গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন কম - প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন কম - প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবার হল দেশি সুস্থ মুরগির কলিজা কচুশাক লাল মাংস চিংড়ি পালং শাক আমন্ড বিট খেজুর আয়রন ক্যালসিয়াম কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ বেদনা হিমোগ্লোবিনের সাহায্য করে। সেজন্য আজকে আমাদের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় রক্তিমোগ্লোবিন কম - প্রাকৃতিক উপায় হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়। চলুন নিম্নে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় রক্তিমোগ্লোবিন কম - প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে।
পেইজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় রক্তিমোগ্লোবিন কম - প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়
- ভূমিকা
- গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন কম কিভাবে জানা যায়
- প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়
- গর্ভাবস্থায় কিভাবে হিমোগ্লোবিন বাড়ানো যায়
- গর্ভাবস্থায় কিভাবে শরীরে রক্ত বাড়ানো যায়
- গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক ব্যাপ্তি কত হওয়া উচিত
- উপসংহার
ভূমিকাঃ
হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লৌহ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবার হল
দেশেই সুস্থ মুরগির কলিজা কচু শাক লাল শাক চিংড়ি পালং শাক আমন্ড পিঠ খেজুর
আয়রন ক্যালসিয়াম কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ বেদানা হিমোগ্লোবিনের
ঘাটতি পূরণের সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি করে বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দেন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা। আমাদের দেহের কোষগুলোকে সক্রিয় ও কার্যক্রম রাখতে রাখতে
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। সাধারণত নারীদের রক্তে
হিমোগ্লোবিন কম থাকে আর গর্ভাবস্থায় এটি প্রকট হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শরীরে পানি কমে যাওয়ার লক্ষণ কি - এর চিকিৎসা ও প্রতিকার
বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় গর্ভবতী নারীকে রক্ত দিতে পরামর্শ দেন যেন গর্বের শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে। একজন সুস্থ বান গর্ভবতী নারীর শরীরে ১৩ থেকে ১৬ মিলিগ্রাম হিমোগ্লোবিন থাকা উচিত। আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারীদের শিশু বয়স থেকেই হিমোগ্লোবিন কম থাকে। তাই এটিকে অনেকেই স্বাভাবিক হিসেবে দেখে থাকেন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক গর্ব অবস্থায় রক্তিমোগ্লোবিন কম - প্রাকৃতিক উপায় হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়।
গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন কম কিভাবে জানা যায়ঃ
রক্তে হিমোগ্লোবিন কম হলেঃ
রক্তে হিমোগ্লোবিন কম হলে চেহারায় যে চিহ্নগুলো ফুটে ওঠে-
- চেহারা ফ্যাকাশে দেখায়
- ক্লান্তি
- সামান্য পরিশ্রমে কষ্ট হয়
- খাবারে অরুচি
- মনোযোগের অভাব দেখা দেয়
আইরনঃ
হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবার
হলো দেশী সুস্থ মুরগি কলিজা কচু শাক লাল শাক চিংড়ি পালংশাক আমন্ড বিট খেজুর।
আয়রন ক্যালসিয়াম কার্বোহাইড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ বেদনা হিমোগ্লোবিন এর
ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি করে বেদনা খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেক
ডাক্তারেরা। এছাড়া মধু আয়রনের একটি ভালো উৎস আয়রন ছাড়াও মধুতে কপার ও
ম্যাগনেস আছে।
আয়রন ছাড়াও মধুতে কপাল ও ম্যাগনেস আছে এই উপকরণগুলো শরীরে গিয়ে প্রচুর
পরিমাণে হিমোগ্লোবিন প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত দুধ ডিমও
খেতে হবে।
ভিটামিন সিঃ
ভিটামিন সি এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া আইরন
পুরোপুরি ভাবে শোষণ হয় না আমলকি পেপে বাতাবি লেবু কমলালেবু স্ট্রবেরি গোলক
মরিচ ব্রুকলি আঙ্গুর টমেটো চাষ ভিটামিন সি থাকে। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ জেনে সে
অনুযায়ী খাবারও ঔষধ গ্রহণের কথাও বলেন অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা। গর্ভবতী
মায়ের খাবার ও বিশ্রাম এর বিষয়ে শুরু থেকে পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য রাখতে
হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়ঃ
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা ক্লান্তি মাথাব্যথা শ্বাসকষ্ট
জিম ধরা খোদা মন্দা ও দ্রুত রিস্পন্দনের মত সমস্যা দেখা যায়। যদি
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক কম হয় তবে রক্তস্বল্পতা ভাই এর চেয়েও মারাত্মক
সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবার শরীরে লৌহের দরকার হয়।
নিম্নে গর্ভাবস্থায় প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায় গুলো
তুলে ধরা হলো-
বিচ খানঃ
বিজে প্রচুর আয়রন থাকায় এগুলো ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি হবে।
ডিম খানঃ
ডিম আয়রন এবং ভিটামিনের একটি ভালো উৎস এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে
সাহায্য করে।
মসুর ডাল খানঃ
মসুর ডাল আয়রনের ভালো উৎস এবং দ্রুত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে
আপনার শরীরে।
গারো সবুজ সবুজ শাক-সবজি খানঃ
গারো সবুজ শাকসবজি আয়রনের একটি ভালো উৎস এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে
সাহায্য করে।
