কোন দুধে পুষ্টি বেশি - ঠান্ডা দুধ নাকি গরম দুধ

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন কোন দুধে পুষ্টি বেশি -  ঠান্ডা দুধ নাকি গরম দুধ সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আমরা আজকে আপনাদের জানাবো কোন দুধে পুষ্টি বেশি -  ঠান্ডা দুধ নাকি গরম দুধ সে সম্পর্কে। ঠান্ডা না গরম কোন ধরনের দুধের শরীরে বেশি পুষ্টি পাবে তা নির্ভর করে আপনি দুধ কেন খাচ্ছেন তার ওপর। চলুন নিম্নে জেনে নেই কোন দুধে পুষ্টি বেশি -  ঠান্ডা দুধ নাকি গরম দুধ সে সম্পর্কে। 

কোন দুধে পুষ্টি বেশি - কাঁচা দুধ নাকি গরম দুধ
ঠান্ডা না গরম কোন ধরনের দুধের শরীরের বেশি পুষ্টি পাবে তা নির্ভর করে আপনি দুধ কেন খাচ্ছেন তার ওপর। যদি আপনার অনিদ্রার সমস্যা থাকে তবে গরম দুধেই আপনি বেশি উপকার পাবেন। কেননা গরম দুধে অ্যামাইনো এসিড বেশি সক্রিয় থাকে যা দ্রুত ঘুম আনতে সাহায্য করে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক কোন দুধে পুষ্টি বেশি - ঠান্ডা দুধ নাকি গরম দুধ।

পেইজ সূচিপত্রঃ কোন দুধে পুষ্টি বেশি - ঠান্ডা দুধ নাকি গরম দুধ

ভূমিকাঃ

শরীরের পুষ্টির যোগান দিতে দুধের কোন বিকল্প নেই। তবে ঠান্ডাও গরম দুধ খাওয়া নিয়ে রয়েছে বেশ বিতর্ক অনেকে মনে করেন গরম দুধ খেলে উপকার বেশি আবার অনেকে মনে করেন ঠান্ডা দুধ খেলে উপকার বেশি। ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম প্রোটিন জিংক ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা নানা সমস্যার হাত থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কোন দূত শরীরের জন্য বেশি উপকারী ঠান্ডা নাকি গরম।

আরো পড়ুনঃ ট্রফি থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

দুধ ঠান্ডা হোক বা গরম দুটোই উপকারী দুই ধরনের উপকার নিয়ে আসে আপনার শরীরের জন্য। আসলে আপনি দুধ গরম খাবেন না ঠান্ডা খাবেন তারপর উপরে নির্ভর করে আপনার ওপর কারণ আপনি কি কারণে দুধ খাচ্ছেন সেটার উপর নির্ভর করে। আমরা অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করি না কিন্তু সবারই উচিত প্রতিদিন একগ্লাস করে দুধ পান করা এটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

আপনি যদি প্রতিদিন একগ্লাস করে দুধ পান করেন তবে আপনার হাড়ো মাংস পেশী শক্ত হবে। গরমের সময় ঠান্ডা দুধ খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে এতে পরিপাকতন্ত্রকে ঠান্ডা রাখে অন্যদিকে রাতে দুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে শীতের সময় গরম দুধ অবশ্যই খাবেন এটি শরীরকে গরম রাখে ও ঠান্ডা লাগার হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করে। চলুন নিম্নে জেনে নেই কোন দুধে পুষ্টি বেশি - ধান কাঁচা দুধ নাকি গরম দুধ।

কোন দুধে পুষ্টি বেশিঃ

  • দুধ ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি এবং পটাশিয়ামের দারুন একটি উৎস। দুধের গুণের শেষ নেই তবে বেশিরভাগ মানুষই গরম দুধ পান করতে পছন্দ করেন আবার একদল দেখবেন ঠান্ডা খেতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার বলে থাকেন ঠান্ডা দুধ শরীরের জন্য ভালো। আমরা সবাই যে যাই বলি না কেন আপনি কি ভেবে দেখেছেন কোনটি শরীরের জন্য ভালো ঠান্ডা নাকি গরম।
  • দুধ গরম করার ক্ষেত্রে যেটা হয় তাপের সংস্পর্শে এসে এর রাসায়নিক এবং পুষ্টিগুণ পরিবর্তিত হতে পারে আবার নাও হতে পারে তবে ঠান্ডা দুধের ক্ষেত্রে সব পুষ্টি অক্ষত থাকে। এবং সময়ের উপর নির্ভর করে গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা ঠান্ডা দুধ খাওয়া ভালো কারণ একটি শরীরকে ঠান্ডা করে শীতকালে অবশ্যই ঠান্ডা দুধ এড়িয়ে চলতে হবে আপনাকে।
  • তবে এর পরিবর্তে গরম হলুদ মেশানো দুধ পান করতে পারেন যা শরীরকে পুষ্টি ও উষ্ণতা যোগাবে। আপনি যদি ভুল সময়ে দুধ পান করেন তবে আপনার শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • তবে দুই ধরনের দুধের সমান পুষ্টিগুণ রয়েছে তবে এর কার্যকারিতা আবহাওয়ার অবস্থার ওপর নির্ভর করে। শীতকালে যেমন গরম দুধ উত্তম তেমনি গরমকালে ঠান্ডা দুধ উত্তম। শীতকালে যেমন ঠান্ডা দুধ খেলে আপনার শ্রদ্ধেয় কাশি হতে পারে তেমনি গরমকালে যদি গরম দুধ খান তবে আপনার নানা রকম সমস্যা হতে পারে। সেজন্য আমাদের দুটো দুধই শরীরের জন্য ভালো।

