অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ কি এর চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে। অতিরিক্ত চুল পড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা। আপনার কি কারনে চুল পড়ছে সেটি আগে যাচাই করুন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার।
চুল পড়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে। স্বাস্থ্য বিষয়ক একটু ওয়েব সাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছে আপনারা যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি একটু মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলেই সেই প্রতিকারগুলো জানতে পারবেন। অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার।পেইজ সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
ভূমিকাঃ
চুল পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার প্রতিদিন একজন মানুষের ঘরে ১০০ টি চুল পড়ে তবে অনেক
বেশি এই হারে চুল পড়তে শুরু করলে তা দুশ্চিন্তার ব্যাপার এর চিকিৎসা নেওয়া
প্রয়োজন। অস্বাভাবিক ঘাড়ে চুল হারানোর কারন মূলত দুটি বংশগত ও বয়সজনীত।
বংশগতির কারণে চুল পড়ার ক্ষেত্রে হরমোন দায়ী এছাড়া বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে
চুলের ফলগুলো সংকুচিত হয়ে যায় সংক্ষিপ্ত হয়ে যায় যার ফলে চুল গজানোর হাড়ের
চেয়ে পড়ার হাড় বেড়ে যায় বেশি।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের চুলকানি প্রতিরোধে ১৫ টি ঘরোয়া প্রতিকার
এসব ক্ষেত্রে মিনি স্কোডিল ট্রপিকাল সলিউশন চুলের ফলিক গুলো বৃদ্ধি করার মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত করে। এতে চুল লম্বা ও ঘন হয় এছাড়া এই পদ্ধতির রক্ত চলাচল বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি করার নিত করে। মিনিসক ডিল একটি ড্রপার বা মিক্স যা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ব্যবহার করতে হয়।
অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণঃ
চুল পড়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে বাড়তি
পরিচর্যার প্রয়োজন পরে আপনার। চলুন নিম্নে জেনে নেই অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ
গুলো কি।
ভিটামিনের স্বল্পতাঃ
ভিটামিন বি ১২ ও ডি এর স্বল্পতার কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয় এই দুই উপাদান চুলের বৃদ্ধিতেও মাথার ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে গরুর মাংস ও দুধের তৈরি খাবার ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থাঃ
গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন হয় এতে চুল করার সমস্যা হয় গবেষকদের মতে এই সময়
চুল পড়ার খুব স্বাভাবিক তবে স্থায়ী চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে চিন্তার
বিষয়। সাধারণত সন্তান জন্মদানের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা ঠিক
হয়ে যায়।
চুলের ট্রিটমেন্টঃ
চুল রিবন্ডিং করা রং করা স্টাইল এর মাধ্যমে চুলের স্বাভাবিক ধরনের পরিবর্তন করা
চুল পড়ার মতন কারণ। চুলে যতটা সম্ভব কম রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা উচিত।
জন্মনিয়ন্ত্রণঃ
নারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় জন্মবিরতিকরণ পিল বা বড়ি ব্যবহার বা পরিবর্তন চুলের
