সিজোফ্রোনিয়া রোগ কেন হয় - কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
প্রিয় পাঠক, আজকে আপনাদের জানাবো সিজোফ্রোনিয়া রোগ কেন হয় - কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। এ রোগের সঠিক কারণ জানা যায়নি তবে যে যে কারণগুলি এই রোগের জন্য দায়ী করা হয় সেগুলি হল-জেনেটিক বা বংশগতভাবে এই রোগ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও তা দেখা যায়। সেজন্য আপনারা যারা সিজোপ্রোনিয়া রোগ কেন হয় - কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানেন না নিম্নে তাদের আজকে জানাবো সিজোফ্রোনিয়া রোগ কেন হয় - এর কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
ভূমিকাঃ
আপনি যদি প্রথমে কারণটা খুজেন তবে আপনাকে এই রোগকে তিনটি ভাগে ভাগ করতে হবে। প্রথমটি হচ্ছে বায়োলজিক্যাল কারণ, দ্বিতীয়টি হচ্ছে সাইকোলজিক্যাল কারন, তৃতীয়টি হচ্ছে সামাজিক কারণ। বায়োলজিক্যাল কারণটিকেই আমরা বেশি করে গুরুত্ব দেই। এখানে কিন্তু অনেক বিষয় একসঙ্গে কাজ করছে প্রথমে যদি আমরা জিনগত কারণ বিষয়ে বলি আসলে এটি বংশ পরস্পরাই হয়।
সাধারণত দেখা গেছে ১০০ জন মানুষের মধ্যে একজন মানুষের সিজোফ্রোনিয়া হতে পারে। যে পরিবারে ভাইয়ের সিজোফ্রোনিয়া নিয়ে রয়েছে সেই পরিবারের বোনের অথবা ভাইয়ের সিজোফ্রনিয়া হওয়ার আশঙ্কা ১০ ভাগ থাকে। যে পরিবারে মা-বাবার মধ্যে একজনের সিজোফ্রোনিয়া রয়েছে সেই পরিবারের সিজোফ্রোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা ১২ থেকে ১৪ ভাগ।
আরো পড়ুনঃ
যে পরিবারে বাবা-মা দুজনেই সিজোফ্রোনিয়াতে ভোগে সেই সন্তানের সিজোফ্রোনিয়া আশঙ্কা শতকরা ৫০ ভাগ এগুলো হলো একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে অর্থাৎ একই ডিম থেকে যদি জমজ সন্তান হয় তাদের মধ্যে একজন যদি সেজোড় নেয়া হয়ে থাকে তাহলে আরেকজনের হওয়ার আশঙ্কা শতকরা ৫০ ভাগ। সুতরাং দেখা যায় গত ভাবে বা বংশ পরস্পরায় ক্রোমোজিন এর একটি প্রভাব থাকতে গুলো একটি দিক।
সিজোফ্রোনিয়া রোগ কেন হয়ঃ
বৈজ্ঞানিক চিকিৎসায় রয়েছে ডায়াবেটিস নামক রোগটা যেমন ইনসুলিনের ঘাটতির জন্য হয় ঠিক একইভাবে ডিপামিন বেশি হলে সিজোফ্রোনিয়া হয়। আপনি যেমন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করছেন ইনসুলিন বাড়ার জন্য তেমনিভাবে ডোপামিন কমিয়ে সিজোফ্রোনিয়া চিকিৎসা করা যাবে এটি হলো আরেকটি দিক একটি বায়োকেমিক্যাল কারণ।
সিজোফ্রোনিয়াতে মস্তিষ্কের গঠনের মধ্যেও কিছু পরিবর্তন হয়। এইসব সিজোফ্রোনিয়াকে আমরা বলি নেগেটিভ সিস্টেম সিজোফ্রোনিয়া। এই সিজোফ্রোনিয়াতে রোগী অন্যদের সঙ্গে মিশতে পারেনা কথা বলে না বেশি কোন লক্ষ্য নেই এরকম ভাবে থাকে এগুলো আমরা বায়োলজি কাল কারণে মধ্যে বলতে পারি।
সাইকোলজিকাল কারণ এর মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিবার। পরিবার নিজেই একটি কারণ হতে পারে একটু উদাহরণ হতে পারে মা ও বাবা দুজনের দু'রকম বক্তব্য বলে দুইজনে দুই রকম কথা বলে বাচ্চার মন কিন্তু বিভাজিত হয়ে যায় সে কোন করবে এ বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারে না।সিজোফ্রোনিয়া সার্থিক অর্থ বলতে গেলেও কিন্তু দেখা যাবে কিস অর্থ মন সোনিয়া মানে ভাঙ্গা মনটা ভেঙে যায় তাই বাবা-মা কিন্তু একটি কারণ হয়ে গেল।
