লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয়

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা  আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয় আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। লিভার শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। সুস্থ থাকতে লিভারের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে সেজন্য লিভার যাতে সুস্থ থাকে সেদিকে সকলেরই খেয়াল রাখা উচিত আজকে আমরা আপনাদের জানাব লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয়। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয়।

লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয়
ওজন বেড়ে যাওয়া হার্টের রোগ ক্লান্তি অনুভব করা হজমের সমস্যা এলার্জি সহ বিভিন্ন অসুখ দেখা দিতে পারে অসুস্থ লিভারের কারণে। এই লক্ষণগুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে তবে আপনি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। এর প্রতিকার সম্বন্ধে লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয় আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে জানতে পারবেন। চলোন নিম্নে জেনে নেই লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয়।

পেজ সূচিপত্রঃ লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয়

ভূমিকাঃ

লিভার এর সমস্যা বর্তমান বিশ্বের একটি বড় সমস্যা। অনেকেই অল্প বয়সেই এই রোগে আক্রান্ত হয় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ফলে হতে পারে যুকৃতে প্রদাহ আর ক্রমাগত প্রদাহ থেকে পরবর্তী সময়ে সিরোসিস বা ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমাদের দেশের নানা অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারই বেশি দেখা যায়। 
এর প্রধান কারণ স্থলতা অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ও কাইয়িক সময়ের অভাব। টি লিভারের আদতে কোন চিকিৎসা নেই। নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ছাড়া ওজন কমানো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও বেমি পারে একমাত্র এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে। তাহলে চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয়। 

লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিতঃ

লিভার বড় হলে যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-
সবুজ শাকসবজিঃ
সবুজ পাতা ওয়ালা শাকসবজির মধ্যে যে পলি ফেনোল ও নাইট্রেট পাওয়া যায় তা লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তবে রান্না ও সেদ্ধ করে ফেললে এর পলিশেনলের পরিমাণও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়। তাই সেদ্ধ করে পানি না ফেলে বা সম্ভব হলে কাঁচা সালাতে যতটা সম্ভব সবুজ পাতা বলা অন্যান্য পাতা খেতে চেষ্টা করুন।
ডাল ও বীজ জাতীয় খাবারঃ
ডাল, ছোলা, মটরশুঁটি ইত্যাদি খাবারে স্টার্স ওয়াশ প্রচুর। এসব খাবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর একই সঙ্গে ট্রাই গ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। সয়াতে যে ভিটা কোন গিলাইসিন থাকে তা ট্রাই গ্লিসারাইড অফিসের অল ফ্যাট কমায়। সূর্যমুখীর বিজি আছে প্রচুর ভিটামিন ই যা লিভারের জন্য ভালো।
সামুদ্রিক মাছঃ
ইলিশ, রূপচাঁদা, টুনা, স্যামন ইত্যাদি ওমেগা ৩ তেল যুক্ত সামুদ্রিক মাছ উপকারী এইচ ডি এল কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ক্ষতিকর ট্রাই গ্লিসারাইড কমিয়ে লিভারের চর্বি প্রদাহ কমায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন সপ্তাহে অন্তত তিন দিন মাছ খাওয়া উচিত।
ওটস ও জটিল শর্করাঃ
লিভার থেকে রেহাই পেতে আপনাকে জটিল শরকরা যেমন ওটমিল বা লাল আটার বা যবের রুটি খেতে হবে।
বাদামঃ
নানা ধরনের বাদাম রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। বাদাম ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়। প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। আখরোট কাজুবাদাম হতে পারে আপনার রোজকার বৈকালিক নাস্তা।
মসলাঃ
কাঁচা হলুদের কার কিউমিন ও কাঁচা রসুন লিভার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

লিভার বড় হলে যে গুলো খাওয়া উচিত নয়ঃ

লিভার বড় হলে যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয় সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-
চিনিঃ
লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু কিন্তু চিনি বাসর করা ফ্যাট নয়। সাদা চিনি এবং চিনিযুক্ত যে কোন খাবার জুস বা পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়তি জেনেই ট্রাই গ্লিসারাইড হিসেবে লিভারে জমা হয়।
ভাজাপোড়া খাবারঃ
উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা যে কোন খাবার এড়িয়ে চলুন যেমন চিকেন ফ্রাই ফ্রেন্স ফ্রাই যে কোন ফাস্টফুড আপনার জন্য নিষেধ।
লবণঃ
দৈনিক ২হাজার ৩০০০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ খাওয়া যাবেনা। এর মানে রান্নায় যে লবণ ব্যবহৃত হয় এর বাইরে যে কোন লবণ লবণযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার নিষেধ।
সহজ শর্করাঃ
সাদা ভাত, ময়দা তৈরি পাউরুটি ও পরোট, নান, নুডলুস, পাস্তা ইত্যাদি লিভারে চর্বি বাড়াতে সহযোগিতা করে। সেজন্য এগুলোর পরিবর্তে বেছে নিন লাল আটার রুটি। ব্রাউন ব্রেড বা লাল চাল, তাও সেগুলো পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
রেড মিটঃ
রেডমিট যেমন গরু বা খাসির মাংস খাওয়া কমিয়ে ফেলুন। মাসে এক বা দুই দিন দুই থেকে তিন টুকরা চর্বি ছাড়ানো মাংস খেতে পারেন আপনি। মাংসের সাথে চর্বি আপনার জন্য ক্ষতিকর।
অ্যালকোহলঃ
অ্যালকোহল লিভারের সূত্র। তাই যেকোনো ধরনের অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন লিভারের সমস্যা হলে।

লিভার ভালো রাখার জন্য খাদ্য তালিকাঃ

সকালের নাস্তাঃ
একবাটি ওটস বা দুটি লাল আটার রুটি বা ব্রাউন ব্রেড(ড পিনাট বাটার দিয়ে খেতে পারেন) এক চামচ চিয়া সিট যে কোন একটা ফল এক কাপ কফি বা গ্রিন ট্রি।
 দুপুরের খাবারঃ
মাঝারি আকারের এক বা দুই পিস মাছ বা মুরগির মাংস দিয়ে এক কাপ লাল চালের ভাত, সবুজ পাতা ওয়ালা সবজি সিদ্ধ বা সালাত(অলিভ অয়েল ড্রেসিং দিয়ে নিতে পারেন) ,ডাল।
বিকেলের নাস্তাঃ
একটা আপেল অথবা ৫-৬ টা কাজুবাদাম বা আখরোট।
রাতের খাবারঃ
বিনস, ব্রকলি, শশা, টমেটো ইত্যাদি দিয়ে একবাটি সালাত এক কাপ টক দই।

উপসংহারঃ লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয়

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন লিভার বড় হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত নয়। আমাদের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং আমাদের আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url