উপর প্রভাব রাখে। অধিকাংশ বাড়িতে যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ তাই এ ধরনের ওষুধ
নির্বাচনের আগে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
খাদ্যাভাসের পরিবর্তনঃ
নতুন খাদ্যাভাসের অভ্যস্ত হতে চাইলে বাকালোরি বহুল খাবার বাদ দিতে চাইলে অনেক
ধরনের পুষ্টি উপাদান বাদ পড়ে যেতে পারে। শরীরের প্রতি কেজি ওজনের ভিত্তিতে
প্রোটিন গ্রহণ করতে হয় প্রতিবেদনের জন্য শূন্য দশমিক ৮ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা
উচিত। চুল ভালো রাখার অন্যতম চাবিকাঠি হল প্রোটিন গ্রহণ কারন চুলের গোড়া প্রোটিন
দিয়ে তৈরি। সেজন্য চুল পড়ার মতন কারণ হলো প্রোটিনের স্বল্পতা।
চুল বাধার ধরনঃ
চুল বাধার ধরন বা স্টাইলের কারণে চুল পড়ার জন্য দায়ী সব সময় উঁচু করে খোঁপা
করা বা পণ্ডিটেল করা চুলের ক্ষতি করে তাই খুব চুল খুব বেশি শক্ত করে না বাধাই
ভালো।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর ১৫টি উপায়
অতিরিক্ত চুল পড়ার চিকিৎসাঃ
চুল পড়ার চিকিৎসার জন্য এখন মাত্র দুটি ওষুধ প্রচলিত আছে। একটি হচ্ছে মিনিক্স
কডিল যা পুরুষ ও মহিলা সবাই ব্যবহার করতে পারেন। আরেকটি হচ্ছে ফিন্যান্স টুরাইড
যা শুধু পুরুষের জন্য। তবে দুটো ওষুধের প্রতিটি কিছু না কিছু পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া আছে এবং সবার ক্ষেত্রে এগুলো সমান কার্যকর হয় না। অতিরিক্ত চুল
পড়ার চিকিৎসা সম্পর্কে।
নতুন চুল গজানোর এক নতুন চিকিৎসা নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানীরা গবেষকরা
বলেছেন হাড়ের ক্ষয় রোধ ব্যবহার হয় এমন একটি ওষুধ মাথায় চুল পড়ার ঠেকানোর এক
নতুন চিকিৎসা হয়ে উঠতে পারে। গবেষকরা আরো বলেছেন পরীক্ষা করার সময় দেখা গেছে
এটি চুলের গোড়ার উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলে এবং তাকে বাড়তে উদ্দীপ্ত করতে
পারে।
সমস্যায় আক্রান্ত তাদের চিকিৎসায় এটা বড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে । মানুষের
দেহে এমন এক প্রোটিন আছে যা চুলের বৃদ্ধি আটকে দিতে অনেকটা গাড়ির ব্রেক এর মত
কাজ করে। এই সাইক্লোপেরিন ঠিক এই প্রোটিনাটিকে আক্রমণ করবে।
বিজ্ঞানীরা আরো বলেন চুল পড়ার এমন কোন চিকিৎসা নেই যা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
হক্স বলেছেন সাইক্লো প্রেরণ চুল পড়ার চিকিৎসায় কার্যকর এবং নিরাপদ কিনা তা বের
করতে টেকনিক্যাল পরীক্ষার দরকার হবে।
অস্বাভাবিক কারে চুল হারানোর কারন মূলত দুটি বংশগত ও বয়স জনিত। বংশগত বা জেনেটিক
কারণে চুল পড়ার ক্ষেত্রে হরমোন দায়ী এছাড়া বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে চুল চুলের ফলিক
গুলো সংকুচিত হয়ে যায় বা চুলের বৃদ্ধি চক্র সংক্ষিপ্ত হয়ে যায় ফলে চুল গজানোর
হাড়ের চেয়ে পড়ার হার বেড়ে যায় এসব ক্ষেত্রে মিনোক্সিডেল সলিউশন চুলের ফলিক
গুলো বৃদ্ধি করার মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি পর্যায়ের সংক্ষিপ্ত করে। মিনিট একটি
ড্রপার বা মিক্স যা চিকিৎসকে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ব্যবহার করতে হয়।
মেনোক্রিডিল সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় কিন্তু এটি ব্যবহারের আগে কিছু বিষয়
লক্ষ্য করতে হবে যেমন আপনার পরিবারে অথবা বংশের কোন পুরুষ নারীর চুল পড়া বা
ট্রাকের সমস্যা আছে কিনা। গোসলের সময় বালিশে অথবা চিরুনিতে আগের চেয়ে বেশি চুল
