ব্লগ লিখে অর্থ উপার্জনের উপায়

সালাতুল হাজত নামাযের নিয়ম নিয়ত ও ফযিলত

ব্লক হলো সেই প্রক্রিয়াটি যেখানে একজন বা একাধিক ব্যক্তি অনলাইনে নিয়মিত কনটেন্ট গুলোকে পাবলিশ করে থাকেন। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ব্লক লিখে অর্থ উপার্জন করা যায়। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো ব্লগ লিখে অর্থ উপার্জনের উপায়। ব্লগিং এর প্রক্রিয়াতে একজন ব্যক্তি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়মিত নিজের ওয়েবসাইটের জন্য কিছু বিশেষ কাজগুলোকে করে থাকেন। আপনি কি ব্লগ লিখে অর্থ উপার্জনের উপায় জানতে চান। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই ব্লগ লিখে অর্থ উপার্জনের উপায় সম্পর্কে।  

আপনি ব্লক শব্দটি অনেকের মুখে বা অনেক জায়গায় শুনেছেন, কিন্তু আপনি কি জানেন ব্লক মানে কি সেটা জেনে নেওয়াটা কিন্তু আপনার জন্য অনেক লাভজনক হতে পারে। ব্লক মানে হচ্ছে এক এমন একটা টেকনোলজি যেটা তাকে অনলাইন অনেক টাকা আয় করে দিতে পারবে। আবার অনেকের জন্য ব্লক হলো ইন্টারনেটে কিছু জানার বা শেখার মাধ্যম। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লগ লিখে অর্থ উপার্জনের উপায় সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ ব্লক লিখে অর্থ উপার্জনের উপায়

• ব্লক মানে কি
• ব্লগে ভিজিটর কিভাবে আসবে
• কিভাবে ব্লক থেকে টাকা আয় করা যায়
• ব্লক থেকে কি ধরনের আয় হয়
• লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি
• উপসংহার

ব্লক মানে কিঃ

ব্লক মানে একেবারে সোজা আর সহজ ভাষাতে বললে ব্লক আপনার ব্যক্তিগত ডায়েরির মতন। এটা এমন একটা ডায়েরী যেখানে আপনি আপনার মনের মত যা খুশি লিখতে পারবেন। এখানে আপনি কবিতা, পত্রিকা, শায়ে্রি,SMS,tutorials,stories এবং আর্টিকেল বাজে কোন জিনিসের বিষয়ে লিখতে পারবেন। আপনি শুধু খেয়াল রাখবেন যাতে আপনি যেটা লিখছেন সেটা পুরো পরিষ্কারভাবে লেখা হয়। এর কারণ হলো এমনিতে আপনার পার্সোনাল ডাইরি কেউ না দেখতে পারে কিন্তু ব্লগে আপনি যেটা লিখবেন সেটা অনেকেই অনলাইনে পড়বে, আর আপনার লেখা আর্টিকেল যদি কারো ভালোই না লাগে তাহলে আপনি ব্লগিং এ কখনোই সাকসেস হতে পারবেন না।

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার

পার্সোনাল ডায়রির মতো এই ব্লগ আপনি হাতে-কলমে লিখতে পারবেন না ব্লগ লেখার জন্য আপনার কিছু জিনিসের প্রয়োজন হবে সেই জিনিসগুলো হল-একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, ইন্টারনেট কানেক্ট সাধারণ কম্পিউটার knowledge এবং যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন তার সঠিক জ্ঞান। এগুলো যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে ইন্টারনেটে এমন কিছু প্ল্যাটফর্মস বা ওয়েবসাইট আছে যারা আপনাকে একটি ফ্রি ব্লক তৈরি করার সুবিধা দেবেন। আশা করি ব্লক কি সেটা আপনি খুব সহজে বুঝতে পেরেছেন অথবা আমরা আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।

ব্লগে ভিজিটর কিভাবে আসবেঃ

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ব্লগে ভিজিটর কিভাবে আসবে, এর উত্তর হল-গুগল সার্চ, ইয়াহু সাচ, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্য ব্লগ থেকে। ব্লক সাকসেসফুল করার জন্য আর ব্লগ লিখে টাকা আয় করার জন্য আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর এর প্রয়োজন হবে। আর আপনি নিজের ব্লগে ফ্রী traffic আর ভিজিটরস কেবল google এবং ইয়াহু সাচের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাবেন। 

কিভাবে ব্লক থেকে টাকা আয় করা যায়ঃ

দেখতে গেলে ব্লক থেকে আয় করার অনেক উপায় আছে। কিন্তু সব পায়ের মধ্যে সবার থেকে ভালো এবং বেশি ইনকাম হওয়ার উপায় হল তিনটি। ব্লক থেকে আনিং এর এই তিনটি উপায় হল-Google AdSense,Affiliate marketing, এবংproduct promotion.

