মেথি খাওয়ার নিয়ম - মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকে তোমাদের জানাবো মেথি খাওয়ার নিয়ম - মেথি হওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। ওজন কমাতে শরীরের বাড়তি মেজ ঝরাতে ঘাটের ব্যথা কম করতে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও দারুন সাহায্য করে মেথি। আমাদের মধ্যে অনেকেই জানিনা মেথি খাওয়ার নিয়ম - মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। সেজন্য আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো মেথি খাওয়ার নিয়ম - মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
ডায়াবেটিস বা চুল পড়ার সাহায্য কমাতেও ভরসা রাখতে পারেন মেথি ভেজানো জলে। মেথির
জল স্বাস্থ্যকর হলেও মেথি কিন্তু অনেকের জন্যই উপকারী নয়। কারণ কারো ক্ষেত্রে
মেথি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য মেথি খাওয়ার আগে আমরা জেনে নেই মেথি
খাওয়ার নিয়ম - মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
পেইজ সূচিপত্রঃ মেথি খাওয়ার নিয়ম - মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ভূমিকা
- মেথি কি
- মেথি খাওয়ার নিয়ম
- মেথি খাওয়ার উপকারিতা
- মেথি খাওয়ার অপকারিতা
- মেথির পুষ্টি উপাদান
- উপসংহার
ভূমিকাঃ
মেথির বীজ খুব ছোট কিন্তু এই ছোট্ট বীজের মধ্যে লুকিয়ে আছে গুণের ভান্ডার। মেথির
উপকারিতা জানতে হলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। নানা রকম
সবজি রান্না থেকে শুরু করে পরোটা পর্যন্ত প্রায় সব কিছুতেই মেথি ব্যবহার করা
যায়। এটি খেতে সুস্বাদু না হলেও আয়ুর্বেদের দৃষ্টিকোণ থেকে এর অনেক উপকারিতা ও
অপকারিতা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ পুঁই শাক খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে
এটি ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে আমাদের আবার কেউ যদি
অসুস্থ হয় তবে মেথি সুস্থ হতে সাহায্য করে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা
মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং মেথি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন
নিম্নে জেনে নেওয়া যাক মেথি খাওয়ার নিয়ম - মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে।
মেথি কিঃ
মেথি এমন এক ধরনের খাদ্য উপাদান যা খাবারে নানাভাবে ব্যবহার করা যায় এবং আমরা
মেথিকে নানাভাবে খেয়ে থাকি। মেথির সবুজ পাতা শাক হিসেবে আমরা খেয়ে থাকি
পাশাপাশি খাবার তৈরি সময়ের দানাও ব্যবহার করা হয় এটি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল
দক্ষিণ ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়।
মেথিকে আমরা নানাভাবে চিনি। হিন্দি গুজরাটি মারাঠি বাংলা এবং পাঞ্জাবি ভাষায় বলা হলেও সংস্কৃতিতে মেথিকা নামে পরিচিত। এটি কন্নড় ভাষায় মেনটিয়া, তেলেগুতে মেন্টুল, তামিলে ভেন্ডা আম, মালয়ালম ভাষায় ভেন্তিয়াম ইংরেজিতে ফেনুগৃক এবং ল্যাটিন ভাষায় ট্রিগোনেলা ফোয়েনাম গ্রিকাম পরিচিত।
মেথি খাওয়ার নিয়মঃ
এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি নিন। এবার তাতে এক চা চামচ মেখে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত।
আবার সকালে খালি পেটে শুধু মেথি ও চিবিয়ে খেতে পারেন এতেও মিলবে উপকার। তাইলে
মেথি ভে যেন পানির সঙ্গে লেবুর রস মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন পাশাপাশি রুটি
পরোটা ঝোল তরকারি সালাত এবং মাছের ব্যবহার করতে পারেন মেথি। এতেও
উপকৃত হবেন।
আরো পড়ুনঃ পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ
মেথির উপকারিতাঃ
চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক মেথির উপকারিতা সম্পর্কে-
ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতেঃ
আপনি কি ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তবে আপনার খাদ্য তালিকায় আপনি প্রতিদিন মেথি রাখুন। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার ও পানি এর প্রতি বিশেষ নজর দিতে হয় এই ধরনের লোকেরা তাদের খাদ্য তালিকায় মেথির বীজ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন এটি নিশ্চিত করে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় করা হয়েছিল যা অনুসারে মেথির বীজ খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এছাড়াও মেথি ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন প্রতিরোধে ক্ষমতা কমাতেও কাজ করতে পারে। অন্যদিকে একটি গবেষণা অনুসারে ডায়াবেটিসের উপর এর উপকারিতা প্রভাব এটিতে উপস্থিত হাইপ্রো গ্লাইসেমিক প্রভাবের কারণে হতে পারে। মেথি রক্তে সুগারের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে তাই যাদের রক্তের শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক রয়েছে তাদের এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেঃ
আপনি যদি বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন তবে এতি মোকাবিলা করার জন্য মেথি একটি প্যনোসিয়া রেসিপি। যা বহু বছর আগ থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় এর উপকারী উপাদান জয়েন্ট গুলোতে প্রদাহ কমিয়ে বাতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে মেথির উপকারী উপাদান জয়েন্ট গুলোতে প্রদাহ কমিয়ে বাতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। আয়রন ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস ও প্রচুর পরিমাণে মেথিতে পাওয়া যায় তাই মেথির ঔষধি গুন হার এবং জয়েন্ট গুলিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে যার কারণে হাড় সুস্থ ও মজবুত থাকে।
কোলেস্টেরল কমাতেঃ
শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে এমন পরিস্থিতিতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে মেথি ব্যবহার একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। আপনি যদি অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের বুকে থাকেন তবে নিয়মিত মেথি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন দেখবেন মেথির ভিজে নারিন জেনিক নামক একটি প্লাবনের থাকে।
এতে লিপিএড এর মাত্রা কমাতে কাজ করতে পারে এছাড়াও এটিতে আন্টি এক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার কারণে রোগীর উচ্চ কোলেস্ট্রল হ্রাস করা যেতে পারে তাই কোলেস্টেরল কমাতে মেথি বীজ উপকারী হতে পারে আপনার।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ
ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ, আপনি যদি ক্যান্সারে ভুগে থাকেন তবে মেথির বীজের
উপকারিতা অপরিসীম। তাই এই সমস্যা এড়িয়ে চলাই ভালো এজন্য আপনি নিয়মিত খেতে
পারেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে চিকিৎসকরা গবেষণা অনুসারে মেথিতে ক্যান্সার
প্রতিরোধে প্রভাব পাওয়া যায় যা ক্যান্সারের সমস্যা কে দূরে রাখতে সাহায্য
করে।
আপনারা যদি কেউ ক্যান্সারে ভুগে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে ডাক্তারের চিকিৎসা করানো উচিত এবং নিয়মিত মেথি খেতে পারেন এতে করে আপনার ক্যান্সার প্রতিরোধ হবে।
হার্টের জন্যঃ
আপনি যদি হার্টের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে আপনি নিয়মিত মেয়েটি খেতে পারেন। যারা
নিয়মিত মেথি খান তারা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারেন এবং এটাক হলেও
