মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় - মস্তিষ্ক শান্ত রাখার ২০টি উপায়

 প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকে আপনাদের জানাবো মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় - মস্তিষ্ক শান্ত রাখার ২০ টি উপায় সম্পর্কে। কাজের চাপ জীবনযাত্রা ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানা পড়নে মানসিক চাপ উদ্বিগ্নতা সমানতালে বাড়ে। এতে মানসিক চাপ নিয়ে জীবনের ধাপগুলো সুন্দরভাবে অতিক্রম করা যায় না। সেজন্য আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় - মস্তিষ্ক শান্ত রাখার ২০ টি উপায় সম্পর্কে। শান্ত করার ছোট ছোট উপায়ে রপ্ত করতে পারলে কঠিন মুহূর্তে কেউ নিজের কাজগুলো গুছিয়ে রাখা সম্ভব । সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় - মস্তিষ্ক শান্ত রাখার ২০ টি উপায় সম্পর্কে।

মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় - মস্তিষ্ক শান্ত রাখার ২০ টি উপায়

আমাদের জীবনের কিছু বিষয় আছে যা আমরা চাইলেও এড়িয়ে চলতে পারি না। দুশ্চিন্তা থেকে আমরা সবাই দূরে থাকতে চাই কিন্তু দুশ্চিন্তা তো আমাদের কথা মানে না যখন তখন এসে ভর করে মনে আর দূর করে দেয় মনের শান্তি। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় - মস্তিষ্কান্ত রাখার ২০ টি উপায় সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় - মস্তিষ্ক শান্ত রাখার ২০ টি উপায়

ভূমিকাঃ

অনেক সময় আমরা নিজের অজান্তেই কোন কারণ ছাড়া অস্থির হয়ে থাকি। কোন কিছুতেই সেই অস্থিরতা কমাতে পারি না। তবে কিছু মানসিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিন্তু মনকে শান্ত রাখা যায় এ প্রসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর হেলাল উদ্দিন বলেন কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া সমস্যা সমাধানের কৌশল রক্ত করা ব্যর্থতা নিয়ে মেনে চলে যাওয়ার ন্যায়ই মানসিকতা থাকার মাধ্যমে অনেক মনকে অনেকটাই শান্ত রাখা যায়। প্রসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর হেলাল উদ্দিন বলেন কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া সমস্যা সমাধানের কৌশল রপ্ত করা ব্যর্থতা মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকার মাধ্যমে মনকে অনেকটাই শান্ত রাখা যায়। আর মন শান্ত থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য হয়।

