বয়স ৪০ হলেও ২০ বছরের মতো দেখাবে যে উপায়ে
আপনার বয়স ঠিক ওই বাড়বে কিন্তু আপনাকে দেখে যেন মনে হবে আপনি সেই ২০ বছরে রয়েছেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা এমন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস তুলে ধরব যেটা আপনাকে বয়স কমাতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বয়স ৪০ হলেও ২০ বছরের মতো দেখাবে যে উপায়ে।
পেইজ সূচিপত্রঃ বয়স ৪০ হলেও ২০ বছরের মত দেখাবে যে উপায়ে
বয়স কমানোর টিপসঃ
- শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত ওজন খুব দ্রুত মানুষকে বয়স বাড়িয়ে দেয়। এমন কি কমিয়ে দেয় আত্মবিশ্বাস। নিয়মিত ব্যায়াম ও খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেললে যৌবন ধরে রাখা সম্ভব। তা বলে একেবারে খাওয়া বন্ধ করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। শরীরের যাবতীয় গ্রামার শেষ হয়ে আপনার চেহারায় নেমে আসবে অকাল বার্ধক্য।
আরো পড়ুনঃ নাকের ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
- ওজন কমাতে গিয়ে স্রেফ ইচ্ছে করছে না বলে ব্রেকফাস্ট কখনোই বাদ দেবেন না। তাহলে কিন্তু শরীরের মোটা বডিজম সিস্টেমের গোলমাল হয়ে বেশি করে খিদে পেতে থাকে। আর বারেবারে খেতে খেতে আসলে আমরা নিজের ক্ষতি ডেকে আনি।
- সুস্থ দীর্ঘ জীবন পেতে এবং যৌবন ধরে রাখতে সকালে খানিকক্ষণ সূর্যলোকে থাকুন। সূর্যের আলোতে আছে ভিটামিন টি যাহারকে মজবুত করে এবং সঙ্গে মানসিক চাপও অবসন্নতা ও কমিয়ে দেয়।
- যৌবন ধরে রাখতে হলে মিষ্টি জাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। চকলেট পেস্টি ব্রাউনি আইসক্রিমের মত খাবার এ প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট থাকে যা শরীরের ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই এগুলো যতটা সম্ভব কম খান। তাই বলে ডায়েট থেকে চিনি পুরোপুরি ছেটে ফেলবেন না। অল্প হলেও নিয়মিত খান। তাহলে শরীরের এনার্জি লেভেল ঠিক থাকবে।
- দৈনন্দিন দায়ের থেকে সবুজ শাকসবজি বাদ দিলে কিন্তু চলবে না। সবজি খেলে মানুষই উন্নতি সহ শারীরিক উন্নতি হয়। মানুষ আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মোদের ওপর সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- প্রতিদিন ডায়েটে অন্তত একটা করে মৌসুমী ফল রাখুন। তবে রোজ যদি আম কলা আনারস কাঁঠাল খেতে থাকেন তাহলে ওজন বেড়ে আপনাকে বয়সের থেকে আরও ১০ বছর বেশি বয়স্ক লাগবে। তাছাড়া ফল পুষ্টিগুনেও ভরপুর ফলে থাকা ফাইবার ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যার শরীরে পুষ্টি যোগায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আর আপনাকে রাখে তরতাজা।
- যৌবন ধরে রাখার মূল মন্ত্রই হলো সুস্থ থাকা আর এজন্য হাটার কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন অন্তত আধাঘন্টা করে হাঁটুন। মোবাইলে গান শুনতে শুনতে হাটা নয় ঘুড়ি ধরে একেবারে ওয়ার্কিং করে হাঁটুন। ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে হার্ট ভালো থাকবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে হার্টের রোগ ডায়াবেটিস কোলেস্টেরল প্রেসারের মত সমস্যা। ফলে আপনাকে লাগবে ঝরঝরে।
তারুণ্য ধরে রাখার ৭ উপায়ঃ
শাকসবজিতে গুরুত্ব দিনঃ
শাক-সবজিতে আছে মিনারেল খনিজ নানা ধরনের ভিটামিন উপাদান যেগুলো দেহের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের লাবণ্য রাখে ভেতর থেকে সৌন্দর্য
বাড়ায় এছাড়া শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিন দূর করতে নিয়মিত শাক সবজি
খাওয়া দরকার।
নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ
স্বাস্থ্যজ্জল ত্বক পেতে প্রতিদিন ব্যায়ামের বিকল্প নাই ইয়োগা সাঁতার হাটাহাটি কিংবা খালি হাতে ব্যায়াম করতে হবে। সকালে ব্যায়াম করা বেশি উপকারী হলেও সময় না পেলে দিনের যেকোনো সময় ব্যায়াম করতে পারেন তবে কোন ব্যায়ামগুলো আপনার জন্য উপযোগিতা চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত ঘুমের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
পর্যাপ্ত পানি খেতে হবেঃ
প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি খেতে হবে শরীরকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে পানি
অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলতেও কার্যকর পানি।
ডাবের পানি খানঃ
ত্বকের সতেজ ভাব ধরে রাখতে ডাবের পানি উপকারী এতে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিন দূর করতে ডাবের পানি
বেশ কার্যকর।
হলুদঃ
কাঁচা দুধ বা দই এর সাথে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। এটি ত্বক
