নগদ, বিকাশ, রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম - ওয়ালেট নাম্বার মানে কি

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকে তোমাদের জানাবো নগদ বিকাশ রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম - ওয়ালেট নাম্বার মানে কি সে সম্পর্কে। এখন আপনারা বাড়িতে বসেই খুব সহজেই খুলে নিতে পারবেন দরকারি অ্যাকাউন্ট কোন ঝামেলা ছাড়াই কাগজপত্র বা অন্য কোন তথ্য ছাড়াই খুলে নিন বিকাশ রকেট নগদ একাউন্ট। সেজন্য আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব কিভাবে খুলবেন বিকাশ রকেট নগদ একাউন্ট। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক নগদ বিকাশ রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম - ওয়ালেট নাম্বার মানে কি। 
নগদ বিকাশ রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম - ওয়ালেট নাম্বার মানে কি

এই তিনটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে মোবাইলের প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ অপশনে গিয়ে কয়েকটি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর আপনি আপনার মোবাইল থেকে বিকাশ অ্যাপ টি ডাউনলোড করে নিন। আপনারা যারা নগদ বিকাশ রকেট একাউন্ট খুলতে পারেন না আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। নিম্নে জেনে নেওয়া যাক নগদ বিকাশ রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম - ওয়ালেট নাম্বার মানে কি।

পেইজ সূচিপত্রঃ নগদ বিকাশ রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম - ওয়ালেট নাম্বার মানে কি

ভূমিকা

নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম

ওয়ালেট নাম্বার মানে কি

উপসংহার

ভূমিকাঃ

প্রথমে আপনার মোবাইলের প্লে স্টোরে চলে গিয়ে সার্চ অপশনে গিয়ে লিখুন Bkash App তারপর ডাউনলোড করে নিন বিকাশ অ্যাপ এরপরে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করে নিন ওপেন করুন বিকাশ অ্যাপ তারপর লগইন রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করুন এরপরে আপনার মোবাইলের নাম্বার দিন দেখুন আপনার ফোনে একটি ভেরিফাই কোড এসে এটি অটোমেটিক হয়ে যাবে।

এরপরে আপনার এনআইডি কার্ড সাবমিটে ক্লিক করুন আপনার এনআইডি কার্ডের ছবি সামনের পাশ এবং পেছনের পাশে ছবি তুলে জমা দিন তারপর সকল তথ্য আপনার ফোনে দেখাবে কনফার্ম করুন। আপনার ফোনে একটি মেসেজ আসবে তারপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে *২৪৭# ডায়াল করে আপনার প্রিন্ট সেটআপ করে নিন।

তারপর আপনি বিকাশের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করুন আপনি যদি বিকাশ খুলতে পারেন তাহলে নগদ রকেট খুব সহজেই খুলতে পারবেন। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক নগদ বিকাশ রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম - ওয়ালেট নাম্বার মানে কি।

নগদ একাউন্ট খোলার নিয়মঃ

নগদ একাউন্ট খোলার জন্য আপনি আপনার মোবাইলের প্লে স্টোর থেকে নগদ অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন। এরপরে ইন্সটল করে ওপেন করুন তারপর লগইন রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করুন আপনার নাম্বার দিন দেখুন আপনার ফোনে একটি ভেরিফাই কোড এসে গেছে এটি অটোমেটিক হয়ে যাবে তারপর এন আই ডি কার্ড সাবমিট এ ক্লিক করুন।

 আপনার এনআইডি কার্ডের ছবির সামনের পাশ এবং পিছনের পাশ দিন এরপর আপনার সকল তথ্য আপনার ফোনে দেখাবে কনফার্ম করুন আপনার ফোনে একটি মেসেজ আসবে তারপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে*১৬৭# ডায়াল করে আপনার পিন সেটআপ করে নিন। তারপর আপনি নগদের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করুন।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়মঃ

নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলা একদম সহজ ব্যাপার। বর্তমানের সকল airtel banglalink টেলিটক গ্রামীণফোন এবং রবি গ্রাহকগণ বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন নিজের ফোন থেকেই। বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাপ থেকেই ঘরে বসে একাউন্ট খুলতে পারবেন নিজের ধাপগুলো অনুসরণ করে।