প্রাণঘাতিক পরিস্থিতি এড়ানো যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে হার্ট অ্যাটাক
মৃত্যুর পিছনে একটি বড় কারণ হৃদপিন্ডের ধমনীতে ব্লকেজ থাকলে এমনটা হয়।
অক্সিডেটিভ স্টোরস তৈরি হতে বাধা দিতে কাজ করতে পারে হার্ট অ্যাটাকের সময় অক্সিডেন্ট ট্রেসের অবস্থা কমাতে মারাত্মক প্রমাণ করতে পারে। এছাড়াও মেথির বীজ শরীরের রক্ত প্রবাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে ধমনীতে কোন বাধা তৈরি হতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে হার্টকে সুস্থ রাখাও মেথির বিষ খাওয়ার উপকারিতা অন্তর্ভক্ত।
মায়েদের বুকের দুধ বাড়াতেঃ
নবজাতকের জন্য মায়ের দুধের চেয়ে ভালো কিছু নেই। এক্ষেত্রে একজন স্তন্যদানকারী মহিলা মেথি বা মেথি বীজ থেকে তৈরি ভেষজ চা খেতে পারেন। মেথি খাওয়া যেতে পারে বুকের দুধের গুণমান এবং পরিমাণ বাড়াতে। আপাতত এ বিষয়ে আরো গবেষণা করা প্রয়োজন মেথি কিভাবে এই ক্ষেত্রে কাজ করে সেজন্য। আপনি যদি বাচ্চাকে পরিমাণ মতো দুধ খাওয়াতে চান এবং আপনার বুকের দুধ বাড়াতে চান তবে আপনি নিয়মিত মেথি খান।
ফোলা ভাব কমাতেঃ
ছোলা ভাব সমস্যা দূর করতে বীজ খুবই উপকারী। প্রকৃতপক্ষে মেথি জেলিক এবং লেনোলিক এসিড পাওয়া যায় বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রদাহ উপশম করতে কাজ করতে পারে। এবং আপনার শরীরে ফোলা ভাব কমাতে পারে। মেথি বীজের উপকারিতার মধ্যে প্রদাহ দূর করাও অন্তর্ভুক্ত।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ
উচ্চ রক্তচাপ হার্টের সমস্যা সহ বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে সমস্যা কমাতে
সাহায্য করতে পারে। মেথির ঔষধি গুন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে মেথিতে এন্টি হাইপারটেনসিভ প্রভাব পাওয়া যায় যা
রক্তচাপের সমস্যা কমাতে কাজ করতে পারে।
চুলের জন্যঃ
মেথি ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয় একটি চিকিৎসায় গবেষণা অনুসারে পৃথিবী যে
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা চুলার জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। মেথি চুলে
টাক পড়া চুল পাতলা হওয়া এবং চুল পড়া নিরাময়ের সাহায্য করতে পারে এছাড়াও
মেথিতে লেসিথিন পাওয়া যায় যা চুলকে ময়েশ্চারাইজ করার পাশাপাশি প্রকৃত মজবুত
কারী হিসেবে কাজ করতে পারে।
এটি খুশকি কেউ দূরে রাখতে পারে এমন অবস্থায় চুল মেথির গুড়ের উপকারিতা দেখা যায়।
স্বাস্থ্যকর কিডনির জন্যঃ
মেথি কিডনির জন্য বেশ উপকারী। আপনারা ডায়েট মেথি অন্তর্ভুক্ত করা কিডনির
কার্যকারিতা উন্নত করতে পারেন। মেথির বীজে পলিফ্যানালি ক্লাব-নয়েড পাওয়া যায়
জাকির নিকে ভালোভাবে কাজ কাজ করতে সাহায্য করে।
তাছাড়া এটি কিডনির চারপাশে একটি প্রতিরক্ষামূলক ঢাল তৈরি করে যাতে এর কোষগুলিকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করা যায়।
ত্বকের জন্যঃ
মেথি ত্বকের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হতে পারে। মেথিতে এন্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি রিংকেল, বয়সচারাইজিং এবং ত্বক-মসৃণ করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাই ত্বকে মেথির উপকারিতা দেখা যায়।
মেথির অপকারিতাঃ
এবারে আমরা জানবো কিভাবে মেথি খাওয়ার ক্ষতিকর হতে পারে অর্থাৎ মেথির কিছু অপকারিতা সম্পর্কে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে মেথির বীজ স্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার। আপনার খাদ্য তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকতে পারে কিন্তু অনেক সুবিধার সাথে এর অসুবিধা রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার অনেক সমস্যা হতে পারে এখানে আমরা মেথির ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত বলছি।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন বি এর উপকারিতা - ভিটামিন বি জাতীয় খাবার
