অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

 প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আপনাদের জানাবো অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম সাহায্য করে আমাদের শরীর এবং মানসিক রোগ হবার প্রবণ তাকে অনেক কম করতে। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।

অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

অতিরিক্ত ঘুমের জন্য আমাদের শরীর নানান রকমের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মাত্র অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। সেজন্য আজকে আমরা জানবো অতিরিক্ত ঘুমের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। প্রিয় বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

অতিরিক্ত ঘুম কেন পায়ঃ

সারাক্ষণ ঘুম পাওয়ার সমস্যা কে বলা হয় হাইপার সৌম্যনিয়া। এ রোগে আপনি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরেও দিনে অতিরিক্ত তন্দ্রা অনুভব করেন। এ কারণে আপনার দৈনন্দিন জীবন ও কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত মদ্যপান মানসিক চাপ ও বিষন্নতার কারণেও এই সমস্যা হয়। এ সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকেরা মাঝেমাঝে ঘুম থেকে মুক্তি পেতে বেশি চা কফি খাওয়া শুরু করে যার কারণে তাদের আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে জানুন কিছু সহজ উপায়।

আরো পড়ুনঃ

ভালো ঘুমের অভ্যাসঃ

নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে আপনার শরীরে এনার্জি লেভেল ভালো থাকে এবং আপনার খাদ্যপ্রটিন ভিটামিন এবং কার্বোহাইডেট এর একটি ভালো ভারসাম্য থাকা উচিত আপনার শরীরে। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার শরীরে চিনি এবং ক্যাফেরিনের মতো একই রকম প্রভাব ফেলে তাই মনে রাখবেন ঘুমের আগে এমন কিছু হওয়া উচিত নয় যা আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।

পর্যাপ্ত জলঃ

আপনার শরীরকে হাইডেড রাখতে দিনে পর্যাপ্ত জল পান করুন। ডিহাইড্রেশন আপনার শক্তির স্তরকে কমিয়ে দিতে পারে ফলে আপনি ক্লান্ত এবং অলস বোধ করতে পারেন তাই সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ  জল পান করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ

ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে আপনার শরীরকে ফিট রাখার পাশাপাশি এটি মানসিক চাপ দূর করতেও কাজ করে সকালে ব্যায়াম করলে রাতে ভালো ঘুম হয়। সেজন্য আপনার ঘুম যাতে ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রেখে আপনি প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করুন।

মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুনঃ

মানবিক চাপ আপনার ঘুমের শত্রু হতে পারে মানসিক চাপ মোকাবেলা করার জন্য ধ্যান করুন মেডিটেশন শরীরকে সতেজ রাখে এবং এটি মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। ভালো ঘুমের জন্য আপনাকে যতটা সম্ভব মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। 

অতিরিক্ত ঘুমের কারণঃ

দৈনিক একজন সুস্থ মানুষের সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম হলেই ভালো। যদি কারো দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ঘুমানোর পরেও অনেক সময় শরীর ক্লান্ত মনে হয় তার অন্যতম কারণ আমরা কতক্ষণ ঘুমাচ্ছি তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ঘুম কতটা গভীর। আমাদের যদি ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে ঘুম না হয় তাহলে তা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য একটি খারাপ দিক। কিন্তু রাতের বিভিন্ন কারণ এর জন্য আমাদের যদি সঠিকভাবে গভীর ঘুম না হয় তাহলে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ঘুমানোর পরও আমাদের ক্লান্ত মনে হয় যা আমাদের অতিরিক্ত ঘুমের কারণ।

আরো পড়ুনঃ

অতিরিক্ত ঘুম বলতে কি বুঝায়ঃ

একজন মানুষ দৈনিক কতটা ঘুমাবে সেটি নির্ভর করে তার বয়স এবং শারীরিক অবস্থার উপর। তবে বয়স অনুযায়ী ঘুমের তালিকা দৈনিক একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলার সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। এই ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি কোন মানুষ যদি প্রতিদিন ঘুমায় সেটাকে আমরা অতিরিক্ত ঘুম বলতে পারি। আমাদের প্রয়োজনের থেকে বেশি ঘুমানো বা অতিরিক্ত ঘুমানো কে হয় যেরকম খুব কম পরিমাণ কমানো আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয় ঠিক একই রকম অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।

