তরমুজ খাওয়ার নিয়ম - গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, এই গরমে ঠান্ডা লাল টকটকে এক ফালি তরমুজ শরীরকে শীতল অনুভূতি দেয়। আপনারা যারা তরমুজ খাওয়ার নিয়ম - গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে চান আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। তরমুজ শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে। সেজন্য আজকে আমাদের আর্টিকেলে তরমুজ খাওয়ার নিয়ম - গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। চলুন নিম্নে জেনে নেই তরমুজ খাওয়ার নিয়ম - গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।

তরমুজ খাওয়ার নিয়ম -  গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তরমুজে আছে লাইকুপেন এমাইনো এসিড ভিটামিন পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও জল। গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি কমায় আর উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। চলুন নিম্নে জেনে নেই তরমুজ খাওয়ার নিয়ম - গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ তরমুজ খাওয়ার নিয়ম - গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ভূমিকাঃ

বসন্তকালের গরমের আচে পুড়ে ছাই হচ্ছে সকলে। গরমের সবার অবস্থা খারাপ ঘেমে জ্বলে একাকার। শরীরে জলের চাহিদা ঠিক রাখতে অনেকেই ডায়েটের পাশাপাশি তরমুজ খেতে খুব পছন্দ করেন। পুষ্টিকর এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও বেশি তরমুজ খাওয়া হতে পারে আপনার বিপদের কারন।
এই গরমে ঠান্ডা লাল টকটকে একফালি তরমুজ শরীর কে করবে শীতল। তরমুজ আপনার শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে কারণ এতে আছে লাইক করবেন এমনই ও এসিড ভিটামিন পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও জল। তর মধ্যে থাকা এনটিঅক্সিডেন্ট স্ট্রোকের মত যোগী কমায় আর উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
 তরমুজ দুইভাবে ব্যবহার করা যায় রূপচর্চায় এবং খাওয়া এই দুই ভাবেই তরমুজের উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। চলুন নিম্নে জেনে নেই তরমুজ খাওয়ার নিয়ম - গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

তরমুজ খাওয়ার নিয়মঃ

  • সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত যেকোনো সময় তরমুজ খেতে পারেন।
  • তবে দিনের আলো থাকতে থাকতে তরমুজ খেলে তার সহজে হজম হয়। তাই সকাল ১০ টা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে খেলে সবচেয়ে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।
  • তরমুজ সহজে হজম হয় না বা হজমের সাহায্য করে না। তাই রাতে তরমুজ খেলে ইরিটেবল বাই ওয়েল সিস্টেম হতে পারে বা পরদিন সকালে পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে। রাতে যেহেতু আমাদের পরিপাক ক্রিয়া দীর্ঘ দিতে হয় তাই তরমুজ না খাওয়াই ভালো।
  • তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ন্যাচারাল সুগার থাকে ফলে রাতে তরমুজ খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার কারণে রাতে বারবার প্রস্রাব পেতে পারে ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
  • রাতে কোন ফল খাওয়া ঠিক না রাতে ফল খেলে ডায়রিয়া এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।

তরমুজের পুষ্টিগুণঃ

এক কাপ তরমুজের টুকরা খেলে আপনি প্রায় ৪৫ ক্যালোরি শক্তি পাবেন। চিনি বা শর্করা এক গ্রাম পরিমাণ আসে এবং শূন্য পরিমাণ চর্বি বা ফ্যাট পাবেন ১০ গ্রামের মতো। এই পরিমাণ তরমুজ খেয়ে আপনি প্রতিদিন ভিটামিন এর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং ভিটামিনের চাহিদা সাত শতাংশ ভিটামিন সি এর চাহিদা ২১ শতাংশ পূরণ করতে পারেন।

