জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবে - জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টি

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, তোমরা যারা আজকে জানতে চেয়েছ জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবে - জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টি তবে আজকের আর্টিকেলটি তোমাদের জন্য। আজকে আমাদের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবে - জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টি সে সম্পর্কে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবে - জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টি।

জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবে - জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টি

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ ও জাতীয় জনসংখ্যা দিবস বিভিন্ন অনুষ্ঠিত তার মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়। আপনারা জাতীয় জনসংখ্যা দিবস পালন করে থাকলেও অনেকেই হয়তো জানেন না জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবে - জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টি। সেজন্য চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবে - জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টি।

পেইজ সূচিপত্রঃ জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবে - জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টি

ভূমিকাঃ 

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আছে। তবে বর্তমানে এই খাত লক্ষ্য অর্জনে অনেকখানি পিছিয়ে পড়েছে জনসংখ্যার চাপ দিন দিনটি বিরহ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন জনসংখ্যা নীতি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছে বাংলাদেশ। এক গবেষণায় দেখা গেছে সর্বশেষ জনসংখ্যা নীতি হয়েছিল ২০১২ সালে। তাতে ২০১৫ সালের মধ্যে কিছু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা বলা হয়েছিল কিন্তু তা হয়্নি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের কথা কয়েক দশক ধরে বলা হলেও কোন সমন্বয় নেই সুপারিশে তিনি বলেন মাধ্যমিক বাধ্যতামূলক করলে বাল্যবিবাহ কমবে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ব্রেস্টে ঝুলে যাওয়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউটের গবেষণায় উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় গর্ভধারণ হয় এর মধ্যে ৪৮ শতাংশ গর্ভধারণ অনিচ্ছাকৃত। অনেক প্রয়োজনের সময় জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী পান না দেশে মোট প্রজনন হার(টিএফার) অনেকটা স্থির হয়ে আছে কমছে না। জন্মনিয়ন্ত্রণের সামগ্রীর ব্যবহার স্থির হয়ে আছে বাড়ছে না।

জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবেঃ

জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। জাতীয় জনসংখ্যা দিবস প্রথম পালিত হয় ১৯৮৭ সালে তখন বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৫০০ কোটি। পরবর্তী বছরে ১৯৮৮ সালে ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন ফাউন্ড (ইউএনএফপিএ) এর সভায় প্রতিবছর ১১ জুলাই দিবস টি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়।

এরপরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সুপারিশ ক্রমে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর ১১ জুলাই কে জাতীয় জনসংখ্যা দিবস হিসেবে গ্রহণ করে মূল্য তো একটি হলো জাতীয় জনসংখ্যা দিবস। বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয় ২রা ফেব্রুয়ারি। এতক্ষণে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কোনটি সে সম্পর্কে।

জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টিঃ

জাতীয় জনসংখ্যা নীতি মূলত ছয়টি। জনসংখ্যা নীতিতে ছয়টি সুস্পষ্ট লক্ষ্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয় জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয়। এ নীতিতে গর্ভধারণ রোধ মাত্রকালীন স্বাস্থ্য ও সমাধানের পাশাপাশি স্বেচ্ছামূলক অভিযোগ কোন সিদ্ধান্ত সহ গর্ভধারণের হার হার করার মতো ক্ষেত্রে সরকারের অঙ্গীকার গুলোকে প্রতিফলিত করে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি ২০০০ সালের জাতীয় জনসংখ্যা নীতি অনুসারে পরিচালিত হয় সর্বশেষ নীতি অনুসারে জাতীয় জনসংখ্যা প্রণয়ন করা হয়।

জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কাকে বলেঃ

জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কাকে বলে সে সম্পর্কে অনেকের মতামত রয়েছে। সাধারণত একটি দেশের জনসংখ্যা বিষয়ে জাতীয় স্তরের পরিকল্পনা নির্ধারণ করার জন্য যে দিক নির্দেশনা হয় তাকেই মূলত জনসংখ্যা নীতি বলে। এই নীতির উদ্দেশ্য হলো জাতীয় স্তরের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে দেশের সকল নাগরিকের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং জনসংখ্যা নীতি বলতে বোঝায় রাষ্ট্রের দ্বারা গ্রহীত আইনের নীতি যা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত হয়।

