আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা জানতে চাইছেন আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আঁচিল ত্বকের এক বিব্রতকর সমস্যা মুখপিঠ হাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এটি হতে পারে। ক্ষতিকর না হলেও এটি শারীরিক সৌন্দর্যের জন্য হানিকর। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
আসিল কিন্তু একেবারে নিরীহ নয় ক্যান্সারের ভাইরাস লুকিয়ে থাকে এতে। তাই সচেতন হওয়া জরুরী। ক্ষতিকারক না হলেও শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট করে আঁচিল। চলুন নিম্নে আজকে আমরা জেনে নেই আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়।পেইজ সূচিপত্রঃ আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়
ভূমিকাঃ
আঁচিল কোন ক্ষতি করে না তবে তা অত্যন্ত দৃষ্টিকটুস যে এমন কোথাও যদি আঁচিল হয়
তার সব সময় মানুষ দেখতে পায় তবে তা খুবই বিব্রতিকর। আর কিছু আঁচিল প্রচন্ড
ব্যথা করে এবং পুরোপুরি ভালো হতে চাই না তবে বিষয় হলো ঘরোয়া চিকিৎসা দিয়ে
সমস্যা সমাধান পাওয়া সম্ভব। আঁচিলের সংক্রমণ ক্ষমতা আশ্বজনকভাবে বেশি তোয়ালে
গামছা রে যার থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে এর জীবানু। তোকে বিভিন্ন ধরনের গোটা হিসেবে
দেখা দেয় আঁচিল অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি বড় কোন বিপদ বয়ে আনে না।
আরো পড়ুনঃ ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকার
ইউ ম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস কোন ক্ষতস্থানে প্রবেশ করে সংক্রমণ সৃষ্টি করলে সেখানে আচিল দেখা দেয়। শিশুদের আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তবে ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হলে বড়দের এটিও হতে পারে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে তা সরিয়ে তোলা গেলেও সময় লাগে অনেক তাই ধৈর্য থাকতে হবে। ঢেলে ডালা পোশাক পরা আর শরীর শুষ্ক রাখলে আঁচিল হওয়া সংখ্যা কম থা্কে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়।
আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো-
ডিমঃ
দাঁত ব্রাশে ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম মাখিয়ে আলতোভাবে আঁচিলের ওপর ঘষতে হবে। তবে
এটা দিনে দুবার করে দুই সপ্তাহ চালিয়ে যেতে হবে, ডিম আঁচিলের উপর একটা সুরক্ষা
কবর তৈরি করবে দুই সপ্তাহ সেখানে সাবান লাগানো যাবে না দুই সপ্তাহ পর সাবান দিয়ে
আঁচিলের অংশটি ভালোভাবে ধুয়ে দিতে হবে।
পেঁয়াজঃ
এটা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক জাতকে মাখলে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় এবং
প্রদাহ কমে। আঁচিলের ওপর পেঁয়াজ মাখিয়ে তা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে দিনে
দুবার পেঁয়াজ বা ব্যান্ডেজ বদলে নিতে হবে এভাবে চলবে দুই সপ্তাহ।
বেকিং সোডাঃ
এক কাপ পানিতে আধা চা চামচ বেকিং সোডা মেশাতে হবে। তুলার বল এই মিশ্রণে ডুবিয়ে
তাহসানের উপর বসিয়ে দিতে হবে ১৫ মিনিট রাখতে হবে।
গরম পানিঃ
একটু পাত্রে পানি ফুটতে দিন ফুটন্ত পানিতে আঁচিলের অংশটুকু ততক্ষণ ডুবিয়ে
রাখুন যতক্ষণ ব্যথা না করে। সঙ্গে সঙ্গেই গরম পানি থেকে তুলে আঁচিলের উপর ঠান্ডা
