সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা -আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়। আমরা অনেকেই মা হওয়ার পর নিজের ফিগার নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগী। আমরা অনেকেই জানিনা এর প্রতিকার কিভাবে করব। চলুন আমরা নিম্নে জেনে নেই সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়।

সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়

সিজারের পর সেলাই এর জায়গা শুকিয়ে আসতে সাধারণত তিন চার মাস সময় লাগে। তাছাড়া বাচ্চা জন্মানোর প্রথম তিন মাস সাধারণত শিশুরা এক্সক্লুসিভ বেস্ট ফিট করে তাই এ সময়টা চিকিৎসকরা ডায়েট না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চলুন নিম্নে জেনে নেই সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়।

পেইজ সূচিপত্রঃ সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় 

ভূমিকাঃ

মা হওয়ার পর অনেক মহিলাই নিজের ফিগার নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। অতিরিক্ত ওজন বা পেটের কাছে জমে থাকা মেয়েদের জন্য গায়ে ফিট করে না পছন্দের পোশাক।আর তারপরেই একরাশ হতাশায় এসে বাসা বাদে মনের ভিতর সিখ সেকশন হওয়ার পর সেলাইয়ের জায়গা শুকিয়ে আসতে সাধারণত তিন চার মাস সময় লাগে। তাছাড়া বাচ্চা জন্মানোর প্রথম তিন মাস সাধারণত শিশুরা এক্সক্লুসিভ বেস্ট ফিট করে । তাই এই সময়টা চিকিৎসকরা ডায়েট না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ শীতে হাঁটু ব্যথা নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের নরমাল ডেলিভারির চেয়ে সিজারিয়ান ডেলিভারি সংখ্যায় বেশি দেখা যায়। সেইসাথে সিজারের পর ইনফেকশনের সংখ্যা তুলনামূলক কম নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি বছর ৩২ লক্ষ ৬৫ হয় তার মাঝে ৪২ শতাংশ মানে 13 লক্ষ প্রস্তুতি হয় শিকার অপারেশনের মাধ্যমে। তাদের অনেকেই আবার ওষুধ পরবর্তী সময় সংক্রমণ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো আবার অপারেশন পুনরায় করতেও দেখা যায়। জেনে নেওয়া যাক সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়।

সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় কিঃ

সিজারের পর অনেক মা অতিরিক্ত ওজন বা পেটের কাছে জমে থাকা মেয়েদের জন্য গায়ে ফিট করে না পছন্দের পোশাক এতে হীনমন্যতায় ভোগেন। সিজারের পরে সেলাইয়ের জায়গা শুকিয়ে আসতে তিন চার মাস সময় লাগে তাছাড়া বাচ্চা জন্মানোর প্রথম তিন মাস সাধারণত শিশুরা এক্সক্লুসিভ বেস্ট ফিট করে তাই এই সময়টা চিকিৎসকরা ডায়েট না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চলুন নিম্নে জেনে নেই সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো-

  • আপনি যখন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য বাচ্চাকে কোলে নিবেন মনে রাখবেন এ সময়টাই সবথেকে মায়ের ওজন বেশি কমে। অনেকের সময়ে পুরোপুরি রোগা হয়ে যান জড়িয়ে ফেলেন প্রেগনেন্সির সময়ের ওজন।
  • শিশু জন্মের তিন মাস পর থেকে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন তবে তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে করতে হবে।
  • শরীর চর্চা করার জন্য আপনার শরীর তৈরি কিনা তারপর যোগা দিয়ে শুরু করুন, ধীরে ধীরে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইড ওয়াকিং স্লিপিং করুন।
  • সিজারের পর পেটে অনেকটাই বেড়ে গেলে বেল্ট পড়ুন বেল্ট পড়ে থাকতে যতই বিরক্ত লাগুক না কেন খাওয়ার পর এবং ঘুমানোর সময় ছাড়া খুলবেন না এটা। এতে ভুড়ি বেড়ে যাওয়ার সমস্যা অনেকটাই কমবে আপনার।
  • মিষ্টি জাতীয় খাবার ডায়েট থেকে ছেঁটে ফেলুন সন্তানের বয়স ৭-৮ মাস হলে যখন সে সলিড খাবার খাওয়া শুরু করবে তখন ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে এক কাপ করে দিন তার জায়গায় প্রোটিন জাতীয় খাবার ফাইবার আছে এমন খাবার। অর্থাৎ শাক সবজি রাখুন ডায়েটে।

