সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় - সিজারে সেলাই ব্যথা হলে করণীয়
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় - সিজারের সেলাই ব্যাথা হলে করণীয় কি এটা সম্পর্কে তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। আমরা আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় - সিজারে সেলাই ব্যথা হলে করণীয় । চলুন কথা না বাড়িয়ে নিম্ন জেনে নেওয়া যাক সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় - সিজারে সেলাই ব্যাথা হলে করণীয়।
আপনি যদি সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় - সিজারে সেলাই ব্যাথা হলে
করণীয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে
চলুন দেরি না করে সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় - সিজনের সেলাই ব্যাথা হলে
করণীয় সম্পর্কে নিম্নে জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় - সিজারে সেলাই ব্যাথা হলে করণীয়
ভূমিকাঃ
বর্তমান সময়ে সে যার একটা কমন বিষয়। আমরা এখন অহরহ সিজার দেখতে পাই আপনারা যারা
আমাদের এই প্রশ্নের সঙ্গে আছেন তারা নিশ্চয়ই সিজারের ফর ইনফেকশন হলে করণীয়
- সিজারে সেলাই ব্যথা হলে করণীয় এটা লিখে গুগলে সার্চ করে আমাদের এই
পোস্টটি ওপেন করেছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কি এবং
সিজারের সেলাই ব্যাথা হলে করণীয় কি এটা সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে
চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
সিজার একপ্রকার শল্য চিকিৎসা যা একবার একাধিক শিশুর জন্মদানের জন্য মায়ের ওদর ও
জরায়ুতে করা হয়। এটি সাধারণত করা হয় তখন যখন প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মনালীর
মাধ্যমে জনি প্রসব সম্ভব হয় না বা সম্ভব করতে গেলে মায়ের এবং শিশুর উভয়েরই
জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সিজার করতে প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা সময় লাগে।
সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়ঃ
আমরা দেখি আমাদের আশেপাশে অনেকেরই সিজারের পর ইনফেকশন হয়। এই ইনফেকশন কি কারনে
হয় সে কারণগুলো আগে আপনাদের জানতে হবে। চলুন আমরা নিম্নে জেনে নেই
সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে।
ইনফেকশন এর কারনঃ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেন যে হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, সিজারের সময়
জিনিসপত্র সঠিকভাবে জীবাণু দূর না করা, সিজারের কক্ষ সঠিকভাবে
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না কররা, রোগীকে তার কক্ষে নেওয়ার পর স্বজনরা দেখা
সাক্ষাৎ করা, রোগীর পুষ্টির অভাবে, সিজারের সময় ব্যবহারিত পানি জীবাণুমুক্ত
না করা।
অন্যদিকে সিজারের পর কিছুটা কালেকশন শরীরের ভিতর থেকে যাওয়া রোগীর রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা এসব কারণে ইনফেকশন হয়ে থাকে। তাছাড়া হাসপাতালের এক
বেড থেকে অন্য বেড এর দূরত্ব কম থাকায় একই সাথে অনেক রোগী থাকার ফলে হাঁচি
কাশির মাধ্যমে ও সংক্রমিত হতে পারে। তাছাড়া সিজারের পর সেলাইয়ের সময়
রক্তনালির সঠিকভাবে বন্ধ না হলেও ইনফেকশন হতে পারে।
ইদানিং সেজরিয়ান ডেলিভারি সারা পৃথিবীতে হয়ে থাকে তবে ইনফেকশন জীবনের জন্য
মারাত্মক নয়। ইনফেকশনের কারণে রোগী মারা যায় না কিন্তু রোগীর অনেক কষ্ট হয়।
ইনফেকশনের লক্ষণ ঃ
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতামত অনুসারে মাত্র ৩ থেকে ৫% রোগের ক্ষেত্রে সিজারের
পর ইনফেকশন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে সিজারের ইনফেকশন সম্পর্কে বিস্তারিত
ধারণা থাকলে খুব সহজেই এর জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন আপনি। সিজারের পর
ইনফেকশন হলে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে আপনার শরীরে সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা
হলো-
- প্রস্রাব করতে খুব কষ্ট হবে।
- ক্ষত জায়গায় এমনকি পেটে প্রচন্ড ব্যথা হবে।
- সাধারণত কাটা জায়গা চারপাশে লাল হবে ও ফুলে যাবে।
- ক্ষত জায়গা থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পুজ বা রস বের হতে পারে।
- গায়ে জ্বর জ্বর ভাব বা জ্বর আসতে পারে।
- মাসিকের রাস্তা দিয়ে গন্ধযুক্ত তরল বা রক্ত আসতে পারে।
- সমস্ত শরীর ফুলে যেতে পারে।
সিজারে সেলাই ব্যাথা হলে করণীয়ঃ
সিজারের সেলাই ব্যথা নানা কারণে হয়ে থাকে। এ ব্যথা বা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে
থাকে। সেজন্য এখন আমরা সিজারের পর ব্যথা হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে আলোচনা
করব। তার আগে আপনাকে জানতে হবে সিজারের পর ব্যথা হওয়ার কারণ কি তাহলে চলুন
আগে সিজারের পর ব্যথা হওয়ার কারণ সমূহ জেনে নেই।
সিজারের পর ব্যথা হওয়ার কারণঃ
- সেলাই না শুকানোর আগেই জোরে জোরে হাটা এবং সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা নামা করা।
- সেলাই শুকানোর আগে স্বামী স্ত্রীর মিলন করা।
- অতিরিক্ত কাজ করা এবং রোগীর যত্ন নেওয়া নেওয়া এসব কারনে সিজারের পর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- ওষুধের ডোজ কমপ্লিট করে না খাওয়া এবং মাঝেমধ্যে ওষুধ বাদ দিয়ে খাওয়া।
- সুস্থ না হওয়ার আগেই ভারী জিনিস ছাড়া ।
সিজারের পর ব্যথা হলে করণীয়ঃ
- সিজারের পর ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনাকে নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে। এ সময় এক্সারসাইজ করা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- অনেক সময় শরীরের পজিশনের কারণে ব্যাথা লাগতে পারে। এর জন্য সব সময় আপনাকে শরীরের পজিশন ঠিক রাখতে হবে সঠিকভাবে বসে শিশুকে দুধ খাওয়াতে হবে।
- পরিমাণ মতো বিশ্রাম নিতে হবে। অতিরিক্ত কাজ করা যাবে না। বাচ্চার সঠিকভাবে যত্ন নেওয়ার পর নিজের যত্ন নিতে হবে এবং নিজে বিশ্রাম সঠিকভাবে নিতে হবে।
- ভারী কোন জিনিস চাড়া যাবে না। এতে করে সেলাই ছিঁড়ে যেতে পারে এবং প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে আপনার।
- সিজারের পর নিয়মিত গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন। এতে করে মাশাল রিলাক্স হয় সিজারের পর বিভিন্ন রকম ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় গোসলের মাধ্যমে।
- ডাক্তার যেসব ওষুধ দিয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে খেতে হবে এবং সম্পূর্ণ ডোস পূরণ করতে হবে। মাঝে মাঝে বাদ দিয়ে ওষুধ খাওয়া যাবেনা।
উপসংহারঃ সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় - সিজারে সেলায় ব্যাথা হলে করণীয়
আপনারা যারা সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় - সিজারে সেলাই ব্যথা
হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন আপনাদের জন্য উপরে এ সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। এর জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ
সহকারে পড়তে হবে। তাহলে সেজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়
- সিজারে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনারা যারা সিজারের রোগী করে আপনাদের জন্য শিকার করার পর আপনাকে একটু
বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার
জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি
ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url