আরো পড়ুনঃ বাংলা অনুবাদ আরবি উচ্চারণ সহ পাঁচ কালেমা

মন শান্ত রাখার ২০ টি উপায়ঃ

যেকোনো পরিস্থিতিতে মনকে শান্ত রাখার কিছু কৌশল নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • মনকে শান্ত রাখতে হলে সামাজিক দক্ষতা ভালো থাকতে হবে এক্ষেত্রে দুটো বিষয় রয়েছে একটি হলো কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে দুই সমস্যা সমাধানের কৌশল রক্ত করতে হবে এই দুটো যখন একজন মানুষের মধ্যে থাকবে তখন তিনি কোন অস্থিরতায় ভুগবেন না এবং দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
  • মনকে শান্ত রাখতে কিন্তু শরীরের যত্ন নিতে হবে নিয়মানুবর্তী জীবনযাপনের অভ্যাস করতে হবে রাতে জেগে থাকা দিনে ঘুমানো ও ধানের পরিবর্তন করতে হবে।
  • বাগানের সময় কাটান গাছ ও মাটির সঙ্গে সময় কাটালে মন ভালো হয়।
  • মাঝে মাঝে গল্প মানসিক অস্থিরতা কমাতে সহায়তা করে। ভাবুন সুন্দর চিত্রকল্পের কথা সূর্যাস্তের সময় সমুদ্রের তীরে বসে আছেন বা বসে আছেন মিষ্টি রোদে বারান্দায় ভাবুন এমন ছবি একটু বিশদভাবন গন্ধ পান ফুলের দেখছেন সাগরের ঢেউ বালুকাবেলায় নুড়ি শুনুন কল শব্দ মন ভালো হয়ে যাবে। এবং আপনার মস্তিষ্ক শান্ত হয়ে যাবে।
  • সবুজের কাছাকাছি থাকুন পার্কে সময় কাটান ৩০ মিনিট এতে মনোযোগ বাড়বে রক্তচাপ কমবে স্টেজ হরমোন নিঃসরণ কমবে।
  • ইত্যাদি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকুন নতুন কিছু শিখুন সময় ভালো কাটবে আবার মানসিক চাপও কমবে।
  • শরীরের সঙ্গে যুক্ত হন মন শান্ত করার জন্য যেমন পা পায়ের পাতা চোখ ও মুখ টান টান রাখুন ১২ সেকেন্ড এরপর রিলাক্স করুন শরীরের জন্য অন্য অংশ করুন এতে ভালো ঘুম হবে।
  • মানুষের বিপদে সাহায্য করুন এতে মস্তিষ্কে আর আনন্দ অনুভূতির অংশটি উদ্দিপ্ত হবে কারণ উপকারে এগিয়ে এলে এন্ডরসিন হরমোন বেশি উৎসাহিত হয়।
  • মাত্র কয়েক মিনিটে এরো বিকজ ব্যায়াম করুন। কোন হেটেও আসতে পারেন এতে এন্ড ডলফিন হরমোন নিষ্কৃত হবে ফিল গুড কেমিক্যাল মন ভালো করে তোলে তবে  কঠোর ব্যায়াম করলে মাঝে মাঝে বিরতি দিতে হবে। তবে ব্যায়ামের আগে ওয়াম আপ করে নিতে হবে।
  • গান শুনলে মস্তিষ্ক শান্ত হয় কিছু নিউরন আঘাত করে মগজের এই অংশ ভয় পেলে উদ্দ্তে হয় গান শুনলে নেতিবাচক সিগন্যাল গুলোর মগজের অন্য অংশে কম পৌঁছায়।
  • আমরা সব সময় যেভাবে শ্বাস নেই মানসিক চাপের সময় একটু অন্যভাবে শ্বাস নিতে হবে। একেবারে সচেতনভাবে নজর রাখুন এর ছন্দের দিকে প্রথমে দ্রুত শ্বাস নিন, এরপর ধীরে ধীরে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার সময় হাত থাকবে পেটের ওপর শ্বাস নেওয়ার সময় হাত উঠবে ছাড়ার সময় হাত নামবে।
  • ঘরে একুরিয়াম থাকলে কিছুক্ষণ তার ভেতরের দিকে তাকিয়ে থাকুন। এছাড়া পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটালেও অস্থিরতা কমে। এতে করে আপনার মস্তিষ্ক শান্ত হবে। 
  • আমাদের মস্তিষ্ক শান্ত রাখার জন্য হাঁটাহাঁটি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। না যখন হাটি তখন আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হয় যা আমাদের মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া হাঁটলে আমাদের দেহে এন্ডরসিং এর উৎপত্তি ঘটায় যা আমাদের দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।

আরো পড়ুনঃ ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ফজিলত ও প্রয়োজনীয়তা

