পুদিনা পাতার ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

• পুদিনা পাতার পরিচয়
• পুদিনা পাতার ১০ টি উপকারিতা
• পুদিনা পাতার ১০ টি অপকারিতা
• পুদিনা পাতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
• পুদিনা পাতা খাওয়ার নিয়ম
• উপসংহার

• রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
• আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে পুদিনা পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনা পাতা পেরলেন অ্যালকোহল যা ফাইটো নিউরি এডস এর একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ ভিত্তিতে বাধা প্রদান করে।
• ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের তেল লাগতো ভাব কমাতে লাগান ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন এর দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনা পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগান সম্ভব হলে সারারাত রাখুন।
• পুদিনার শেখর এর রস উপন্যাসক হিসেবে খুবই কার্যকরী, এমনকি পাতা ও পুদিনা পাতা বা শেকড়ের রস তুলের গোড়ায় লাগান এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন এক ঘন্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে অন্তত দুইবার এটা ব্যবহার করুন। এক মাসের মধ্যে চুল হবে।
• পুদিনা পাতার রস শ্বাস-প্রশ্বাসের নালী খুলে দেওয়ার কাজের সহায়তা করে ফলে যারা এজমা এবং কাশির সমস্যায় পড়েন তাদের সমস্যা ততক্ষণ িক উপশম করে বেশ কার্যকরী খুব বেশি নিঃশ্বাসে এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম করে পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির ভাব নিন এবং তা দিয়েগারগোল করার অভ্যাস তৈরি করুন।
• গোলাপ পুদিনা আমলা বাঁধাকপি ও শশাননিদ্রাস একসাথে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
• পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং চমৎকারী গুনাগুন যা পেটের যে কোন সমস্যা সমাধান করতে পারে। এবং সমস্যা কিংবা পেটের অন্যান্য সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা খাওয়ার পর এক কাপ পুদিনা পাতার  চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ছয় থেকে সাতটি তাজা পুদিনা পাতা গরম পানিতে মধু দিয়ে ফুটিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন।
• শরীর ঠান্ডা রাখার একটি বিশেষ গুণ পুদিনার মধ্যে আছে। গোসলের কিছুক্ষণ আগে পানির মধ্যে কিছু পুদিনা পাতা ফেলে রাখুন সেই পানিতে গোসল করে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে এছাড়া কয়েক ফোটা প্রতীক গোসল করতে পারেন। 
• পুদিনা ত্বকের যেকোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে এন্টিবায়োটিকের কাজ করে। গরমকালে পুদিনার পাতা দিয়ে গোসল করুন এর ফলে গরমকালের শরীর ব্যাকটেরিয়া জনিত দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাবেন।
• পুদিনা পাতার রস তৎক্ষণিক ব্যথা নাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে পুদিনা পাতার রস চামড়ার ভেতরে দিয়ে নার্ভে পৌঁছে নার্ভ শান্ত করতে সহায়তা করে। তাই মাথাব্যথা বা জয়েন্টে ব্যাথা উপশমেয়ে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায় মাথা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন অথবা তার যা কিছু পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। ব্যথা যদি অতিরিক্ত হয় পুদিনা পাতা বেটে পোলপ দিতে পারেন।
• মেন্থল নামক এক উপাদান থাকে এই মেন্থল আমাদের সত্যিকারে এবং শ্বাসকষ্টের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমাদের যদি খুব ঠান্ডা বা সর্দি-কাশি হবার প্রবণতা থাকে তাহলে আমরা পুদিনা পাতা গ্রহণ করতে পারি। এর ফলে আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসে অনেক সুবিধা হয় এবং শরীর থেকে কফ জাতীয় পদার্থ বের হয়ে যায়। শুধু তাই নয় এই মেন্থল আমাদের শ্বাসকষ্ট বা আস্থামা সমস্যা থেকে আমাদেরকে অনেক আরাম দিতে পারে।
• পুদিনা পাতার উপকারিতা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ পুদিনা পাতার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল যেরকম ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ক্যালসিয়াম আয়রন পটাশিয়াম ম্যাগনেস সোডিয়াম এবং অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
• পুদিনা পাতার মধ্যে রোজ মারিনিক অ্যাসিড থাকে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান হিসেবে আমাদের শরীরে কাজ করে। পুদিনা পাতা থেকে আমরা যে তেল পাই তা আমাদের শরীরের এলার্জি প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয় আমাদের শ্বাসকষ্ট বা কাস্টমার সমস্যা কে কম করতে পারে।
• যেগুলো আমাদের ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন কে কম করতে পারে এমনকি বিভিন্ন সমস্যাকে দূর করে যেমন ব্রণ আসলি  ইত্যাদি।