আবার অনেক সময় দেখা গেছে যারা অস্থিছিল তাই থাকে তাদের কোন সামাজিক চাপের মধ্যে পড়লে সিজোফ্রনিয়া ঘটতে পারে ।সম্পর্ক ভেঙে গেলে মাদক নিলে অনেক সময় সিজোফ্রোনিয়া হতে পারে।
সিজোফ্রোনিয়া রোগের কারণঃ
এ রোগের সঠিক কারণ জানা যায়নি তবে যে যে কারণগুলি এই রোগের জন্য দায়ী করা হয় সেগুলো হল জেনেটিক বা বংশগতভাবে এই রোগ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও তা দেখা যায়। বাবা মায়ের কারো এই রোগ থাকলে সন্তানেরও সম্ভাবনা থাকে এরকম হওয়ার। চিকিৎসকরা বলেছেন জেনেটিক ইনফ্লুয়েঞ্জ থাকে ৮০ শতাংশ বাবা-মা দুজনের এই রোগ থাকলে সন্তানের হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ গুণ বেড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ
জমজ বাচ্চার একজনের থাকলে আরেকজনের ঝুঁকি ৫০ গুণ বেশি থাকে। এছাড়া সন্তান মাত্রই গর্ভে থাকার সময় কোন সমস্যা হলে বা জন্মের সময় কোন ক্ষতি হলে বা অক্সিজেনের অভাব হলে এর রোগ হতে পারে। চাইল্ড হোম সেমসেটিভ পার্সোনালটি হলে তার সঙ্গে কোনো ভয়াবহ ঘটনা ঘটলে ওই ব্যক্তি স্কিকৎজোফ্রোনিয়া হতে পা্রে।
সিজোফ্রোনিয়া রোগের লক্ষণঃ
এ রোগের লক্ষণ গুলো নিম্ন তুলে ধরা হলো-
- রোগী এমন কিছু শুনতে পায় বা দেখতে পায় যেটা বাস্তবে থাকে না।
- কথা বলা বা লেখার অদ্ভুত বা অযৌক্তিক ধরন বা আচরণ।
- গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে উদাসীন বোধ করা।
- নিজের যত্ন নেওয়ার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়া।
- কোন কাজে মনোযোগ না থাকা।
- আবেগ অনুভূতি কমে যাওয়া।
সিজোফ্রোনিয়া রোগের প্রতিকারঃ
ওষুধ দিয়েই রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রথমে এন্টিসাইটিক মেডিসিন এরপর সাইকোথেরাপির দিকে যেতে হয়। ৮০ভাগ রোগী কিছুদিন ভালো কিছুদিন খারাপ থাকে, অর্থাৎ সম্পূর্ণ ভালো হয় না বাকি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ঠিক হয়ে যায়। এই রোগীদের মৃত্যুর হার বেশি কারণ তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয় ৫ থেকে ৯০ শতাংশ সুইসাইড করে।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশের এসোসিয়েশন অফ সাইক্লোকাস বলেছে এই গাইডলাইন কার্যকর করার জন্য প্রশাসনিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট লাগবে। তার জন্য মন্ত্রণালয়ের সাহায্য লাগবে। ছোকরা আরো বলেছেন যে কোন উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনামূলক বিচারে এটাই একটা আন্তর্জাতিক মানের গাইডলাইন করা হয়েছে।
উপসংহারঃসিজোফ্রোনিয়া রোগ কেন হয় - কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
এ রোগের কোন সঠিক কারণ জানা যায়নি তাই যে যে কারণগুলি এই রোগের জন্য দায়ী করা হয় সেগুলি উপরে আমরা আলোচনা করেছি আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা যদি আপনার উপকৃত হন, তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
এবং এরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url