ঘুমের জন্য সঠিক পরিবেশঃ

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং সকালে একই সময় ঘুম থেকে উঠুন। নিয়মিতভাবে এটা বেশ কিছুদিন করতে পারলে শরীর ধাতস্থ হয়ে যাবে ঘুমের নির্দিষ্ট ছন্দ আসবে এই ছন্দটা ভাঙতে দেবেন না। কারণ ঘুমের জন্য সঠিক পরিবেশ না থাকলে ঘুম ঠিক মতো হয় না। ঘুমানোর জায়গাটা আরামদায়ক হওয়া দরকার। ঘর অন্ধকার আর ঠান্ডা রাখুন সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস সুইচ অফ করে দিন ঘুমানোর আগে। আপনার অস্বস্তির কারণ না হয় তেমন হলে তা বদলে ফেলুন।

জাগ্রত অবস্থায় কিছু সচেতন অভ্যাস আপনার ঘুমের রুটিনকে ছন্দে ফেরাতে পারে। চা কফি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন ঘুমানোর আগে একেবারে এসব খাবেন না ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনো ব্যায়াম করবেন না। আপনাদের মধ্যে দুপুরে খাওয়ার পরে ভাত-ঘুম দেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন কি দুপুরের এই ঘুম আপনার ঘুমের ছন্দ টাকে নষ্ট করে দিতে পারে। আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ হলে দুপুরের ঘুমটা বর্জন করুন বরং এমন কিছু কাজ করুন ওই সময়টাই যাতে ঘুম না আসে এভাবে আপনার ঘুমের জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি করুন।

অতিরিক্ত ঘুমের প্রতিকারঃ

অনিদ্রার যেমন কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ থাকে তেমনি অতিরিক্ত ক্রম শারীরিক কিছু সমস্যার কারণ হতে পারে। থাইরয়েড জীব যন্ত্রের সমস্যা স্পেলিং অ্যাপ নিয়া ডিপ্রেশনের কারণে বেশি ঘুম হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধের প্রভাবে অতিরিক্ত ঘুম হয় দীর্ঘদিন ধরে একটানা ক্লান্তির শিকার হলেও অনেক বেশি ঘুমিয়ে পড়েন। আবার শুধুমাত্র অনিয়মিত জীবনশৈলীর কারণেও অনেকে বেশি ঘুমান। তাই আপনারও যদি এমন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সবার আগে তার কারণটা খুঁজে বের করুন তা সারানোর দিকে মন দিতে হবে।

অতিরিক্ত ঘুমের পেছনে যদি শারীরিক কোন অসুস্থতা না থাকে তাহলে কিছু সাধারণ উপায় মেনে চলতে পারেন। অভ্যাস আর ঘুমের প্যাটাস সামান্য অদল বদল ঘটিয়ে মুক্তি পাওয়া যায় অতিরিক্ত ঘুমের হাত থেকে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন নিয়মিত ভাবে এটা বেশ কিছুদিন করতে পারলে শরীল ধাতস্থ হয়ে যাবে ঘুমের নির্দিষ্ট ছন্দ আসবে এই ছন্দটা ভাঙতে দেবেন না।

জাগ্রত অবস্থায় কিছু সচেতন অভ্যাস আপনার ঘুমের রুটিন কে ছন্দে ফেরাতে পারে চা কফি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন ঘুমানোর আগে একেবারেই এসব খাবেন না ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনো ব্যায়াম করবেন না। অতিরিক্ত ঘুমের প্রতিকারের জন্য কয়েকটি উপায় মেনে চলুন-

