দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা

প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আপনাদের জানাবো দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা। দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। আপনার দাঁত কি ফাঁকা? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। নিম্নে দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হলো।

পেইজ সূচিপত্রঃ দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা 

ভূমিকাঃ

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হলো। এবং দাঁত ফাঁকা হওয়ার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি দাঁত ফাঁকা হয় কেন দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হবে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে।

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণঃ

সাধারণত যে সকল কারণে দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে সেই কারণগুলো নিচে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো-

আরো পড়ুনঃ

দাঁত খিলাল করলেঃ

আমরা অনেকেই প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে অনেক দাঁত অনেক সময় ধরে খিলাল করে থাকি এই অধিক মাত্রায় দাঁত খিলাল করার কারণে আপনার দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। কেননা খিলাল করার মাধ্যমে দুই  দাঁতের মাঝখানে ফাঁকের সৃষ্টি হয়।

অনেক সময় ধরে ব্রাশ করলেঃ

ব্রাশ করার নিয়ম অনুসরণ না করে আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ব্রাশ করতে থাকেন তাহলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গিয়ে আপনার দাঁতে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। অথবা আপনার দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। অতএব অধিক সময় ধরে ব্রাশ করা দাঁত ফাঁকা হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।

শক্ত কোন কিছু কামড়ালেঃ

আপনি কি শক্ত কোন কিছু দীর্ঘদিন ধরে কামড়িয়েছেন তাহলে আপনার দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। শক্ত কোন কিছু কামড়ানো দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে বিশেষ একটি কারণ দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়া।

স্বাভাবিকের চেয়ে কম দাঁত হলেঃ

স্বাভাবিকভাবে যতগুলো দাঁত হওয়ার কথা আপনার যদি তার চেয়ে কম দাঁত থাকে তবে দাঁত ফাঁকা হতে পারে। স্বাভাবিকের তুলনায় কম দাঁত গজানো দাত ফাক হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ।

রোগের কারণেঃ

বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে আপনার দাঁত থাকা হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনার হার জনিত কোন রোগ থাকে বা দাঁত ক্ষয়ের রোগ থাকে সেক্ষেত্রে দাঁত ক্ষয়ে গিয়ে দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। অথবা চোয়ালে আকস্মিক কোনো আঘাতের ফলেও দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে । 

দাঁত তুলে ফেললেঃ

কোন সমস্যার কারণে আপনার দাঁত যদি তুলে ফেলেন তবে দুই দাঁতের মাঝখানে ফাঁকা অংশে সৃষ্টি হতে পারে। দাঁত তুলে ফেললে দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণ সময়ের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ।

দাঁত ফাঁকা হয় কেনঃ

দাঁত ফাঁকা হয় কেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। বিভিন্ন কারণে দুই দাঁতের মাঝখানে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। সাধারণত যে সকল কারণে দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে সে কারণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-

আরো পড়ুনঃ

দাঁত আকারে ছোট হওয়াঃ

আপনার দাঁত যদি সাধারণত দাঁতের আকারে চেয়ে ছোট হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার দাঁত ফাঁকা হতে পারে। কেননা দাঁতের মাড়ি পূরণ করার জন্য পুরো মাটিতে দাঁত গজালে দাঁত ছোট হওয়ার কারণে দুই দাঁতের মাঝখানে ফাঁকা অংশ থেকে যায়। সুতরাং ছোট দাঁত ফাঁকা হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।

জেনেটিক কারণঃ

আমাদের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক কারণে দাঁত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। যদি পিতা-মাতা কিংবা পূর্বপুরুষ ফাঁকা থাকে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের দাঁত ফাঁকা হতে পারে। সুতরাং জেনেটিক কারণ দাঁত ফাঁকা হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।

বড় আকৃতির চোয়ালঃ

আপনার চোয়াল কি স্বাভাবিকের চোয়ালের চেয়ে বড় আকৃতির সে ক্ষেত্রে আপনার দাঁত ফাঁকা হতে পারে। কেননা বড় আকৃতির চোয়ালে দাঁত সুসজ্জিত হতে পারেনা এক্ষেত্রে দাঁত ফাঁকা ফাঁকা হয়ে গজাতে থাকে। অথবা দুই দাঁতের মাঝখানে ফাঁকা অংশ থেকে যেতে পারে স্বাভাবিকের তুলনায় বড় চোয়াল দাঁত ফাঁকা হওয়ার উন্নতম একটি কারণ।

দাঁত ফাঁকা হওয়ার প্রতিকারঃ

দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণ বা দাঁত ফাকা হয় কেন সে সম্পর্কে ইতিমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নিচে দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। নিম্নে বর্ণিত দাঁত ফাঁকা বন্ধ করার উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আকর্ষণীয় দাঁতের অধিকারী হতে পারেন। দাঁতের ফাক বন্ধ করার বিভিন্ন চিকিৎসা রয়েছে বিভিন্নভাবে দাঁতের ফাক বন্ধ করা যেতে পারে, সাধারণত যে সকল চিকিৎসার মাধ্যমে দাঁতের ফাঁকা অংশ বন্ধ করা হয় সেগুলো উপরে আমরা আলোচনা করেছি।

