গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব কেন হয় - সাদা স্রাব হলে করণীয়
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানাবো গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব কেন হয় - সাদাস্রাব হলে করণীয়। গর্ভাবস্থায় প্রায় সবারই সাদাস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায় এই বাড়তি সাদাস্রাব জীবাণুকে জনি পথ বা মাসিকের রাস্তা থেকে জরায়ুতে উঠে আসতে বাধা দেয়। আমরা অনেকেই জানিনা গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব কেন হয় - সাদাস্রাব হলে করণীয়। সেজন্য আজকে আপনাদের জানাবো গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব কেন হয় - সাদাস্রাব হলে করণীয়।
গর্ভাবস্থায় সাধারণ অবস্থার চেয়ে বেশি সাদা স্রাব হওয়ার স্বাভাবিক। এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই তবে কিছু ক্ষেত্রে সাদাস্রাব স্বাস্থ্য চোখের কারণ হতে পারে। সেজন্য আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব কেন হয় - সাদা স্রাব হলে করনীয় কি সে সম্পর্কে।পেইজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব কেন হয় - সাদা স্রাব হলে করণীয়
ভূমিকাঃ
গর্ভাবস্থায় সাধারণ অবস্থার চেয়ে একটু বেশি সাদা স্রাব হয় এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই আপনার তবে কিছু ক্ষেত্রে সাদাস্রাব স্বাস্থ্য যোগের কারণ হতে পারে সেগুলো আজকে আপনাদের জানাবো আমাদের এই আর্টিকেলে। মেয়েদের যোনিপথ বা মাসিকের রাস্তা দিয়ে সাদাস্রাব যাওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা মাসিক শুরু হওয়ার এক থেকে দুই বছর আগে থেকেই সাদাস্রাব যাওয়া শুরু হয় এবং যে মনোপজ হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি চলতে থাকে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ
আবার একই ব্যক্তির মাসের এক এক সময় এক এক পরিমাণ সিরাপ যেতে পারে। সাধারণত মাসিকের ঠিক আগে স্রাব যাওয়া বেড়ে যায় এছাড়া গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বেশ স্বাভাবিক তবে কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক সাদা স্রাব হতে পারে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব কেন হয় - সাদাস্রাব হলে করণীয় কি।
গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব কেন হয়ঃ
গর্ভাবস্থায় প্রায় সকল মহিলাদের সাদাস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। এবারটি
সাদাস্রাব জীবাণুকে যোনিপথ বা মাসিকের রাস্তা থেকে জরায়ুতে উঠে আসতে
বাধা দেয় ফলে আপনার গর্ভের সন্তানকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে
সাদাস্রাব। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে সাদাস্রাবের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়
কারণ গর্ভাবস্থার একেবারে শেষ সপ্তাহের দিকে স্রাবির মতো আঠালো হতে পারে।
এ সময় শ্রাবের রং হয় গোলাপি এই সিরাপকে ডাক্তারি ভাষায় শো বলা হয়।
জরায়ু মুখে থাকা আঠালো পদার্থ বা মিউকাস যোনিপথ দিয়ে বের হয়ে আসার ফলে
এসো দেখা যায় এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে গর্ভবতী নারী দেহে সন্তান প্রসবের
প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার ঠিক
আগের কয়েকদিন অল্প অল্প করে এরকম শো দেখা দিতে পারে। আমাদের এই
পর্যায়ের আলোচনা থেকে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গর্ব অবস্থায় সাদা
