এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক মিলনের উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক মিলনের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। এক রাতে কতবার মিলন করা যায় বা দিনে কতবার মিলন করা যায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অত্যন্ত কঠিন একটি ব্যাপার। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখন পর্যন্ত এমন কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি যা আপনাকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ মিলনের কোন একটা সংখ্যা বলতে পারে। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক মিলনের উপকারিতা। জেনে নেওয়া যাক এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক মিলনের উপকারিতা সম্পর্কে।
আপনি এক রাতে কতবার মিলন করবেন সেটা আপনার বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে যে
আপনার প্রতিদিন কতবার মিলন করা উচিত। আপনি প্রতিদিন আপনার সঙ্গে কতবার সম্মেলন
করবেন তা নির্ভর করে আপনার এবং আপনার সঙ্গে নিরাপদ এর পেছনে আরো কিছু বিষয়
রয়েছে আপনার শারীরিক পরিস্থিতি ইত্যাদি। চলুন আমরা নিম্নে জেনে নেই এক রাতে
কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক মিলনের উপকারিতা।
পেজ সূচিপত্রঃ এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক মিলনের উপকারিতা
- ভূমিকা
- এক রাতে কতবার মিলন করা যায়
- রাতের কোন সময়ের মিলন করা ভালো
- মেয়েরা কত সময় মিলন করতে পারে
- শারীরিক মিলনের উপকারিতা
- উপসংহার
ভূমিকাঃ
রাতে কতবার মিলন করা যায় বা দিনে কতবার মিলন করা যায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া
অত্যন্ত কঠিন একটি ব্যাপার। এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখন পর্যন্ত কোন
সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি যা আপনাকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ মিলনের কোন একটি
সংখ্যা বলতে পারে। তবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে যে আপনার প্রতিদিন কতবার
মিলন করা উচিত যেমন আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্ক কেমন, আপনার সঙ্গীনের ইচ্ছা বা
অনিচ্ছা আছে কি নেই, আপনার শারীরিক পরিস্থিতি কেমন ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ হস্তমৈথুনের অপকারিতা কি - এটাকে ইসলাম কি বলে
মিলন নিয়ে এক একজনের মধ্যে এক এক রকম ধারণা আছে। যাদের যৌন উত্তেজনা স্বাভাবিক
তারা একবার মিলিত হন যাদের উত্তেজনায় হার একটু বেশি তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুইবার
মিলিত হতে পারেন। অনেক দিন তিনবার বা চারবার মিলিত হতে চান যদিও এ ব্যাপারটি খুবই
কম হয় কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে এমনও কিছু কাপড় আছে যারা সেক্স লাইফ কে
একদম অন্যভাবে এনজয় করতে চান। একথা ঠিক যে যাদের লাইভে সেক্স সহজভাবে চলে তাদের
জীবন সমস্যা খানিকটা কম থাকে কারন উত্তম সহবাস আমাদের হরমোনকে স্বাভাবিকভাবে কাজ
করতে দেয় হ্যাপি হরমোন দুর্দান্তভাবে কাজ করে সারাদিন মন চনমনে থাকে।
এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে আজকাল মানুষ কাজের চাপে নিজেদের যৌন জীবন হারিয়ে
ফেলছেন অন্তত সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ বার মিলন অত্যন্ত জরুরি এটা শরীরও মন দুটোই
চাঙ্গা থাকে। যারা এক রাতে বা সারাদিন তিন বার বা চারবার মিলিত হতে চান এক্ষেত্রে
কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেই সব দম্পতিকে-
- যৌনতা কোন অশোক নয় তাই এটাকে সুখ পর্যন্ত রাখার দায়িত্ব আপনারই।
- দুইবারের বেশি মিলনের ফলে যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভব হতে পারে ফলে আপনার মনের সেই আনন্দ থাকার কথা তার শেষ পর্যন্ত থাকবে না।
