কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ - কিডনি পাথর দূর করার ২৫ টি উপায়
প্রিয় পাঠক, আজকে আপনাদের জানাবো কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ - কিডনি পাথর দূর করার ২৫ টি উপায় সম্পর্কে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায় সই প্রস্রাব করার প্রয়োজন অনুভব করেন। বিশেষ করে রাতে। আমরা অনেকেই জানিনা কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ - কিডনি পাথর দূর করার ২৫ টি উপায় সম্পর্কে। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে জানাবো কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ - কিডনি পাথর দূর করার ২৫ টি উপায় সম্পর্কে।
যখন কিডনির ফিল্টার গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন রক্তের কোষগুলি প্রস্রাবের মধ্যে
লিক হয়ে যায়। প্রস্রাবে রক্ত টিউ মার্কেট নিতে পাথর বা সংক্রমণের উপস্থিতির
জন্য একটি ইঙ্গিত হতে পারে। আমাদের আজকের আর্টিকেলে জানানো হবে লক্ষণ
- কিডনি পাথর দূর করার ২৫ টি উপায় সম্পর্কে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনি পাথর দূর করার ২৫ টি উপায় সম্পর্কে।
পেইজ সূচিপত্রঃ কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনি পাথর দূর করার ২৫ টি উপায়
ভূমিকাঃ
বর্তমানে কিডনি রোগের সংখ্যা বাড়ছে। প্রচুর মানুষের দেহে ক্রিয়েটিনিন বেশি।
এবার ক্রিয়েটিনিন বেশি থাকার প্রভাব সরাসরি পড়ছে শরীরে তখন জটিলতা দেখা দেয়।
এবার এই বিশেষ অঙ্গের খেয়াল আপনাকে রাখতেই হবে আসলে কিডনি আমাদের শরীরের বহু
গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এর প্রধান হলো ছাকনির। পিত্তের মাধ্যমে দেহ থেকে বেরিয়ে
যেতে থাকে খারাপ বিষাক্ত পদার্থ এই কারণে মানুষ ভালো থাকেন নইলে শরীরে
দূষিত পদার্থ জমে বিষক্রিয়া হতে পারে।
এবার কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার জন্য শরীরে ক্রিয়েটিনের মাত্রা দেখতে হয় এই
উপাদান প্রতিটি মানুষের শরীরে থাকে। এবার তা থাকার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে
এই স্বাভাবিক মাত্রার উপর ক্রিয়েটিন গেলেই প্রতিটি মানুষকে সতর্ক হয়ে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে ফেলতে হবে। এখন ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে হাই ব্লাড প্রেসারের মতো
রোগের কারণে কিডনির ক্ষতি হচ্ছে এমনকি বাড়ছে তাই প্রতিটি মানুষকে এই উপাদান
নিয়ে সতর্ক হতে হবে। এবার চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ
- কিডনি পাথর দূর করার ২৫ টি উপায় সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় - মস্তিষ্ক শান্ত রাখার ২০ টি উপায়
কিডনি পাথর কিঃ
কিডনির ভেতরে মিনারেল জমে ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মত পদার্থ তৈরি করে।
একে কিডনি পাথর বলা হয়। অর্থাৎ ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটর ডিপজিশন হলে এই
রোগের উৎপত্তি হয়।
কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণঃ
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ গুলি সনাক্ত করা যে কোনো রোগের চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি।
আপনি বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন উপসর্গ অনুভব করতে পারেন কিডনি ড্যামেজ এর
প্রাথমিক শারীরিক লক্ষণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-
ঘন ঘন প্রস্রাবঃ