আরো পড়ুনঃ আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়

এক কথায় দেশের সরকার দ্বারা গ্রহীত আইন যার মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিষয় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হয় তাকে জনসংখ্যা নীতি বলে।

জাতীয় জনসংখ্যা নীতির স্লোগান কিঃ

আমরা অনেকেই হয়তো জানি না জাতীয় জনসংখ্যার নীতি স্লোগান কি। আপনি কি জানেন জাতীয় জনসংখ্যা নীতির স্লোগান কি। জাতীয় জনসংখ্যা নীতির শ্লোগান হলো-" ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট" স্লোগান আশির দশকের ২০০৪ সালের জনসংখ্যা দিবসের দুটি সন্তানের বেশি নয় একটি হলে ভালো হয় এই শ্লোগানটি ব্যবহার করা হয়। ২০১২ সালে জাতীয় জনসংখ্যা নীতিতে জোরদারের কথা বলা হয় সরকার এ সময় এক সন্তান নীতি গ্রহণ করা যায় কিনা সেই চিন্তা করেছিল। বর্তমান সরকারের অনেকে জনসংখ্যা কে দেশের জন্য বড় সমস্যা মনে করেন না গত বছর অক্টোবরের স্লোগান পরিবর্তনের একটি জারি করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।" ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট"।

জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কবে প্রণীত হয়ঃ

জাতীয় জনসংখ্যা নীতি প্রণীত হয় ১৯৭৬ সালে। জনসংখ্যা নীতিতে দেশের মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো নারী পুরুষের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা এবং সমতা না প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতা মুখী ও নগর স্বাস্থ্য সেবা বিস্মিত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা খাতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাদকে আকৃষ্ট করা, জনসংখ্যার সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং পাশাপাশনিক ও আর্থিক ক্ষমতার বিবেক কেন্দ্রের করনের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এক কথায় আমরা বলতে চাই যে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি প্রণীত হয় ১৯৭৬ সালে। নিশ্চয়ই আপনার বুঝতে পেরেছেন জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কবে প্রণীত হয়েছে সেটা সম্পর্কে।

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কিঃ

আমরা অনেকেই জানিনা বিশ্বের জনসংখ্যা দিবস মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি। তাই আজকে আমাদের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো বিশ্বের জনসংখ্যা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় সম্পর্কে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো-( অধিকার ও পছন্দই মূল কথা প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার প্রাধান্য পেলে কাঙ্ক্ষিত জন্ম হারে সমাধান মিলে )।

অধিকন্ত বৈশ্বিক জন্ম ও ঋত্বিক পরিবর্তন অপরিবর্তন থাকলেও একটি দেশের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা কর্মবন্ধমান থাকতে পারে পপুলেশন মোমেন্টাম প্রভাবে সংগ্রহ প্রজনন হার হাস পেলেও বাড়ন্ত জনগোষ্ঠীর প্রজনন কাল বয়সের কারণে। জাতিসংঘ সব মানুষের প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার অগ্রাধিকারের তাগিদ দিয়েছে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আপনি বিশ্বে জনসংখ্যা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় সম্পর্কে। আপনারা যদি আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি।

আরো পড়ুনঃ পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম

উপসংহারঃ জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কবে - জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টি

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আপনারা জাতীয় জনসংখ্যা দিবস কব- জাতীয় জনসংখ্যা নীতি কয়টি এটা সম্পর্কে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আনুষ্ঠানিকভাবে জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিবস দশরা ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় সারা দেশে এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যে দিয়ে জাতীয় জনসংখ্যা দিবস পালন করে থাকে।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং আজকের পোষ্টের মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url