এগুলো হল গর্ভাবস্থায় প্রাকৃতিকভাবে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর এবং দ্রুত শরীরে
রক্ত তৈরি করার উপায়। আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এই খাবারগুলি
ডায়েটে যুক্ত করুন।
গর্ভাবস্থায় কিভাবে হিমোগ্লোবিন বাড়ানো যায়ঃ
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আপনার স্বাস্থ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। কম
হিমোগ্লোবিনের মাত্রার জন্য রক্তস্বল্পতা হতে পারে যার থেকে ক্লান্তি এবং
অন্যান্য জটিলতা হতে পারে তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর সর্বোত্তম উপায়
হলো প্রিন্যাটাল ভিটামিন নেওয়া যাতে আয়রন থাকে।
সবচেয়ে ভালো হবে যদি প্রতিদিন কমপক্ষে 18 মিলিগ্রাম আয়রন খাওয়া আপনার লক্ষ্য
হয়। আপনি যদি আপনার খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন না পান তাহলে আপনাকে
একটি আইরন সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে আইরন সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন কিনা সেই বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নিতে এবং সর্বোত্তম সাপ্লিমেন্টের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে ডাক্তার
আপনাকে সাহায্য করতে পারেন।
ফলিক এসিড গ্রহণের পরিমাণ বাড়ান ফলিক এসিড গ্রহণ করলে এটি আপনার শরীরে জলের
দ্রব্য নিয়ম জানি ওরাল টিউব তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। একটি মস্তিষ্ক এবং
মেরুদন্ডের জন্মগত বিকলাঙ্গা প্রতিরোধের সাহায্য করে। গর্ভধারণের বয়সে থাকা
সমস্ত মহিলাদের প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রো গ্রাম ফলিক এসিড খাওয়া উচিত।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যাবশ্যক গর্ভাবস্থায়
দৈনন্দিন কাজ কর্মের দখল কাটিয়ে উঠার জন্য আপনার শরীরে আরো বেশি সময় প্রয়োজন
হয়। প্রতি রাতে কমপক্ষে চার ঘন্টা ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখুন।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আপনার স্বাস্থ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। কম
হিমোগ্লোবিনের মাত্রার জন্য রক্তস্বল্পতা হতে পারে যার থেকে ক্লান্তি এবং
অন্যান্য জটিলতা হতে পারে আপনার শরীরে। তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর
সর্বোত্তম উপায় হল প্রিন্যাটাল ভিটামিন নেওয়া যাতে আয়রন থাকে।
গর্ভাবস্থায় কিভাবে শরীরে রক্ত বাড়ানো যায়ঃ
গর্ভাবস্থায় শরীরের সামগ্রিক রক্তের পরিমাণ বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ
এটি শিশুর শরীরে অক্সিজেন এবং পুষ্টি বহন করতে সাহায্য করে। কম হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা রক্তস্বল্পতার মত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে গর্ভাবস্থায় রক্তের মাত্রা
বাড়াতে সাহায্য করার কয়েকটি উপায় হল আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সাপ্লিমেন্ট
গ্রহণ করা এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা।
গর্ভাবস্থায় কিভাবে শরীরে রক্ত বাড়ানো যায় তা জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ একজন
মহিলার গর্ভবতী হওয়ার আগে যতটা রক্তের প্রয়োজন ছিল এখন তার দ্বিগুণ পরিমাণ
প্রয়োজন। একই বয়স এবং উচ্চতার গর্ভবতী মহিলার গর্ভবতী নয় এমন মহিলা তুলনায়
প্রায় ১০ থেকে ১২% বেশি রক্ত থাকে। বেশি রক্তের পরিমাণ বেড়ে ওঠা শিশুর জন্য
এবং জরায়ুও প্লাসেন্টাই রক্ত চলাচল বাড়াতে প্রয়োজনীয় তবে কিছু জিনিস রয়েছে
যা একজন গর্ভবতী মহিলাকে তার পুরো গর্ভাবস্থায় রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে
সাহায্য করতে পারে যেমন প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা বিশেষ করে জল এবং সুষম
খাদ্য খাওয়া।
গর্ভাবস্থায়ী হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক ব্যপ্তি কত হওয়া উচিতঃ
হিমোগ্লোবিনের গননা পতির বেশি লিটারে গ্রামে (g/di) পরিমাপ করা হয়।
গর্ভাবস্থার প্রথম তিমাসিকে একজন মহিলার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হওয়া উচিত 11.6
g/di - 13.9 g/di এর মধ্যে দ্বিতীয় তিমাসিকে হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা কোথাও 9.7 g/di এবং14.8 g/di এর মধ্যে থাকে. আর গর্ভ দশার সর্বশেষ
তিমাসিক টিতে হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা 9.5 g/di - 15 g/di এর মধ্যে থাকায়
আদর্শ বলে বিবেচিত।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব কেন হয় - সাদা স্রাব হলে করণীয়
উপসংহারঃ গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন কম - প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায়
সারা দেহে অক্সিজেন চলাচলের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য রক্তে
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে তা দুর্বলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে এবং অনিমিয়া
বা রক্তস্বল্পতার দিকে পরিচালিত করতে পারে। সুতরাং গর্ভাবস্থায় যথাযথ
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখা মা এবং গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য
অপরিহার্য। আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রার উন্নতি সাধনের জন্য আপনি এই সকল উপায়
গুলি প্রয়োগের চেষ্টা করতে পারেন তবে অবশ্যই তা আপনার ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ
করে তারপরে করন।
আপনারা এতক্ষণ যারা ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন কম - প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এটি শেয়ার করুন।
এবং যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url