গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আমরা অনেকে আনারস খেতে অনেক পছন্দ করে থাকি গ্রীষ্মকালীন এই ফলটির মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ আনারস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভালো উৎস। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। সেজন্য চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
আনারসের মধ্যে থাকা ব্রেমলিন এনজাইম এর কারনে এটি হজমে ভালো করে। এ ফলটি ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী। আনারসে রয়েছে উপাদান এটি অথোরাইটিস প্রতিরোধের কার্যকর। তবে এই ফলটি থেকে গর্ভবতী নারীকে একটু দূরেই থাকতে বলা হয় কারণ আনারসের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ব্রেমলিন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ।
পেইজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
- ভূমিকা
- গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার পুষ্টিগুণ
- উপসংহার
ভূমিকাঃ
আনারস খেতে অনেকেই পছন্দ করে। গ্রীষ্মকালীন এ ফলটির মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
আনারস এনটিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস এটি প্রদাহ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
কাজ করে। আনারসের মধ্যে থাকা ব্রেন এনজাইমের কারণে এটি হজম ভালো করে এ ফলটি
ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী। আনারসে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি অথোরাইটিস
প্রতিরোধ করে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শরীরে পানি কমে যাওয়া লক্ষণ কি - এর চিকিৎসা ও প্রতিকার
তবে এ ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি গর্ভাবস্থায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ আনারস বেশ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল তবে ফলটি থেকে গর্ভবতী চলুন। নারীকে একটু দূরেই থাকতে বলা হয় কারণ আনারসের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ব্রেমলিন সার্ভিসকে নরম করে দেয় এবং জরায় সংকোচনকে উদ্দীপ্ত করে এ কারণে আগেভাগে সন্তান জন্ম হতে পারে যেটি মা ও শিশু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া ঘটিয়ে দিতে পারে তাই গর্ব অবস্থায় আনারস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতাঃ
গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারিতা চলুন নিম্নে জেনে
নেওয়া যাক-
- গর্ভবতী মহিলাদের পায়ের শিরা ধমনী গুলি ফুল কমাতে সাহায্য করে আনারস। অনেক সময় গর্ভবতী মহিলাদের পায়ে শিরা গুলি ফুলে যায় তখন পা মোরাতে গেলে ব্যথার সৃষ্টি হয় সে কারণে আনারসে থাকা ব্রেন শিরা গুলিকে জমাট বাধা কমাতে পারে তাই আনারস পরিবার অনুযায়ী খাওয়া উচিত গর্ভবতীদের।
- আনারসে আছে ম্যাঙ্গানিজরা অস্টিওপেরোসিসের সহবাস সম্ভাবনা হ্রাস করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
- আনারস লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন বৃদ্ধি করে এছাড়াও শিশুর হৃৎপিণ্ড তৈরীর সময় কপাটি দরকার আর এই আর এটি আনারসে আছে কারণ এটি লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
- হৃদপিণ্ড এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে আনারস আনারসে আছে ভিটামিন বি এক থায়ামিন হৃৎপিণ্ড এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন কম - প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়
- আনারসে রয়েছে ভিটামিন বীজ হয় যা লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদন উন্নত করে এর ফলে রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করে এছাড়াও অ্যান্টিবডিও উৎপাদন করে যার ফলে সমস্ত অসুস্থতা থেকে মুক্তি দেয় আপনাকে।
শরীরের অন্যান্য দিক থেকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে আনারস। কারণ রক্তচাপ কমিয়ে
দেয় আনারস মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে
আনারস। শিশুর মধ্যে জন্মগত অক্ষমতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কোষের ক্ষতি
প্রতিরোধ করে সাহায্য করে। এটি একটি কাঠামোগত প্রোটিন যা শিশুর তো ক্ষার
টেন্স এবং কালিলেস বৃদ্ধির জন্য দায়ী তাই এক কাপ আনারস ৮০ থেকে ৮৫ মিলিগ্রাম
খেতে পারেন গর্ভাবস্থায়।
গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার অপকারিতাঃ
চলুন নিম্নে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে-
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত আনারস খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। কারণ এই আনারসে আছে যার কারণে ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে আপনার।
- আপনি যদি পরিমাণ এর চেয়ে বেশি আনারস খেয়ে ফেলেন তবে আপনার গর্ভপাত বা অকাল প্রসব হতে পারে। যদি বেশি পরিমাণে আনারস খায় তাহলে শরীরের মেমলিন জমা হয়ে জরায়ু নরম হতে পারে যার ফলে গর্ভপাত বা অকাল প্রসব হতে পারে।
- মাত্র অতিরিক্ত আনারস খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। আনারসে আছে প্রচুর ক্যালরি যার ফলে গর্ভবতী মহিলাদের ওজন বৃদ্ধি পায় অতিরিক্ত।
- যেসব গর্ভবতী মহিলারা দুর্বল বা সংবেদনশীল হজম ক্ষমতা থাকে তাদের খাওয়া উচিত নয়। কারণ আনারসে আছে এসিড যার ফলে এসিড রিফ্লাক্স বা অম্বল বুক জ্বালা হতে পারে আনারস খেলে।
- আনারসে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি তাই যেসব গর্ভবতী মহিলাদের ডায়াবেটিস আছে তারা আনারস খাবেন না কারণ তারা গর্ভবতী মহিলারা আনারস খেলে ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার পুষ্টিগুণঃ
যুক্তরাজ্য পৃথক মা ও শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউকে বেবি সেন্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়। গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এতে করে এবার রেশন কোন প্রমাণ বিজ্ঞানীদের হাতে এই মুহূর্তে নেই অন্যান্য অনেক ফলের মত এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং অনেক বেশি ফাইবার থাকায় গর্ভাবস্থার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শিশুর।
আনারসে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম ব্রেমলিন। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এই ফলে আছে ম্যাগনেস নামক খনিজ উপাদান যাদের শক্তি বাড়ায় আসে যথেষ্ট পরিমাণের জন্য অপরিহার্য পাশাপাশি ফল খেলে শরীরে খুব কম ক্যালরি সঞ্চিত হয় সুতরাং গুটিয়ে যাওয়ার ভয়েও থাকে না। প্রতি.১০০ গ্রাম আনারস থেকে পাওয়া যায় মাত্র ৫০ কিলো ক্যালরি। তাছাড়া এতে কোন কোলেস্টেরল নেই এতে আছে পেক্তির নামক গুরুত্বপূর্ণ ডায়াবেটারী ফাইবার ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের নানা উপাদান যেমন ফলের পাওয়া যায় আনারস থেকে।
আরো পড়ুনঃ যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রসুনের ১৫ টি ভূমিকা
উপসংহারঃ গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
এতক্ষণ আমরা জেনে নিলাম আনারস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে।
এবং সবশেষে বলি সব কিছু জেনে এসব বুঝে সঠিক পরিমাণে আনারস খান। আশা করছি আমাদের
কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি বোধগম্য হয়েছে যদি কোন কিছু প্রশ্ন থাকে তাহলে
কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জাজান।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এরকম আরো পোস্ট পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url