ঠান্ডা দুধ ও গরম দুধের উপকারিতাঃ

  • দূর থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না তাদের খেতে হবে  গরম দুধ।ঠান্ডা দুধ তুলনায় ভারী । হজম করা কষ্ট আর গরম দুধের ল্যাকটোজের পরিমাণ কম থাকে তাই এই দুধ সহজে হজম হয়।
  • ঠান্ডা দুধ স্থুলতা কমায় যারা গ্যাস্টিক বা স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য ঠান্ডা দুধ ভীষণ উপকারী। এতে বুক ও পেটের সমস্যাও কমে তাই খাবার পর রোজ আধা গ্লাস ঠান্ডা দুধ খান ওষুধ ছাড়াই সমস্যা কমবে আপনার।

আরো পড়ুনঃ ডাটা শাকের বৈজ্ঞানিক নাম - ডাটা শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

  • ঠান্ডা লাগার ধাপ না থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঠান্ডা দুধ অভ্যাস করুন। এতে শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে তবে রাতে ভুলেও খাবেন না এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • কিন্তু শ্রাবের সময় পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয় এই সময়ে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই গরম দুধ রাখুন দুধ থাকা পটাশিয়াম ব্যথা সময়ে সাহায্য করে।
  • অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন এক ক্ষেত্রে গরম দুধ খেলে সমস্যা কমবে কারণ দুধে থাকে অ্যামিনো এসিড যা ঘুমন্ত সাহায্য করে।
  • মৌসুম বদলের সময় অনেকেই সর্দি কাশির কবলে পড়েন গরম দুধ মধু মিশিয়ে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায় যাদের একটুতেই ঠান্ডা লেগে যায় তাদের জন্য গরম দুধ ভালো। দুধে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ঠান্ডা দুধ ওজন ঝরাতে সাহায্য করে ঠান্ডা দুধ খেলে বিপাক হার বেড়ে যায় ফলে বেশি মাথায় ক্যালরির খরচ হয় তাই তারা ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা করছেন তারা ঠান্ডা দুধ খেলে বেশি উপকার পাবেন। হালকা খিদে ফেলে বাইরের খাবার না খেয়ে একগ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন এতে করে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকবে এবং পুষ্টির চাহিদা ও পূরণ হবে।

গরম দুধ কখন বেশি উপকারীঃ

  • আপনারা যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন এক্ষেত্রে গরম দুধ খেলে সমস্যা কমবে দুধে থাকা অ্যামিনো শুড ঘুম আনতে সাহায্য করবে আপনার।
  • ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অনেকেই সর্দি-কাশি কবলে পড়েন গরম দুধে মধু মিশিয়ে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায় যাদের একটুতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা আছে তাদের জন্য গরম দুধ ভালো। দুধে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকা এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • পিরিয়ডের সময় অনেকের পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয় এই সময়ে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই গরম দুধ রাখুন। দুধে থাকা পটাশিয়াম ব্যথা উপ সময় সাহায্য করবে আপনার।

ঠান্ডা দুধ কখন বেশি উপকারীঃ

  • বদহজমের সমস্যা কিংবা পেটে আলসারের সমস্যা থাকলে গরম দুধ না খাওয়াই ভালো। ঠান্ডা দুধে এক চামচ এসব গুলের ভুষি মিশিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় হজম ভালো হয়।
  • ঠান্ডা দুধ ওজন ঝরাতে সাহায্য করে ঠান্ডা দুধ খেলে বিপাক হার বেড়ে যায় ফলে বেশি মাথায় ক্যালরির খরচ হয় তাই যারা ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা করছেন তারা ঠান্ডা দুধ খেলে বেশি উপকার পাবেন। হালকা খিদে পেলে আপনি ভাজাপোড়ার পরিবর্তে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন এতে করে আপনার পেটো ভর্তি থাকবে এবং শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।
  • ঠান্ডা দুধে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট থাকে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ঠান্ডা দুধ দারুন উপকারী।

আরো পড়ুনঃ মেথি খাওয়ার নিয়ম - মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

উপসংহারঃ কোন দুধে পুষ্টি বেশি - ঠান্ডা দুধ নাকি গরম দুধ

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, ঠাণ্ডা গরম দুই ধরনের আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। ওপরের আর্টিকেলটি যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন ঠান্ডা দুধ নাকি গরম দুধ কোন দুধে পুষ্টি বেশি সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আমাদের শরীরের জন্য দুধের কোন বিকল্প নেই। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এতক্ষন ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গে থেকে যারা আমাদের এই পোস্টটি পড়েছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url