জরায়ু ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

আজকে আমরা জানবো জড়ায় এর কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে । মহিলাদের জরায়ু মুখে যে ক্যান্সার হয় তাকে জরায়ু ক্যান্সার বলে। প্রতিবছর বাংলাদেশের জরায়ু মুখ ক্যান্সারের কারণে প্রায় এগার হাজার  এর ও বেশি নারী মারা যায়। অথচ আমরা যদি একটু সচেতন হই তবে এ রোগ সম্পূর্ণ নির্মময় করা সম্ভব। সেজন্য চলুন আজকে আমরা জেনে নেই জরায়ু ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। 

জরায়ু ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

আজকে রাতে গেলে আমরা জানব জরায়ু ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। জরায়ু ক্যান্সার সাধারণত ৩০ থেকে ৫৫ বছর বয়সী মহিলাদের বেশি হয়। উচ্চারণ আর দেরি না করে আমরা জেনে নিই জরায়ু ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ জরায়ু ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

জরায়ু ক্যান্সারের কারণঃ

হিউম্যান বেবি লোমা ভাইরাসকে জরায়ু মুখের ক্যান্সার এর উন্নতম কারণ হিসেবে গণ্য হয়। ১০০টিরও বেশি প্রজাপতির এইচপিভি আছে। যার মধ্যে কমপক্ষে ১৪ টি ক্যান্সারের কারণ হিসেবে পরিচিত যাকে উচ্চ ঝুকিয়ে ধরন বলা হয়। দুটিএইচপিভি প্রকারের ১৬ এবং ১৮ ৭০ শতাংশ সারভাইকাল ক্যান্সার এবং প্রাক ক্যান্সার সারভাইকাল ক্ষত সৃষ্টি করে। মলদ্বার, যোনি, লিঙ্গ এবং অরোফেরিনেক্সের সাথে এইচপিভির যুক্ত হওয়ারও প্রমাণ রয়েছে। এর মধ্যে দুই ধরনের হিউম্যান পপি লম্বা ভাইরাস এর কারণে হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানির কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণঃ

এই ক্যান্সার হতে সাধারণত ১০-১৫ বছর সময় লাগে কারণ এটি একটি ভিড় বর্ধনশীল রোগ। প্রথমে এ রোগের কোন উপসর্গ দেখা যায় না। আপনি যদি জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তবে আপনার শরীরে নিম্নের উপসর্গ গুলো দেখা দিতে পারে।

  • দুই মাসিকের মধ্যে রক্তপাত।
  • পেলডিক পরীক্ষার পর রক্তপাত।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব করা এবং প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব করা।
  • যৌন সঙ্গমের পর রক্তপাত।
  • ভারি বা অস্বাভাবিক স্রাব, স্রাবে প্রচুর দুর্গন্ধ থাকতে পারে।
  • পেলডিক ব্যথা যা মাসিক চক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

জরায়ু ক্যান্সার নির্ণয় পদ্ধতিঃ

সাধারণত ডিএনএ অথবা পেপ টেস্টের মাধ্যমে সম্ভাব্য জরায়ু কান স্যারের ডিসপ্লেসিয়া সনাক্ত করা হয়। এবং একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়। বায়োসির মাধ্যমে প্রি ক্যান্সার বা ক্যান্সার কোষ নিশ্চিত করা হয় জরায়ু ক্যান্সার। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এইচডিভি সংক্রমণের ঝুঁকি নির্ধারণ করা হয়।

আরো পড়ুনঃ মহিলাদের সাদা স্রাব কি কেন হয় ঘরোয়া প্রতিকার

জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিকারঃ

মেয়েদের বয়স যখন ১৩ থেকে ১৫ বছর হয় তখন তিনটি ডোজে ছয় মাসের মধ্যে এই টিকা দেওয়া হয়। এই টিকা মূল্য তো বিয়ের পূর্বে অথবা যৌন স্বয়ংক্রিয় হওয়ার আগে দেওয়া উচিত। নিম্নে জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিকার তুলে ধরা হলো-

  • জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
  • টীকা প্রদান করে অববাহিত মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার থেকে নিরাপদ রাখতে হবে।
  • কোন লক্ষণ চোখে পড়লেই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
  • ১৮ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত নারীদের বছর একবার করে পরীক্ষা করা উচিত। তবে তারপর দুইবার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তিন অথবা পাঁচ বছর পর পর পুনরায় পরীক্ষা করাবেন। অন্য নারীরা একটু সচেতন থাকবেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ নারীরা  আপনারা প্রতি তিন বছর পর পর পরীক্ষা করাবেন।
  • নারীদের সাহস যোগাতে এক্ষেত্রে পুরুষদের ও সচেতন হতে হবে।

উপদেশঃ

এক্ষেত্রে আমি আপনার আপনাদের বলতে চাই আপনারা যদি চোরের ক্যানসার এড়াতে চান তবে নিম্নে বর্ণিত কাজগুলো থেকে নিজেদের বিরত রাখুন-

  • অল্প বয়সের যৌন সম্পর্ক
  • একাধিক যৌন সঙ্গী
  • একাধিক পূর্ণ গর্ভধারণ
  • গনোরিয়া 
  • সিফিলিস
  • ধূমপান
  • দীর্ঘ সময়ের জন্য গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার।
  • দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

এগুলো থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন কারণ এই কারণগুলোই জোরালো ক্যান্সারের সৃষ্টি করে।

আরো পড়ুনঃ বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এবং বন্ধ্যাত্ব সমস্যা

বিশেষজ্ঞরা বলেন,

এই রোগে আক্রান্তদের পুরো শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার পর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে জান। তাদের মধ্যে ৯৯ ভাগ মারা যায় এবং একভাগ  বাঁচানো সম্ভব। তাই জরায়ু মুখ ক্যান্সার থেকে নিরাময় করার জন্য এই রোগটি আগে চিহ্নিত করা জরুরী। বাংলাদেশের দুর্গম অঞ্চলের নারীরা এরোগে আক্রান্ত হয় বেশি কারণ তারা সহজে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ এবং এরূপ সম্পর্কে জানতে পারেনা। মানুষকে সচেতন করে তোলা তবেই জরায়ু ক্যান্সার থেকে  মুক্তি পাবে নারীরা।

উপসংহারঃ জরায়ু ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্ত্র পাচার বা ওষুধের মধ্য দিয়ে অধিকাংশ যারা হোক অ্যান্ড হার নিরাময় করা সম্ভব। তো ক্যান্সার যদি জরায়ু অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়ে তখন কোমো থেরাপি বিকিরণ থেরাপীর সমন্বয়ে অথবা অস্ত্র পাচারের মতো আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে আপনার। সেজন্য জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার আগেই নিজেকে এই রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। আমার আজকের এই আটিকেলে আপনি জরায়ু ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়ে জানতে পারবেন। এবং আপনি যদি উপকৃত হন অথবা আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে আমি উপকৃত হব। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url