গুরুতর কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায় সই প্রস্রাব করার প্রয়োজন অনুভব
করেন। বিশেষ করে রাতে। ঘন ঘন প্রস্রাবের এর কারণ কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ।
প্রস্রাবের রক্তঃ
যখন কিডনির ফিল্টার গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন রক্তের কোষগুলি প্রস্রাবের মধ্যে
লিক হয়ে যায় প্রস্রাবের রক্ত টিউমার কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের উপস্থিতির জন্য
একটি ইঙ্গিত হতে পারে। আপনার চোখের চারপাশে ফোলা ভাব ক্ষতির কারণে কিডনির শরীরে
রাখার পরিবর্তে প্রস্রাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন বের করে দেয়। এর ফলে চোখের
চারপাশে ফোলা ভাব হয়। এতে করে আপনার কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়
ফেনা যুক্ত প্রস্রাবঃ
আপনার প্রস্রাবে কি অতিরিক্ত ফেনা বা বুদবুদ প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি
নির্দেশ করে। এই ফেনাটি ডিম স্ক্যাম্বুল করার সময় দেখা যায় এমন ফ্যানার মতো
দেখতে পারে। এই ফ্যানযুক্ত প্রস্রাব যদি দেখা যায় আপনার শরীরে তবে জানবেন আপনার
এটি কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ।
প্রস্রাবের অন্যান্য পরিবর্তনঃ
কিডনি ব্যর্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাবের রং গন্ধ
ব্যথার কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এইসব ইঙ্গিত করে যে কিডনিতে কিছু ভুল আছে
যাদের ডাইবেটিস উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের কিডনি ড্যামেজের সমস্যা
পারিবারিক ইতিহাস বা ৬০ বছরের বেশি বয়সের মত সমস্যা রয়েছে তাদের কিডনি রোগ
হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
প্রস্রাবের পরিমাণ কমঃ
আপনার কিডনি যদি প্রস্রাব উৎপাদনের ধীরগতি করে বা সম্পূর্ণরূপে উৎপাদন বন্ধ করে
দেয় তাহলে তাকে কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ হতে পারে। এতে কিডনি থেকে প্রস্রাবের
প্রবাহ বন্ধ হওয়ার কারণে শরীরের বর্জ্য পদার্থ জমা হয়। প্রস্রাবের এই বাধা
বাহ্যিক বাধার কারণেও ঘটতে পারে যেমন-
- কিডনিতে পাথর
- মুত্রাশয় টিউমার
- বিবর্ধিত প্রোস্টেট
ক্লান্তিঃ
স্বাস্থ্যকর কিডনি অ্যারিথ্রোপ্রেটিক নামক একটি হরমোন তৈরি করে যার মাধ্যমে আপনার
শরীর অক্সিজেন বহনকারী লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে। টিন কম উৎপাদন হয় যার ফলে
রক্তশূন্যতা হয় কম অক্সিজেন বহনকারী লোহিত রক্ত কণিকার বা কারণে আপনি সবসময়
ক্লান্ত বোধ করেন।
শ্বাসকষ্টঃ
আপনি প্রায় সই কিডনি ব্যর্থতার সময় আপনার শ্বাস নিতে সমস্যা অনুভব করেন এটি
রক্তস্বল্পতা বা আপনার ফুসফুসের তরল জমা হওয়ার কারণে হতে পারে। ঠান্ডা লাগা বা
অস্বাভাবিক ঠান্ডা অনুভব করা কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণগুলির সাথে
সম্পর্কিত।
বমি বমি ভাবঃ
কিডনি ব্যর্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির আর রক্তে মারাত্মক বর্জ্য জমা হওয়ার কারণে
ইউরেনিয়া বমি বমি ভাব অনুভব করেন। আপনার শরীর বিষ বের করে দেওয়ার প্রয়োজন
অনুভব করে এবং বমি হয়। এটি সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে একটি যা অন্যান্য
কিডনি স্বাস্থ্য সমস্যা গুলির সাথে থাকে।
দুর্বলতাঃ
বেশিরভাগ লোক কিডনির কার্যকারিতা শেষ পর্যায়ে দুর্বলতা বা খাবারের ৭ লক্ষ করতে
শুরু করে এটি প্রস্রাব করার সময় রক্ত ক্ষয় হওয়ার কারণে ও এ রক্তের ক্ষয়
