ভিটামিন বি এর উপকারিতা - ভিটামিন বি জাতীয় খাবার

 প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,, আজকে আপনাদের জানাবো ভিটামিন বি এর উপকারিতা - ভিটামিন বি জাতীয় খাবার সম্পর্কে। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা ভিটামিন বি জাতীয় খাবার কোনগুলো অথবা ভিটামিন বি এর উপকারিতা কি। সেজন্য আজকে আমরা আমাদের পোস্টে ভিটামিন বি এর উপকারিতা - ভিটামিন বি জাতীয় খাবার সম্পর্কে আলোচনা করব। স্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রক্রিয়া এবং স্বাস্থ্যসহ শরীরের নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন বি এর উপকারিতা - ভিটামিন বি জাতীয় খাবার সম্পর্কে।
ভিটামিন বি এর উপকারিতা - ভিটামিন বি জাতীয় খাবার

আজকে রাতে গেলে আমরা আপনাদের জানাবো ভিটামিন বি এর কাজ সাধারণত কাদের ক্ষেত্রে এর অভাব হয়ে থাকে অভাবজনিত কি কি লক্ষণ দেখা দেয় তাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আলোচনা করব। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় শিশুর উপর ভিটামিন বি কি প্রভাব ফেলে তা জানতে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। নিম্নে আমরা জেনে নেই ভিটামিন বি এর উপকারিতা - ভিটামিন বি জাতীয় খাবার সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ ভিটামিন বি এর উপকারিতা - ভিটামিন বি জাতীয় খাবার

ভিটামিন বি এর উপকারিতাঃ

ভিটামিন বি আপনার শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্যের মাধ্যমে এই ভিটামিন প্রস্তাবিত পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। ভিটামিন বি পানিতে দ্রব্য নিয়েও ফলে আপনার শরীর সেগুলো সঞ্চয় করে না। এ কারণে আপনার খাদ্যে প্রতিদিন ভিটামিন বি সরবরাহ করা জরুরী সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ভিটামিন বি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন বি এর কাজ এনজাইম গুলোকে শরীরে বিভিন্ন অংশ সঠিকভাবে কাজে লাগানো যাতে আমাদের শরীর সচল এবং সুস্থ থাকে। আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিউট্রেশন এবং অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভিটামিন বি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন বি আমাদের লাভ সিস্টেমকে উন্নত করতে খুবই সাহায্য করে। তবে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ভিটামিন বি ৬ এর ভূমিকা সবথেকে বেশি। নিয়মিত ভিটামিন বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত বা নিউরোলজিক্যাল সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

ভিটামিন বি এর কাজ আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি সে খাদ্যগুলোকে শক্তি বা এনার্জিতে রূপান্তরিত করা, ঠিক একইভাবে ভিটামিন বি আমাদের সহায়তা করে কার্বনহাইডেট ফ্যাট এবং প্রোটিন জাতীয় খাদ্যকে আমাদের শক্তিতে রূপান্তরিত করতে। শুধু তাই নয় নিয়মিত ভিটামিন বি গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কর্মের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন করতে ভিটামিন বি এর প্রয়োজনীয়তা সবথেকে বেশি, তার মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যেরকম ভিটামিন বি ১২ বি ২ বিনয় এবং বি ৫ যা আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন করতে এবং নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এই লোহিত রক্তকণিকা আমাদের শরীরে প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনকে পৌঁছাতে বা যোগান দিতে সাহায্য করে।

ভিটামিন বি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ইমিউনিটি সিস্টেমকে উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ভিটামিন বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে আমাদের বিভিন্ন ইনফেকশন বা সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতা কমে যায় বিশেষ করে আমাদের মুখের ভেতরে যদি ইনফেকশন জাতীয় কোন সমস্যা হয় তাহলে ভিটামিন বি এর সহায়তা খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায়।

ভিটামিন বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে আমাদের ড্রাই জোস্টিভ সিস্টেম বা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় শুধু তাই নয় ভিটামিন বি পাস আমাদের কোন সিস্টেম ও কোষ্ঠকাঠিন্য হবার প্রবণতাকে কম করে ভিটামিন বি ১২ আমাদের লিভার বা যকৃতকে ভালো এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভিটামিন ভাবে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা কোনো রকম সমস্যা ছাড়া গর্ভে অবস্থিত সন্তানকে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি মায়েদের হজম শক্তি বা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে উন্নত করে এবং শরীরের বিভিন্ন বিষয়ে এবং পূরণ করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন বি এর অপকারিতাঃ

ভিটামিন বি জলের দ্রব্য যার ফলে আমরা যদি প্রয়োজনের থেকে বেশি ভিটামিন বি জাতীয় খাবার বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে তাহলে অপ্রয়োজনীয় অংশ রেজনের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে অত্যাধিক ভিটামিন বিগ্রহণে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে যেরকম বমি ভাব পেটে ব্যথা হাই ব্লাড পেশার সুগার আমাদের শরীরের ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া ইত্যাদ।

 শুধু তাই নয় অত্যাধিক ভিটামিন বি গ্রহণ করলে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র বা নার্ভ সিস্টেমের সমস্যা হয় যার ফলে মাথা যন্ত্রণা অত্যাধিক দুশ্চিন্তা আমাদের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া সম্পূর্ণ শরীর জ্বালাপোড়া করা ইত্যাদি।

