গ্যাস্ট্রিক কেন হয় - কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন গ্যাস্ট্রিক কেন হয়  - কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। আপনার শরীরে যদি দীর্ঘ দিনের প্রধান থেকে থাকে তবে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। তবে যদি দীর্ঘদিন ধরে তার কোন চিকিৎসা শুরু না হয় সেখান থেকে কিন্তু ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। গ্যাস্ট্রিক হলেও প্রথমেই যেসব লক্ষণ ধরা পড়ে এমনটা নয় হেলিকোব্যাকটর ফাইলরি নামক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে এই গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যার সূত্রপাত হয়। আজকে আপনাদের জানাবো গ্যাস্ট্রিক কেন হয় - কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে নিম্নে জেনে নেওয়া যাক গ্যাস্ট্রিক কেন হয় - কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার।

গ্যাস্ট্রিক কেন হয় - কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

ভিটামিন বি ১২ এর অভাব অনেক অসময়ে আমরা বুঝতে পারি না ডিএনএ এবং রক্ত সঞ্চালনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য গ্যাস ডিপ্রেশন শেষের সমস্যা দেখা যায়। যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার ভুগছেন তারা যদি ডিম লো ফ্যাট মিল্ক লো ফ্যাট মিল্কের দই চিকেন রোস্ট খেতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক গ্যাস্ট্রিক কেন হয় - কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ গ্যাস্টিক কেন হয় - কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

ভূমিকাঃ

এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আজকাল নিমত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়া অতিরিক্ত ঝাল মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া মানসিক চাপ ও মদ্যপানের কারণেও এই রোগ হয়ে থাকে। এছাড়া বাইরের খাবার খাওয়া ও অতিমাত্রায় ফাস্টফুটে আসক্তির কারণে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়ছে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক গ্যাস্ট্রিক কেন হয় - কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার।

গ্যাস্টিক হওয়ার কারণঃ

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলি জীবনধারা এবং খাদ্যাভাসার সাথে সম্পর্কিত এর মধ্যে রয়েছে-

আরো পড়ুনঃ শীতে হাঁটু ব্যথার নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়

মসলাদার বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াঃ

মসলা চর্বি জাতীয় খাবার পেটের আস্তরণে জ্বালাতন করতে পারে এবং এসিড রিফাক্সের কারণ হতে পারে। যার কারণে বুক জ্বালা এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক উপসর্গের অন্যতম কারণ।

খুব দ্রুত খাওয়াঃ

দ্রুত খাবার খাওয়ার ফলে জীবাণু খাবার হজমের সমস্যা তৈরি করে পাশাপাশি তাড়াহুড়ো করে খাবার গ্রহণে বাতাস গিলে ফেলার সম্ভাবনা তৈরি হয় আপনার পেটে যার ফলে ফোলা ভাব এবং গ্যাস হতে পারে আপনার পেটে।

কার্বনেটেড পানীয় পানঃ

কার্বনেটেড পানীয় যেমন সোডা কোমল পানিও গ্রহণে গ্যাসের জন্ম দেয় কোমল পানীয় গ্রহণের সাময়িক দীপ্তি প্রদান করলেও এতে থাকা চিনি ও নানা ধরনের উপাদানে দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী আপনি।

মানসিক চাপঃ

স্টেজ বা মানসিক চাপ পেটের আলসার ইরেটেবল বই এল সিনডেম আইবিএস এবং এসিড রিফ্লেক্সসহ বিভিন্ন গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ত্বরান্বিত করতে কাজ করে।

ধূমপানঃ

ধূমপান নিম্ন খাদ্যনালির স্ফিমকটারকে দুর্বল করে দিতে পারে। যা এসিড রিফ্লাক্স এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণ হতে পারে।

গ্যাস্টিক হওয়ার লক্ষণঃ

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যদি হয় আপনার তবে আপনার খিদে কম পাবে। বুক জ্বালা করবে পেটের মাঝখানে চিনচিন ব্যথা করবে বুক ও পেটে চাপ ধরে থাকবে হজমের অসুবিধা হবে এবং বমি বমি ভাব হবে। চলো নিম্নে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিতভাবে গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো-

