সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায়

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনারা যারা সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায় জানতে চান আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আজকাল বয়স হলে বিভিন্ন মানুষের হার্টের সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায়। তবে বেশিরভাগ সময়ে বয়সের সাথে সাথে এই সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। হার্ট ব্লক এই রোগের নামের সাথে আমরা বেশ পরিচিত। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায়। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায় সম্পর্কে।

সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায়

হার্ট ব্লক ধরা পড়লেই রোগীকে অপারেশন করতে বলা হয়। এই অপারেশন না করে আমরা যদি জানতে পারতাম সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায় সম্পর্কে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায় সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায়

ভূমিকা

সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায়

হার্ট ব্লকের লক্ষণ

হার্ট ব্লকের কারণ

উপসংহার

ভূমিকাঃ

হার্ট অ্যাটাক হল এখন পর্যন্ত দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে যে কারণে এটা একটা হয়েছে মানে হার্টের ব্লক সেটা খুলে দেওয়া। আর ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে এনজিও গ্রাম করে ব্লকের মধ্যে রিং লাগানো। হার্ট এটাকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিং লাগানোর উত্তম সময়। এই সময়ের মধ্যে রিং লাগাতে পারলে অ্যাটাকের কারণ নষ্ট হতে থাকা হার্টের মাসেলগুলোর অনেকটাই রক্ষা পায়।

 আর হার্ট অ্যাটাকের সাথে সাথে রিং লাগানোর প্রক্রিয়াকে বলে প্রাইমারি পিটিসি। এছাড়াও সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায় সম্পর্কে আজকে আমাদের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায় সম্পর্কে।

সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায়ঃ

সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

চিলেশন থেরাপিঃ

এটি একটি নতুন কৌশল যার শরীর থেকে বিষাক্ত ধাতু এবং খনিজ অপসারণ এর জন্য রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলি ব্যবহার করে। ইডিটিএ (ইথাউলনডিয়ামমাইনে রাসিটিক অ্যাসিড) নামক একটি উপাদান শরীরের ডিটকিউফিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। রোগীর শরীরে প্রবেশ করা হয় এবং এটি ক্যালসিয়াম ফলকের সাথে আবদ্ধ করা হয় যা কুরআনের ধবনেতে বাধা সৃষ্টি করে তাই রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে।

চিলেশন থেরাপির অতিরিক্ত সুবিধাঃ

এটি পারদ আয়রন আর্সেনিক সীমা ইউরোনিয়াম ইত্যাদি সহ ধাতব বিষ প্রয়োগ ব্যবহৃত হয়।

এটি স্যাকেল পছন্দ সেল রোগ এবং থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

তাছাড়া এতে বিনামূল্যে যা ডিকেল গুলির উৎপাদন হাঁস করে এবং তাদের নেতিবাচক প্রভাবকে কমিয়ে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

রিলেশন থেরাপিও এর জন্য ব্যবহার করা হয় বলে জানা গেছে আল ঝেইমার রোগ।

জীবনধারা এবং খাদ্য তালিকা গত পরিবর্তনঃ

আপনার জীবন ধারায় কয়েকটি মৌলিক পরিবর্তন আপনাকে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে যা হার্ট ব্লক পেজের ফলে  ঘটতে পারে। এই পদক্ষেপ গুলির মধ্যে কয়েকটি নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • নিয়মিত ব্যায়াম
  • আবেগী মানসিক যন্ত্রণা
  • ধূমপান
  • ডায়েটারি পরিবর্তন
  • ওজন পরিচালনা

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

লেবুর রস-১কাপ

আদার রস-১ কাপ

রসুনের রস-১ কাপ

আপেল সাইডার ভিনেগার-১ কাপ

মধু-৩ কাপ

তৈরি করন পদ্ধতিঃ

লেবুর রস, আদার রস, রসুনের রস, এবং আপেল ছাইডার ভিনেগার একত্রে মিশিয়ে নিন। এবার হালকা আচে আধাঘন্টা ফুটিয়ে নিন। এমন ভাবে ফোটাতে হবে যেন সেটা চার কাপ থেকে তিন কাপ পরিমাণ হয়ে যায়। এবার এই মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হবার পরের সাথে তিন কাপ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

প্রতিদিন সকালে খাবার আধা ঘন্টা আগে এবং প্রতিবারে এক চামচ করে খাবেন। কয়েকদিনের মাঝে হার্ট অ্যাটাক ব্লক খুলে যাবে।