প্রায় অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়।
- চুলকানি
- অস্থির পা সিনড্রোম
- পায়ের আঙ্গুলে অসাড়তা
- আঙ্গুলে শিহরণ
বিভ্রান্তিঃ
কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ গুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি একটি লক্ষণ। আপনাকে দেখতে
হবে এটি ডিহাইড্রেশনের কারণে হতে পারে বা ইলেক্ট্রোলাইট স্তরের পরিবর্তনের ফলে
মেজাজ এবং জ্ঞানী ও পরিবর্তন হতে পারে যার ফলে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়।
কিডনি পাথর দূর করার ২৫ টি উপায়ঃ
কিডনিতে পাথর হলে তা দ্রুতই অপসারণ করা জরুরী। পাথরের আকার যদি ছোট হয় তাহলে তা প্রস্রাবের সঙ্গে এমনিতেই বের হয়ে আসে কিন্তু অনেক সময় পাথর বড় হলে অপারেশন করানোর দরকার পরে। কিন্তু অপারেশন করে পাথর অপসারণ ঝুঁকিপূর্ণ এবং তা ভাল হতে লম্বা সময় লাগে।
আর এ কারণেই অনেকে প্রাকৃতিক ভাবেই কিডনির পাথর অপসারণের চেষ্টা করেন।
মানুষের সব ধরনের রোগেরই প্রাকৃতিক চিকিৎসা আছে এতটাই শক্তিশালী প্রকৃতি। আসুন
নিম্নে জেনে নেওয়া যাক কিডনি পাথর দূর করার উপায় সম্পর্কে-
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুনঃ
কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রধান কারণ পানি শূন্যতা, সেহেতু প্রচুর পরিমাণে পানি পান
করলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। পানি কিডনিতে টক্সিন জমতে দেয় না আর পাথরের
জন্য প্রাকৃতিকভাবে বের হওয়ার সুযোগ করে দেয় এবং নতুন পাথর হওয়া ঠেকাই। সেজন্য
আপনি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন যাতে করে কিডনি পাথর আপনার
শরীরে জমতে না পারে।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ
আপেল সিডার ভিনেগার এ থাকা সাইট্রিক এসিড যা কিডনির পাথর গুলিয়ে ফেলতে সক্ষম।
এছাড়া এর ক্ষারীয় উপাদান কিডনি থেকে বিষাক্ত বজ্য বের করে দিয়ে কিডনিকে
পরিষ্কার রাখতে সহযোগিতা করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ আপেল
সিডার ভিনেগার মেশান, এবং প্রতিদিন পান করুন তাহলে কিডনির পাথর দূর হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ এইডস কি, এইডস কিভাবে হয় - এইডস হলে করণীয়
বেকিং সোডাঃ
ব্রেকিং সোডা তে থাকা এসিড কিডনির পাথর নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এবং কিডনি
মুত্রানালী প্রদাহ কমায় ব্রেকিং সোডা। এক গ্লাস পানির সঙ্গে আধা টেবিল চামচ
বেকিং সোডা মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। তাহলেই কিডনির পাথরগুলো একটা সময়ে গিয়ে
বেরিয়ে আসবে। এবং আপনি কিডনি পাথর থেকে রক্ষা পাবেন।
লেবু জুস এবং অলিভ অয়েলঃ
লেবুর এসিড ময় উপাদান কিডনির পাথরের আকার কমাতে সহায়তা করে। আর অলিভ অয়েল
কিডনির পাথর সহজে বের করে আনতে সহযোগিতা করে। লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড
কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং পুনরায় পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে। আর অলিভ অয়েল
কিডনির পাথরগুলো সহজে বের করে আনার জন্য লুব্রিকেন্ট বা পিচ্ছিল কারক হিসেবে কাজ
করে। প্রতিদিন দুই চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে দুই চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পান
করুন তাহলে কিডনির পাথর দূর হয়ে যাবে।
তুলসী পাতাঃ
তুলসী পাতা টক্সিন পরিষ্কারক এবং কিডনিতে ইউরিক এসিডের হার কমাতে সহযোগিতা করে।
এছাড়া এটি পেন কিলার হিসেবেও কাজ করে।