তরমুজ খাওয়ার উপকারিতাঃ

তরমুজের হয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে আপনার শরীরে। এছাড়া এর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও খাবার হজম করে পেট পরিষ্কার রাখলে সাহায্য করবে। তরমুজে থাকা লাইক ওপেন ক্যান্সারের প্রবণতা অনেকটা কমিয়ে আনে আপনার শরীরে এই লাইকো ফোনের জন্যই তরমুজের রং গারো লাল হয় এবং এটি এন্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা ক্যান্সার রোদে সাহায্য করবে। চলুন নিম্নে জেনে নেই তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-
  • তরমুজে থাকা লাইক ওপেন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • তরমুজে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে সেই সাথে থাকে আজ তাই তরমুজে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও বাইওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখে।
  • তরমুজে থাকা কলিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী মাংসপেশীর মুভমেন্ট দেহ কোষের মোমেন্ট গঠন মস্তিষ্ক গঠন ও নার্ভের কার্যকারিতা বাড়াতে কলিন বেশ সহায়ক।
  • তরমুজে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
  • তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি তাই এসে সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে এটি তীব্র গরমে ও আপনার শরীরকে পানি শূন্য হতে দেবে না।
  • তরমুজে থাকা এমিনো এসিড মাছলের সুস্থতা বজায় রাখে।
  • আপনার ত্বক ভালো রাখবে তরমুজে থাকা ভিটামিন সি।
  • খুব সামান্য ক্যালরি আছে তরমুজে এক কাপ তরমুজ থেকে মাত্র ৪৬ ক্যালরি পাওয়া যায় ফলে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এটি আপনি।
  • দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে তরমুজে থাকা ভিটামিন এ।
  • তরমুজ ভিটামিন সি ও বি ৬ সমৃদ্ধ, এ দুটি উপাদান শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে আপনার।

তরমুজ খাওয়ার অপকারিতাঃ

তরমুজ ফাইবারে ভরপুর। তাই অতিরিক্ত তরমুজ খেলে ডায়রিয়া সহ পেটের নানা রোগ দেখা দিতে পারে আপনার শরীরে। তরমুজে রয়েছে সরবিটল নামের একটি উপাদান এই উপাদানের কারণে বেশি তরমুজ খেলে অম্বল ও বদহজমের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনার। চলুন নিম্নে তরমুজ খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
  • অতিরিক্ত তরমুজ খেলে পাতলা পায়খানা গ্যাস পেট ফাঁপা ইত্যাদি রোগের প্রকোপ বাড়বে তরমুজ সার্বি টোল আছে আর আছে লাইকোপিন তরমুজের লাল রং লাইকোপিনের অবদান যা আমাদের পেটের সমস্যা গ্যাস ও মেসন লুজ করতে সহায়তা করে।
  • তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার ফলে শরীরে যদি পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে ফাস্টকুলার ও রক্ত বাহিরশিরা সমস্যা আসতে পারে।
  • তরমুজে জলের হার ৯২ % বেশি তরমুজ খেলে শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরে বেশি জল হলে রক্তের সোডিয়াম লেভেল কমে যায়। এবং আপনার কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে হাত বা ফুলতে পারে শরীর দুর্বল লাগতে পারে ক্লান্ত লাগতে পারে।
  • যেকোনো খাদ্য খাওয়ার দু'ঘণ্টার মধ্যে আমাদের শরীরে গ্লুকোজ লেভেলের পরিমাণ কি হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়। গ্লাইসেমিক উইনডেক্স পরীক্ষা করে (০-১০০) তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স৭২ সে জন্য বহু সূত্র রোগীদের খুব বেশি মাত্রায় তরমুজ খেলে সুগার লেভেল বেড়ে যেতে পারে। সুগারের রোগীদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তরমুজ খাওয়া উচিত।
  • অ্যালকোহলের সাথে তরমুজ বেশি পরিমাণে খেলে লিভারের সমস্যা হতে পারে আপনার। তাই অ্যালকোহল প্রেমিরা মদের সাথে তরমুজ খেতে যাবেন না তরমুজে থাকা লাইকোপিন অ্যালকোহলের সাথে মিশে অতিরিক্ত কারণ চাপ সৃষ্টি করবে যা লিভারের পক্ষে ক্ষতিকারক।

উপসংহারঃ তরমুজ খাওয়ার নিয়ম - গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ চৈত্রের খরতা পেতিস না মেটাতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। সবুজ মোটা খোসাযুক্ত গোল বৃত্তে আবৃত লাল রসালো ফল এই তরমুজ। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যেমন আছে ফলে তেমনি আছে মিনারেল এমাইনো এসিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো নানা উপাদান।
আপনারা যারা এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url