ভিটামিন বি এর সাধারণ পুষ্টিঃ

ভিটামিন বি এ সাধারণ পুষ্টি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

প্যান্টোথেনিক এসিড, রাইবোফ্লাভিন, ও থায়ামিন, পুষ্টিকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে সহজ বিভাগ প্রক্রিয়া ভূমিকা পালন করে। থামিন খাদ্য উৎসর মধ্যে সূর্যমুখী বীজ এবং গম।

রাইটিং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। রাইবোফ্লোবিন খাবারের উৎসর মধ্যে রয়েছে গরুর মাংস এবং মাশরুম। প্যান্টোস্থেনিক অ্যাসিড হরমোন এবং কোলেস্টেরল উৎপাদনে ভূমিকা পালন করে। ইয়াসিন খাদ্য উৎসের মধ্যে মুরগির টোনা এবং মসুর ডাল। প্যান্টো থেকে এসিড হরমোন এবং কোলেস্টেরল উৎপাদনে ভূমিকা পালন করে।

প্যান্টোটিক এসিড খাবারের উৎস লিভার মাছ দই এবং অ্যাভোকাডো। স্কিন এমিনো এসিড বিপাক এবং লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন তৈরিতে জড়িত। স্কিন এমিন এসিড খাবারের মধ্যে রয়েছে ছোলা সেমন আলু।

বায়োটিক চর্বি বিপাকের জন্য অপরিহার্য। বায়োটিনের সেরা খাদ্য উৎস গুলির মধ্যে ডিম কেমন পানির এবং লিভার। ফুলেটকোষ বিভাজনের জন্য ফলেট প্রয়োজন। ফুলের খাদ্য উৎস গুলির মধ্যে শাক লিভার এবং মটরশুটি।

ভিটামিন বি জাতীয় খাবারঃ

ছোলাঃ

আমাদের দেহের জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার হল ছোলা এতে রয়েছে ভিটামিন বি এক ভিটামিন বি ২ ভিটামিন বি ৫ ভিটামিন যে পি ৬ এবং বি ৯ । এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সোলার তৈরি খাবার এবং বিভিন্ন খাবারের সাথে এটি মিশিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু।

কলাঃ

ভিটামিন বি জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে কলা হতে পরিচিত একটি ফল এবং ভিটামিন এর খুব ভালো উৎস। সহজেই পাওয়া যায় এবং দামও সস্তা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বি ৫ ওবি ৬ এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পানি ভিটামিন সি পটাশিয়াম এবং ফাইবার।

সূর্যমুখি বিচঃ

ভিটামিন বি খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সূর্যমুখী বিজ। দিয়ে তৈরি মাখন এর একটি অন্যতম উৎস। সূর্য মুখী ভিজে আছে-নিয়াসিন,  প্যান্টোথেক এসিড, পাইরিড স্কিন, ফোলেট

দইঃ

দই দিয়ে তৈরি পানি ও লাচ্ছি বি ২ এবং বি ১২ থাকে ছাড়া থাকে রিবোফ্লাভিন কোবালামিন। দইয়ের স্বাদ বৃদ্ধি বা ফ্রিজে রাখার আগে প্রতি তাপমাত্রায় ২ ৩ চামচ করে তিনি মেশানো হয় তাই খেয়াল রাখতে হবে বেশি বেশি ভিটামিন বি পাওয়ার আশায় যেন আবার ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে না যায়।

মাংসঃ

ভিটামিন বি জাতীয় খাবারের গরুর মাংস অনেক অবদান রাখে। ১০০ গ্রাম গরুর মাংসের দৈনন্দিন চাহিদার যে পরিমাণ ভিটামিন বি থাকে-থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন-৮ %, নিয়াসিন-৩৯ %, প্যান্টোঠেনিক অ্যাসিড -৬ %, পাইরিটি স্কিন -৩১ %, কোবালামিন-২৯ %।

মুরগির মাংসঃ

মুরগির মাংসের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বি তিন এবং বি ছয় থাকে দৈনন্দিন চাহিদার-রিবোফ্লোভিন-৭ %, ইয়াসিন - ৬৯ %,প্যান্ট টুথেনিক অ্যাসিড - ১০%, পায়রিডক্রিন - ৩০ %, কোবালামিন -৬ %

সবুজ শাকসবজিঃ

শেষ এবং সবুজ শাকসবজি আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে বিশেষ করে ফলেট। বিভিন্ন শাকসবজিতে প্রাপ্ত বি এর দৈনন্দিন চাহিদার পরিমাণ-শাকসবজি কাঁচা ৪১ %, শাক সবজি রান্না করা ৩১ %, লেটুস পাতা কাঁচা ২৯ %, শালগম রান্না করা ২৫ %, পাতাকপি কাঁচা ২০ %

ডিমঃ

 একটু বড় আকারের ৫০ গ্রাম রান্না করার ডিমের মধ্যে দৈনন্দিন চাহিদার ভিটামিন রয়েছে।

 মাছ মাংসের কলিজাঃ

মাছ-মুরগি গরু-ছাগল ইত্যাদি প্রাণীর কলিজাতে প্রচুর ভিটামিন থাকে উদাহরণস্বরূপ ১০০ গ্রাম গরুর কলিজাতে দৈনন্দিন চাহিদার বি ভিটামিন থাকে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url