লেবুর উপকারিতা অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা জানবো লেবুর উপকারিতা অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। এমন কোন পরিবার হয়তো নেই যারা এই সতেজ কারক এবং রসালো লেবুর ব্যাপারে জানে না। শুধুমাত্র লেবুর উল্লেখ করলেই একটি তীক্ষ্ণ টক সদটা আমরা যেন অনুভব করি। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো লেবুর উপকারিতা অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। লেবু জল প্রথাগতভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এটির ওজন কমানোর এবং বিষক্রিয়া কমানোর উপকারিতার জন্য। সেজন্য আজকে আমরা জানবো লেবুর উপকারিতা অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
লেবু হল একটি চিরহরিৎ গাছ যা ৬ মিটার অবধি লম্বা হয়। আমরা অনেকেই জানিনা লেবুর উপকারিতা অপকারিতা ও লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো লেবুর উপকারিতা অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
পেইজ সূচিপত্রঃ লেবুর উপকারিতা অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ
- লেবুর উপকারিতা
- লেবুর অপকারিতা
- লেবুর পুষ্টিগুণ
- লেবুর ক্ষতিকর দিক
- লেবু ব্যবহার করার নিয়ম
- লেবুর তেল বানানোর নিয়ম
- লেবুর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- একদিনে কতটা লেবু খাওয়া যেতে পারে
- লেবু খাওয়ার নিয়ম
- লেবু খাওয়ার সতর্কতা
- লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
- উপসংহার
লেবুর উপকারিতাঃ
নেব আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী একটি খাদ্য। আপনারা কি জানেন লেবুর চেয়ে
লেবুর খোসার বেশি পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন রয়েছে লেবুর খোসায় আছে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ভিটামিন খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন সি যা আমাদের
শরীরকে সুস্থ সবল ও স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য খুবই সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা
জানিয়েছেন লেবুর রস এবং লেবুর খোসা খাওয়া দুটো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তো
চলুন এক নজরে দেখে নিন লেবুর খোসার উপকারিতা গুলি এবং লেবুর উপকারিতা
সম্পর্কে-
এসিডিটি দূর করেঃ
এসিডিটির সমস্যা থাকলে কুসুম গরম পানিতে লেবু চিপে সকালে পান করতে পারেন
এক্ষেত্রে খালি পেটে না খেয়ে প্রথমে এক গ্লাস পানি পান করে তারপর খাওয়া ভালো
এতে এসিডিটি হবে না।
ওজন কমায়ঃ
ওজন কমাতে লেবু খুবই দরকারি। রোজ সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবু এবং মধু
মিশিয়ে পান করুন। বাড়তি মেয়ের ঝরবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি এবং আয়রন জ্বর ভালো করে। এছাড়াও এতে থাকা পটাশিয়াম
মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে। সেজন্য আপনি যদি প্রতিদিন লেবু খান তবে
আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
আরো পড়ুনঃ কালিজিরা খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ
লেবুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে। লেবুর রসের এসকরবিক এসিড শরীরের প্রদাহ
দূর করে।
লিভার পরিষ্কার করেঃ
লেবুর শরবত লিভারকে শুদ্ধ ও শরীরের উৎপন্ন টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে ফলে হজম শক্তি ভালো থাকে।
হজমে সাহায্য করেঃ