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে ইকওয়ারিসির মাধ্যমে একাউন্ট খুলুনঃ

নিকটবর্তী ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট টেবিল বিকাশ একাউন্ট খুলতে নিয়ে আসুন

মোবাইল ফোন

জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি

পদ্ধতিঃ

এজেন্ট আপনার মোবাইল নাম্বারও অপারেটর নিশ্চিত করে একাউন্ট খোলার জন্য অনুমতি নেবেন।

আপনার নাম্বারে পাঠানো রেফারেন্স নাম্বারটি দিবেন।

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সামনের ও পেছনের অংশের ছবি তুলবেন।

এজেন্ট ই কোআইসিএনটির জন্য আপনার একটি ছবি তুলবেন।

সফল রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আপনি একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন।

এজেন্ট পয়েন্টে কোআইসি ফর্ম পূরণ করে বিকাশ একাউন্ট খুলুনঃ

নিকটবর্তী এজেন্ট পয়েন্টে বিকাশ একাউন্ট খুলতে নিয়ে আসুন

মোবাইল ফোন

জাতীয় পরিচয় পত্র মূল এবং ফটোকপি

এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

নিকটবর্তী গ্রাহক সেবায় বিকাশ একাউন্ট খুলতে নিয়ে আসুনঃ

মোবাইল ফোন

জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি ড্রাইভিং লাইসেন্স মূল এবং ফটোকপি পাসপোর্ট মোড এবং ফটোকপি।

এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

গ্রাহক সেবা কেন্দ্র বিকাশ একাউন্ট খুলুনঃ

নিকটবর্তী গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে বিকাশ একাউন্ট খুলতে নিয়ে আসুন-

মোবাইল ফোন।

জাতীয় পরিচয় পত্র।

এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

একাউন্ট ওপেনিং পূরণ করুন এবং আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলীর ছাপ এবং স্বাক্ষর দিন

(WWW.bkas.com) নির্মাত্ম্য সত্য বলে সমূহ এই ওয়েবসাইট এখানে ধারণকৃত বিষয় বস্তু সমূহ এবং এই ওয়েবসাইটে প্রস্তাবিত সেবার ব্যবহার এবং প্রবেশাধিকার আপনি বাজে কোন ব্যক্তি অথবা সত্তা যাকে আপনি আপনার প্রবেশাধিকার দিয়ে প্রবেশ অনুমতি দিবেন সে নিয়ন্ত্রণ করে।

বিকাশ একাউন্ট খোলার পর আপনাকে আপনার বিকাশ মোবাইল মেনু টি একটিভ করে নিতে হবে। আপনার মোবাইলে মেনু একটিভ করতে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুনঃ

*২৪৭# ডায়াল করে বিকাশ মোবাইল মেনুতে যান।

" এক্টিভেট মোবাইল মেনু" বেছে নিন।

বিকাশ একাউন্ট এর জন্য ৫ ডিজিটের পিন নম্বরটি প্রবেশ করেন কনফার্ম করার জন্য আপনার পিন নম্বরটি আবার প্রবেশ করান।

আপনার পিন নম্বরটি সব সময় গোপন রাখুন। সকল প্রক্রিয়ার সঠিকভাবে সম্পন্ন হবার পর আপনার মোবাইল নম্বরটি একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর হিসেবে গণ্য হবে। আপনার বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে মোবাইল রিচার্জ ক্যাশ ইন এবং টাকা গ্রহণের সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আপনার কেওয়াইসি ফর্ম এর তথ্য যাচাই হয়ে গেলে তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে আপনি ক্যাশ আউট মোবাইল রিচার্জ পেমেন্ট এবং বিকাশের অন্যান্য সেবা সমূহ উপভোগ করতে পারবেন।

আপনার অ্যাকাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় হওয়ার পর *২৪৭# ডায়াল করে দিন রাত ২৪ ঘন্টা সপ্তাহে ৭ দিন বিকাশের সেরা ব্যবহার করতে সেরা একটি খুললে সাথে সাথে বেশি বিকাশের সফল সেবা উপভোগ করবেন।