পড়ছে কিনা মাথায় আক্রান্ত স্থানে ড্র বাদ দিয়ে ১ মিলিমিটার করে অথবা ৮ থেকে ১০
টি স্প্রে দিয়ে দিনে দুবার সলিউশন টি প্রয়োগ করলে এটি আপনার ব্যবহারে তেমন
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তবে কেউ কেউ মাথার তালুতে আলতো চুলকানিজনিত অস্বস্তি বোধ
করতে পারেন। সাধারণত সলিউশনটি ১৮ বছরের কম বয়সে এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের
ব্যবহার করা উচিত নয়।
প্রতিদিন সকালে ও রাতে দুবার মাথার ত্বকের উপরিভাগে চুলের হর মনে অংশে সলিউশনটি
প্রয়োগ করুন রাতে ঘুমানোর ২ থেকে ৪ ঘন্টা আগে ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই এটা
ব্যবহারের আগে ভালো করে চুল শুকিয়ে নিতে হবে এই প্রক্রিয়ার ফল পেতে চার মাস
সময় লাগে।
অতিরিক্ত চুল পড়ার প্রতিকারঃ
বংশগত কারণ ছাড়াও মানসিক ও কাজের চাপ অসুস্থতা ও পুষ্টির অভাবে অথবা থাইরয়েড
হরমোনের ভারসাম্যতাহীনতায় রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে ইত্যাদি কারণে চুল পড়তে
পারে আপনার। রূপচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে চুল পড়া
কমানোর পাঁচটি উপায় সম্পর্কে জানানো হলো-
চুল পড়া প্রতিরোধের উপায় হল ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা। এতে চুলের ফলি কল প্রভাবিত
হয় এছাড়াও মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা চলাকালীন চুলের
টনিক ব্যবহার করা হয় এবং তা ভালোভাবে শোষণের জন্য স্টিমার ব্যবহার করা হয়।,
পুষ্টিকর খাদ্যাভাসে রক্ত পুষ্টি সরবরাহের মাধ্যমে চুলের ভিত্তিতে সাহায্য
করে।
চুল তৈলাক্ত হলে চুল পরিষ্কারক বা সিরাম ব্যবহার করুন আর ক্রিম ভিত্তিক কন্ডিশনার
এড়িয়ে চলুন। আমলকি বেঙ্গরাস আর্নিকা ত্রিফলা জবা বেল নিম চন্দন ইত্যাদি ব্যবহার
করুন। এগুলো মাথায় আরাম দেয় এবং চুল সুন্দর রাখে তেলহীন চুলের টনিক ছাত্রী ফলা
ও প্রার্থী থাকে এগুলো চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার চুলের ভিত্তিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ছোট এক বাটি
অঙ্করিত সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে আছে অ্যামিনো এসিড সোলার ভিত্তিতে সাহায্য
করে মাথার ত্বকত্ব হলে বা খুশকি থাকলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
চুলের জন্য সঠিক প্রসাধনী নির্বাচন করা প্রয়োজন। ক্ষতিকারক উপাদান মাথার সাধারণ
ক্ষারের উপাদান এলাকা লাইনে এর ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে মাথার ত্বকের মৃত খুশকি
দেখা দেয় যদি বাইরে থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ চুল পরিষ্কার করতে হবে খুব ধোয়া
কার্যকর।
চুলের ধরন ও ঋতু ভেদে চুল ধোয়া উচিত। গরম ও আদ্র আবহাওয়াতে চুল ঘন ঘন পরিষ্কার করা উচিত কারণ এতে এই চুল সময়ে চুলের ঘাম ময়লা ও তেল জমে থাকে ৩-৪ বার ধোয়া উচিত চুল শুষ্ক হলে তা দুইবারের বেশি ধোয়া ঠিক নয়।
আরো পড়ুনঃ শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া প্রতিকার
উপসংহারঃ অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা এতক্ষন মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং আর্টিকেলের ভিতরে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন আমরা সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করব। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আবার অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url