লেবু হজমে সাহায্য করে ও পিত্তরস উৎপাদনের সাহায্য করে ফলে পেটের বদহজম ও
জ্বালাপোড়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
সুন্দর ও পরিষ্কার ্ ত্বকঃ
লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বালিরেখা এবং দাগ দূর করে। আর
ভিটামিন সি ব্রণ বা এক কোণে সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এছাড়াও লেবু
ত্বকের প্রয়োজন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে তখন জল এবং চোখের চারপাশে কালো দাগ
দূর হয়।
শরীরে পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখেঃ
লেবুর রস শরীরে প্রবেশের পর অম্লীয় থেকে ক্ষারীয় হয়ে রক্তে মিশে যায়।
ফলে শরীরের অম্লতা ও ক্ষারের মাত্রা ঠিক থাকে।
দাঁত সুস্থ রাখেঃ
লেবুর রস দাঁতের ব্যথা বাড়ি থেকে রক্ত পড়া এবং মুখের গন্ধ দূর করে। এছাড়াও
দাঁতে ব্ল্যাক জমার কারণে যে দাগ পরে তাও কমায়।
গলা ব্যথার রোধ করেঃ
লেবুর রস গলা ব্যথা মুখের ঘা আর টনসিলের সংক্রমণ রোধ করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে লেবুর রস কাজ করে। তেমনি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও
নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কিডনি পাথর দূর করেঃ
লেবুর রস নিতে পাথর জমতে বাধা দেয়। সেজন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন
লেবুর রাখুন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ
লেবুর শরবত ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে যার মধ্যে ক্লোন বেস্ট পোস্টেড ফুসফুসের
ক্যান্সার রয়েছে।
মানসিক চাপ কমায়ঃ
মানসিক চাপে ভুগলে শরীরের ভিটামিন সি'র ঘাটতি দেখা দেয় লেবুর রসটা পূরণ করে
নিমিষেই।
ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করেঃ
প্রতিদিন এক গ্লাস লেবুর শরবত খেলে দেহে ভিটামিন সির অভাব পূরণ হয়।
লেবুর অপকারিতাঃ
প্রত্যেক খাবারের যেমন ভালো গুণ থাকে তার পাশাপাশি তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
থাকে। সে অনুযায়ী লেবুর যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি তার খারাপ দিক রয়েছে তাই এই
অতিরিক্ত পরিমাণে লেবু খাওয়ার ফলে কি অপকারিতা হতে পারে নিম নেতার বর্ণনা দেওয়া
হলো। তো আসুন এক নজরে দেখে নিন লেবুর অপকারিতা গুলি-
লেবুতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অম্লীয় উপাদান জাতকের পক্ষে উপকারী কিন্তু
অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার ফলে তার অবকারও দেখা দিতে পারে যেমন জ্বালাপোড়া।
লেবুতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ছাই ট্রাস্ট উপাদান যে সকল মানুষ শাইকাস্ট
ত্বকে ব্যবহার করে রোদ্দুরে যান তাদের তাদের তো ক্রদেবপুরে যাওয়ার ঝুঁকি
বেশি থাকে তাই রোদ্দুরে বেড়নের আগে কেউ লেবু স্ক্রিনে ব্যবহার করবেন না।
লেবুর পুষ্টিগুণঃ
লেবুর পুষ্টিমান সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। তবে পুরোপুরি গুনের কথা হয়তো সবার
জানা নেই এ সময় হরেক রকম লেবু পাওয়া যায় বাজারে। পাতিলেবু কমলা লেবু মোসাব্বি
লেবু গন্ধরাজ ও বাতাবি লেবু। পাতি লেবু থেকে যে সব পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়,
ভিটামিন সি ৬৩ মিলিগ্রা্ম, যা আপেলের ৩২ গুন ও আঙ্গুরের দ্বিগুণ, ক্যালসিয়াম ৯০
মিলিগ্রা্ম, ভিটামিন এ ১৫ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন বি০. ১৫ মিলিগ্রাম। টাটকা লেবুর
খোসাতেও পুষ্টি রয়েছে প্রচন্ড গরমে একগ্লাস ঠান্ডা লেবু শরবত দেহের জন্য অত্যন্ত