তরমুজের বীজঃ
তরমুজের বীজের চা কিডনি পাথর দূর করার ঔষধ হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তরমুজের
বীজ এর রেচকগুনের জন্য বিখ্যাত তরমুজের বীজ শক্তিশালী ক্লিনজার এবং কিডনি
থেকে বর্জ্য এবং অন্যান্য টক্সিক উপাদান বের করে দিতে সহায়ক। এর ফলে কিডনির
ফাংশন উন্নত হয় এবং সার্বিকভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যা স্বাস্থ্যবান
কিডনির জন্য জরু্রী।
১ লিটার পানি সেদ্ধ করে তাতে এক মুঠো তরমুজের বীজ বেটিমেশন এরপর আধাঘন্টা ধরে
রান্না করে ঠান্ডা করে নিন এবং খেয়ে ফেলুন, এতে করে আপনি কিডনি পাথর দূর করতে
সক্ষম হবেন।
সেলানীঃ
স্যালারি সাপটি খেলে কিডনি থেকে বর্জ্য অপসারণ এর গতি বাড়ে। এছাড়া কিডনির
ক্ষারের হারে ভারসাম্য ফিরে আনে এটি প্রস্রাবের উৎপাদনে উৎসাহ যোগায় সেলানি থেকে
পাথর অপসারণ এর সহায়ক। এক কাপ পাত্র পানিতে এক আটি সেলানি শাক সেদ্ধ করে
প্রতিদিন শ্রবন করুন।
বেদানার জুসঃ
এর কষাতে উপাদান কিডনি পাথর দূর করতে সহায় ক এটি কিডনির ইউরিক এসিডের মাত্রা
কমায় এবং পাথর ভাঙতে সহায়তা করে। এর পর পাথরগুলো সহজেই প্রস্রাবের সঙ্গে বের
হয়ে আসে বেদনার জোস আমাদের দেহের আদ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক এক কাপ বেদনার বিষ দুই
কাপ পানিতে সঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে পিছে জুস বানিয়ে পান করুন। এতে করে আপনার
কিডনি পাথর খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে।
কর্ণ হেয়ারঃ
এর আরেকটি নাম কর্ণ সিল্ক। ভুট্টার দোষ থেকে পাওয়া যায় এটি। এটি মূত্র বাধ্য
হিসেবে কাজ করে এটি কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হতে দেয় না এবং পেইন কিলার হিসেবে কাজ
করে। এছাড়া কিডনির প্রদাহ কমায় এটি এক কাপ পানিতে এক মুঠো কন্ন হেয়ার সেদ্ধ
করার পর রস টুকু থেকে নিয়ে পান করুন।
কলার ডাটাঃ
প্রাচীন গ্রন্থেও কলা গাছের ভেতরের সাদা ডাটার কিডনির পাথর অপসারণের গুণ বর্ণিত
আছে। এটি উচ্চমাত্রায় মূত্রবোধক এবং কিডনির পাথর ভাঙতে সহায়ক। ক প্রতিদিন যদি
কলার ডাটার জুস খাওয়া যায় তাহলে কিডনির পাথর অপসারিত হয়।
মুলার জুসঃ
মোলার রসে থাকা খনিজ উপাদান কিডনির পাথর ভাঙতে এবং সহজে বের করে দিতে সহায়ক। আধা
কাপ মুলার কুচি নিয়ে পানিতে আধা ঘন্টা ধরে সেদ্ধ করুন এরপর রাসটুকু সেকেন্ডে পান
করুন। পাথর বের না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন পান করুন।
কিডনি বিনঃ
এতে আছে উচ্চমাত্রার আস যা যে কোন ধরনের কিডনির রোগ উপশমের সহায়ক। একটি সসপ্যানে
কিডনিবিড় নিয়ে হালকা আছে দুই তিন ঘন্টা ধরে সেদ্ধ করুন। এরপর পানিটুকু ছেঁকে
নিয়ে পান করুন। প্রতিদিন কয়েকবার এভাবে কিডনিবিনের রস পান করুন দেখবেন কয়েক
দিনে কিডনি পাথর দূর হয়ে যাবে।
সাইট্রিক এসিড গ্রহণ করুনঃ
সাইট্রিক এসিড একটি জৈব এসিড। যা অনেক ফল এবং সবজিতে পাওয়া যায় বিশেষ করে
সাইট্রাস ফলে। লেবুতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় সাইট্রিক এসিড সাইট্রিক এসিড দুটি
উপায়ে কিডনির পাথর প্রতিরোধ করতে পারে-
প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে নতুন পাথর গঠনের ঝুঁকি কমাতে পারে।
পাথর বড় হওয়ার রোধে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম অক্সালেট গুলোর সঙ্গে আবদ্ধ থাকে
এজন্য আপনার ডায়েটে বেশি সাইট্রিক এসিড পাওয়া যায় এমন ফল যেমন-আঙ্গুর কমলা
আমলকি লেবু ইত্যাদি যোগ করুন।
অক্সযালেট সমৃদ্ধ খাবার কম খানঃ
