ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর ১৫ টি উপায়

ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হয়ার ২০ টি উপায়

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকে আপনাদের জানাবো ঘরোয়া উপায় ওজন কমানোর ১৫ টি উপায় সম্পর্কে। মেদ কমানো আসলে খুব কঠিন কাজ নয় একটু ইচ্ছে আর সামান্য ধৈর্য থাকলে তা সম্ভব। সেজন্য আজকে আমাদের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো ঘরোয়া উপায় ওজন কমানোর ১৫টি উপায়। জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে।

আজকাল ওজন কমানো আসলেই খুব কঠিন একটি কাজ নয়। একটু ইচ্ছে আর সামান্য ধৈর্য থাকলেই আপনি ওজন কমাতে পারবেন সহজেই। আর তা যদি হয় ঘরোয়া উপায়ে তাহলে তো আর কথাই নেই। চলুন আজকে আমরা নিম্নে জেনে নেই ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর ১৫টি উপায়।

পেইজ সূচিপত্রঃ ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর ১৫টি উপায়

• ভূমিকা
• ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর উপায়
• উপসংহার

ভূমিকাঃ

অতিরিক্ত ওজন কারো কাম্য নয় অনেকেই আছেন যারা ওজন কমানোর জন্য অনেক টাকা খরচ করেও নিজেদের ফিট রাখতে পারছেন না। অনেকেরই আবার নির্দিষ্ট কোন চাকর এর জন্য ওজন কমানো দরকার পড়ে। কিছু চাকরিতে পদোন্নতির জন্য কর্মীর ওজন জরুরী বিষয় হিসেবে দেখা দেয় অনেক সময় বিশেষ অজ্রপাচার আগে জরুরী রোগের ওজন কমানোর দরকার পড়ে।

নিজেকে পুরোপুরি সুস্থ রেখে সাধারণত মাসে ৪-৫ কেজি ওজন কমানো যায় তবে কারো যদি জরুরি কারণে এক মাসের ৭ কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজন কমানোর দরকার পরে তবে অবশ্যই পরিকল্পনা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমাতে হবে। এক মাসের ৭ কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজন কমানোর জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী হয়ে পড়ে।

এই পদক্ষেপের মধ্যে শুধু খাবার নিয়ন্ত্রণে নয় পুরো জীবন যাপনকেই একটা অভ্যাসের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে তাহলে কম সময়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মিলবে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর ১৫টি উপায়। 

আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হওয়ার ২০ টি উপায় 

ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর উপায়ঃ

ওজন কমানো খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আপনি যদি আপনার শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তবে একটু ধৈর্য আর পর্যাপ্ত মনোবল থাকলেই হবে। আপনারা আপনাদের অতিরিক্ত ওজন ঘরোয়া উপায়েই কমিয়ে নিতে পারেন। আজকে আমাদের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর ১৫ টি উপায়। চলুন নিম্নে জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া উপায় ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে।

খাবার আগে পানি খানঃ

আপনি যখন খাবার খেতে যাবেন তখন খাবার খাওয়ার আগে সব সময় একগ্লাস পানি পান করবেন। এছাড়া জাঙ্ক ফুড একেবারে খাবেন না যেমন ক্রিম বিস্কুট বার্গার ইত্যাদি। যতটা সম্ভব পারবেন আপনি আপনার বাড়ির খাবার খাবার চেষ্টা করুন এতে আপনার শরীর ও ভালো থাকবে এবং আপনার অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

খিদে পেলে পপকন খানঃ

আপনি শুধু অবসর সময়ে পিপপকন খাবেন কেন অথবা সিনেমা হলে গেলেই কি পপকন খাবেন না যখনই খিদে পাবে তখনই পপকন খেতে পারেন। এটি কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার তাই আপনার শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হওয়ার ঝুঁকি কম।

ছোট প্লেটে খানঃ

আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে আপনার খাবার প্লেট বদলে ফেলুন। আপনি বর্তমান সময়ে যে প্লেটে খাবার খান তার থেকে ছোট প্লেটে খান। এতে খাবার সময় আপনার মনে হবে আপনি বেশি খেয়ে ফেলেছেন তাই কম খাবার খেতে শুরু করবেন এবং অল্প কিছুদিন এই আপনার ওজন কমে যাবে।

জগিং করুনঃ

আপনার বাইরে দৌড়াতে যাওয়ার কোন দরকার নেই জগিং করার জন্য। আপনি যদি চান তবে আপনার ঘরের মধ্যেই জগিং করতে পারেন। এতে করে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

আস্তে আস্তে খানঃ

আপনি যখন খাবার খাবেন তখন জলদি জলদি না খেয়ে আস্তে আস্তে খান এতে করে আপনার পেট ঠিকভাবে ভরবে যদি খুব বেশি তাড়াহুড়ো করে খান তাহলে প্রয়োজন থেকে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলতে পারেন এতে করে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি যদি আস্তে আস্তে খান তবে কিছুদিনের মধ্যে আপনার ওজন কমে যাবে।

দিনে ঘুম বাদ দিনঃ

একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন রাতে আট ঘণ্টা ঘুমানো খুবই দরকার। কিন্তু কখনোই দিনের বেলায় ঘুমাবেন না। এতে করে আপনি অতিরিক্ত মোটা হয়ে যেতে পারেন।

ঘর মুছুনঃ

আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত বৃদ্ধি হয়ে যায় তবে আপনি আপনার বাড়ির কাজ করুন যেমন ঘর মুছলে সবচেয়ে থেকে বেশি ক্যালোরি নষ্ট করা যায় এভাবে ৪২ শতাংশ ক্যালোরি নষ্ট করা সম্ভব। আপনার ওজন যদি কমাতে চান তবে আপনি নিয়মিত আপনার ঘর এর কাজ করুন।