উপকারী এবং স্বস্তি ফিরিয়ে আনে। লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল এ ভিটামিন দেহে
সঞ্চিত অবস্থায় থাকে না সেজন্য শিশু বিদ্যা সবাইকে প্রতিদিনই ভিটামিন সি জাতীয়
খাবার খাওয়া দরকার।
জ্বর সর্দি কাশি ও ঠান্ডা জনিত সমস্যায় লেবু অত্যন্ত কার্যকর। লেবুতে থাকা
প্রচুর ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। স্কাবী রোগ থেকে রক্ষা করে
ভিটামিন সি দেহের ক্ষত নিরাময়ের সহায়তা করে এবং রক্তের জমাট বাধার ক্ষমতা
বাড়ায়। লেবুতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহে
ক্যান্সার সহনাকার প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে। শিশুদের দৈনিক ২০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি আবশক। এ সময় ভিটামিন সি এর অভাব হলে তার শিশুর ওপর প্রভাব পড়ে। ফলে
শিশুর দাঁত মারিও বেশি মজবুত হয় না মাথায় খুশকি নি বারনে লেবুর রয়েছে অসাধারণ
ক্ষম্তা।
লেবুর রস চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট পর পানিতে ধুয়ে নিতে হবে এভাবে সপ্তাহে দুইদিন করে লাগালে মাথার খুশকি হবে সাপ এবং চুলের আঠালো ভাব দূর হয়ে চুল হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ। যাদের অরুচি ভাব আছে তারা খাবারের লেবু খেলে রুচি ফিরিয়ে পাবে খুব দ্রুত সুতরাং আমাদের নিত্যদিনই ভিটামিন সি জাতীয় ফল অন্যান্য সস্তা দেশী ফল আমলকি পেয়ারা কামরাঙ্গা আমরা কুল খাওয়া উচিত।
লেবুর ক্ষতিকর দিকঃ
- যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে তাদের অতিরিক্ত লেবু খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে।
- ওজন কমানোর জন্য খাদ্যাভ্যাসে লাগাম টানা হলে কার্বোহাইড্রেট ও অন্যান্য পুষ্টিগুণের অভাব দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে লেবু পানি পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে শরীরে ক্লান্তি ভর করতে পারে।
- অতিরিক্ত শ্রবণে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে এতে পেট ফাঁপা সহ নানান ধরনের সমস্যা ও অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
- অতিরিক্ত লেবু ও লেবুর শরবত পানের ফলে পেটে ও তলপেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে
- লেবুর শরবত বেশি পান করলে কিছুটা দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।
লেবু ব্যবহার করার নিয়মঃ
লেবুর সবচেয়ে প্রচলিত ব্যবহার লিমনেট অথবা লেবুর রস হিসেবে। সাইপ্রাস পানীয় শিল্পে সবচেয়ে আকর্ষণীয় সাত গুলির একটি সবচেয়ে বড় ব্যান্ড গুলি কমপক্ষে একটি লেবুর স্বাদের পানীয় চালু করেছে। সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত হয় এর টক এবং তিক্তরসের জন্য যা সালাত ড্রেসিং কেক পেজটি এবং অন্যান্য মিষ্টান্ন মত যে কোন মিষ্টি এবং মসলাদার খাবারের ছাপ রেখে যায়। সারা বছর ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ লেবু খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। লেবুর খোসা রোদে বা ওভেনে শুকিয়ে পাউডারের রূপান্তরিত করে ফেলা যায় চুল বা মুখের মাক্স হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।
লেবু ভিনেগারের সাথে মেশালে তা একটি চমৎকার পরিস্কারক হিসেবে পরিচিত যা দিয়ে
আমরা আসবাবপত্র এবং জানালা পরিষ্কার করতে পারি। বিশেষজ্ঞ লেবুর অপরিহার্য তেল
ব্যবহার করতে ভালোবাসেন এর সতেজ কারক এবং উত্তেজক সুভাষের জন্য। লেবু
