শীতকালে শিশুদের যেসব রোগ বাড়ে - শীতকালে শিশুদের রোগ ব্যাধি

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা আজকে যারা জানতে চেয়েছেন শীতকালের শিশুদের যেসব রোগ বাড়ে - শীতকালে শিশুদের রোগব্যাধি সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। শীতকালে ইজমা কাশির প্রকোপ বেড়ে যায় সাময়িক জ্বর হয়। বাতাসে ধুলোবালি মিশে থাকায় অনেকের এলার্জি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে সনাক্ত না হলে নিউমোনিয়াতেও রূপ নিতে পারে। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো শীতকালে শিশুদের যেসব রোগ বাড়ে - শীতকালে শিশুদের রোগ ব্যাধি । আর কথা না বাড়িয়ে চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক শীতকালে শিশু রোগ বাড়ে - শীতকালে শিশুদের রোগ ব্যাধি।

শীতকালে শিশুদের যেসব রোগ বাড়ে - শীতকালে শিশুদের রোগ ব্যাধি
শীতকালে মূলত শিশুরা নিউমোনিয়া শ্বাসকষ্ট ঠান্ডা ঘাস কাশি সর্দি এবং অ্যাজ মাই বেশি আক্রান্ত হয়। আর সেই সঙ্গে সিজনাল জ্বর তো রয়েছেই সাধারণত পুষ্টিহীনতায় ভোগা কম ওজনের শিশুরাই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। চলুন নিম্নে আমরা জেনে নেই শীতকালে শিশুদের যেসব রোগ বাড়ে - শীতকালে শিশুদের রোগ ব্যাধি।

সূচিপত্রঃ শীতকালের শিশুদের যেসব রোগ বাড়ে - শীতকালে শিশুদের রোগব্যাধি

ভূমিকাঃ

গরমের তুলনায় সীতারামদায়ক হলেও প্রতিবছরের সময়ে বেশ কিছু বাড়তি রোগ ব্যাধি দেখা যায়। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই সময়টা বেশ জটিলতা তৈরি করে। শীতে শুধু ঠাণ্ডা লাগার কারণে যে শিশু অসুস্থ হবে তা নয় যেহেতু শীতকালীন অসুখের মূল কারণ বায়ুবাহিত রোগ জীবাণু যা সহজেই ছড়িয়ে পড়ে ও শিশুদের আক্রান্ত করে। একই সঙ্গে থাকে প্রচুর ধুলাবালি যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে নাক দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে।

যার কারণে গলায় কিংবা নাকে প্রদাহ সর্দি কাশি সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে শিশুদের মাত্র অতিরিক্ত দূষিত ধোয়া ও ধুলা শিশুদের নিউমোনিয়া কিংবা ব্রংকাইটিসের মতো সমস্যা ও সৃষ্টি করতে পারে। শীতের শুরুতে সাধারণত সর্দি জ্বর ভাইরাল হতে পারে। এটি ভাইরাসজনিত একটি ছোঁয়াচে রোগ যা পাঁচ সাত দিনে ভালো হয়ে যায় এ সময় ছোট ছোট সমস্যায় পড়ে শিশুরা। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া নাক দিয়ে পানি পড়া শরীরে চুলকানি খাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া বুকে আওয়াজ হওয়া হালকা বা শুষ্ক কাশি ও সঙ্গে থাকে জ্বর।

আরো পড়ুনঃ শীতে হাঁটু ব্যথা নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়

এ সময় শিশুকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত গোসল করানো উচিত পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে শীতকালীন সবুজ শাকসবজি খাওয়াতে হবে শিশুকে। লেবু পানিও খাওয়াতে পারেন আপনি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে শিশুর। আশেপাশে বা সর্দি জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। কোন জিনিস স্পর্শ করলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন এবং শিশুকে শেখান। এ ছাড়া আপনার শিশুকে সুস্থ রাখতে আপনি দৈনিক এক চামচ মধু খাওয়াতে পারেন এতে করে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সর্দি কাশি থেকে দূরে রাখবে।

শীতকালে শিশুদের যেসব রোগ বেশি হয়ঃ

শীতে শুধু ঠান্ডা লাগার কারণেই যে শিশু অসুস্থ হবে তা নয়। যেহেতু শীতকালীন অসুখের মূল কারণ বায়ুবাহিত রোগ জীবাণু যা সহজে ছড়িয়ে পড়ে ও শিশুদের আক্রমণ করে। একই সঙ্গে থাকে প্রচুর ধুলাবালি যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে নাক দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে। ফলে গলায় কিংবা নাকে প্রদাহ সর্দি কাশিসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। শিশুদের নিউমোনিয়া ব্রস্কাইটিসের এর মত সমস্যা ও সৃষ্টি করতে পারে।

শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় ধুলাবালি অনেক। শহরে তো অনেক ধুলোবালি গ্রামেও রয়েছে। শীতকালে গাছের পাতা ঝরে পড়ে যায় গ্রামে আমরা দেখেছি সবকিছু এক জায়গায় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয় শহরে কিন্তু গাড়ির ধোঁয়া রয়েছে ফুলবাগান ফুলের রেনু এসবের সঙ্গে কিন্তু বাচ্চাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা জড়িত। কারো যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে সে যদি কোন একটি বিষয়ের সংস্পর্শে আসে তাহলে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হতে পারে। 

এ সময় বিভিন্ন ভাইরাস আসে এ ভাইরাস কিন্তু এজমা বাড়ায় আর এই যে ধুলোবালি গুলো বাতাসে ঘুরছে এর মধ্যে প্রচুর ধুলোবালি থাকে তাহলে যারা ছোট বাচ্চা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তারা কিন্তু হঠাৎ করে নিউমোনিয়ার শিকার হয়ে যায়। সেজন্য শীতকালে শিশুদের এজমা রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। শীতকালে ছোট বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগের ও প্রকোপ বেড়ে যায় এবং এ সময় শিশুরা এ সমস্যায় আক্রান্ত হয় বেশি। 

এছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া রাইনো ভাইরাল ইনফেকশন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাক দিয়ে পানি পড়লে যখন শিশু ক্লান্ত হয়ে যায় তখন অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে হয়। এ রোগ গুলো শীতে বেশি হয়। ঋতু পরিবর্তনের ফলে শীতকালে শিশুরা খুব অল্প তাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় শিশুর যত্নে সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে আপনাকে। শীতকালে শিশুর চাই বাড়তি যত্ন। শীতে বাড়ে সর্দি জ্বর শ্বাসকষ্ট নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া। শীতের নবজাতক শিশুর ১ থেকে ২৮ দিন বয়সী শিশু জন্য আরো বেশি যত্নবান হতে হবে কারণ একটু সাধারণ সর্দি জ্বরে এদের ভাইরাল ফ্লু হতে পারে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক কালো শিশুদের যেসব রোগ বেশি হয় সে সম্পর্কে।

নিউমোনিয়াঃ

দুই মাসের কম বয়সে শিশুদের শ্বাস নেওয়ার হার প্রতি মিনিটের সাত বারের বেশি, দুই মাস থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুদের প্রতি মিনিটে ৫০ বারের বেশি ও বারো মাস থেকে পাঁচ বছর বয়স শিশুদের প্রতি মিনিটে ৪০ বারের বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে তাকে শ্বাসকষ্ট বলা হয়। কাশি শ্বাসকষ্ট জ্বর দ্রুত নিঃশ্বাস পাঁজরের নিচের অংশ ভেতরের দিকে দেবে যাওয়া শিশু খেতে না পারলে বুকের ভেতর শব্দ হলে নিস্তেজ হয়ে গেলে বুঝতে হবে শিশুটি মারাত্মক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

সাধারণত শিশুদের ফুসফুসের অ্যালভিওলিতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া হলে নিউমোনিয়ার লক্ষণ চলে আসে শরীরে। নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে দ্রুতগতির শ্বাস প্রশ্বাস ব্রিদিং দেখা যায়।

ব্রস্কওলাইটিসঃ

নিউমোনিয়া থেকে ব্রস্কওলাইটিস খুব সহজে পার্থক্য করা যায় নিউমোনিয়া সাধারণত যে কোন বয়সে হতে পারে। সঙ্গে জ্বর কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকবে নিউমোনিয়া হলে এক্সরে করলে কালো ফুসফুসের সাদা দাগ দেখা যাবে আর রক্ত পরীক্ষায় সাধারণত সেট কণিকার পরিমাণ অনেক বেশি থাকবে। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যায় ওর 7 থেকে 10 দিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট শ্বাসকষ্টের রেজুলেশন দেখা যায়। অনেক সময় কাছে থাকে প্রায় চার সপ্তাহ পর্যন্ত। অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয় শিশুর।

নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের একটি সংক্রমণ ফুসফুসের ক্ষুদ্র নালী ব্রস্কিওলাইটিস ভাইরাসের কারণে প্রদাহ হলে সাধারণত ব্রস্কিওলাইটিস  হয়। দুই বছরের কম বয়সের শিশুদের মধ্যে নাক দিয়ে পানি পড়ার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও কাশি থাকে এই শ্বাসকষ্টকে নিউমোনিয়া ভেবে অনেক চিকিৎসখী অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করেন শেষ ফলে ছোটবেলা থেকেই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায় শিশুর। তাই ব্রাস্কিওলাইটিসের সনাক্তকরণ খুব জরুরী।

হাঁপানিঃ

শিশুর হাঁপানি সাধারণত ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সীদের মধ্যে দেখা যায়। ফলে অভিভাবকরা এই সমস্যা সনাক্ত করতে পারে না সহজে অ্যাজমা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ এতে আক্রান্ত হলে শিশুর শ্বাসনালীতে প্রদাহ ও সংকীর্ণতার সৃষ্টি হয় ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় শিশুর। আপনার শিশুর হাঁপানি হলে নিম্নের লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন শিশুর হাঁপানি হয়েছে।

  • দম বন্ধ ভাব
  •  শ্বাস নিতেও ছাড়তে কষ্ট হওয়া
  • বুকের ভিতর শো শো শব্দ করা।
  • ঘুম থেকে উঠে বসা।

এসব লক্ষণই প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করতে সাহায্য করে অ্যাজমার রোগীর ক্ষেত্রে। এই সমস্যা থেকে শিশুকে বাঁচাতে ঠান্ডা লাগানো যাবে না আপনাকে। খেয়াল রাখবেন আপনার শিশু যাতে ঠান্ডায় আক্রান্ত না হয়। আপনার শিশু যদি হাঁপানি আক্রান্ত হয় তবে তার সামনে ধূমপান নিষিদ্ধ করে দেবেন কোন কোন খাবারে এলার্জি সেগুলো শিশুকে খাওয়াবেন না পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন এছাড়া ধুলোবালি থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখবেন।

ডায়রিয়াঃ

শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বেড়ে যায় কারণ এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। ভালোভাবে হাত না ধুলে এর মাধ্যমে ডায়রিয়ার জীবানু সবখানে ছড়াতে পারে যা পরবর্তী সময়ে কঠিন ব্যাধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শীতে গরম পানিতে শিশুকে হাত ধোয়ানোর অভ্যাস করুন। শীতের শিশুদের বেশি বেশি হালকা গরম পানি পান করতে দিনে এতে শিশুর পানি শূন্যতা পূরণ হবে আর গরম পানি শিশুকে ঠান্ডা লাগা থেকে দূরে রাখবে।

চর্মরোগঃ

শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন নিতে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে। শীতের শিশুকে নিয়মিত লোশন লাগাতে হবে যেন ত্বক শুষ্ক হয়ে না যায় শীতকালের ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে শিশুকে সুরক্ষা দিতে খোলামেলা পরিবেশ খুব বেশি খেলাধুলা করতে না দেওয়াই ভালো বিশেষ করে শৈত প্রবাহের সময়। শীতকালে শিশুকে বেশি বেশি করে ফলমূল শাকসবজি ও সুষম খাদ্য খেতে দিন প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ হবে শরীরে।

শীতকালে শিশুকে সুস্থ রাখতে ঠান্ডা আবহাওয়া দুপুর ১২ টার আগে গোসল সেরে ফেলুন। তারপর জামা কাপড় পরাতে হবে। আপনার শেষের ত্বক ভালো রাখার জন্য অবশ্যই বেবি লোশন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য শিশুর শরীর হালকা গরম পানি দিয়ে ধোয়ালেও মাথা ধোয়ানোর সময় অবশ্যই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানি ব্যবহার করতে হবে বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে সপ্তাহে এক বা দু দিন।

আরো পড়ুনঃ শীতকাল কখন শুরু হয় - শীতকালে গরম পানির ব্যবহার

শীতের শিশুকে অবশ্যই আরামদায়ক ও কিছু বাড়তি গরম কাপড় পরাবেন যাতে করে তার মাথা ঘাড় ও হাত-পা ভালোভাবে গরম কাপড়ের ঢেকে রাখার ব্যবস্থা থাকে। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে শিশুদের বেশি কাপড় নিশ্চিত করতে হবে তবে অতিরিক্ত গরম কাপড় পরাবেন না আরও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া শীতকালে শিশুকে প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খাওয়াতে পা্রেন।

 এতে করে আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও সর্দি-কাশি কিংবা ঠান্ডা লাগাও কমবে। এ সময় শিশুকে আইসক্রিম ঠান্ডা পানি বা ফ্রিজের কোন খাবার খেতে দিবেন না এবং শিশুকে ফ্যান ছেড়ে ঘুমানোর অভ্যাস করবেন না এতে শিশু টনসিল বা গলায় ব্যথা হতে পারে।