এলাচিঃ
কিছু লোকেরা মেয়েদের বিষ খেলে এলার্জি হতে পারে এই এলার্জি মুখের উপর ফল হিসেবে দেখা যায় সে সঙ্গে কারো কারো শরীরে ফুসকুড়ি হতে পারে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও হতে পারে আপনার আবার কেউ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন ।এছাড়া মেয়েটি খাওয়ার পর অনেকেই বুকে ব্যথার অভিযোগ জানান।
এটির প্রভাবে গরম তাই কিছু লোক পাইলস থেকে আসে এবং এমনকি অভিযোগ করে এ ছাড়া কেউ যদি কোন রোগের জন্য ওষুধ খায় তবে তাকে অবশ্যই মেথির বীজ খাওয়ার আগে তার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে খেতে হবে।
শিশুদের জন্য ক্ষতিকরঃ
মেথির বিচি সুদের জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয় না আমরা আগেই বলেছি যে এটি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। পাশাপাশি এর ভীষণ যা পান করা শিশুদের জন্য ভালো নাই কারণ এটি তাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা কে প্রভাবিত করতে পারে। সেজন্য আপনার শিশুদের মেথি খাওয়া থেকে বিরত রাখুন।
জরায়ুর সংকোচনঃ
এই প্রতিবেদনে আগে উল্লেখ করা হয়েছে মেথি ভিজে একটি উষ্ণতা প্রভাব আছে। গর্ভবতী
মহিলা যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করেন তবে সংকোচন এর মত সমস্যার সম্মুখীন
হতে হবে আপনাকে। যা জরায়ু সংকোচন ঘটায় তাই গর্ভবতী মহিলাদের শুধুমাত্র
ডাক্তারের পরামর্শ সেই মূর্তির বীজ খাওয়া উচিত না হলে নয়।
ডায়রিয়াঃ
যদিও মেথির বিষ পছন্দ তন্ত্রের জন্য ভালো তবে কখনো কখনো একটি ডায়রিয়ার কারণও হতে পারে। খুব বেশি মেথি খেলে পেট খারাপ এবং ডাইরেক হতে পারে স্তন্যপান করানো মহিলাদের যদি এটি খাওয়ার পর পেট খারাপ হয় তবে এটি শিশুর ডায়রাও হতে পারে। অতএব মেথি জাত খাওয়ার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে খান এবং এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে মেথি খাওয়া বন্ধ করুন।
মেথির পুষ্টি উপাদানঃ
ছোট্ট কিন্তু এই ক্ষুদ্র বীজের গুনাগুন রয়েছে অনেক। প্রায় সই আপনি সবজি তরকারির ডাল ইত্যাদির সাথে মেথি যোগ করে খেতে পারেন। বিভিন্ন খাবার ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় মেথি আমাদের দেশের শত শত বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় চিকিৎসা ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মেথিতে রয়েছে নিয়াসিন, পটাশিয়াম ,প্রোটিন ,ফাইবার ,ভিটামিন সি ,আয়রন ইত্যাদি। এতে ডাইস জেনিক নামক একটি যৌগ রয়েছে যা ইন্ট্রোজেন সেক্স হরমোন বাড়াতে কাজ করে। মেথি যৌন সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে মেথির যৌন জীবনকে রোমাঞ্চকর করে তোলে পাশাপাশি এটি যৌন ক্ষমতা বাড়ায়।
উপসংহারঃ মেথি খাওয়ার নিয়ম - মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমাদের আজকের আর্টিকেলে
মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে এর পাশাপাশি
মেথি ও ক্ষতির কারণ হতে পারে সে সম্পর্কেও আপনি এখানে তথ্য পেয়েছেন তাই দেরি না
করে চলুন এখনই আপনার দৈনন্দিন রুটিনে যোগ করুন মেথি মনে রাখবেন এগুলো পরিমিত এবং
নিয়মিত খেলে সুস্বাস্থ্য পাওয়া সম্ভব।
এ আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার উপকৃত হতে পারেন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন এবং এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url