সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় - সিজারের পর গোসল করার নিয়ম
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জানাবো সিজারের কত দিন পর গোসল করা যায় - সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে। কসমেটিক সেলাইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের সাধারণত সিজারের দুই থেকে চার দিন পর থেকে কুশলের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আর যেসব ক্ষেত্রে সেলাই কাটাতে হয় সেসব ক্ষেত্রে সেলাই কাটানোর পর গোসল করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আমাদের আর্টিকেলে আমরা আজকে জানাবো সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় - সিজারের পর গোসল করার নিয়ম। আর দেরি না করে চলুন দিন নেই জেনে নেওয়া যাক সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় - সিজারের পর গোসল করার নিয়ম।
আপনারা যদি সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় - সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় - সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।পেজ সূচিপত্রঃ সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় - সিজারের পর গোসল করার নিয়ম
- ভূমিকা
- সিজার কাকে বলে
- সিজারের কত দিন পর গোসল করা যায়
- সিজারের পর গোসল করার নিয়ম
- সিজারের পর গোসল করতে সাবধানতা
- সিজারের রোগীদের খাবার
- উপসংহার
ভূমিকাঃ
সিজারের পর বাচ্চা এবং বাচ্চার মা কখন গোসল করতে পারবে এই নিয়ে অনেকের মধ্যেই
অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগে তাই আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো
সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় - সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে।
সিজারের ৭২ ঘন্টা পর নবজাতককে গোসল করানো যাবে এক্ষেত্রে নরমাল কোন বাচ্চা প্রসব
করে সে ক্ষেত্রে কিন্তু ৭২ ঘন্টা পরেই পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে।
আরো পড়ুনঃ সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় - সিজারের সেলাই ব্যাথা হলে করণীয়
তারপরে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে তাদের ক্ষেত্রে গরম পানি ডাকে স্বাভাবিক পানি দিয়ে গোসল করানো যায়। তাদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে যে সহনীয় তাপমাত্রা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে তবে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাকে যাতে অনেকক্ষণ পর্যন্ত গোসল করানো না হয়। অনেকক্ষণ পর্যন্ত যদি আপনি বাচ্চাকে গোসল করান তবে বাচ্চার ঠান্ডা জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সিজার কাকে বলেঃ
আজকে আমাদের এই পোস্টে আমরা আপনাদের জানাবো সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় - সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সে সম্পর্কে। আমাদের এই পোস্টে আমরা সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব তার আগে চলুন আমরা জেনে নিই সিজার কাকে বলে সে সম্পর্কে।
অনেক সময় দেখতে পায় কিছু রোগীর ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ পার হয়ে যায় কিন্তু প্রসবের ব্যথা হয় না। তখন ওষুধ দিয়ে প্রসব ব্যথা উঠানো জন্য অপেক্ষা করা যায় না। পেটের ভিতর বাচ্চা যে পানির ভেতরে থাকে সে পানির পরিমাণ অনেক কমে যায় যার ফলে বাচ্চাকে সুস্থ রাখার জন্য ডাক্তাররা শিজার করে থাকেন।
সিজার একপ্রকারশল্য চিকিৎসা যা এক বা একাধিক শিশুর জন্মদানের জন্য মায়ের জরায়ুতে করা হয়। এটি সাধারণত করা হয় তখন যখন প্রাকৃতিক নিয়মে জন্ম নালীর মাধ্যমে যৌন সম্ভব হয় না বা সম্ভব করতে গেলে মায়ের এবং শিশুর উভয়েরই জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সাধারণত করা হয় তখন যখন প্রাকৃতিক নিয়মে জন্ম নালীর মাধ্যমে যৌন সম্ভব হয় না বা সম্ভব করতে গেলে মায়ের এবং শিশুর উভয়েরই জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সিজারের কত দিন পর গোসল করা যায়ঃ
সিজার করার পর কখনোই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গোসল করতে যাবেন না। কারণ আপনি যখন পানি শরীরে দিবেন তখন যদি পানি কাটা জায়গায় চলে যায় তাহলে সংক্রমণ বা ঘা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে আপনার শরীরে। যা আপনাকে অনেক বেশি কষ্ট দেবে তাই সব থেকে বেশি ভালো হবে যে সিজারের পড়ন্ত তো ১০ থেকে ১৫ দিন পর গোসল করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযাযায়ী।
সিজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন। যার মাধ্যমে মায়ের পেট কেটে বাচ্চাকে বের করা
হয় এটি একটি জটিল এবং কঠিন একটি অপারেশন। এইজন্য সিজার করার পর মাকে অনেক
সতর্ক থাকতে হয়। সব বিষয়ে সতর্ক থেকে যতদিন পর্যন্ত না ঠিকমতো সুস্থ হয়েছে
ততদিন বিভিন্ন রকম কাজ এড়িয়ে চলতে হয় সিজারের রোগীকে। এখন আমরা জানব সিজারের
কতদিন পর গোসল করা যায় সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ সিজারের পরে পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়
সিজারের পরে ডাক্তাররা এক থেকে দুই দিন পরে গোসল করানোর কথা বলে থাকেন। যার ফলে বিভিন্ন রকম সংক্রামক ঝুটি এবং ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। কিন্তু সে জারে সেলাইতে আঘাত করা বা সাবান লাগানো একেবারেই নিষিদ্ধ।
সিজারের পর গোসল করার নিয়মঃ
