ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ও ঘরোয়া চিকিৎসা

 প্রিয় পাঠক, আজকে আপনাদের জানাবো ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। ডেঙ্গু জ্বর একটি মশাবাহিত ভাইরাল সংক্রমণ। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। তাই আজকে আপনাদের জানাবো ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকারও ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। চলুন আর দেরি না করে জেনে যাওয়া যাক ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার চিকিৎসা সম্পর্কে। 
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ও ঘরোয়া চিকিৎসা
ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত গ্রীষ্মকালীন রোগ। ইটিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ গুলো দেখা দেয়। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্ক ।

পেইজ সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ও ঘরোয়া চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর কিঃ

ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত গ্রীষ্মকালীন রোগ। ের ভাইরাস সংক্রমণের তিনদিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ গুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছে জ্বর মাথাব্যথা বমি পেশীতে ও ঘাটে ব্যথা এবং গাত্র চর্মে ফুসকুড়ি। দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তখানের রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তখারে জ্বর বলা হয়। এর ফলে রক্তপাত হয় তার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে। আবার কখনো বা ডেঙ্গুর শখ সিন্ধোম দেখা দেয় ডেঙ্গু শকসিন্ডোম এর রক্তপাত বিপদজনকভাবে কমে যায়।

আরো পড়ুনঃ লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ

কয়েক প্রজাতির এডিস মশা ডেঙ্গুভাইরাসের প্রধান বাহক। যেগুলোর মধ্যে প্রধানতম ভাইরাসটি পাঁচটি ছেরা পাওয়া যায়। সংক্রমণ করলে সেই ছেলেটাইপের বিরুদ্ধে রোগী আজীবন প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে কিন্তু ভিন্ন টাইপের বিরুদ্ধে সাময়িক প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন ডেঙ্গুভাইরাস সংক্রমিত হলে রোগের মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে কয়েক ধরনের টেস্টের মাধ্যমে যেমন ভাইরাসটি বা এর আরএনএ ওয়ার্ডের উপস্থিতি দেখেও ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয় করা যায়।

আমাদের দেশে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক আকার ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে মানুষ হয়ে পড়ে আত্মংকগ্রস্ত এমনকি হয়ে পড়েন দিশেহারা। শত শত রোগের রক্ত এবং রক্তের প্লাটিলেট জোগাড় করতে গিয়ে ব্লাড ব্যাংকগুলো রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। আর রক্ত বা প্লাটিলেট সংগ্রহ করার জন্য লোকজনও হয়ে উঠেছিল মরিয়া এ সময়টাতে চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা ও ছিল সীমত। ফলে পুরো জাতি আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে মিডিয়াতেও এর ব্যাপক প্রচার হয় তবে বর্তমানে মানুষের ওই ভিডিও আতঙ্ক কেটে গেছে ডাক্তাররা যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং দক্ষ জনগণের প্রতিকার প্রতিরোধ যথেষ্ট সচেতন।

ডেঙ্গু জ্বরের কারণঃ

প্রথমে আমাদের জানা প্রয়োজন এডিস মশা কামড়ালে কি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, চিকিৎসকরা কিন্তু ঠিক তেমনটা বলছেন না। বরং তারা বলছেন পরিবেশে উপস্থিত কোন ভাইরাস যদি কোন এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হয় শুধুমাত্র তখনই ওই মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তিনি এডিস মশা ভাইরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তিদের এই ভাইরাস ছড়াতে থাকে। হালকা ডেঙ্গু জ্বরের কারণে প্রচন্ড জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত চার প্রকার তবে যারা আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পরবর্তীতে রোগ দেখা দিলে প্রাণঘাতী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণঃ

