পেঁয়াজের উপকারিতা অপকারিতা - পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকে আপনাদের জানাবো পেঁয়াজের উপকারিতা অপকারিতা - পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আমাদের দৈনন্দ জীবনে ব্যবহারের জন্য পেয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো পেঁয়াজের উপকারিতা অপকারিতা - পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। পেঁয়াজ খাবার হজমের জন্য বিভিন্ন রকম প্রয়োজন বাড়াতে পারে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক পেঁয়াজের উপকারিতা অপকারিতা - পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। 
পেঁয়াজের উপকারিতা অপকারিতা - পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ

কাঁচা পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং প্রিপায়োটিকস হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পেঁয়াজ খাবার হজমের জন্য বিভিন্ন রকম প্রয়োজনীয় অ্যাংজাইম বাড়াতে সাহায্য করে। সেজন্য আমরা যারা এখনো পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানিনা আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। চলুন আমরা নিম্নে জেনে নিয়ে পেঁয়াজের উপকারিতা অপকারিতা - পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ

ভূমিকাঃ

পেঁয়াজ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। আমাদের যে কোন খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ এছাড়া পেঁয়াজের মধ্যে পুষ্টিগুণের সঙ্গে যে ফাইটোক্রেমিকাল রয়েছে তা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। আপনি জানলে অবাক হবেন যে পেঁয়াজের বেশ কিছু খাদ্যগুণ রয়েছে। এর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপকারিতা জানলে হয়তো আপনিও মেনুতে পেঁয়াজ যোগ করবেন।
খাওয়ার পাতে কয়েক টুকরো কাঁচা পেঁয়া ছালাট হিসেবে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। কেউ বাজে কোন রান্নাতেই পেঁয়াজ দিতে পছন্দ করেন। আবার কারো বাপে আজ একেবারেই পছন্দ নয়। পেঁয়াজ খাওয়ার পর ভালো করে মুখ না ধুলে গন্ধের সমস্যার কারণে পেঁয়াজ এড়িয়ে চলেন অনেকে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক পেঁয়াজের উপকারিতা অপকারিতা ও পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

পেঁয়াজের উপকারিতাঃ

ক্যান্সার প্রতিরোধকারীঃ
ক্যান্সার রোধকারী নানা উপাদান রয়েছে এ কারণে নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খেলে ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
কোলেস্টোরলের মাত্রা কমেঃ
পেঁয়াজের কিছু উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত আপনি যদি পেঁয়াজ খান তবে আপনার হৃদযন্ত্র ও ভালো থাকবে।
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়েঃ
পেঁয়াজ নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেকখানি বেড়ে যেতে পারে। মাশরুমের বদলে সময়ে এটি খেলে লাভ পাওয়া যায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ
কাঁচা পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যারা রক্তচাপের সমস্যায় থাকেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ এটা নিয়মিত খেতে পারেন।
 অনিমিয়া কমায়ঃ
যারা অনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায়ী ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। এতে প্রচুর আয়রন রয়েছে এটি সমস্যা কমাতে পারে।
হজম শক্তি বাড়েঃ
পেটের নানা সমস্যায় ভুগছেন এসিডিটি হজমের সমস্যা কমছে না তাহলে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন তাতে সমস্যা কমবে।
শরীর দূষণমুক্তঃ
কাঁচা পেয়াজে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি শরীরকে দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এবং শরীর রাখে তরতাজা।
দাঁতের সংক্রমণ রোধঃ
দাঁতের সংক্রমণ রোধ করতেও পেঁয়াজ-ব্যস উপকারী। পেঁয়াজ চিবিয়ে খেলে দাঁতের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা জীবাণুগুলো মরে যায় সে সঙ্গে সংক্রমণের সম্ভাবনা ও কমে যায়।
চুল পড়া বন্ধ হয়ঃ
চুল পড়া কমানো চুল বৃদ্ধিতে পেঁয়াজ খুবই উপকারী। পেঁয়াজের প্রচুর পরিমাণ সালফার রয়েছে যা চুল পড়া রোধ করে বিশেষ করে চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে এবং প্রাকৃতিকভাবে চুলের ভিত্তিতে সাহায্য করে।

পেঁয়াজের অপকারিতাঃ

মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করেঃ
মানুষের মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ হতে পারে অতিরিক্ত পেঁয়াজ খাওয়া। আপনার মুখোশ্বাসকে দীর্ঘ সময় ধরে দুর্গন্ধযুক্ত করে রাখবে।
এলার্জি সমস্যা বাড়িয়ে দেয়ঃ
পেঁয়াজ এলার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য খাওয়া মোটেই নিরাপদ নয়। অ্যালার্জির অন্যতম একটু উৎস হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের কারণে যদি এলার্জি হয় তাহলে পেঁয়াজ খেলে ত্বক এবং চোখে লাল ভাব ত্বকের চুলকানি শ্বাস নিতে অসুবিধা শরীর জ্বলন ইত্যাদির মত এলাচের লক্ষণগুলোর জন্ম নিতে পারে।
চোখের সমস্যাঃ
পেঁয়াজ কাটার সময় যে ঝাঁজালো রস বাতাসে ভেসে চোখে লাগে ও চোখের পানি ঝরায় তাদের থাকে সালফিউরিক এসিড। সালফিউরিক অ্যাসিড চোখের সংস্পর্শে গেলে চোখ জ্বালাপোড়া সহ মানুষকে অন্ধ করে দিতে পারে।