আমরা অনেকেই গোসল না করলে থাকতে পারি না। সেজন্য সিজার করার কিছুদিন পরেই গোসল করতে চাই। কিন্তু এটা উচিত নয় কারণ সিজার করার পর অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন পর গোসল করতে হবে। আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি গোসল করেন তাহলে ক্ষতিটা আপনার হবে এতে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে সিজারের স্থানে যা আপনাকে অনেক বেশি কষ্ট দেবে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে।
- আপনি যে পাত্রে পানি রেখে গোসল করবেন সে পাত্রটি গোসল করার পূর্বে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন তারপর গোসল করুন।
- গোসল করার সময় আপনার সেলাইয়ের স্থানে বেশি আঘাত লাগে এমন কাজ করবেন না। বেশি ঘষাঘষি করবেন না যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে গোসল করবেন।
- গোসল করার পানি হালকা ফুটিয়ে তারপর গোসল করবেন। এতে বিভিন্ন রকম সংক্রমণ এড়ানো যায় এবং আপনার শরীরে আরম বোধ হবে।
- গোসল করার সময় পানি ফোটানোর আগে পানিতে নিমপাতা দিয়ে পানি কুসুম গরম করে আপনি গোসল করতে পারেন এতে করে আপনার শরীরে আরাম বোধ করবে।
সিজারের পর গোসল করতে সাবধানতাঃ
সিজারের পর অবশ্যই নবজাতক এবং নবজাতকের মা দুজনকেই গোসল এর বিষয়ে সতর্ক
থাকতে হবে। সিজারিয়ানের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মে গোসল করার ক্ষেত্রে যতটা
সময় লাগে এই সময়টাই গোসল দেওয়া উচিত এক্সট্রা ভাবে গোসলের সময় নেওয়া
উচিত এক্ষেত্রে যদি মায়ের ঠান্ডা লাগে তাহলে বাচ্চার অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা
থাকবে।
সিজারের বাচ্চা কেউ দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করা যাবে না দীর্ঘ সময় গোসল করার
ফলে কিন্তু বাচ্চার ঠান্ডা লাগতে পারে এবং বাচ্চাকে অধিক সময় ধরে তোয়ালে
পেচিয়ে রাখা যাবে না। এতে করে বাচ্চার গরম লাগতে পারে এবং অনেকে আছে যারা
বাচ্চাকে ভালো রাখার জন্য এক্ষেত্রে বাচ্চা ঘেমে গেলে কিন্তু সমস্যা দেখা
দিতে পারে এবং অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
সেজন্য বাচ্চাকে ভালো রাখার জন্য স্বাভাবিক নিয়মে ২৫ থেকে ৩০ তাপমাত্রার
মধ্যে রাখা উচিত। যাদের সিজারে বাচ্চা প্রসব করা হয় তাদের ক্ষেত্রে
স্বাভাবিক নিয়ম এই গোসল করা যাবে তবে বাচ্চা প্রসবের রাস্তা দিয়ে কোন
ধরনের বিল্ডিং হতে থাকলে এক্ষেত্রে কিছু পর্যন্ত সময় নেওয়া যায় ততদিন না
পর্যন্ত পুরোপুরি ভাবে রক্তস্রাব বন্ধ হচ্ছে।
সিজারের স্থানে কোন ধরনের সমস্যা না থাকলে পরবর্তী সময় থেকে এসে গোসল করতে
পারবে তিন সপ্তাহ পর থেকে এসে যাদের রোগীকে গোসল করানো যেতে পারে তবে
অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সিজারের স্থানে যাতে ভেজানো অবস্থায় না থাকে এবং
তাৎক্ষণিকভাবে দেয়ালে দিয়ে মুছে ফেলতে হবে যদি কোন কারণে সিজারের
জায়গাটা ভিজে যায়। এবং আপনাকে চেষ্টা করতে হবে সিজারের স্থানটা গোসল করার
সময় ভালোভাবে দেখে ঢেকে রাখার যাতে করে সেখানে পানি প্রবেশ করতে না পারে।
সিজারের রোগীদের খাবারঃ
আজকে আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাবো সিজারের রোগীদের খাবার
সম্পর্কে। চলুন আমরা আজকে জেনে নেই সিজারের রোগীদের খাবার গুলো-
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন কাঁচা ফল এবং শাকসবজি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত রাখে। মসুর ডাল সবুজ কলায় ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এগুলো খেতে হবে। এবং যে খাবারগুলো সহজে হজম হয় সেগুলো বেশি করে খেতে হবে এই সময় বাইরের খাবার না খাওয়াই উচিত।
প্রোটিন খনিজ এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। প্রোটিন আপনার শরীরের নতুন টিস্যু কোষ গুলো বিকাশের সহায়তা করবে। অন্যদিকে ক্যালসিয়াম হাড় শক্তিশালী রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় ২৫০ থেকে ৩৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম নবজাতকের আছে হস্তান্তর হয়। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পেতে চান তবে আপনি দৈনিক ডাল খেতে পারেন এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে।
তিলের বিজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ক্যালসিয়াম ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে সেজন্য আপনি সিজারের পরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম পেতে চান তবে তিলের বীজ খেতে পারেন। গোটা শিষ্য জাতীয় খাবার সিজারের রোগীর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এগুলো শর্করা সমৃদ্ধ শক্তি মাত্রা এবং বুকের দুধের উৎপাদন বজায় রাখতে সহযোগিতা করে। তাই গোটা শস্য জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন আপনি।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পা ফুলে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
সিজারের রোগীকে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে কারণ ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং টিসুম মেরামতের সহায়তা করে। তাই সিজারের রোগীকে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবজি পালং শাক মেথি খাওয়াতে হবে। কমলালেবু পেয়ারা তরমুজ স্ট্রবেরি মিষ্টি আলু জাতীয় ফল হলো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেজন্য সিজারের রোগীকে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
উপসংহারঃ সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় - সিজারের পর গোসল করার নিয়ম
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url