  • আপনার কখন ঘুম থেকে উঠা জরুরি তার উপর ভিত্তি করে ১-২ টি অ্যালার্ম ঠিক করে রাখুন।
  • প্রতিদিন একই সময় ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করুন।
  • এলার্ম ঘড়িটি হাতে থেকে দূরে রাখুন এতে এলাম বন্ধ করার জন্য হলেও আপনাকে বিছানা ছেড়ে ওঠা লাগবে।
  • যখন এলাম বাজবে তখনই উঠে পড়বেন পাঁচ মিনিট বেশি ঘুমানোর জন্য আপনার এক ঘন্টার দেরি হয়ে যেতে পারে।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা অনেকেই নাস্তা করতে চাই কিন্তু বলা হয় যদি আপনি ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে সকালের নাস্তা সেরে ফেলেন তাহলে আপনি সারাদিনের জন্য কিছু বাড়তি শক্তি পাবেন এবং এটি আপনাকে রাতে ভালোমতো ঘুমাতে সাহায্য করবে।
  • রাতে এক থেকে দুই ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন শুয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন।
  • সাধারণত সপ্তাহের বন্ধের দিন আমরা একটু বেশি ঘুমাই এই অভ্যাসটি না করাই ভালো এটি আপনার নিয়মিত ঘুমের ধারায় ব্যাঘাত আনতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন স্বাস্থ্যকর খাবার খান এটি আপনার শরীরের মন ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
  • সকালে সূর্য দেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কোন প্রকার দুশ্চিন্তা  তার মধ্যে থাকলে তার আসল কারণ খুঁজে বের করুন এটি কিভাবে সমাধান করা যায় তা আগে ঠিক করুন কারণ দুশ্চিন্তার হীনমন্যতা আপনাকে ঠিকমতো ঘুমাতে দেবে না।

অতিরিক্ত ঘুম হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিঃ

বেশি ঘুমানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে ক্লান্তি। অত্যাধিক ঘুমে আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত বিশ্রামের কারণে বেশি এবং স্নায়ুর শক্ত হয়ে যায় ফলে শারীরিক চাপ নিতে সমস্যা হয়। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে সূর্যের শক্তি যোগায় ঘুম। সুস্থ থাকার জন্য ভালো এবং পরিপূর্ণ ঘুম প্রয়োজন সবারি। তবে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমানো প্রয়োজন যেমন তেমনি অতিরিক্ত ঘুমও ডেকে আনতে পারে ডায়াবেটিস থেকে বন্ধ্যাত্বের মত ভয়ংকর কিছু রোগ। সেরোটিন হরমোনের সাহায্যে ঘুম নিয়ন্ত্রিত হয়।

অতিরিক্ত ঘুম সেরোটিনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, নিউট্রান্সমিটার কে বাধা দেয় সেজন্য অনেকে সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথা ব্যাথার কথা বলে থাকে। এছাড়া দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পর হঠাৎ ক্ষুধা এবং তীব্র তৃষ্ণা বোধ হয় যার কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়। অতিরিক্ত ঘুম ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে, সাইকেল নষ্ট হয়ে গেলে উৎকণ্ঠা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। অতিরিক্ত ঘুম হর মনের উপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ কারী হরমোন গুলো এর দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়।

আরো পড়ুনঃ    

বেশি ক্লান্ত বোধ করার কারণে শরীরে খুব কম শক্তি থাকে যার কারণে মানুষ সাধারণত জাঙ্ক ফুট বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে।এসব কারণে রক্তের শর্করা মাত্রা বেড়ে যায় যার ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত ঘুম হলে খারাপ প্রভাব নারীদের ফেটালিটির ওপরও পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে থেরাপিতে থাকা নারীরা যারা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ছয় ঘন্টা বা তার কম ঘুমান তারা তাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা ৪৬ শতাংশ এবং যারা নয় থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমান তাদের সন্তান ধরনের সম্ভাবনা থাকে ৪৩ শতাংশ বেশি বেশি ঘুম থেকে নিজেকে  কর রক্ষা করুন।

উপসংহারঃ অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, বেশি ঘুমানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে ক্লান্তি। অত্যাধিক ঘুমে আপনার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত বিশ্রামের কারণে বেশি এবং স্নায়ু শক্ত হয়ে যায় যার ফলে চাপ নিতে সমস্যা হয়। একজন মানুষকে সুস্থ থাকার জন্য পরিপূর্ণ ঘুম  প্রয়োজন কারণ ঘুম সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরের শক্তি যোগায়। আপনারা যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে দয়া করে আপনার মহামূল্যবান কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url