স্রাব কেন হয়।
যোনি স্রাব কিঃ
প্রায় প্রতিটি মহিলায় জীবনে কখনো না কখনো জনি শ্রাবের মুখোমুখি হয়।
বেশিরভাগ সময় জনি সিরাপ স্বাভাবিক এবং কোন চিকিৎসকের প্রয়োজন হয় না এই
সিরামের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো মাসিক চক্রের সময় হরমোন মাত্রার
পরিবর্তন ঘটলে ইসলাম এর ঘনত্বের পরিমাণ পরিবর্তিত হয়। যখন কোন মহিলার
ডিম্বাশ ফোটন হয় না তখন জনি শ্রাবণ এবং চটচটে হয় যখন আপনার
ডিম্বাশ্ফুটন হওয়ার সময় হয় এবং ডিম চলাকালীন এই একই সিরাপ একটি পাতলা
এবং প্রসারণ যোগ্য ছেলেদের অন্তরিত হয় যা শুক্রানুর দিকে যেতে সাহায্য
করে।
এটি কয়েক দিনের জন্য ভাই বোনকে কিছু ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জন স্রাব সম্পর্কে সতর্ক হওয়া কিছুই নেই এবং যতক্ষণ না এটি জ্বালা অসস্তি বাজে গন্ধ এবং চুলকানি সৃষ্টি করে ততক্ষণ এটিকে স্বাভাবিক বলে মনে করা হয় কিন্তু যদি নিম্নের কারণগুলো আপনার জনস্রাবের মধ্যে থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে আপনাকে।
মাসিক চক্রের সময় হরমোনের পরিবর্তন।গর্ভাবস্থাযোনিতে সংক্রমণ বিশেষ করে ইস্ট সংক্রমণদোষ সাবান লোশন বা পাউডার এলার্জিএস টি ডি যৌন সংক্রমিত রোগট্রিকোমোনিয়াসিস একটি পরজীবী সংক্রমণ যা অরক্ষিত যৌন সঙ্গমের সময় শুরু হয়ে থাকতে পারে।এন্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েড এর ব্যবহার।একটি ট্রাম্পোন অনেকক্ষণ ধরে রেখে দেওয়া বা আপনার আন্তাবাস প্রায় পরিবর্তন না করার মতো অস্বাস্থ্যকর অবস্থা।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শরীরে পানি কমে যাওয়ার লক্ষণ কি - এর চিকিৎসা ও প্রতিকার
জন্মনিয়ন্ত্রণ বরি বা খাওয়ার গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা।যোনিতে আঘাত বা ক্ষতডাইবেটিস বা অন্যান্য বিভাগীয় রোগ রজোবদ্ধগর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক যোনি সিরাপ কে লিউক কেরিয়ার বলা হয় এটি আপনার সার্ভিক থেকে আসে। এটিআপনার সার্ভিস থেকে আসে যা আপনার জরায়ুর গলা বা শিশুর গর্ভ হিসেবে বেশি পরিচিত।
গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের সাদাস্রাব স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণঃ
আমাদের স্বাভাবিক সাদা স্রাব পাতলা স্বচ্ছ ও বর্ণহীন অথবা দুধের মত সাদা হয় এটা আমরা সকলেই জানি এতে কোন দুর্গন্ধ থাকে না। তবে সাদাস্রাবের সাথে নিজের পাঁচটি লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। নিম্নে পাঁচটি সমস্যা তুলে ধরা হলো আপনার জন্য..
- অস্বাভাবিক গন্ধ কিংবা দুর্গন্ধ যুক্ত স্রাব।
- প্রস্রাবের সময় ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হওয়া।
- সবুজ হলুদ লাল চা অথবা ধূসর রঙের স্রাব।
- যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হওয়া লালচে হয়ে যাওয়া।
- কিংবা চুলকানো যোনিপথের আশেপাশে ব্যথা অথবা চুলকানি।
সাদাস্রাব হলে করণীয়ঃ
- ব্যক্তিগত পরিছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
- নিয়মিত ধোঁয়া অন্তবাস পড়তে হবে।
- কোনো রকম সুগন্ধি স্প্রে ব্যবহার করবেন না।
- বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ডিম দুধ মাছ মাংস সবুজ সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
- পর্যাপ্ত জল খেতে হবে আপনাকে।
- প্রথমে ভয় না পেয়ে দেখুন ও বুঝে নিন আপনার সাদাস্রাবের আধিক্য কি অত্যাধিক নাকি স্বাভাবিক।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url