তাড়াতাড়ি রাতের খাবার শেষ করুনঃ

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনি আপনার রাতের খাবার খেয়ে নিন। কারণ রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লে মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর আপনি রাতে যত তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন তত আপনার শরীর মোটা হতে থাকবে অন্য রাতে খাবার পরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে তারপরে ঘুমাতে যান অথবা রাতে যদি খিদে পায় আপনার তখন এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন আপনি।

ফোনে ঘুরে কথা বলুনঃ

আপনি যখন ফোনে কথা বলবেন তখন একটা জায়গায় বসে কখনোই কথা বলবেন না। কথা বলার সময় আপনি ঘুরে ঘুরে কথা বলুন এইভাবে আপনি ১০ মিনিটে ৩৬ শতাংশ ক্যালোরি নষ্ট করতে পারবেন। সেজন্য আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তবে ফোনে ঘুরে ঘুরে কথা বলুন।

পানি পান করুনঃ

আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন কারণ পানি পানের কারণে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে আপনার আপনার শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

চিনি কে না বলুনঃ

চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন এক চা চামচের মোট ১৬ শতাংশ ক্যালোরি থাকে চিনিতে তাই বা দুধে কখনোই চিনি দিয়ে খাবেন না এতে করে আপনার ওজন বৃদ্ধি হয়ে যেতে পারে।

গ্রিন টি খানঃ

আপনি যদি আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তবে প্রতিদিন চার কাপ ক্রিমটি পান করলে প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত চারশ ক্যালোরি পর্যন্ত ক্ষয় করা সম্ভব। গ্রিনটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এটি আমাদের দেহে ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তবে প্রতিদিন গ্রিন টি অবশ্যই পান করুন।

নাচঃ

আপনি যদি নাচতে নাও জানেন তবে গানের সঙ্গে পায়ে তাল মিলান। এভাবে ১০ মিনিট ধরে তাল মিলিয়ে দেখুন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫৮ শতাংশ ক্যালরি ঝরাতে পারবে। আপনি যদি নিয়মিত এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তবে দেখবেন আপনার ওজন তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

আরো পড়ুনঃ লাউ খাওয়ার উপকারিতা  অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ

মসলাদার খাবার ঃ

শুধু সেদ্ধ খাবার কখনোই খাবেন না মসলা যেমন হলুদ ধনে জিরা গুঁড়ায় মসলাগুলোকে কখনো খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেবেন না কারণ এ মসলায় আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। আবার মাত্র অতিরিক্ত যদি খান তবে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করবে।

ওজন কমানোর জন্য তালিকা তৈরি করুনঃ

আপনি যেদিন থেকে ওজন কমানোর কথা ভাববেন সেদিন থেকেই প্রথমে কি কি খাবেন এবং কখন খাবেন তার একটি তালিকা বানিয়ে নিন। এতে করে আপনি যদি তালিকা অনুযায়ী সব কাজ করেন এবং আপনার খাবার খান তবে দেখবেন দ্রুত আপনার ওজন কমে যাবে।

রঙিন সালাদঃ

খাদ্য তালিকায় রাখুন বিভিন্ন রঙের সবজি বা ফল দিয়ে তৈরি সালাত এ সালাতের সঙ্গে টক দই মেশাতে পারেন এতে উপকার পাবেন।

অতিরিক্ত খাবার পরিহার করুনঃ

আপনার জন্য যেটুক খাবার প্রয়োজন ঠিক ওই পরিমাণে খাবার খান নিজের শরীরের চাহিদা তুলনায় অতিরিক্ত খাবার খেলে আপনার ওজন বাড়বেই। তাই এক মাসে ৭ কেজি ওজন বা তার বেশি ওজন কমাতে চাইলে অতিরিক্ত খাবার সম্পূর্ণভাবে পরিহার করুন।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা পরিহার করুনঃ

জেনে অবাক হতে পারেন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে মানুষ বেশি খায়। ফলে মোটা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় তাই নিজেকে ফিট রাখতে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা পরিহার পরিহার করুন।

সুষম খাবার গ্রহণঃ

ওজন কমানোর অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে। বেশি পরিমাণে ফলমূল শাকসবজি ইত্যাদি হওয়ার চেষ্টা করুন। চর্বি-বা চর্বি জাতীয় খাবার পুরোপুরি বাদ দিন বাইরের তেলে ভাজা খাবার খাদ্য তালিকা থেকে একেবারেই বাদ দিতে হবে। ফাস্টফুড যথাসম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। দুইবেলার মধ্যবর্তী সময়ে খিদে পেলে পপকরন ফল বা ফলের জুস খেতে পারেন।

উপসংহারঃ ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর ১৫ টি উপায়

পরিশেষে বলতে চাই যে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন বৃদ্ধি পায় এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা বিশেষ করে চিনি এবং অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার। যখন আপনি ওজন কমাতে চাইবেন তখন আপনার খোদার মাত্রা নিচে নামিয়ে আনুন আপনার শরীর জমে থাকা চর্বি কমাতে কাজ করুন চর্বি কমানোর জন্য ভালো উপায় হল পানি পান করা বিশেষ করে হালকা গরম পানি বেশি করে পানি খাওয়ার ফলে আপনার কিডনি ভালো থাকবে এবং পেট মোটা হওয়া কমাবে। দুপুরের খাবারের পর খেতে পারেন টক দই।

আরো পড়ুনঃ রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যায় - জেনে নিন ১৫ টি পত্রিকার

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।