রকেট একাউন্ট খোলার নিয়মঃ

প্লে স্টোর থেকে রকেট অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন আপনার স্মার্টফোনে। তারপর ইন্সটল করে ওপেন করুন। এরপর লগইন রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করুন। এবার আপনার ফোন নাম্বার দিন দেখুন আপনার ফোনে একটি ভেরিফাই কোড এসেছে এটি অটোমেটিক হয়ে যাবে। তারপর এনআইডি কার্ড সাবমিট এ ক্লিক করুন এরপর এনআইডি কার্ডের ছবির সামনের পাশ এবং পিছনের পাশ দিন।

এরপর আপনার সকল তথ্য আপনার ফোনে দেখাবে কনফার্ম করুন আপনার ফোনে একটি মেসেজ আসবে তারপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে*৩২২# ডায়াল করে আপনার পিন সেটাপ করে নিন। এরপর আপনি নগদের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করুন ।

ওয়ালেট নাম্বার মানে কিঃ

ওয়ালেট নাম্বার কি ও নাম্বার মানে কি উক্ত আর্টিকেলটি আমরা এবার যান জানবো ওয়ালেট নাম্বার মানে কি। সাধারণত আমরা ওয়ালেট বলতে বুঝি টাকা রাখার ব্যাগকে এর আরেক নাম হচ্ছে মানিব্যাগ। ওয়ালেটকে আরো বেশি বেশি নিরাপদ রাখার জন্য এখন ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল ওয়ালেট ।

এর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্লাইন্ট সাইড ওয়ালেট আর একটা আছে সার্ভার সাইড ওয়ালেট। আপনার যেকোনো অপারেটর যেমন গ্রামীণ বাংলালিংক রবি এয়ারটেল সিমকে ওয়ালেট নাম্বারে পরিণত করতে পারবেন। যে কোন সিম কে ওয়ালেট করলে আপনি অনেক ধরনের সুবিধা পাবেন। ওয়ালমেট নাম্বার পরিণত করতে কি কি প্রয়োজন এবং কি কি সাথে নিয়ে বিকাশ এজেন্ট এর কাছে যাবেন তার ওপর আলোচনা করছি।

বিকাশ ওয়ালেট খুলতে কি কি লাগেঃ

ওয়ালেট নাম্বার কি ও নাম্বার মানে কি আর্টিকেলটিতে এবারে আমরা জানাবো বিকাশ ওয়ালেট খুলতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে। বিকাশ ওয়ালেট খোলার পর আপনি নানান ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকবেন যেমন বিকাশের সকল সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন ব্যালেন্স রিচার্জ করতে পারবেন প্রবাসী আয় পাঠাতে পারবেন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারবেন।

এছাড়াও কর্মীদের বেতন দিতে পারবেন কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারবেন বিকাশ একাউন্ট খুলতে আপনি আপনার নিকটবর্তী বিকাশ এজেন্ট এর কাছে যান এবং সাথে রাখুন-

গ্রামীণফোন বাংলালিংক এয়ারটেল অথবা রবি এর সংযোগসহ মোবাইল ফোন।

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাসপোর্ট যে কোন একটি হলেই হবে।

দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

ওয়ালেট নাম্বার ওপেন করতে আপনাকে প্রথমে ফরম পূরণ করতে হবে এবং আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলির ওপর স্বাক্ষর দিতে হবে উক্ত কাজগুলো হয়ে যাওয়ার পর এজেন্টের কাছ থেকে আপনি আপনার গ্রাহক কপিটি বুঝে নেবেন এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনের জন্য নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করে রাখবেন।

উপসংহারঃ নগদ বিকাশ রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম - ওয়ালেট নাম্বার মানে কি

প্রিয় পাঠক ওয়ালেট নাম্বার কি ও নাম্বার মানে কি আর্টিকেলটি ওয়ালেট সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি আশা করছি আর্টিকেলটি পরে আপনাদের ভালো লেগেছে এবং এখান থেকে কিছু জানতেও শিখতে পেরেছেন ওয়ালেট নাম্বার কি এবং নাম্বার মানে কি আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং এ বিষয়ে যদি আপনাদের আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url