  • আপনার মস্তিষ্ক শান্ত রাখার জন্য চকলেট খেতে পারেন। চকলেট মস্তিষ্কে ভালোলাগার হরমোন ছেড়ে ট্রেনিং উৎপন্ন করে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত এই হরমোন মস্তিষ্কে উৎপন্ন হবে ততক্ষণই আপনার ভালো লাগার মাত্রা থাকবে তাই দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকবে এই ছেলে মানুষের কাজটি করুন সামান্য চকলেট খান।
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে ঘাড়ে গলা এবং মাথায় ব্যথা শুরু করে তাই দুশ্চিন্তার বিষ ঝেড়ে ফেলতে নিজেকে দিন মাত্র ৫ মিনিটের মেসেজ ঘাড় মাতা মাথা কাঁধে নিজের হাতে ম্যাসাজ করে নিন এতে করে আপনার মস্তিষ্ক শান্ত হয়ে যাবে।
  • মিষ্টি ধরনের ঘ্রাণ বা সুঘ্রাণ মানুষের মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে বেশ কার্যকরী। যখনই মনে করবেন আপনি দুশ্চিন্তা করছেন তখনই আপনার পছন্দের কোনো মিষ্টি সুভাষ নিয়ে দেখুন দেখবেন মাত্র ৫ মিনিটেই দূর হবে আপনার দুশ্চিন্তা এবং মস্তিষ্ক হবে শান্ত।
  • মস্তিষ্ক শান্ত রাখার জন্য দুশ্চিন্তার আভাসাসা মাত্রই কোন বন্ধুর সাথে কথা বলুন। ফোন করে কথা বলতে পারেন অথবা সামাজিক কোন যোগাযোগের মাধ্যমে সেরে নিতে পারেন কথা মজার কারণ মাত্র ৫ মিনিটেই দেখবেন দুশ্চিন্তা দূর হয়ে গেছে এই কথা বলার মাধ্যমেই।
  • তাৎক্ষণিকভাবে মন থেকে দুশ্চিন্তা দূর করার প্রধান উপকরণ হচ্ছে হাসি। হাসি মানুষের মনের দুশ্চিন্তা লুকাতে সময় নেই মাত্র এক মিনিট তাই চিন্তার রেখা কপালে পড়তে বাধা দেওয়ার জন্য হাসন মন খুলে। যখনই দুশ্চিন্তা মনের কোণে ভর করা শুরু করবে পুরনো কোন হাসির স্মৃতি মনে করে হাসুন অথবা দেখুন কোন হাসির ভিডিও দেখবেন মাত্র ৫ মিনিটে মস্তিষ্কের শান্ত হয়ে যাবে।
  • আমেরিকার পেন্সিলভিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে করা এক সমীক্ষায় জানায়, সপ্তাহে অন্তত একদিন হেরিন কমোলিয়াও বা সামান্য ফিস খেলে মানুষের আইকিউ বেড়ে যায় শতকরা পাঁচ ভাগ তাছাড়া আখরোট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সেজন্য মস্তিষ্ক শান্ত রাখার জন্য আপনি সপ্তাহে একদিন মাছ খেতে পারেন।
  • আনুমানিক ২০০ মিলিগ্রাম কফি পান করলে মস্তিষ্ক সচল থাকে তবে কিন্তু এর চেয়ে কম নয় বেশিও নয়।
  • দিনে এক চা চামচ হলুদ যে কোন সংক্রমণ থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। সাধারণত মানুষ এবং শেয়ার রোগের সরল শক্তি কেউ সবল করতে সহযোগিতা করে হলুদ।
  • প্রতিদিন তিন টেবিল চামচ সাত পাতা খেলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে। শিকাগোর এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 
  • প্রতিদিন একই নিয়মে না চলে মাঝেমধ্যে একটু এদিক সেদিক করতে পারেন। হঠাৎ করে একদিন অন্য চাপা কফি পান করলেন কিংবা ডান হাতের বদলে বাঁ হাত দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলেন অর্থাৎ একটু অনিয়ম করলেন এতে করে মস্তিষ্ক সজাগ থাকে।

উপসংহারঃ মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় - মস্তিষ্ক শান্ত রাখার ২০ টি উপায়

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সবাই তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের অধিকারী হতে চাই এজন্য তাকে মস্তিষ্ক ব্যবহার তথা দীর্ঘমেয়াদি সক্রিয় রাখতে হয়। তবে নতুন গবেষণা বলছে মস্তিষ্কের সহক্রিত আয়ু কমিয়ে দিতে পারে এক্ষেত্রে চিন্তা অনেক বড় প্রভাব ফেলে।

আরো পড়ুনঃ নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ কি - নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক অর্থ কি

 মেডিকেল জার্নাল নেচারে প্রকাশিত একটি গবেষণায় হাভার মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা বলেছেন কম স্নায়বিকলাপের শান্ত মস্তিষ্ক মানুষকে দীর্ঘায়ু দান করতে পারে। সেজন্য আপনার মস্তিষ্ক শান্ত রাখার জন্য আপনাকে সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে। 

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি নিশ্চয়ই আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় সম্পর্কে। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এটা থেকে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার ক্রুন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url