মসৃণ করে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়। তবে দিনের বেলা এই প্যাক ব্যবহার করা উচিত না রাতে
ঘুমানোর আগেই ব্যক্তকে লাগে ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
ত্বক পরিচর্যা জরুরীঃ
তারুণ্য দীপ্ত ত্বকের জন্য নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা মহিষচারাইজার লাগানো ও
ত্বকের উপযোগী প্যাক ব্যবহার করা জরুরী, তবে ফেসপ্যাক বা ময়শ্চারাইজার ঘষে
ঘষে ত্বকে লাগানো ঠিক না এতে ত্বক নাজুক হয়ে বালি রেখা দেখা দিতে পারে।
দুধ ও দই খেতে হবে নিয়মিতঃ
ত্বকের মসৃণতা ও লাবণ্য ধরে রাখতে দুধ ও দই ম্যাজিক এর মত কাজ করে। এ দুটি খাবার
নিয়মিত খেতে হবে এছাড়া দই ও কাচা দুধ তোকে লাগালেও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
কেবল দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখা যায় না এজন্য দরকার
বাড়তি যত্ন ও সুশৃংখল জীবন যাপন পদ্ধতি অনুসরণ করা এটাই তার অন্য ধরে রাখার
সম্পূর্ণ হাতিয়ার।
বয়স ধরে রাখার টিপসঃ
বয়সকে একটা নির্দিষ্ট গতিতে বেঁধে রাখতে আমরা প্রত্যেকটা মানুষ চাই। তবে আমাদের
বর্তমান জীবনযাত্রা বহু ক্ষেত্রে দ্রুত বয়স বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আপনি জানলে
অবাক হবেন আপনার সামনে থাকা কয়েকটি সাধারণ উপায় বয়স ধরে রাখা সম্ভব।
নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
জল পান করুনঃ
আজকালকার জীবনে এত ব্যস্ততার মধ্যেও আমরা জল পান করতেই ভুলে যাই। আবার অনেকের
রয়েছেন যারা জল পান করতে চান না এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন শরীরের জলের ঘাটতি
হলে দ্রুত দেখা দিতে পারে সমস্যা সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান
করা। প্রতিদিন ২ লিটার জল পান করতেই হবে আপনাকে। এবার এখানে একটা বিষয় বলে রাখি
কার কতটা জল পান করা দরকার তা ঠিক ঠিক হয় তিনি কি কাজ করে থাকেন, এই যেমন ধরুন
কেউ রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করেন আবার কেউ এসিতে এবার এসিতে থাকা মানুষের জলের চাহিদা
বাইরের রোদে থাকা মানুষের তুলনায় কম হবে।
আরো পড়ুনঃ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিকার ও ঘরোয়া চিকিৎসা
এক্সারসাইজঃ
শরীরকে সুস্থ রাখার কাজে এক্সারসাইজের থেকে ভালো কোন পথ নেই। তাই অলসগুলিকে মারুন
চলে আসুন এক্সারসাইজ করতে। এক্সারসাইজ আপনার শরীরকে এনে দিতে পারে যৌবনের ক্ষমতা।
এছাড়া বয়স ধরে রাখতে ও এক্সারসাইজের কোন জুড়ি নেই তাই দিনে অন্ততপক্ষে ৩০
মিনিট এক্সারসাইজ হলো করুন এক্ষেত্রে কোন ধরনের এক্সারসাইজ করবেন তা ঠিক করবেন
একজন বিশেষজ্ঞ নিজের থেকে করতে চাইলে দৌড়াতে পারেন হাঁটতে পারেন।
ঘুমঃ
ঘুম শরীরের পক্ষে খুবই জরুরী। শরীরের সমস্ত গঠন ক্রিয়া ঘুমের মধ্যে হয়। এ সময়
শরীর নিজেকে সরিয়ে নেয় তাই ঘুম হল মাস্ট সেক্ষেত্রে দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম
চাই। ঘুমের জন্য একটা নিরিবিলি ঘর বাঁধন যাতে কোন শব্দ যেন প্রবেশ না করে এ
ক্ষেত্রে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘন্টা আগে থেকে সব ইলেকট্রনিক গেজেট দূরে
সরিয়ে রাখুন।
দুশ্চিন্তা দূর করুনঃ
দুশ্চিন্তা দূর করতেই হবে কারণ এই দুশ্চিন্তা ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের সমস্যা।
বিশেষত আপনাকে বাড়িয়ে দিতে পারে এই দুশ্চিন্তা সে ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে
দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় জেনে নিতে হবে দুশ্চিন্তা দূর করতে চাইলে আপনাকে
অবশ্যই প্রাণায়াম বা মাউন্ট ফুলনেস করতে হবে।
ভালো খাবার খানঃ
খাবারের মাধ্যমে আমরা শক্তি সঞ্চয় করি। সেই শক্তি আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে ও আমাদের সুস্থ রাখে। তবে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু খাবারদাবার আমাদের সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে সে ক্ষেত্রে খাবারের দিকে হতে হবে সচেতন। মৌসুমী ফল শাক-সবজি খান বেশি করে। এছাড়া পাতে থাকুক মাছ ডিম মাংসের মতো প্রোটিন বেশি তেল ঝাল মসলা খাবেন না এড়িয়ে চলুন বাইরের খাবার।
উপসংহারঃ বয়স ৪০ হলেও ২০ বছরের মতো দেখাবে যে উপায়ে
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, বয়স ৪০ হলেও ২০ বছরের মতো দেখাবে যে উপায়ে সেগুলো উপরে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আপনার বয়স বেশি হলেও কম লাগবে। আমরা সকলেই চাই নিজেকে সুন্দর দেখাতে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং এই আর্টিকেলের ভিতরে যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তবে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url