• পুদিনা পাতার উপকারিতা আমাদের চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রতিমা পাতাতে অ্যান্টি মাইক্রো বল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের মাথার ত্বক বা স্কাল্পকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল বা ফাংগাল সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং আমাদের চুল উঠে যাওয়াকে কম করে এবং আমাদের চুলের গোড়াকে শক্ত করে।
• বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে নিয়মিত প্রতিমা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে সেই নিঃশ্বাস এর সাথে গ্রহণ করলে আমাদের স্মৃতিশক্তি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের অলস ভাব কমে যায়।
• খেতে পারি তাহলে আমাদের মুখের মধ্যে সমস্যা হওয়ার প্রবণতা কমে যায় যেরকম মুখের মধ্যে ইত্যাদি এছাড়া পাতার সুগন্ধের কারণে আমাদের মুখে দুর্গন্ধ থাকে না।

পুদিনা পাতার অপকারিতাঃ

• ত্বকের উপর নির্ভর করলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে কিছু মানুষ এলার্জির হতে পারে বিশেষ কিছু মানুষের পুদিনা পাতা গ্রহণ করা উচিত না।
• পুদিনা পাতা গ্রহণ করা বা পেশাই করে ত্বকের উপর ব্যবহার করলে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে তবে কিছু মানুষের এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
• বিশেষ কিছু মানুষের পুদিনা পাতা গ্রহণ করা উচিত নয়।  বিশেষ কিছু মানুষের পুদিনা পাতা গ্রহণযোগ্য করা উচিত না মায়ের বেস্ট ফিটিং করে তারপরে ব্যবহার করুন।
• পুদিনা পাতাকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড়ের ওপর ভালো ছায়া জায়গায় দুই দিন ভালো করে শুকিয়ে তারপর পেশাই করে আমার পুদিনা পাতা কে ভালো করে জলে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড়ের ওপর আলোছায়া জায়গায় ২৩ দিন ভালো করে শুকিয়ে তারপর পেশাই করে আমরা পাউডার তৈরি করে নিতে পারি। ভালো একটি কাঁচের কৌটোতে সেই পাউডার  যেতে পারি তবে আমাদের মনে রাখতে হবে।
• পুদিনা পাতাতে মেন্থল জাতীয় পদার্থ বা উপাদান থাকে যা খুব বেশি গ্রহণ করলে আমাদের বমি বা ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
• পুদিনা পাতা চা আপনার রক্তে সরকারের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারি. এই যে আপনার ডায়াবেটিস ও ঔষধের সাথেও মিশ্র বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। সুতরাং যারা ডায়াবেটিস রোগী তাদের এই পুদিনা পাতা গ্রহণ এড়িয়ে চলা উচিত বা তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরে খাওয়া উচিত।
• পুদিনা পাতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলেও এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে মাথা ব্যথা অস্থির পা এবং মুখে ঘা পেপার মিন্ট এলার্জির কিছু লক্ষণ ইত্যাদি ।
• পুদিনা পাতা ছোট শিশুদের জন্য খুব তীব্র বলে মনে করা হয় এটি শ্বাসকষ্ট এবং মুখে জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে আপনার শিশুকে এটি দেওয়ার আগে আপনার উচিত আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা।
  
• ডায়াবেটিসের সাজানো দেওয়া ওষুধগুলি পুদিনা পাতার সাথে বিক্রিয়া করে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সুতরাং আপনি যদি এই স্বাস্থ্য সমস্যা গুলির জন্য ঔষধ খাচ্ছেন তাহলে পুদিনা পাতা কে না বলুন।
  
• আপনি যদি পুদিনা চা এর নিয়মিত পানকারী হয়ে থাকেন তবে আপনার অসুস্থতার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার। ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন উৎপাদনের জন্য পুদিনার লাইসেন্স দেয় না। সুতরাং আপনি যে পুদিনা চা পান করছেন সেটি দূষণমুক্ত কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

পুদিনা পাতা খাওয়ার নিয়মঃ