শিত কালের নবান্ন উৎসব সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক, আজকে আপনাদের জানাবো শীতকালের নবান্ন উৎসব সম্পর্কে। ১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন উৎসব উদযাপন শুরু হয়। প্রতিবছর পহেলা অগ্রহায়ণ তারিখে নবান্ন উৎসব উদযাপন করে। আমরা অনেকেই জানিনা শীতকালের নবান্ন উৎসব সম্পর্কে সেজন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো শীতকালের নবান্ন উৎসব সম্পর্কে।

আপনি কি জানতে চান শীতকালের নবান্ন উৎসব সম্পর্কে, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো শীতকালের নবান্ন উৎসব সম্পর্কে। নবান্ন উৎসব বাঙালির একটি প্রধান উৎসব গুলোর মধ্যে অন্যতম উৎসব। সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নবান্ন উৎসব কখন হয় এই সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। 

পেইজ সূচিপত্রঃ শীতকালের নবান্ন উৎসব সম্পর্কে জানুন

• ভূমিকা
• শীতকালের নবান্ন উৎসব কি
• শীতকালের নবান্ন উৎসব কখন হয়
• কোন ঋতুতে শীতকালের নবান্ন উৎসব হয়
• শীতকালের নবান্ন উৎসবের কয়েকটি ছবি
• উপসংহার

ভূমিকাঃ

শীতকালের নবান্ন উৎসব গ্রামীন একটি উৎসব। বিশেষ বিশেষ করে কৃষকদের পরিবারের শীতকালীন নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো শীতকালের নবান্ন উৎসব সম্পর্কে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো শীতকালে নবান্ন উৎসব কখন পালন করা হয়। শীতকালে নবান্ন উৎসব হয় কেন কোন ঋতুতে শীতকালে নবানন উৎসব হয় এই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন শীতকালের নবান্ন উৎসব সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালের নবান্ন উৎসব সম্পর্কে।

শীতকালের নবান্ন উৎসব কিঃ

শীতকালীন নবান্ন উৎসব বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ধানের অথবা পিঠা উৎসবকে বলা হয়। বাংলাদেশ হল কৃষি প্রধান দেশ এ দেশে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয় সে সকল অনুষ্ঠানের মধ্যে শীতকালের নবান্ন উৎসব অন্যতম।

নবান্ন শব্দের অর্থ হলো নতুন অন্য। অর্থাৎ কৃষি প্রধান দেশ নবান্ন উৎসব নতুন আমন ধান কাটার পর সে ধান থেকে প্রস্তুত করা চালের প্রথম রান্না করা খাবার খাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত একটি উৎসব। সাধারণত কৃষকদের পরিবারের এই উৎসব বেশি দেখা যায়। নতুন ধানের রান্না করা বিভিন্ন রকম পিঠা সহ অন্যান্য খাবার নিয়ে এই শীতকালের নবান্ন উৎসব পালন করা হয়।

শীতকালের নবান্ন উৎসব কখন হয়ঃ

হেমন্ত ঋতু বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে অন্যতম একটি ঋতু। শীতের পূর্বাভাস হল হেমন্ত ঋতু। বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ এবং বাংলাদেশের কৃষকদের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের রিতু হলো শীতকালের হেমন্ত ঋতু কারণ এই মৌসুমে কিছু লোকেরা তাদের ঘরে নতুন ফসল তোলে।

অগ্রহায়ণ মাসে এবং কার্তিকের শুরু থেকেই গ্রামের মাঠে মাঠে ধান কাটার দৃশ্য দেখা যায়। অগ্রহায়ণ মাসে কৃষকের দীর্ঘ অপেক্ষার পর সোনালী ফসল গড়ে ওঠে। তাই কৃষকদের কাছে এই মাসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এবং এই মাসটিকে শীতকালের নবান্ন উৎসব মাস নামে পরিচিত।

নবান্ন শব্দের অর্থ হলো নতুন অন্ন। অর্থাৎ কৃষকের নতুন ধান কাটার পরে সেই ধান থেকে তৈরি চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব হলো শীতকালের নবান্ন উৎসব। আমাদের দেশের উৎসব দেখা যায় অগ্রহায়ণ মাসে নতুন ধান ঘরে তোলার পরে। তখন গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে শীতকালের নবান্ন উৎসব পালন করা হয়।

কোন ঋতুতে শীতকালের নবান্ন উৎসব হয়ঃ

হেমন্তকালের ফসল যখন ঘরে ওঠে তখন কৃষকেরা সেই ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে শীতকালের নবান্ন উৎসব পালন করে। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে হেমন্তকালে শীতকালের নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। বাংলাদেশের পশ্চিমবঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব হল শীতকালের নবান্ন উৎসব। আমন ধান কাটার পর এসে ধান থেকে প্রস্তুত প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবকে শীতকালের নবান্ন উৎসব বলা হয়।

বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে হেমন্তকালের ফসল যখন ঘরে ওঠে সেই ফসল ঘরে তোলার পরে কৃষকেরা নতুন ধানের চাল দিয়ে রান্না করা ক্ষীর ,পায়েস, অথবা ক্ষীর তৈরি করে আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর মাঝে বিতরণ করা হয়। এবং এসময় নিজেদের আত্মীয়-স্বজন ও জামাই মেয়েদের নিমন্ত্রণ করা হয়। এবং শীতকালের নবান্ন উৎসব পালন করা হয়।

শীতকালের নবান্ন উৎসবের কয়েকটি ছবিঃ