অক্সফ্লিক এসিড একটি অ্যান্টি নিউটি এন্ড যা উদ্ভিদ জাতীয় অনেক খাবারে পাওয়া
যায়। এর মধ্যে আছে সবজি এবং কোকো। এছাড়াও শরীরে অনেকটাই অক্সালের নিজেই উৎপাদন
হয়। শরীরে যখন অক্সালেটের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন প্রস্রাবের অক্সালের নির্গমন
বৃদ্ধি পায়। যা ক্যালসিয়াম অক্সালেটস্ফটিক গঠনের প্রবণতা বাড়ায়।
অক্সালেট ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ গুলো একসঙ্গে হয়ে তখন কিডনিতে পাথর
জমাতে সাহায্য করে এজন্য প্রাথমিক অবস্থায় কিডনিতে পাথর ধরা পড়লে চিকিৎসকরা
অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার কমাতে বলেন।
ভিটামিন সি বেশি খাওয়া যাবেনাঃ
গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন সি সম্পর্কগুলো কিডনিতে পাথর হওয়া ঝুঁকি বাড়াতে
পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে প্রস্রাবে অক্সালেটর নিঃসরণ বাড়াতে পারে
কারণ কিছু ভিটামিন সি শরীরে অক্সলেটে রূপান্তরিত হতে পারে। মধ্য বয়সে এবং বয়স্ক
পুরুষদের নিয়ে করা সেই ডিস গবেষণায় দেখা গেছে যারা ভিটামিন সি বেশি খান তাদেরকে
নিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ হতে পারে।
তবে সব ধরনের কারণ নয় যেমন লেবু খাওয়া যেতে পারে।
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুনঃ
কিডনি পাথর ক্যালসিয়াম দ্বারা তৈরি হয় বলে অনেকেই মনে করেন ক্যালসিয়াম গ্রহণ
কমাতে হবে। এ ধারণা ভুল বরং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি
কমাতে সাহায্য করে যেমন টক দই ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।
একজন প্রাপ্তবয়স্কদের ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদা হলো এক হাজার মিলিগ্রাম,
অন্যদিকে ৫০ থেকে ৭০ বয়সীদের জন্য ১২০০ মিলিগ্রাম। সেজন্য দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী
ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে সকলকে।
প্রাণিস প্রোটিন কম খানঃ
ট্রান্স প্রোটিনের উৎস যেমন মাছ মাংস ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার বেশি খেলে কিডনিতে
পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাণিস প্রোটিন গ্রহণের উচ্চ পরিমাণে
ক্যালসিয়াম নিঃসরণ বাড়তে পারে এবং সাইটেটের মাত্রা কমতে থাকে। সেই সঙ্গে পশুর
প্রোটিনের উৎস গুলো পিউরিনের সমৃদ্ধ।
এই চোখ গুলো ইউরিক এসিডের ভেঙ্গে যায় এবং ইউরিক এসিড পাথর গঠনে ঝুঁকি বাড়ায়
বিশেষ করে পশুর কিডনি লিভার এবং অন্যান্য অংশের মাংস ইউরিন এর পরিমাণ খুব বেশি
থাকে। এই পদার্থ কম থাকে তাই কিডনিতে পাথর জমতে শুরু করলে প্রাণিস প্রোটিন কম
খেতে হবে তাহলে শরীর অসুস্থ থাকবে আর কিডনিও ভালো থাকবে, কিডনি পাথর দূর করবে।
উপসংহারঃ কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ - কিডনি পাথর দূর করার ২৫ টি উপায়
অনেক রোগী ওষুধ চান, যা খেলে পাথর গলে বের হয়ে যাবে। সত্যিকার অর্থে এমন কোন
কার্যকরী ওষুধ নেই তাই একবার পাথর হলে ছোট অবস্থায় তা নিজেই বের হয়ে যেতে পারে
অন্যথায় তাকে বের করে ফেলতে হবে। পাথর কিডনির ভেতর থাকলে কিডনির ক্ষতি হয়।
পাথর যাতে কিডনিতে না হতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
আপনারা যারা এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েছেন তাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। এবং আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url