ডেঙ্গু জ্বরের সংখ্যা বাড়ছে মশাবাহিত এই রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করা না হলে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। শুধু করো নাই আক্রান্ত হলেই তো রোগী জ্বরে ভোগেন না বরং ডেঙ্গুর কারণেও জ্বরে ভুগতে পারেন। তাই এ সময় জ্বর হলেই উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে ডেঙ্গুর কিছু লক্ষণ আছে সেগুলো জানা থাকলে নিজেই নির্ণয় করতে পারবেন আপনি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো-

ডেঙ্গুর ক্লাসিক্যাল জর সমূহঃ

  • ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বড় সেইসঙ্গে সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হয়ে থাকে।
  • জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • তীব্র পেটে ব্যথা হতে পারে।
  • শরীরের বিশেষ করে হাড় কোমর পিটসহ অস্থিসন্ধি এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয়।
  • এছাড়াও মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়।
  • এ জ্বরের আরেক নাম ব্রেক বোন ফিবার।
  • জ্বর হওয়ার চার বা পাঁচ দিনের সময় সারা শরীর জুড়ে লালচে দানা দেখা যায় যাকে বলা হয় স্কিন ড্রেস যা অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মত।
  • পাশাপাশি বমি বমি ভাব এমনকি বমিও হতে পারে।
  • রোগী অতিরক্ত ক্লান্তিবোধ করে ও রুচি কমে যায়
  • সাধারণত চার বা পাঁচ দিনের জ্বর থাকার পর তা এমনিতেই চলে যায়। কারো ক্ষেত্রে দুই বা তিনদিন পর আবার জ্বর আসে যাকে ভাই ফেজিক ফিবার বলে।

ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর সমূহঃ

  • রোগীর এই অবস্থাটি সবচেয়ে জটিল এই জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরো সমস্যা দেখা দেয়। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-
  • শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয় যা মন চামড়ার নিচে না কমুক দিয়ে মাড়ি ও দাঁত হতে কফের সঙ্গে রক্ত বমি পায়খানার সাথে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা চোখের মধ্যে এবং চোখের বাহিরে নারীদের বেলায় অসময়ে ঋতু সাপ অথবা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেকদিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকাই ইত্যাদি।
  • এই রোগের বেলায় অনেক সময় বুকে পানি পেটে পানি  ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগের জন্ডিস হয় আবার কিডনি আক্রান্ত ফেইলি ওর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।

ডেঙ্গু শক সিন ড্রিমগুলোঃ

  • ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ রূপ হল ডেঙ্গু সিনড্রে্ম হয়। এর লক্ষণগুলো হল-
  • রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া।
  • নারীর স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীন ও দ্রুত হয়।
  • শরীরের হাত-পা অন্যান্য ঠান্ডা হয়ে যায়।
  • প্রস্রাব কমে যায়।
  • হঠাৎ করে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসাঃ

ডেঙ্গুর চিকিৎসার বিশেষ কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘরোয়া চিকিৎসা তাই কমে যায়। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিয়ে যন্ত্রণা এবং জ্বরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেন।Non-steroidel প্রদাহ  প্রতিরোধী ঔষধের রক্ত ক্ষরণের সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রোগের মাত্রা অতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেলে রোগীকে হসপিটালে ভর্তি এবং ডাক্তারি নজরদারিতে রাখা একান্ত জরুরি। হসপিটালে ডেঙ্গু রোগীদের শিরায়(IV) ইলেক্ট্রোলাইট(লবণ) তরল দেওয়া হয়। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় জল এবং লবণের যোগান বজায় থাকে।

আরো পড়ুনঃ ব্লগ লেখ অর্থ উপার্জনের উপায়

ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসাঃ 

  • ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ। তাই মশার কামড়ের হাত থেকে নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে বাঁচান।
  • বাড়ির চারপাশে জল জমতে দেবেন না, জমা জলে মশারা বংশবিস্তার করে। জল জমতে না দিয়ে মশার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সপ্তাহে অন্তত একবার জল জমতে পারে এমন জায়গা পর্যবেক্ষণ করুন এবং গাছের টপ ফুলদানি পড়ে থাকা গাড়ির টায়ারে জমে থাকা জল ফেলে দিন।
  • শরীর ঢাকা জামা কাপড় যেমন লম্বা হাতার শার্ট লম্বা প্যান্ট মজা এবং জুতা পড়ুন।
  • ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। এ সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন।
  • রাতে সবার সময় মশারি ব্যবহার করুন।
  • মশা নিরোধক কেমিক্যাল যেমন পারমেত্রিন ব্যবহার করুন।