বাণিজ্যিকভাবে ও ক্যাপসুল এবং ক্লাব লে তেরে আকারেও পাওয়া যায়।
লেবুর তেল বানানোর নিয়মঃ
লেবুর তেল লেবুর খোসা থেকে তৈরি করা যেতে পারে। এর ফলে থাকা আদ্রতার ফলে তেলটি
পাতলা বা ছাতা পড়া হয়ে যেতে পারে বেশি দিন রেখে দিলে। এটি কম জানাশোনা প্রণালী
হলেও আপনি আপনার সালাদের লেবুর তেল যোগ করতে পারেন বা আপনার রান্নায় লেবুর
সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক ফোটা লেবুর রস চুল বা মুখের মাছকে
ব্যবহার করতে পারেন একটি তরতাজা আভা পাওয়ার জন্য লেবুর তেল খুব শক্তিশালী হয়
এটি জলপাই তেল বা নারকেল তেল দিয়ে তরল বানিয়ে নেওয়া তোকে অস্বস্তি এড়ানোর
জন্য। প্যাচ পরীক্ষা করে নেওয়া সব সময় সুপারিশ যোগ্য লেবু বা লেবুর রসের থেকে
ত্বকে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য টেস্ট পরীক্ষা সহজেই করা যায় অল্প
পরিমাণে তেল কব্জিতে বা কোন এর ভেতর দিকে মাখিয়ে তেল মাখানো অংশ যদি লাল হয়
চুলকায় ফুলে ওঠে তবে মাখানো তেলটি আপনার ব্যবহার করা উচিত নয়। বাড়িতে সহজে
লেবুর তেল কিভাবে বানাবেন এই হল তার সহজ প্রণালী-
আরো পড়ুনঃ নাকের ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
- কয়েকটি লেবুর খোসা ছাড়িয়ে নিন আপনার পাত্রের মাপ অনুযায়ী এবং খোসার লেগে থাকলে তার সরিয়ে নিন।
- খোসাগুলো ধুয়ে নিন তাতে থাকা জীবাণু বা ময়লা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- খোসা গুলো একটি শুকনো বায়ুরোধী পাত্রে রাখুন এবং কানায় কানায় তেল ভরুন।
- পাত্রটির ঢাকনা বন্ধ এবং সিল করে ২-৩ সপ্তাহের জন্য একটি ঠান্ডা বা শুকনো জায়গায় রেখে দিন।
- খোশাগুলো আপনি ছেঁকে নিতে পারেন বা রেখে দিতে পারেন ওপর থেকে তেল নেওয়া সময়।
- পর্যাপ্ত তেল দেওয়ার পর পাত্রের ঢাকনা বন্ধ করার কথা মনে রাখবেন ভুলেও যেন পাত্রের ঢাকনা খোলা না রাখেন।
- আঠাল বা ছাতা পড়ে যেতে দেখলে তৎক্ষণাৎ এটি বাতিল বাতিল করুন।
- এই প্রণালীতে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করা ব্যঞ্জনীয় কারণ জলপাইয়ের তেলের নিজস্ব কোন গন্ধ নেই তবে আপনি যদি কোন তেল পছন্দ করেন তাহলে সেটিও ব্যবহার করতে পারেন।
লেবুর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
- সরাসরি ত্বকের ওপর ব্যবহার করলে তা আপনার ত্বকে জানার কারণ হতে পারে। সেহেতু লেবুর রস সব সময় জল বা তেল ব্যবহার করে তরল করে নেওয়া ব্যঞ্জনীয় ত্বকে ব্যবহার করার আগে।
- লেবুতে দেখা সাইট্রিক এসিডের একটি ক্ষয় কারক প্রভাব রয়েছে দাঁতের ওপর। সেজন্য সবসময় মাঝারি পরিমাণে লেবুর জল খাওয়া উচিত।
- লেবুর রস কিছু লোকদের মধ্যে অবলম্বনের কারণ হয়ে ধরা পড়েছে।
একদিনে কতটা লেবু খাওয়া যেতে পারেঃ
লেবুর সঠিক ডোজ চেহারার ধরন এবং দেহতাত্ত্বিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। যদি আপনি লেবুকে একটি স্বাস্থ্য সম্পর্ক হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে তার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া ব্যঞ্জনীয়।
লেবু খাওয়ার নিয়মঃ
- অর্ধেকটা তাজা লেবু কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়।
- গ্রিন টির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে বা লেবু চা খাওয়া যেতে পারে।
- ভাতের সঙ্গে বা সালা দে লেবু মিশিয়ে খাওয়া যায়।
- প্রচন্ড গরমে বরফ কুচি দিয়ে লেবুর শরবত খেলে ক্লান্তি দূর হয় পানি শূন্যতা কমে।
- কুসুম গরম পানিতে লেবু ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীর সতেজ হয়।
