.১০০ গ্রাম থেকে।
ফাইবারঃ
ড্রাগন ফলে পরিমাণ মতো ফাইবার রয়েছে এতে আপনি ৩ গ্রাম ফাইবার পাবেন।
ভিটামিন সিঃ
এর উৎস ও ড্রাগন ফল এতে RDI এর ৩% পেয়ে যাবেন।
আইরনঃ
আমাদের দেহের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আয়রন এতে রয়েছে এই ফলে RDI এর ৪% আয়রন পাওয়া যাবে।
ম্যাগনেসিয়ামঃ
দেহের জন্য উপকারী ম্যাগনেসিয়াম ও পাওয়া যাবে আর ডি আই এর ১০ %। উচ্চ পরিমাণে ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়াম সেই সাথে অত্যন্ত কম ক্যালোরি উপাদানের কারণে ড্রাগন ফলকে একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ঘনফল হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সুতরাং পুষ্টির বিবেচনায় ড্রাগন ফল একটি  উত্তম ফল। এটা আপনার পুষ্টির চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়মঃ

দেখতে অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর মনে হলেও ড্রাগন ফল কাটা বা খাওয়া জটিল বা ঝামেলার না। এটি খুব সহজেই খেতে পারবেন। ড্রাগন ফল কিভাবে খাবেন তা এখানে বর্ণনা করা হলো-
  • উজ্জ্বল লাল সমানভাবে রঙিন ত্বকের সাথে একটি পাকা ফল নির্বাচন করুন যাতে চাপ দিলে সামান্য দেবে যায় পাকা আম যেমন নরম থাকে তেমন।
  • একটি ধারালো ছুরি ব্যবহার করে ফলটি ফলকির মাছ বরাবর কেটে দুই টুকরো করতে হবে। এরপরে আপনি একটি চামচ ব্যবহার করে ভেতরের পাল গুলো খেতে পারেন। আবার আপনি চাইলে ত্বকের খোসা ছড়িয়ে সজ্জাটিকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে খেতে পারেন।

ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য গুণঃ

ড্রাগন ফলের বেশ কিছু স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। প্রাণীদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ড্রাগন ফল বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করতে পারে। এর মধ্যে অনেকগুলি সম্ভবত এর ফাইবার এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারনে নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-
  • ড্রাগন ফলের লাল এবং সাদা উভয় প্রকার স্থুল ইঁদুরের ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং ফ্যাটি লিভার কমাতে দেখা গেছে।
  • একটি গবেষণায় উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের ইদুর যারা ফলের নির্যাস পেয়েছিলেন তাদের ওজন কম হয়েছে এবং তাদের লিভারের চর্বি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রদাহ হাস পেয়েছে যা অন্ধের ব্যাকটেরিয়াতে উপকারী পরিবর্তনের জন্য দায়ী করা হয়েছিল।
  • ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে প্রিবায়োটিক ফাইবার যা আপনার অন্তরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সম্ভাব্য বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
  • এ ফলটি বিপাকীয় সিম্পলের কিছু বৈশিষ্ট্যকে উন্নত করতে পারে। এটি  ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কিত একটি অবস্থা তবে সমস্ত প্রভাব অনুকূল তথা উপকারী  হতে পারে ।
  • অন্য একটি গবেষণায় ফলের নির্যাস দিয়ে ডায়াবেটিস চক্রান্ত ইঁদুরের ম্যালিন দেয়াল টু হাইট ৩৫ % হ্রাস পেয়েছিল যা ফ্রী চ্যাডিকেল ক্ষতির চিহ্নিতকারী কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় যাদের কমধমনীতা ছিল।

ড্রাগন ফলের অপকারিতাঃ

সবদিক থেকে ড্রাগন ফল নিরাপদ বলে মনে হচ্ছে। তবে একটি বিষয়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী। এর ফল এলার্জির জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সেটা খুবই বিরল। এছাড়াও যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই ফল নিয়মিত গ্রহণে এলার্জির সমস্যা বাড়তে পারে তাই তাদের এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী।
এছাড়াও আরও একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যেসব নারীদের খাবারের এলার্জির কোন সমস্যা নেই তাদের মাঝে কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য ফলের সাথে ড্রাগন ফল মিশিয়ে জুস খাওয়ার ফলে এনাফিলকটিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। পরীক্ষা নিশ্চিত করেছে যে তাদের রক্তের ড্রাগন ফলের বিরুদ্ধে এন্টিবডি রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ

এছাড়াও অতিরিক্ত ড্রাগন ফল গ্রহণে এ ধরনের সমস্যা দিতে পারে। তাই এসব ব্যাপারে মাথায় রেখে ড্রাগন ফল গ্রহণ করা উচিত নয়। আপনার দেহে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এর ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে। তাই খুব বেশি পরিমাণে ড্রাগন ফল না খাওয়াই ভালো। একটি পরিমাণ মতো এই ফল খেলে আপনি এ থেকে সুফল পা্বেন।

উপসংহারঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

খুব অল্পবিরূপ প্রভাব ফেললেও ড্রাগন ফল খুব উপকারী ফল তা আমরা উপরে আলোচনা করে বুঝতে পারলাম। যদি আপনার খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর নতুন কিছু যুক্ত করতে চান তবে ড্রাগন ফল যুক্ত করতে পারেন। কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আজকে আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হন তবে আমাদের এই আর্টিকেলটি লেখা সার্থক হবে। আমাদের এই আর্টিকেলের ভেতর যদি কোন ভুল ভ্রান্তি থেকে থাকে তবে অবশ্যই আপনার মহামূল্যবান কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url