রুটি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - রুটির পুষ্টিগুণ

 আজকে আপনাদের যারা রুটি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - রুটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। শরীর গঠনে যে সকল ভিটামিন ও খনিজের দরকার হয় তা সবাই থাকে রুটিতে। তাই রাতে রুটি খেলে আমাদের ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ হয়। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো রুটি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - রুটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। রুটি ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী, রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায় হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগের আশঙ্কা কমে যায় অনেক। আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক রুটি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - রুটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

রুটি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - রুটির পুষ্টিগুণ

রুটি খেলে যে আপনার শরীরে কোন সমস্যা তৈরি হয় না এই বিষয়ে কি আপনি নিশ্চিত। রুটি খেলে যেমন উপকার আছে তেমনি এর অপকারও আছে। তাই আজকে আপনাদের জানাবো রুটি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - রুটের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ রুটি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - রুটির পুষ্টিগুণ

রুটি খাওয়ার উপকারিতা

রুটি খাওয়ার অপকারিতা

 রুটির পুষ্টিগুণ

রুটি খাওয়ার নিয়ম

উপসংহার

রুটি খাওয়ার উপকারিতাঃ

কনিস্টিপেশনের সমস্যা দূর করেঃ

নিয়মিত রুটি খাওয়ার অভ্যাস করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে না। তাই নিয়মিত রুটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

পেশির গঠনে সহায়তা করেঃ

রুটিতে থাকা প্রোটিন বেশি গঠনে সাহায্য করে। তাই যারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান তারা নিয়মিত দুই তিনটি করে রুটি খাওয়া অভ্যাস করুন।

ওজন বৃদ্ধি হয় নাঃ

রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় রুটি খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। তাই আপনাদের যাদের ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে তারা নিয়মিত রুটি খান।

অতিরিক্ত চর্বি কমায়ঃ

যাদের শরীরের চর্বির আধুনিক রয়েছে তারা নিয়মিত রুটি খেলে চর্বি কমে যাবে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে রাতের রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে যার ফলে পেশার বেড়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে যায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ

রুটিতে থাকা ফাইবার ও সেলেনিয়াম ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের নিয়মিত রুটি খাওয়া উচিত।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ

রুটি তে থাকা উপকারী উপাদান গুলো শরীরের প্রবেশ করে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আরো পড়ুনঃ

রুটি খাওয়ার অপকারিতাঃ

প্রতিটি খাবারে যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি খারাপ দিকে রয়েছে। সব জিনিস খাওয়ার জন্য ভালো নয়। গরমের তৈরি খাবার খেলে কোলেস্টেরলের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে গমের তৈরি খাদ্য উপাদান ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। তক কুঁচকে যাই ও বালিরেখা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও গমের তৈরি খাবার বেশি খেলে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা ও দেখা দেয়। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় রুটি খাওয়া যাবেনা। মার্কিন এক রিপোর্ট থেকে জানা যায় পাউরুটি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যার ফলে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় এর ফলে মানসিক সমস্যাও অনেক বেড়ে যেতে শুরু করে।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গমে উপস্থিত ব্লু টেইন হজম হতে অনেক বেশি সময় নিয়ে থাকে। গমের তৈরি খাবার হজম হওয়া মানেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকা। এর ফলে ইন্সুলিন এর ক্ষরণ ও অনেক বেড়ে যায়। এটা দিনের পর দিন খেতে থাকলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই যাদের পরিবারের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের গমের তৈরি কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাই হজমের সমস্যা হতেই পারে এইগুলোতেইন থেকে অনেক সময় পেটে নানা ধরনের সমস্যাও দেখা দেয় তাই যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাদের অতিরিক্ত মাত্রায় গমের তৈরি কোন খাবার খাওয়া ঠিক নয়।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে আটা বা ময়দা দিয়ে তৈরি কোন খাবার খেলে খাবার পর শরীরে একদিকে যেমন শর করার মাত্রা বেড়ে যায় তেমনি কার্বোহাইডেট এর সমস্যা বাড়তে শুরু করে এর ফলে ওজন বাড়তে শুরু করে আর রক্তচাপের সমস্যাও আগের থেকে অনেক বেড়ে যেতে থাকে। অতিরিক্ত গমের তৈরি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। ডায়াবেটিসের রোগী ওজন বাড়ার সমস্যা ও পেটের সমস্যা থাকলে কখনো অতিরিক্ত মাত্রায় রুটি খাওয়া যাবেনা।

রুটির পুষ্টিগুণঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স) -এ পুষ্টিমান

শর্করা                           ৪৬.৩৬ গ্রাম

চিনি                             ২.৭২

খাদ্য আঁশ                   ৪.৯ গ্রাম

স্নেহ পদার্থ                   ৭.৪৫ গ্রাম

প্রোটিন                          ১১.২৫ গ্রাম

ভিটামিন                                         পরিমাণ                             দৈপ%

থায়ামিন(বি ১)                                  ০.৫৫ মিগ্রা                       ৪৮%

রিবোফ্লাভিন(বি ২)                             ০.২মিগ্রা                          ১৭%

নায়াসিন (বি৩)                                   ৬.৭৮ মিগ্রা                       ৪৫%

প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫)             ০.৫৮ মিগ্রা                      ১২%

ভিটামিন বি৬                                         ০.২৭০ মিগ্রা                     ২১%

ফোলেট (বি৯)                                         ৬১মিগ্রা                            ১৫%

ভিটামিন ই                                                ০.৮৮ মিগ্রা                      ৬%

ভিটামিন কে                                              ০মিগ্রা                               ০%

আরো পড়ুনঃ 

খনিজ                                                          পরিমাণ                           দৈব%

ক্যালসিয়াম                                                    ৯৩মিগ্রা                            ৯%

লৌহ                                                                ৩মিগ্রা                               ২৩%

ম্যাগনেসিয়াম                                                   ৬২মিগ্রা                           ১৭%

ম্যাঙ্গানিজ                                                          ১.২৫মিগ্রা                        ৬০%

ফসফরাস                                                           ১৮৪মিগ্রা                          ২৬%

পটাশিয়াম                                                           ২৬৬মিগ্রা                        ৬%

সোডিয়াম                                                             ৪০৯মিগ্রা                          ২৭%

জিংক                                                                    ১.৫৭মিগ্রা                          ১৭%

অন্যান্য উপাদান                                                    পরিমান

পানি                                                                            ৩৩গ্রাম

সেলিনিয়াম                                                                  ৫৩.৭মিগ্রা

আরো পড়ুনঃ

রুটি খাওয়ার নিয়মঃ

আমাদের রাতে ২-৩ টির বেশি  রুটির খাওয়া উচিত নয়। রুটি বেশি খেলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। রুটি হজম করার ক্ষমতা সকলের থাকে না তাই যাদের এক ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা রুটি খাওয়ার ব্যাপারে নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে। রোজ রাতে রুটি খেলে অনেকের মানসিক সমস্যার অবগতি বেড়ে যেতে পারে।

উপসংহারঃ রুটি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - রুটির পুষ্টিগুণ

প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের নিশ্চয়ই বোঝাতে পেরেছি রুটি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থেকে ফলো করুন। আপনি যদি রুটি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং রুটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চান তবে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url