নামাজ ভঙ্গের কারণ কি - নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানাবো নামাজ ভঙ্গের কারণ কি - নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি। এগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো নামাজ ভঙ্গের কারণ কি - নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি। আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনাদের নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না আপনাদের মনে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক নামাজ ভঙ্গের কারণ কি - নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি। 

নামাজ ভঙ্গের কারণ কি - নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি

দলিলসহ নামাজ ভঙ্গের কারণ ১৯ টি। নানাভাবে নামাজ ভঙ্গ হতে পারে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা নামাজ ভঙ্গের কারণ গুলো কি। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো নামাজ ভঙ্গের কারণ কি - নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি।

পেইজ সূচিপত্রঃ নামাজ ভঙ্গের কারণ কি - নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি

ভূমিকাঃ

যে সকল কারণে নামাজ ভঙ্গ হয় বা যে সকল কাজ যারা নামাজ নষ্ট হয় তাকে মোফছেদাতে নামাজ বলে। ওইরূপ কাজ করলে নামাজ পুনরায় পড়তে হয় আমরা মুসলমান আরেকজন মুসলমান হিসেবে সবারই উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে আদায় করা। কারণ মানুষের মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম আল্লাহ তাআলা নামাজের হিসাব নিবেন।

আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবের ভিসা - সৌদি আরবের নিয়ম কানুন

কিন্তু আমরা অনেকেই নামাজের সঠিক নিয়ম কারণ জানিনা নামাজের সঠিক হওয়ার জন্য যেমন কিছু নিয়ম আছে ঠিক তেমনি এমন কিছু বিষয় আছে যা করলে নামাজ ভেঙ্গে যায়। সেজন্য আজকে আমাদের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো নামাজ ভঙ্গের কারণ কি - নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি। 

নামাজ ভঙ্গের কারণ কিঃ

আমার সঙ্গে কারণ আসলে কি সেটা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। চলুন প্রথমেই আমরা জেনে আসি নামাজ ভঙ্গের কারণ আসলে কি। আমরা যদি নামাজ ভঙ্গের কারণ বলি তাহলে বলতে হবে যে কারণে আমাদের নামাজ সমূহ নষ্ট হয়ে যায় বা ভেঙ্গে যায় সেই কারণগুলো হলো নামাজ ভঙ্গের কারণ। অর্থাৎ নামাজে যে কাজগুলো করলে আমাদের নামাজ নষ্ট হয়ে যায় সে কাজগুলোই নামাজ ভঙ্গের কারণ বলে।

নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কিঃ

নামাজ হলো ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ প্রথমে হল কালিমা তারপরে নামাজ। তাই নামাজ পড়ার সময় আমাদের সর্বত্র খেয়াল ও মনোযোগ সহিতে নামাজ পড়তে হবে এবং সুন্দরভাবে মনোযোগ সহকারে ধীরে ধীরে নামাজ পড়তে হবে। এবং যে কারণগুলোতে নামাজ ভেঙ্গে যেতে পারে সে কারণগুলো থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। নামাজ অনেক কারণে ভেঙে যেতে পারে তবে আলেমগণের বিশুদ্ধ মতামত অনুযায়ী নামাজ ভঙ্গের কারণ ১৯ টি। নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • নামাজে অশুদ্ধ পড়া।
  • নামাজের ভিতর কথা বলা।
  • কোন লোককে সালাম দেয়া।
  • সালামের উত্তর দেওয়া।
  • উফ আহ শব্দ করা।
  • বিনা ও জোরে কাশি দেওয়া।
  • বিপদে কি বেদনায় শব্দ করে কাদা।
  • আমলে কাশির করা
  • তিন তাসবি পরিমাণ সময় সতর খুলিয়া থাকা।
  • মত্তাদি ব্যতীত অপর ব্যক্তির লোকমা নেওয়া।
  • সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ এর উত্তর দেওয়া।
  • নাপাক জায়গায় সিজদা করা।
  • কিবলার দিক হইতেসি না ঘুরিয়ে যাওয়া।
  • নামাজে কুরআন শরীফ দেখিয়ে পড়া।
  • নামাজের ভিতর শব্দ করে হাসা।
  • নামাজের ভিতরে দুনিয়া দাড়ি কোন কিছুর প্রার্থনা করা।
  • হাচির উত্তর দেওয়া।
  • নামাজে খাওয়া ও পান করা।
  • ইমামের আগে মুক্তাদি দাঁড়ানো বা খাড়া হওয়া।

নামাজ ভঙ্গের ১৯ টি কারণঃ

নামাজে অশুদ্ধ পড়াঃ

নামাজে কেরাত পড়ার সময় অর্থাৎ কোরআন শরীফ তেলাওয়াতে অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ন পাল্টে যায় তাহলে নামাজ হবে না।

নামাজের ভিতর কথা বলাঃ

নামাজের ভিতরে কোন প্রকার কথা বললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে সেটা হোক এক অক্ষর অথবা তার চেয়ে বেশি।

আরো পড়ুনঃ ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ফজিলত ও প্রয়োজনীয়তা

কোন লোককে সালাম দেওয়াঃ

নামাজরত অবস্থায় কাউকে সালাম দেওয়া যাবে না সালাম দিলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