তিনটির মধ্যে যে কোন একটি উপায় এর মাধ্যমে লোকেরা নিজের ব্লক থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন বিষয়গুলির বিষয়ে বিশদভাবে জেনে নেই।

Google এডসেন্স দ্বারা ব্লগ থেকে টাকা আয়ঃ

গুগল এডসেন্স একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ইনকাম করার থেকে সহজ এবং সবার থেকে ভালো উপায়। গুগল এডসেন্স দ্বারা একটি এমন সার্ভিস বা প্রোগ্রাম যে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে এডভারটি সিমেন্ট ডিসপ্লে করে আপনাকে টাকা কামানোর সুযোগ দেয়। এডভারটাইজমেন্ট গুলো অনেক রকমের হতে পারে যেমন-image ads,video ads, লিংক ads.

আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে Google Adsense তারা ডিসপ্লে করা এই বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এডস গুলি যখন কেয়ার ক্লিক করবেন তখন আপনার Adsense account এ কিছু টাকা ইনকাম হয়। এই ছোট ছোট এড্স ক্লিক এবং টাকা এক সময় গিয়ে হাজার হাজার টাকাতে আপনা আপনি এডসেন্স একাউন্টে পেয়ে যান। আর যখন আপনি ১০০ ডলার নিজের এড্রেস একাউন্টে টাইপ করে ফেলবেন তখন আপনার টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গুগল এডসেন্স থেকে প্রচুর টাকা আয় করার জন্য আপনার ব্লগে ট্রাফিক বা ভিজিটরদের সংখ্যা ভালো হতে হবে। কারণ যখন ব্লগে ভিজিটর আসবে তখন google এডসেন্স এড তারা দেখবে আর ক্লিক করবে।

আরো পড়ুনঃ যে ১২ টি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত

তাই প্রথমে আপনাকে নিজের ব্লগে ভিজিটর এর সংখ্যা কিভাবে বাড়াবেন সেটা ভাবুন, তারপর ভিজিটর আসার পর আপনি এডসেন্স অ্যাকাউন্ট পানিতে ব্লগে অ্যাপস ডিসপ্লে করে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়ার্ড মার্কেটিংঃ

গুগল এডসেন্স এরপর এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্লক থেকে অনলাইন টাকায় করার সবচেয়ে ভালো উপায় আজ হয়ে চলেছে। এফিলিয়েন্ট মার্কেটিং অনেক সোজা জিনিস এখানে আপনার ইনকামটা কম্পিটিশন হিসেবে দেওয়া হয়। এফিলিয়াট মার্কেটিং কি সেটা আগে জেনে নিন।" ভিলিয়ার্ড মার্কেটিং সোজাসুজি অনলাইনে commission ইনকাম করার মাধ্যম। এখানে আপনি যে কোন জিনিস যেটা অনলাইনে কেনা যায় নিজের ব্লগে promote করে ইনকাম করতে পারেন" এক্ষেত্রে বিভিন্ন অনলাইন স্টোর যেমন-Amazon.in,Flipkart.com ইত্যাদি products যেমন টিভি ল্যাপটপ মোবাইল ইত্যাদির প্রচার নিজের ব্লগে করা হয়।

এ প্রচার গুলি বিশেষ affiliate link এর দ্বারা ব্লগে করা হয় যেটা আপনাকে অনলাইন স্টোর গুলিতে afiliate account বানানোর পরে দেওয়া হবে। এখন আপনার লাগানো অ্যাফিলিয়েট লিংক বা এডভারটি সিমেন্ট থেকে যদি কেউ অনলাইন purchase করেন তাহলে আপনাকেcommission দেওয়া হয়। আর এভাবেই আপনাকে যে কোন প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট লিংক নিজের ব্লগে লাগিয়ে promote আর advertise করে unlimited commission ইনকাম করতে পারবেন।

মনে রাখবেন আপনার,advertise করা product বা জিনিসটিকে কেউ কিনলে আপনি তার কমিশন পাবেন।

লোকাল প্রোডাক্ট প্রমোশনঃ

গুগল এডসেন্স এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পর ব্লক লিখে টাকা আয় করার আরেকটা সহজ উপায় আছে আর সেটা হলো লোকাল প্রোডাক্ট প্রমোশন। যখন আপনার ব্লগে অনেক ট্রাফিক ও ভিজিটরস আসা শুরু হয়ে যাবে তখন নিজের লোকাল জায়গার যে কোন জিনিসের বা দোকানের এডভারটি সিমেন্ট নিজের ব্লগে করতে পারবেন.Advertisement বা product promotion এর জন্য আপনি আশেপাশে দোকান মালিক বা স্টোরের ম্যানেজারদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। আপনার ব্লগে কারা দোকান বা প্রোডাক্ট এর এডভাইসমেন্ট এর বিনিময় আপনি কিছু টাকা পিস হিসেবে নিতে পারেন। আপনি হয়তো জানেন না যে আজকাল লোকাল দোকান থেকে শুরু করে সবাই অনলাইনে এডভাইসমেন্টকে অনেকটাই লাভ দায়ক বলে ভাবে। আর তাই আপনার ব্লগে যদি ট্রাফিক বা ভিজিটরস অনেক আসে তাহলে আপনি এই সুযোগে নিজের ব্লগ থেকে প্রচুর টাকা কামিয়ে নিতে পারবেন।