হার্ট ব্লকের লক্ষণঃ

হৃদপিন্ডে বেশি পরিমাণে ব্লক থাকলে বুকে ব্যথা হয়। আস্তে আস্তে ব্যথা বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে। হাঁটার সময় সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় বুকে ব্যথা হয় থামলে ব্যথা কমে যায়। নিম্নে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ তুলে ধরা হলো-

 দম নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হয়।

বুকে জ্বালাপোড়া ও ধরফর করে।

গলা, কপাল ও মাথা ঘাম হওয়া।

নিচের দিকে হেলে কিছু করা ও একটু ভারী কিছু বহনের সময় কষ্ট হয়।

খাবার হজম না হওয়ার মতো অসস্তি লাগে।

হার্ট ব্লকের কারণঃ

রক্তনালিতে চর্বি জাতীয় বস্তু খুব ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে। তাই হার্ট ব্লক খুবই ধীরগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যেমন ধরুন একটি ব্লক ১০% থেকে বৃদ্ধি পেতে পেতে আশি পার্সেন্ট পৌছাতে ব্যক্তি বেদে ১০ থেকে ৩০/৪০ বছর সময় লাগতে পারে। তাই বলা হয়ে থাকে ব্যক্তি হার্ট ব্লক দিয়ে দীর্ঘ সময় সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।

হার্ট ব্লকের সংখ্যা এবং পার্সেন্টেজ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় না পৌঁছানো পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন না। হার্ট ব্লকের কারণে রোগীর হার্টের রক্ত সরবরাহের স্বল্পতা দেখা দেয়। হার্ট ব্লকের (%) পার্সেন্টেজ দিতে পেলে ব্লকের ভাটির দিকের অংশে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। টেনশন কাল সময় রক্তসর ভাইয়ের ঘাটতে দেখা দেওয়াই এ সময় রোগীর বুকে চাপ ব্যথা বুক দেওয়ার পর বা সহজে হয়রান বাপের সান হয়ে পড়েন। 

তবে দিনে দিনে রোগী ঘন ঘন এসে অসুবিধায় পতিত হয়ে থাকেন এভাবে বেশ কিছু বছর চলে যেতে পারে। ব্লকের তীব্রতা পারসেন্টেজ বৃদ্ধি পেয়ে অসুস্থ থাকে আরও জটিল করে তোলে। হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট স্ট্রোক এক ধরনের মারাত্মক অসুস্থতা। যার ফলশ্রুতিতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে এবং চিকিৎসা খুবই দ্রুততার সঙ্গে নিতে হয়। প্রায় সময় রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয় বহুবিধ কারণে হার্ট ব্লকের চর্বি জাতীয় বস্তুতে রক্তক্ষরণ ঘটতে পারে তাদের প্রদাহ দেখা দিতে পারে অথবা চর্বি জাতীয় বস্তুর ওপর রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত প্রবাহ সম্পূর্ণ রূপে ব্যবহার মারাত্মক পর্যায়ে বন্ধ করে দিতে পারে।

অনেককে দেখা যায় দীর্ঘ সময় মানে বহু বছর থেকে হাটের সমস্যায় ভুগছেন কিন্তু কখনোই হার্ট অ্যাটাক হয়নি। তবে কথা সত্য যে হার্ট ব্লক ছাড়া খুবই কমই হার্ট এটাক ঘটে থাকে অর্থাৎ যাদের হার্ট অ্যাটাক ঘটে তাকে তাদের প্রায় সবারই কোনো না কোনো পর্যায়ে হার্ট ব্লক থাকে। হতে পারে ব্লক প্রাথমিক পর্যায়ে বা জটিল পর্যায়ের বর্তমানে হার্ট ব্লকের উপযুক্ত মেডিসিন গ্রহণের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়। সে সঙ্গে রোগীর অবশ্যই নিরাপদ মাত্রায় কায়িক শ্রমে অভ্যস্ত হতে এবং ঈদবান্ধব খাদ্যা ভাষা অনুসরণ করতে হবে।

জটিল রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে হার্ট ব্লকের কারণে যাদের হার্ট ফেইলর দেখা দিয়েছে অথবা হার্ট ব্লক অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের রিং বাই পাস অথবা সিভি থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজন হয়। তবে মনে রাখবে রাখতে হবে এসব পদ্ধতি গ্রহণ করে রগি সুস্থ থাকতে পারবে না যদি না জীবন ধারা পরিবর্তন না করে উপযুক্ত মেডিসিন গ্রহণ না করে এবং হৃদ বান্ধব খাদ্যাভ্যাস অনুশীলন না করে।

উপসংহারঃ সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায়

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করুন এবং পোস্ট এর ভিতর যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনার মহা মূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।

এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url