কিভাবে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটেঃ

ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক এডিস ইজিপটি নামক মশা। এছাড়া এডিস দিয়েও এ রোগের বিস্তার হয়। মশাগুলো অন্যান্য মশার চেয়ে বড় এবং গায়ে ডোরাকাটা দাগ থাকে। এরা বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে যে কোন জলবদ্ধ এলাকায় বংশবিস্তার করে তাছাড়া ঘরে রাখার টপ বা ফুলদানির পানি বংশবিস্তার করে থাকে। এদের ডিম ফুটানোর জন্য পানির প্রয়োজন হয় বলে শুকনো মৌসুমে মশা কমে যাই। সব মশা কামড়ালে ডেঙ্গু হয় না যে মশা জীবাণু বহন করে শুধু সেসব মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু হতে পারে।

 এ মশা দ্বারা রোগ বিস্তারের আরেকটি অবাক হওয়ার মতো তথ্য হলো সাধারণত দিনের বেলায় এডিস পোশা কামড়ায় এবং ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ হয় দিনের বেলায়। মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়।এবার ঐ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবিহীন লেডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশাই পরিণত হয় এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে। ডেঙ্গু প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে ক্লাসিকাল ডেঙ্গু ফিভার এবং ডেঙ্গু হোমরজিক ফিভার।

কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ

যদিও ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। এই জ্বর সাধারণত নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসায় যথেষ্ট তবে কিছু লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

  • শরীরের যে কোন অংশ থেকে রক্তপাত হলে।
  • প্লাটিলেটেরমাত্রা কমে গেলে।
  • শ্বাসকষ্ট বা পেট ফুলে পানি আসলে।
  • প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে।
  • জন্ডিস দেখা দিলে।
  • অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে।
  • প্রচন্ড পেট ব্যথা বা বমি হলে।

ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের জন্য খাবারঃ

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের জন্য কিছু পুষ্টি উপাদান বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে যেমন-

  • ভিটামিন সি(সাইট্রাসফল বেরি এবং শাকসবজিতে পাওয়া যায়)
  • জিংক(সামুদ্রিক খাবার মটরশুটি এবং বাদামে পাওয়া যায়)
  • আইরন(মাংস মটরশুটিতে পাওয়া যায়)
  • ওট মিল(সহজপচ্য কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ)
  • পেঁপে
  • নারিকেলের জল
  • সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা দরকার শরীরকে হাইডেড করার জন্য।

আরো পড়ুনঃ ১২ টি উপায়ের সন্তান হবে বুদ্ধিমান ও মেধাবী 

ডেঙ্গু হলে অনুচিত খাবারঃ 

সহজে হজম হয় না এমন খাবার ডেঙ্গু রোগীদের খাওয়া উচিত নয় যেমন-

  • আমিষ খাবার
  • চর্বি
  • তৈলাক্ত খাবার
  • ভাজাভুজি

উপসংহারঃ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ও ঘরোয়া চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর একটি সাধারণ রোগ, কিন্তু অবহেলা করলে এই রোগ মারাত্মক হতে পারে। শহরাঞ্চলে এই রোগের প্রকোপ বেশি। তাই নগরবাসীকে আর একটু সজাগ ও সচেতন হতে হবে বিশেষ করে যাদের ডেঙ্গু হয়েছে তাদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে যাতে করে দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু সংক্রমণ না হয়। সচেতন থাকুন সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন। আমাদের সঙ্গে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url