- ছোলার ডাল সিদ্ধ বাজে কোন ধরনের ভর্তা মাখতে লেবুর খোসা কুচি কুচি করে কেটে দিলে সাদ বাড়াই সঙ্গে সঙ্গে খাবারে এন্টিঅক্সিডেন্ট যোগ হয়।
লেবু খাওয়ার সতর্কতাঃ
- লেবু কেটে রাখার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে ফেলা ভালো পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে।
- ওজন কমানোর জন্য লেবুর শরবত খেলে কোনভাবেই চিনি বা লবণ ব্যবহার করা যাবে না।
- উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অবশ্যই লেবুর সর্ব দেয় লবণ মেশানো বাদ দিতে হবে।
- যাদের কিডনি ও গল ব্লান্ডারের সমস্যা আছে তাদের লেবুর খোসা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- খুব বেশি ঘন লেবুর রস দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করে ফেলতে পারে তাই বেশি ঘন লেবুর শরবত খেলে স্ট্র দিয়ে খাওয়া ভালো।
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়ঃ
- ঝলমলে হাসির জন্য চাই ঝকঝকে সাদা দাঁত। দাঁত সাদা করতে লেবু তৈরি হয় ট্রেনিং প্যাক বেশ কার্যকর।
- ওজন কমাতে সকালে লেবু পানি ৪০০ মিলিমিটার কুসুম গরম পানিতে ২ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে একটু মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। এর কারণে সারা দিনে আপনি যা খান তা সহজেই হজম হয়ে যায় খালি পেটেও পানি মধু পানি খোদা কম লাগে।
- সকালে নাস্তা করার অন্তত ৩০ মিনিট আগে লেবু পানি পান করুন। আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি করে। চা কফির পরিবর্তে পানি শূন্যতা দূর করে তবে দিনে দুইবারের বেশি লেবু পানি পান করবেন না।
- লেও পানির সঙ্গে খানিকটা মধু মিশিয়ে নিলে খোদা কম লাগে, খাওয়া কম হয় এ কারণে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করতে পারে না।
- লেবু পানিতে অতিরিক্ত ভিটামিন সি থাকায় দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাই পান করার পর ভালোভাবে গুলি করে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
- এসিডিটি হলে পান করা বাদ দিন।
আরো পড়ুনঃ ছোট বাচ্চাদের পায়ে ব্যথার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
উপসংহারঃ লেবুর উপকারিতা অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ
প্রিয় বন্ধুরা, পরিশেষে আমি বলতে চাই লেবু পানি স্বাস্থ্যকর খাদ্যবাসের একটি অংশ। লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এটির শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের যোগান দেয়। তকে বালের রেখা পড়তে বাধা দেয়। ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। ডাইরেক ও লেক্সোটিক হিসেবেও কাজ করে। প্রস্রাব ও মল পরিষ্কার রাখে এ ছাড়া রয়েছে লাভ এন্ড ওয়েট যেটি চর্বি ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায় রক্তের চর্বি ও শর্করা কমাতে সাহায্য করে। ঠিক না করে ওর শরীর চর্চা না করে শুধু লেবু পানি পানি ওজন কমে না।
করলে ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ এটি দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। আপনারা যারা লেবুর উপকারিতা অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চান আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তবে জানতে পারবেন লেবুর উপকারিতা অপকারিতা এবং লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আপনারা যারা এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url