  • এই সময় ভুল করেও না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না এতে আপনার ও আপনার শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
  • আপনার শিশুর জন্মের 6 মাস পর থেকে অন্যান্য শুরু করা ভালো তবে হালকা ব্যাম দিয়ে শুরু করা উচিত। পেটের ব্যায়ামগুলো 89 মাস পর শুরু করা ভালো ইয়োগা পেটের মেদ কমানোর ভালো উপায় যেমন প্রণায়াম। পেটের মাংসপেশি দৃঢ় হয়।
  • আপনি শুনে অবাক হবেন যে পানি দেহ থেকে অতিরিক্ত বের করে দিতে সাহায্য করে। সেজন্য আপনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন এতে ক্ষুধা কম লাগবে ওপেন ভরা থাকবে।
  • ভাত মিষ্টি সহ শর্করা জাতীয় অন্যান্য খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে যারা গর্ভধারণের আগে থেকে একটু মোটা হয়ে গেছেন তাদের এ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

সিজারের পর কোমর ব্যথার কারণঃ

সিজারের পর আপনার কোমর ব্যথা হতে পারে কয়েকটি কারণে নিম্নে কারণগুলো বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো-

হরমোনাল পরিবর্তনঃ

গর্ভাবস্থায় চলাকালীন সময়ে পেট বড় হওয়ার সাথে সাথে আরো অনেক শারীরিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। এ সময় বিশেষ করে মাংসপেশীতে একটা বড় পরিবর্তন হয়ে থাকে মূলত হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে মাংসপেশীতে সমস্যা ঘটে থাকে। গর্ভাবস্থায় সময় সন্তান প্রসব করার জন্য এক ধরনের প্রেগনেন্সি হরমোন রিলিজ হয় সেটা আপনার লিগামেন্ট কে নরম করতে সাহায্য করবে এর ফলে সহজে সন্তান প্রসব হবে আপনার।

এ সময় থাকার কারণে আপনার পিসিতে হালকা টান পড়লে ব্যথা অনুভূত হতে পারে যার জন্য সিজারের পরে কোমর ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।

জরায়ু বড় হয়ে যাওয়াঃ

গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন সময়ে যদি আপনার জরায় বড় হয়ে যায় তবে আপনার তলপেটে ও কোমর বেশিতে স্টেজ বা চাপ পড়তে পারে এর ফলে আপনার কোমর ব্যথা হতে পারে।

বাচ্চা কোলে তুললেঃ

ডেলিভারির পরে বাচ্চা কোলে নেওয়ার সময় যদি আপনি সামনের দিকে ঝুঁকে বারবার শিশুকে নিজ থেকে কোলে তুলেন তাহলে আপনার সেলাইয়ের জায়গায় অর্থাৎ কোমর এবং পেটের মা ছেলের বারবার স্টেজ বা টান পড়তে পারে, যার ফলে আপনার মাসেল ইনজুরি হতে পারে আর এইসব ছোটখাটো ভুলের কারণেই সিজারের পর আপনার কোমরে ব্যথা হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ হস্তমৈথুনের অপকারিতা কি - এটাকে ইসলাম কি বলে

সামনে ঝুঁকে শিশুকে দুধ খাওয়ালেঃ

সিজারের পরে আপনার শিশুকে সামনের দিকে ঝুঁকে যদি দীর্ঘক্ষণ ধরে দুধ খাওয়ান অথবা সামনের দিকে ঝুঁকে বাচ্চাকে কোলে তুলে নিলে আপনার পিঠে এবং কোমরের পেশিতে স্টেজ বা চাপ পড়তে পারে যার ফলে আপনার কোমর ব্যথা হতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়াঃ

আপনি যখন গর্ভবতী থাকেন সে অবস্থায় আপনার যদি অতিরিক্ত ওজন চাই। তখন আপনার সিজারের পরে আপনার কোমর ব্যথা পেটে ব্যথা হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে।