বন্ডিংঃ

বন্ডিং পদ্ধতিতে খুব সহজেই দাঁতের ফাক বন্ধ করা যায়। এই পদ্ধতিতে সর্বপ্রথম দাঁত স্ক্যান করা হয় এবং দাঁতের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। আর দেখা হয় যে দাঁতের গোড়ায় কোন পুজ বা সংক্রমণ রয়েছে কিনা। যদি দাঁতের গোড়ায় কোন সংক্রমণ না থাকে এবং দাঁতের ফাঁকা অংশ তিন থেকে চার মিলিমিটারের বেশি না হয় তাহলে ডেন্টাল ফিল্ডিং এর মাধ্যমে তাদের তাদের রঙের সাথে মিলিয়ে ফিলিং করে দেওয়া হয়। যার ফলে দাঁতের ফাঁকের উপস্থিতির টের পাওয়া যায় না। দাঁতের ফাক কম হলে এই পদ্ধতিতে খুব সহজে দাঁতের ফাঁকা অংশ পূরণ করা যায়।

দাঁত ফাঁকা হলে ইসলামে কি বলেঃ

দাঁত যদি আঁকাবাঁকা হয় তাহলে দাঁতের দোষ ত্রুটি দূর করার জন্য দাঁতের ফাঁকা বন্ধ করা যেতে পারে এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামদের মতামত রয়েছে। তবে নিছক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য কিংবা দাঁত সোচালো করার জন্য এ ধরনের কোন চিকিৎসা গ্রহণ করা বৈধ নয়, এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে - ইবনু মাসুদ রাযিয়াল্লাহু বলেন, আল্লাহর লালন বর্ষিত হোক সেসব নারীর উপর যারা সৌন্দর্যের জন্য দাঁত কেটে শুরু করে দাঁতের মাঝে ফাক সৃষ্টি করে যা আল্লাহ সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে। (বুখারী ও মুসলিম)।

দাঁত ফাঁকা হওয়ার চিকিৎসাঃ

 দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা দাঁত ফাঁকা হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন তারাই চিকিৎসাগুলো করতে পারেন। নিম্নে চিকিৎসা গুলো তুলে ধরা হলো-

পার্সেল ইন ক্রাউনঃ

পার্সেল ইন ক্রাউন মূল্য তো এক ধরনের দাঁতের ক্যাপ। যদি আপনার দাঁতের মধ্যবর্তী জায়গায় চার থেকে পাঁচ মিলিমিটারের বেশি ফাঁক থাকে সেক্ষেত্রে পার্সেল ইন ক্রাউন পদ্ধতি ব্যবহার করে দাঁতের ফাক বন্ধ করা হয়। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডেন্টিস্ট এর কাছে যেতে হবে।

অর্থডনটিক চিকিৎসাঃ

দাঁত যদি তার স্বাভাবিক অবস্থানে থেকে উঁচুতে কিংবা নিচুতে অথবা দূরে কোথাও অবস্থান করে তাহলে সে ক্ষেত্রে সেই দাঁতগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য অর্থ ডোনেট্রিক চিকিৎসা করাতে হয়। অর্থডন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি অর্থডোনোটিক চিকিৎসা করাতে পারেন এবং দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার করতে পারেন।

অর্থডন্টিক পদ্ধতিঃ

এ পদ্ধতিতে রিমুভবল প্লেট বা ফিক্সড বেশ তাতে পরিয়ে আস্তে আস্তে সহনীয় মাত্রায় চাপ প্রয়োগ করে দাঁতগুলোকে একত্রিত করা হয়।

আরো পড়ুনঃ 

লাইট কিওর ফিলিং পদ্ধতিঃ

এই পদ্ধতিতে দাঁতগুলোকে প্রথমে এক ধরনের অম্ল বা অ্যাসিড ৩০% অর্থ ফসফরিক এসিড দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে দাঁতের গায়ে প্রয়োগ করে অণুবীক্ষণিক পত্র সৃষ্টি করা হয় পরে দাঁতের সেট বা রং অনুযায়ী কম্পোজিট ফিলিং দাঁতের গায়ে ফাঁকা অনুযায়ী লাগিয়ে তার ওপর এক ধরনের কম ক্ষতিকারক ফিলিং শক্ত করা হয়।

ফিলিং এর সুবিধা হল দাঁতের রং অনুযায়ী ফিলিং করা যায় এবং খরচও কম তবে অসুবিধা হলেও শক্ত খাবার যেমন টোষ্ট বিস্কুট পেয়ারা হার জাতীয় খাবার খেলে ফিলিং ভেঙ্গে বা খুলে যেতে পারে।

উপসংহারঃ দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলে। পাশাপাশি দাঁত ফাকা হয়ে যাওয়ার কারণ এবং দাঁত ফাঁকা হয় কেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো আপনার ভালো লেগেছে, যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন এবং আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url