পেঁয়াজের পুষ্টিগুণঃ

একটু বড় পেঁয়াজে ৮৬.৮ শতাংশ পানি, ১.২ শতাংশ প্রোটিন, ১১.৬ শতাংশ শর্করা জাতীয় পদার্থ ০.১৮ শতাংশ, ক্যালসিয়াম ০.০৪ শতাংশ ফসফরাস ০.৭ শতাংশ লৌহ আছে। এছাড়া পেয়াজে বিভিন্ন এ বি ও সি আছে। এটি ফলিক এসিডের খুব ভালো উৎস।
এছাড়াও এতে সালফার ক্রোমিয়াম ও আছে। তাই পেঁয়াজের আছে নানান গুণ আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা ও।

পেঁয়াজের ঔষধি গুনঃ

 সর্দিতেঃ মনে হয় যেন জ্বর আসছে সেই রকম সব লক্ষণ দেখা দিলে নাক বন্ধ কপালে ভার সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস করে না নাস নিলে স সর্দি ও বেরিয়ে যায় এবং জ্বর ভাবও চলে যায়।
প্রস্রাব কষা হওয়াঃ
যেকোনো কারণে শরীর গরম হয়ে প্রস্রাব কষে গিয়েছে সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস এক চা চামচ ঠান্ডা জ্বরের সঙ্গে খেলে ওই অসুবিধাটা চলে যায়। তবে রস বেশি খেলে যেমন বমি হওয়ার ভয় থাকে আবার অল্প খেলে তেমনি বমি বন্ধ হয়ে যায়।
দাস তো অপরিষ্কারঃ
দাস তো হয় বটে কিন্তু খোলসা হয় না সেক্ষেত্রে একবার দেড় চামচ পেঁয়াজের রস সমপরিমাণ গরম জলে মিশিয়ে খেলে সে অস্বস্তির লাঘব হয়।
রক্তস্রাবঃ
শরীর গরম হয়ে অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ে সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের রসের নস্য নিলে তা বন্ধ হয়ে যায়।
অশেঃ
কোন কারণে যদি রক্তের অতিস্রাব চলতে থাকে সেক্ষেত্রে রক্ত বন্ধ করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় পেঁয়াজের রস এক চা চামচ করে সমপরিমাণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত ভাবে খেলে ওটা হঠাৎ বন্ধ হয়ে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়।
নাক দিয়ে রক্ত পড়াঃ
নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকলে ২-১ ফোঁটা পেঁয়াজের রস নাকি নিলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
ধিক্কায়ঃ
হাতের কাছে কিছু নেই সে ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ফোঁটা পেঁয়াজের রস একটু জলে মিশিয়ে দুই থেকে তিনবারে একটু একটু করে খাওয়ালে ওটা বন্ধ হয়ে যায়।
অত্যাধিক গরমঃ
উৎকট গরমে পথে পিপাসা পেলে হঠাৎ জল খাওয়া শরীরের জন্য ভালো না, ওই সময় পেঁয়াজ বেশি করে ব্যবহার করে ওইটাতে নাকি লু লাগে না সেই সময় ১ টা করে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে পথে ঘাটে বিপর্যয়ের ভয় থাকে না।
বেসিক পেঁয়াজঃ
মানুষের শরীরে যে ছয়টি রসের প্রয়োজন সব কয়টি দেওয়া ক্ষমতা আছে পেয়াজে। কিন্তু ব্যবহারের অন্তরায় তার গন্ধ একে উড়িয়ে দেওয়া যায় যদি রাত্রে তাকে চৌচির করে কেটে টক দই এ ভিজিয়ে রাখা যায় তখন সে সমাজে চলে যাবে অথচ গুণটাও পাওয়া যাবে এতটাই বৈদ্য ফুলের পেঁয়াজ কলিন্য সৃষ্টি।
কানে পুজঃ
 অনেক সময় কানের বাইরে ঘা হয় এক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস গরম করে দুই থেকে এক ফোটা কানে দিলে ওটা সেরে যায়।
পচা ঘায়ঃ
জলে পেঁয়াজের রসমে শেষে জল দিয়ে ক্ষত পরিষ্কার করলে কৃমি বা পোকা হয় না এবং পচাঘা খুব সহজেই সেরে যায়।
স্তনের ঠুনকো ঃ 
পেঁয়াজের রস গরম করে লাগালে স্তনের ঠুনকো ভালো হয়ে যায়।

উপসংহারঃ পেঁয়াজের উপকারিতা অপকারিতা - পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ

আপনারা যারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। এবং পেঁয়াজের ওষুধে কোন তুলনা হয় না। এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url