ব্লক থেকে কি ধরনের আয় হয়ঃ

দেখুন আপনি নিজের ব্লক থেকে কি ধরনের আয় করতে পারবেন সেটা সম্পূর্ণটা নির্ভর করছে আপনার ব্লগের উপর। আপনার ব্লগে প্রত্যেকদিন কতটা ভিজিটস বা ট্রাফিক আসছে আপনি কোন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করছেন এবং ট্রাফিক ভিজিটরস কোন দেশের। ইউএস, ক্যানাডা, ইউকে ইত্যাদির মত উন্নত দেশ থেকে যদি আপনার ব্লগে ভিজিটর আসছে তাহলে অনেক কম টাফিক দিয়েও অনেক সহজে মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু যদি আপনার ব্লগে মূলত ইন্ডিয়া বা বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে ভিজিটর আসছে তাহলে দুই হাজার থেকে ৫০০ ডলার ইনকাম করতে প্রত্যেকদিন ২০০০ থেকে ৩০০০ এর প্রয়োজন হবে। 

তবে ব্লক থেকে কি ধরনের আয় হয় যদি সোজাভাবে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয় তাহলে বলতে পারেন যদি সঠিক নিয়ম মেনে ব্লগিং করছেন তাহলে বেশিরভাগ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা আরামে ইনকাম করতে পারবেন। আবার বিশ্বজুড়ে এরকম হাজার হাজার ব্লগাররা আছেন যারা মাসে দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্লগিং এর দ্বারা ইনকাম করছেন। তাই আপনি কতটা মন দিয়ে কাজ করছেন ব্লগিং এ কতটা এগিয়ে চলেছেন নতুন কি কি শিখেছেন এক্ষেত্রে এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

লেখার দক্ষতা বৃদ্ধিঃ

ব্লগ লিখে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনাকে লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশীয় লেখকরা অবশ্যই ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য তবে একজন অনাবাসী লেখক হিসেবে আপনি ব্লক পোষ্ট লিখতে পারেন যদি দক্ষতার সঙ্গে নিজের লেখার মান উন্নয়ন করতে পারেন। আপনার লেখার দক্ষতা উন্নয়নের সর্বোত্তম উপায় হল পড়া এবং লেখা। আপনি যত বেশি অনুসরণ করবেন তত বেশি আপনার ভাষা জ্ঞান বাড়বে এবং আরো শক্তিশালী উপায়ে আপনি শব্দের মাধ্যমে নিজের চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করতে পারবেন ব্লগের মাধ্যমে।

আরো পড়ুনঃ জুম্মার দিনের আমল ফজিলত ও সুন্নাহ 

এছাড়া পাঠকদের জন্য তথ্যবহুল ব্লক পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। আর এজন্যই অনলাইন বা অফলাইনে গবেষণা চালিয়ে আপনাকে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক বই এবং সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইন অথবা অফলাইনে অর্থ দিয়ে বা বিনামূল্যে বিভিন্ন কোষ গুলো গ্রহণ করতে পারেন যেখানে প্রশিক্ষকরা সৃজনশীল লেখার কার্যকর বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। নিজের ব্যবসায়ী ব্লক পরিকল্পনার অধীনে যদি আপনার পর্যাপ্ত বাজেট থাকে তাহলে আপনি মানসম্পন্ন লেখক নিয়োগ দিতে পারেন যারা প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার ব্লগের জন্য লিখবেন। 

উপসংহারঃ ব্লক লিখে অর্থ উপার্জনের উপায়

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, ব্লগিং অনেকের কাছেই আবেগের বিষয়। আবার অনেকের কাছে শখ। আর আপনি যদি আপনার ব্লগিংয়ের সবচেয়ে পেশায় পরিণত করতে চান তবে মানিব্যাগ ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এটি বহুমুখী একটি কাজ ব্লকের মালিক হিসেবে আপনাকে একই সঙ্গে সিইও পরিচালক কর্মী এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ভূমিকা পালন করতে হবে। ব্লক থেকে স্থিতিশীল আদায়ের জন্য আপনাকে উপরে উল্লেখিত সব প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

 সামগ্রিকভাবে আপনার ব্লগকে দীর্ঘমেয়াদী আয়ের উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এর বিষয়বস্তু বা কন্টেনের মান বাড়িয়ে তুলুন এবং আপনার মূল্যবান পাঠকদের জন্য ব্লক থেকে একটি উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন। আপনারা যারা ব্লগ লিখে অর্থ উপার্জন করতে চান তাদের জন্যই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তবে আমাদের লেখা সার্থক হবে। লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে আপনাদের মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। ধন্যবাদ।