কিছু প্রয়োগ করুন দিনে তিনবার করে এই পদ্ধতি চলবে দুই সপ্তাহ।
শুকনা মরিচের সসঃ
শুকনা মরিচ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বহু বছর ধরে আর আঁচিল দূর করতে কার্যকারিতা
প্রমাণিত। পানির সঙ্গে শুকনা মরিচ বাটা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে এটি রাসেলের
উপর দিনে দুই বেলা প্রয়োগ করতে হবে দুই সপ্তাহ ধরে। এতে আঁচিল রং বদলাবে এবং ছোট
হতে থাকবে।
কায়োথেরাপি ফ্রিজিংঃ
আঁচিল দূর করার আদর্শ ডাক্তারি পদ্ধতি হলো প্রিয় থেরাপি ফ্রিজিং এতে আঁচিলের উপর
লিকুইড নাইট্রোজেন প্রয়োগ করে হিমায়িত করা হয়। ত্বকের ভেতরের দিকে অনেক গভীর
পর্যন্ত বিস্মিত হতে পারে এজন্যই পদ্ধতি ঘনঘন অনুসরণ করতে হয়। এক সময় তোকে
ব্লিস্টার তৈরি হবে এবং আঁচিলের মরা কোষ ঝরে পড়বে।
আরো পড়ুনঃ পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম
ডাক্ট টেপঃ
শিশুদের ক্ষেত্রে কায়োথেরাপি ভালোভাবে কাজ করে না আর একবার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার পর দ্বিতীয়বার শিশুরা তা করতে চায় না সেক্ষেত্রে কাজে আসবে ডাক্ট টেপ। টেপ আঁচিলের ওপর দাক্ট টেপ লাগিয়ে রাখতে হবে তিন থেকে পাঁচ দিন একটানা। ফলে টিপের নিচে ত্বক নরম ও কুঁচকে যাবে তখন এ মেরি বোর্ড অথবা স্টোন দিয়ে আসলে কেটে ফেলা হয়। পরে আবার সেখানে ডাক্ট টেপ লাগাতে হবে যতদিন না আসলে পুরোপুরি সেরে যাচ্ছে। এই পদ্ধতি দীর্ঘ তবে ব্যথা মুক্ত।
কাঁচা আলুঃ
কাঁচা গোল আলু আঁচিল দূর করার দারুণ এক প্রাকৃতিক উপাদান। সতেজ একটি কাঁচা আলু
গোল করে কাটুন সেটি দিয়ে দিনে কয়েকবার আঁচিলের উপর ঘোসন ধীরে ধীরে দূর হয়ে
যাবে আঁচিল।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ
আঁচিল দূরীকরণে আপেল সিডার ভিনেগার খুব কার্যকর। ভিজিয়ে আঁচিলের উপর রেখে দিন
সারারাত রাখবেন। ভিনেগারে থাকা এসিড প্রাকৃতিকভাবে আঁচিল পুড়িয়ে দেব।
অ্যালোভেরাঃ
ত্বকের যত্ন ও চিকিৎসায় এলোভেরার নানামুখী ব্যবহার রয়েছে। আঁচিল দূর করার
ক্ষেত্রে এটি দারুন কার্যকর এলোভেরার পাতা কেটে জেলি বের করে নিন সেই জেলি আঁচলে
লাগিয়ে রাখুন। কয়েকদিন এমন করলে আঁচিল ঝরে পড়বে।
পাকা কলার খোসাঃ
আঁচিল দূর করার জন্য কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে
দিনে দু তিনবার আঁচিলের উপর ঘোসুন কিংবা খোসার পেস্ট বানিয়ে নিন। সারারাত
আছিলের উপর লাগিয়ে রাখুন সকালে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন উপকার পাবেন।
রসুনঃ
ত্বকের যত্নে রসুন খুব ভালো রসুনের কয়েকটি কুয়া নিয়ে থেতলে নিন। তারপর তাহেলের
উপর লাগিয়ে পরিষ্কার ফিতা দিয়ে বেঁধে রাখুন। কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন।
উপসংহারঃ আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা ধৈর্য সহকারে এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আঁচল দূর করার উপায়গুলো। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আমাদের আর্টিকেল এর মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনারা কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হওয়ার ২০ টি উপায়
যাতে করে আমরা সেটা সংশোধন করতে পারি। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url