শীতকালে যা এড়িয়ে চলতে হবেঃ

শিশু বা বয়স্ক থেকে শুরু করে সবাইকে শীতের সময় কয়েকটি বিষয়ে এড়িয়ে চলতে হবে। সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • শীতের ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে গরম কাপড় পড়তে হবে কালো হাত ঢেকে রাখতে হবে গলায় মাফলার ব্যবহার করতে হবে।
  • ঠান্ডা একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে গোসল বা হাত মুখ ধোঁয়া থেকে শুরু করে সব সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। খাবার পানির ক্ষেত্রে হালকা গরম পানি মিশিয়ে খেতে পারলে ভালো এ সময় ঠান্ডা খাবার যেমন আইসক্রিম কোক ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত।
  • বাইরে ধোয়া বা ধুলা এড়িয়ে চলার সমস্যা মাক্স ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • প্রয়োজনে ত্বকের চাহিদা অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
  • শীতের সময় প্রচুর পানি খাওয়া উচিত বলে বলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
  • এছাড়াও ভিটামিন সি রয়েছে এমন খাবার যেমন জল পায় কমলালেব ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে এগুলো এক প্রকার প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে।
  • শিশুরা অনেক সময় শরীরে গরম কাপড় রাখে না বা খুলে ফেলে তাই তাদের দিকে সতর্ক নজর রাখা উচিত।
  • শীতকালে নিয়মিতভাবে শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করতে হবে আপনাকে। এতে করে আপনার শরীর ও স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে।

শীতকালে রোগ ব্যাধি থেকে দূরে রাখার প্রয়োজনীয় কিছু টিপসঃ

  • শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রতিদিন উষ্ণ গরম পানি বা যেন গরম পানিও যেমন চা-কফি স্যুপ দুধ খাওয়া ভালো তাতে শরীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় ও বাইরে ঠান্ডা বাতাস কম ক্ষতি করে।
  • বেশি শীতে শুধু একটা ভারী কাপড় না পড়ে একাধিক পোশাক পরিধান করুন এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারী হলো হালকা কোন কাপড় যা শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে এমন কিছু নিজে পড়া তার ওপর পৃথক জামা কাপড় পরা এটা বেশি ঠান্ডা সবচেয়ে কার্যকরী।
  • প্রতিদিন কিছু পরিমাণ কালিজিরা রান্না ভর্তা বা রান্না ছাড়াই খাওয়া যেতে পারে কালিজিরা প্রায় 300 রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  • সেটা ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত ভিটামিন সি ঠান্ডা লাগার জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
  • প্রতিদিন খাবারের রসুন ব্যবহার করুন কারণ কাঁচা রসুন ঠান্ডা লাগা কমায়।

  • ঠান্ডা লাগলে বা কাশি হলে আদায় ও লবঙ্গ অত্যন্ত কার্যকরী লবঙ্গের রস ঠান্ডা কাশি কমাতে সাহায্য করে। আদা ও লবঙ্গ দিয়ে যা খুবই কার্যকর।
  • শীতের সকালে বিকালে নাক বন্ধ মনে হলে নাকে গরম পানির ভাব নিলে উপকার হয় উপকার বেশি পেতে হলে গরম পানিতে কিছু ফিটকিরির টুকরা দিয়ে গরম ভাব নিলে নাক বন্ধ হওয়া কমে যায়।
  • সরিষার তেল শরীর গরম রাখে যা ঠান্ডা লাগার প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে।
  • শীতের পানি খাওয়া কম হয় ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় সে কারণে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এছাড়া পানি জাতীয় গরম খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে আপনাকে।
  • শীতকালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা বেশি প্রয়োজন। শীতে ধুলোবালি বেশি থাকায় তাতে রোগ জীবাণু বেশি থাকে এবং সে কারণে অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

উপরে নিয়ম গুলো মেনে চললে যত ঠান্ডায় বরুক না কেন শীতেও সুস্থ থাকা সহজ হবে আপনার।

আরো পড়ুনঃ শীতকালে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া প্রতিকার

উপসংহারঃ শীতকালে শিশুদের যেসব রোগ বাড়ে - শীতকালে শিশুদের রোগব্যাধি

পরিশেষে বলতে চাই যে, আপনারা যারা এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন শীতকালে শিশুদের যেসব রোগ বাড়ে - শীতকালে শিশুদের রোগব্যাধি সম্পর্কে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে এবং আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের আর্টিকেলের ভিতর যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url