অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের জানাবো অনলাইনে জমির খাস না দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে জানি না। সেজন্য আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে।
চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, অনলাইনে জমির খাজনা ২০২৩ দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এবং অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ এই আর্টিকেলটি পড়ে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
পেইজ সূচিপত্রঃ অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩
ভূমিকাঃ
আমাদের আজকের আর্টিকেলটির আলোচ্য বিষয় হচ্ছে অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে। জমির খাজনা দেওয়ার জন্য আর দিনের পর দিন ঘুরতে হবে না আপনাকে এবং লাইনের পর লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ভূমি অফিসে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আপনাকে ওখানে অপেক্ষা করতে হবে না। আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের অথবা কম্পিউটারের সাহায্যে ঘরে বসে আপনি অনলাইনে জমির খাজনা দিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ চ্যাট জিপিডি কি - এর সুবিধা ও অসুবিধা
আপনার হাতে যদি একটা স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে খুব সহজেই অনলাইন এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন। এটা বাংলাদেশের সরকারের একটা ওয়েবসাইট থেকে আপনি খাজনা পরিশোধ করতে পারেন। আর খাজনা প্রদানের পর ঘরে বসে খাজনা প্রদানের রশিদ পেয়ে যাবেন আপনি।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে। আপনি এই খাজনা দিতে পারেন কম্পিউটার ল্যাপটপ অথবা মোবাইলের সাহায্যে। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে খাজনা দিতে চান তবে আপনি মোবাইলে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করবেন। নিম্নে অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ঃ
প্রথমে আপনি ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করুন এবং তারপরে Idtax.gov.bd এই
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তারপরে একটি ইন্টার ফেস আসবে। তখন আপনি এখানে প্রেমেন্ট
করুন এই অপশনের মাধ্যমে খুব সহজে খাজনা প্রদান করা যায় কিন্তু এখান থেকে দিলে
রশিদ আনতে ভূমি অফিসে যেতে হবে আপনাকে। তাই ঝামেলা নেওয়ার প্রয়োজন নেই রশিদ
যেভাবে পাওয়া যাবে সেটি করবেন।
প্রেমেন্ট করুন অপশনে ক্লিক না করে উপরে নাগরিক কর্নারে ক্লিক করবেন। এরপর নাগরিক
নিবন্ধনে ক্লিক করবেন ক্লিক করার পর পরে যা তথ্য চাবে সেটা দিবেন। এরপর তথ্যগুলো
দিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপে ক্লিক করবেন।
পরবর্তী পদক্ষেপে ক্লিক করার পরে তথ্যগুলো যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনার ছবিসহ একটি
ইন্টাফেস আসবে। আবার পরবর্তী পদক্ষেপে ক্লিক করবেন এরপর যে ইন্টারফেসের নিয়ে
যাবে সেটাতে আপনার ফোনে একটি কোড যাবে সেটি পূরণ করুন। পূরণ করার পরে যাচাই করুন
এ ক্লিক করবেন এরপর আপনাকে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে বলবে।
পাসওয়ার্ড তৈরি করার পর সংরক্ষণ করুন এ ক্লিক করবেন। এরপর আপনাকে আপনার
প্রোফাইলে নিয়ে যাওয়া হবে প্রোফাইলের উপরের দিকে দেখতে পাচ্ছেন প্রোফাইলের
অগ্রগতি ৬০% দেখাচ্ছে এটাকে ১০০% করতে হবে আপনাকে। প্রোফাইল কমপ্লিট করার জন্য
আপনি খতিয়ান এ ক্লিক করবেন এরপর যে ইন্টারফেস এ নিয়ে যাবে। এখানে বলা হচ্ছে
নতুন খতিয়ান যুক্ত করুন এই ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
ফর্মটি পূরণ করার পর সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করবেন। এরপর যে ইন্টারফেসটি আসবে আপনি
দেখতে পাবেন অপেক্ষামান নামে একটা অপশন আছে। এটা দ্বারা বোঝানো হচ্ছে যে
আপনার খতিয়ান দাখিলা যাচাই করার জন্য আপনার এটাকে সংযুক্ত করুন। তারপর এটা ভূমি
অফিস এটা যাচাই করার জন্য কয়েকদিন সময় নেই, তারা যদি মনে করে সব ঠিক আছে তখন
তারা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেয়।
কিছুদিন পর আবার আপনি ওই ওয়েবসাইটে চলে আসবেন এবং ফোন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড
দিয়ে লগইন করবেন পর যে ইন্টারফেস দেখাবে সেখানে যদি আপনার প্রোফাইল ১০০% না
দেখায় তখন আপনি প্রোফাইল বাটনে ক্লিক করবেন এবং আপনার বর্তমান ঠিকানা ও ইমেইল
দিয়ে দিবেন তাহলে ১০০% হয়ে যাবে। এবার আপনি খাজনা দেওয়ার জন্য হোল্ডিং বাটনে
ক্লিক করবেন এরপর যে ইন্টারফেস আসবে সেটাতে স্ট্যাটাসে দেখতে পারবেন অনুমোদিত। আর
যদি অনুমোদিত না আসে তাহলে আরো কিছুদিন ওয়েট করতে হবে আপনাকে।
আরো পড়ুনঃ ব্লগ লিখে অর্থ উপার্জনের উপায়
এখন আপনি খাজনা দেওয়ার জন্য বিস্তারিত বাটনে ক্লিক করবেন। এখানে জমির খাজনার
বিস্তারিত দেখাবে কত টাকা বকেয়া রয়েছে সর্বশেষ কখন কর দিয়েছেন ইত্যাদি। তারপর
যেটা করতে হবে, আপনি অনলাইন পেমেন্ট বাটনে ক্লিক করবেন এরপর আপনার সামনে অনেক
পেমেন্টের মাধ্যমে চলে আসবে। আপনি যে অপশন থেকে টাকা পাঠাবেন সেটা সিলেক্ট করুন
সেটা হতে পারে বিকাশ রকেট নগদ ইত্যাদি।
এরপর আপনাকে টাকার পরিমান দেখাবে আপনি প্রেমেন্টে ক্লিক করবেন। এরপর যে ইন্টারফেস
আসবে সেটাতে আপনার যেই অপশন সিলেক্ট করেছেন যদি বিকাশ হয় তবে বিকাশ
নাম্বার দিয়ে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করবেন। এখন আপনার বিকাশ নাম্বারে যে কোড
যাবে সেটি দিয়ে কনফার্ম করবেন তারপর আপনি ওয়েবসাইটে একটি মেসেজ দেখতে
পারবেন।
তারপর কমপক্ষে 72 ঘন্টা পরে আপনি দাখিলা মেনুতে ক্লিক করেলে আপনি আপনার দাখিলাটি
দেখতে পারবেন এবং এটাকে সেভ করে রেখে দিতে পারবেন।
উপসংহারঃ অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে আপনারা যারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ
সহকারে পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন। বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল আওতায় আসার পরে মানুষের নিত্যদিনের কাজ
অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। যেমনটা অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার ঝামেলাটা অনেক আকারে
কমে গেছে এখন আর আপনাকে সময় নষ্ট করে লাইনের পর লাইন দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না।
আরো পড়ুনঃ যে ১২ টি লক্ষণে বুঝবেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত
আপনারা যারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩
সম্পর্কে পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই এখন অনলাইনের মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের খাজনা
পরিশোধ করতে পারবেন।
আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার
জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো
করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url