অ্যানেসহশিয়াঃ

 এটার কারণে সিজারের পরে আপনার পিঠ এবং কোমরের বেশিতে ব্যথা হতে পারে কারণ সিজারের অপারেশনের জন্য চিকিৎসক আপনার সুষুম্না কাণ্ডে এক ধরনের ইনজেকশন দিয়ে থাকেন যার নাম হলো ইপিডুরাল। অপারেশনের জায়গাটুকু অবেচেতন করার জন্যই ডাক্তাররা এই ইনজেকশন ব্যবহার করে থাকেন। এই ইনজেকশনের প্রধান সমস্যা হল muscle spasm । যার ফলে সিজারের পর আপনার পিঠে এবং কোমরে ব্যথা হতে পারে।

সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কিঃ

সিজারের ক্ষেত্রে ওটির নিয়ম মানা এবং প্রতিরোধের জন্য আলাদা আলাদা ইকুপমেন্ট ব্যবহার করা হয়, জীবাণুমুক্ত পানীয় জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয় তবেই ইনফেকশন এড়ানো সম্ভব। সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়গুলো হচ্ছে-

  • সাবধানে চলাফেরা করতে হবে আপনাকে।
  • ময়লা বা ঘাম জমতে দেওয়া যাবেনা কাটা স্থানে।
  • সিজারের পর ইনফেকশন হলে কাটা জায়গায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে।
  • এবং আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ শ্রবন করতে হবে।

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ ঃ

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ মাত্র তিন থেকে পাঁচ পারসেন্ট রোগের ক্ষেত্রে সিজারের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে সিজারের ইনফেকশন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা  থাকে তবে খুব সহজেই এর জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন আপনি। চলুন নিম্নে জেনে নেই সিজারের পর ইনফেকশন হলে যে লক্ষণ গুলো দেখা যাবে আপনার শরীরে-

  • ক্ষত জায়গা থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পোজ বা রস বের হতে পারে।
  • গায়ে জ্বর জ্বর ভাব বা জ্বর আসতে পারে।
  • মাসিকের রাস্তা দিয়ে গন্ধযুক্ত তরল বা রক্ত আসতে পারে।
  • এমনকি সমস্ত শরীর ফুলেও যেতে পারে আপনার।
  • সাধারণত প্রস্রাব করতে খুব কষ্ট হবে আপনার।
  • ক্ষত জায়গায় এমনকি পেটে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে।
  • কাটা জায়গার চারপাশে লাল হয়ে যাবে এবং ফুলে যাবে।

সিজারের পর ইনফেকশনের কারণঃ

সিজারের পর জিনিসপত্র সঠিকভাবে দূর না করা সিজারের কক্ষ সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করা। রোগীর পোশাক পরিণত পরিষ্কার না থাকার রোগীকে তার পক্ষে নেওয়ার পর সজনরা দেখে সাক্ষাৎ করা, রোগের পুষ্টির অভাবে সিজারের পর সময় ব্যবহারিত পানি জীবাণুমুক্ত না করা অন্যদিকে সিজারের পর কিছুটা কালেকশন শরীরের ভিতর থেকে যাওয়া। রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা, এসব কারণে ইনফেকশন হয়ে থাকে তাছাড়া হাসপাতালে এক বেড থেকে অন্য বেটার দূরত্ব কম থাকায় একই সাথে অনেক রোগী থাকার ফলে আজ আকাশের মাধ্যমেও সংক্রমিত হতে পারে। তাছাড়া সিজারের পর সেলাইয়ের সময় রক্তনালী সঠিকভাবে বন্ধ না হলেও ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর ১৫ টি উপায় 

সারা পৃথিবীতেই সিজারিয়ান অপারেশন হওয়ার পরে সিজারে ইনফেকশন হয় তবে ইনফেকশনে রোগী মারা যায় না কিন্তু রোগীর অনেক কষ্ট হয়। ইনফেকশনের জায়গা ড্রেসিং করার সময় যে কষ্ট হয় সে কষ্ট ওর মত আর কোন কষ্ট নাই পৃথিবীতে সেলাইয়ের যে কষ্ট সেটা সহ্য করা যায় কিন্তু ড্রেসিং এর কষ্ট সহ্য করা যায় না। কোন মা বোনের যেন শিকারের পর ইনফেকশন না হয় ইনফেকশন এর ফলে রোগের নিজেরই হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে বাচ্চারা দেখাশোনা তো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে।

উপসংহারঃ সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা আজকে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় গুলো কি। আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তবেই আমাদের লেখা সার্থক হবে। এবং এই লেখার ভিতর যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন। যাতে করে আমরা সেগুলো সংশোধন করতে পারি।

যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url