  • বেশিক্ষণ পেট খালি থাকলেই জোকের থেকে যে বিনি নির্গত হয় তা গলব্লাডারে জমা হয়। এই তরল হজমে বাধা দেয় ফলে বারবার বমি পিত্ত ভূমির মত লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়াও খাবারের সংক্রমণ থেকে প্রায় সই পেটে ইনফেকশনের মত সমস্যা দেখা দেয়। এসিড বেশি মাত্রায় ক্ষরণ হয় বলে গলা জালা পেট ব্যথার মত সমস্যা দেখা যায়। 
  • আপনাদের শরীরে যদি ভিটামিন বি ১২ এর অভাব থাকে তবে এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগতে পারেন।
  • আপনার কি প্রায়শই ডায়রিয়া হয় আপনি ভাবেন বোধহয় খাবার সমস্যা বা জল থেকে এটা হচ্ছে। কিন্তু সাত দিন ছাড়াই যদি এ সমস্যা দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়েছে সে সঙ্গে হঠাৎ করে পেট ব্যথা বমি ফুড প্রয়োজন মানেই সমস্যা অন্য।
  • আপনার কি খিদে পেলে খুব দ্রুতই পেট ভরে যায় অনেকক্ষণ হলে খিদে পেয়েছে কিন্তু একটু খেলেই মনে হয় আর খেতে পারছি না এটা গ্যাস্টিকের লক্ষণ।
  • যদি আপনি বুঝতে পেরে থাকেন যে আপনার রক্তক্ষরণ হচ্ছে ভেতরে তবে আপনি প্রথমে সতর্ক হোন। রক্তবর্ণী রক্ত আমাশা ক্রোধ পায়খানা হল এর লক্ষণ।
  • বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া ওজন বেড়ে যাওয়া বেশি পরিমাণ নুন খাওয়া প্রভৃতি কারণে পেটে মেদ জমে। এর ফলে শুধুই যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তাই নয় প্রায় ৬ গ্যাস এবং মেয়েদের মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা ও দেখা যায়।

আরো পড়ুনঃ ত্বকের চুলকানি প্রতিরোধে ১৫ টি ঘরোয়া প্রতিকার

গ্যাস্ট্রিক এর চিকিৎসাঃ

গ্যাস্ট্রিক আর চিকিৎসা ধরনের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে। এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ও খাদ্যের হয় অসুখের ব্যথা খেলে বমি বমি ভাব। সবচেয়ে মৃত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। এটাতে এলে প্রটেক্ট করা উচিত একটি তাপমাত্রায় আরামদায়ক মসলা ও লবণ বিশাল পরিমাণ ধারণ করে না ক্ষমতায় প্রকৃতি ভগ্ন দৈনিক ৫-৬ সময়ে ছোট অংশ হতে হয়।

মৌকুফ করার পর নিয়মিত খাবার ৪-৫ ওয়াক্ত বজায় রাখার জন্য দীর্ঘ বিরতি ছাড়া প্রয়োজন ঠান্ডা খাবার পিজা বা হটডগ অপব্যবহার করবেন না। এটা সম্পূর্ণ প্রফুল্লতা নিষ্কাশন করাবেন যেন সবজির চর্বিবিহীন মাংস ও মাছ প্রদর্শন করে। আর ধৈর্য ধূমপান বন্ধ করার জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটা অন্তত চিকিৎসার সময়ের জন্য সম্পূর্ণরূপে এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিযুক্ত এবং যদি তুমি না পারো এটা সত্য যে তামাক বিষাক্ত পদার্থ জলন সময় গঠিত একসঙ্গে গ্যাস্ট্রিক ঝিল্লি এবং কারণ জ্বালা উপর লালা পতনের সাথে। উপরন্ত নিকোটিন তামাক অন্তর্ভুক্ত শাস্তি প্রচলন টিস্যু চেয়ে vasospasmas হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক এর প্রতিকারঃ

চলুন নিম্নে আমরা জেনে নেই গ্যাস্টিকের প্রতিকার গুলো-

সুষম খাদ্য খাওয়াঃ

ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গোটা শস্য ফলমূল এবং শাকসবজি এবং কম চর্বিযুক্ত ও মসলাদার খাবার খান।

মসলা, চর্বি ও তেল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুনঃ

যেসব খাবার গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গ সৃষ্টি করে যেমন মসলাদার খাবার চর্বিযুক্ত খাবার কার্বোনেট পানীয় এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।

পরিমানে কম ও নিয়ম মাফিক খাবার খাওয়াঃ

একবারে বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণ মোটেও স্বাস্থ্যকর না বরং নিয়ম মফিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস গ্যাস্ট্রিকের অস্বস্তি কমাতে এবং হজমে উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।

সঠিক খাবার যথাযথভাবে চিবিয়ে গ্রহণ করাঃ

খাবার সঠিকভাবে জীবাণু নিশ্চিত করা কেননা খাবার ছোট ছোট টুকরোতে ভেংগে গ্রহণ হওয়া সহজ হজম হতে কার্যকরী।

মানসিক স্বাস্থ্যের নিয়ন্ত্রণঃ

ধ্যান যোগব্যায়াম বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস এর মত ক্রিয়া-কলাপ এর মাধ্যমে দৈনন্দিন চাপ নিয়ন্ত্রণ করে মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল নিতে হবে নিজেকে সময় দিতে হবে মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপরে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বিশেষভাবে সম্পর্কিত। মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা গ্যাস্ট্রিক ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ধূমপান ত্যাগ করাঃ

ধূমপান খাবারে অরুচি প্রদাহ তৈরিতে কাজ করে ধূমপান ত্যাগ করা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ঝুঁকি কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হওয়ার ২০ টি উপায়

উপসংহারঃ গ্যাস্ট্রিক কেন হয় - কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গ্যাস্ট্রিক কেন হয় - কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে । আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনি পড়ে উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং আমার আর্টিকেল এর মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার মূল্যবান কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url