সালামের উত্তর দেওয়াঃ 

আপনি যদি নামাজরত অবস্থায় থাকেন তবে কেউ যদি আপনাকে সালাম দেই তবে আপনি সালামের উত্তর দেবেন না কারণ সালামের উত্তর দিতে গেলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

উফ আহ শব্দ করাঃ

নামাজের ভেতর কোন প্রকার বা এরকম কোন সাউন্ড বা শব্দ করা যাবে না। আপনি যদি নামাজের ভিতরে এরকম কোন শব্দ করেন তবে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

বিনা অজরে কাশি দেওয়াঃ

আপনি যদি নামাজরত অবস্থায় থাকেন তবে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে আপনি প্রয়োজন ছাড়া কাশি দেন তাহলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

বিপদে কিংবা বেদনায় শব্দ করে কাঁদাঃ

দুনিয়ার কোন বিপদ-আপদের কথা স্মরণ করে নামাজের মধ্যে যদি আপনি শব্দ করে কাঁদেন তবে আপনার নামাজ ভেঙে যাবে।

আমলে কাশির করাঃ

আমলে কাশির করা সম্পর্ক আলেমদের মতামত রয়েছে তন্বদ্ধ বিশুদ্ধতম মুহূর্ত হলো নামাজরত অবস্থায় শরীরের অঙ্গভঙ্গি এমন করা বা এমন কাজে লিপ্ত হওয়া যার কারণে দূর থেকে কেউ দেখলে তার মনে প্রবল ধারণা জন্ম নেয় যে ওই ব্যক্তি নামাজ রত নয়। এমন হলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

তিন তসবি পরিমাণ সতর খুলে থাকাঃ

আপনার যদি নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত শরীরের কোন স্থান তিন তাসবি পরিমাণ সময় অর্থাৎ সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ তিনবার পড়তে যে সময় লাগে ততটুকু সময় সতর খোলা থাকে তাহলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

মত্তাদি ব্যতীত অপর ব্যক্তির লোকমা নেওয়াঃ

ইমাম সাহেব নামাজে ভুল করলে মুক্তাদী ব্যতীত অর্থাৎ যারা ইমাম সাহেবের পেছনে নামাজরত অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে মুত্যাদি বলা হয় তারা ব্যতীত অন্য কারো থেকে লোকমা নিলে অর্থাৎ ভুল সংশোধন নেওয়া হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

সুসংবাদ বা দুঃসংবাদে উত্তর দেওয়াঃ

আপনি যদি নামাজরত অবস্থায় থাকেন তবে যদি কেউ সুসংবাদ অথবা সংবাদ কোন খবর দেয় তখন যদি আপনি তার কোন উত্তর দেন তাহলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

নাপাক জায়গায় সেজদা দেওয়াঃ

আপনি যতটুকু জায়গায় নামাজ পড়বেন আপনার ততটুকু জায়গা পাক-পবিত্র রাখতে হবে। যদি নাপাকি জায়গায় আপনি সেজদা করেন তাহলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

কিবলার দিক হইতে সিনা ঘুরে যাওয়াঃ

যদি কোন কারণে কেবলার দিক হতে শুইনা ঘুরে যায় আপনার অর্থাৎ বুক কেবলার দিক হতে সরে যায় তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

নামাজের কোরআন শরীফ দেখে দেখে পড়াঃ

আপনি যদি নামাজের মধ্যে কোরআন শরীফ দেখে দেখে পড়েন তবে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

নামাজের শব্দ করে হাসাঃ

নামাজের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে শব্দ করে হাসেন তাহলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

নামাজে দুনিয়া দারি কোন কিছু প্রার্থনা করাঃ

নামাজরত অবস্থায় আল্লাহতালার কাছে দুনিয়াদারি কোন কিছু প্রার্থনা করলে অথবা টাকা-পয়সা ধন-সম্পদ ইত্যাদি প্রার্থনা করলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

নামাজে হাসির উত্তর দেওয়াঃ

আপনি নামাজরত অবস্থায় আছেন অথচ আপনার পাশে যদি কেউ হাসি দেয় তখন আপনি সে হাসির জবাব যদি দেন তবে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

নামাজের খাওয়া ও পান করাঃ

আপনি যদি নামাজ রত অবস্থায় থাকেন তখন কিছু খাওয়া বা পান করা অর্থাৎ দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার অবস্থায় খেলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

ইমামের আগে মুক্তাদী দাঁড়ানোঃ

মুত্তাদের পায়ের গোড়ালি ইমামের আগে চলে গেলেন নামাজ ভেঙ্গে যাবে অর্থাৎ মুসল্লী যদি ইমাম সাহেবের সামনে দাঁড়ায় বা চলে যায় তাহলে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

উপসংহারঃ নামাজ ভঙ্গের কারণ কি - নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন নামাজ ভঙ্গের কারণ কি - নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি। এই আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে সংশোধন করার জন্য জানাবেন।

আরো পড়ুনঃ মহরম মাসের ফজিলত ২০২৩

আর যদি আপনাদের ভালো লেগে তাহলে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এবং এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং দোয়া করি যে নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ গুলো থেকে আমরা নিজেকে বিরত রাখতে পারি নামাজ অবস্থায় আল্লাহতালা আমাদেরকে তৌফিক দান করুন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url