- অতিরিক্ত মিলন আপনার শরীরকে নিসতেস করে দিতে পারে।
- পুরুষরা যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে চার বার বিচ্ছু ত্যাগ করে তবে সেও সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করবে এবং খিদে কাজ করবে।
- যারা প্রথম মিলিত হচ্ছেন বা নতুন বিয়ে করেছেন তাদের ক্ষেত্রে বহুবার যৌন মিলন স্বাভাবিক হলেও ততক্ষণ এবং ততবারী করুন যতক্ষণ আপনার শরীর ও মন দুই এক সঙ্গে যাচ্ছে।
এক রাতে কতবার মিলন করা যায়ঃ
এক গবেষণায় দেখা গেছে-২০ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্করা বছরে গড়ে ৮০ বার সহবাস করছে(প্রায় পাঁচ দিনে একবার)।ষাটের দশকের প্রাপ্তবয়সকরা গো বছরে গড়ে বিশ বার সহবাস করছে(প্রতি ১৮ দিনে একবার)।৫০ এর দশকের লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন দেখা গেছে।
সহবাসের ক্ষেত্রে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছেঃ
হরমোনের মাত্রাঃ
অল্প বয়সে সেক্স হরমোনের মাত্রা বাড়তে পারে তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে
সেগুলি কমতে থাকে।
সম্পর্কের অবস্থাঃ
গবেষণা অনুযায়ী যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিতদের তুলনায় বেশি যৌন মিলনের দিকে আকৃষ্ট হয়। অনেকে মনে করেন যদি রাতে একাধিকবার সহবাস না করা যায় কিংবা দীর্ঘ সময় সবার না করা যায় তবে তার সঙ্গিনীকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। এ ধরনের সম্পূর্ণ ভুল সাধারণত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক থেকে দুইবার মিলনের মাধ্যমে মহিলা এবং পুরুষের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। তবে লিঙ্গের আকার কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে।
আবার সহবাসের সন্তুষ্টি নির্ভর করে সময়ের উপর নয় বরং সহবাসের ধরণের উপরে। যদি সহবাসের সময় মহিলাদের অর্গাজম হয়ে যায় তারপর তাদের ভেতরে আর তেমন একটা আকর্ষণ কাজ করে না সুতরাং অর্গাজমের পরে যতটুকু সহবাস করা হয় তা বলা যায় মহিলাদের ইচ্ছার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। এছাড়াও আপনার সঙ্গে যদি যথেষ্ট পরিমাণ উত্তেজিত না থাকে তবে যোনিপথ পিচ্ছিল হবে না এর ফলে সহবাসের সময় কোন অনুভূতি তো থাকবেই না বরং মহিলারা ব্যথা অনুভব করবে।
রাতে কোন সময়ে মিলন করা ভালোঃ
চাহিদা মোতাবেক যেকোনো সময় মিলন করা যায় তবে ভোরের দিকে মিলন করা উত্তম। মনে
রাখতে হবে যে প্রতিদিন সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটি দিক রয়েছে অনেকে নিজের
শরীরের উপর চাপ ফেলে অতিরিক্ত মিলন করে থাকেন যা স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের জন্যই
ক্ষতিকর। এ ক্ষেত্রে দুইজনের যৌনাঙ্গ ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি মারাত্মকভাবে
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আবার গর্ভাবস্থায় সহবাস করার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন
করতে হবে আপনাকে।
আরো পড়ুনঃ পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম
এক রাতে কতবার মিলন করা যায় কি খেলে বেশি মিলন করা যায় বা দিনে কতবার মিলন করা
যায় এটা না ভেবে আপনি আপনার সঙ্গিনীর সঙ্গে সুষম সহবাসের মাধ্যমে জীবনটাকে
উপভোগ করুন। দেখবেন আপনাদের দাম্পত্য জীবনের সুখের কোন কমতি থাকবে না। তবে এক
গবেষণায় দেখা গেছে অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতরা যৌন জীবনের বেশি সুখী সুখী
দাম্পত্য জীবনের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার যৌন মিলন করা প্রয়োজন। এক
রাতে একবার যৌন মিলন করাই যথেষ্ট তবে আপনার যদি অতিরিক্ত সেক্স থাকে তাহলে আপনি
দুইবার করতে পারেন।
মেয়েরা কত সময় মিলন করতে পারেঃ
আপনি যদি একজন পুরুষ হন তাহলে একজন পুরুষ কত সময় মিলন করতে পারে এই প্রশ্নটি
হয়তো আপনার জানা আছে কিন্তু আপনি এ প্রশ্নটি খুঁজে বারান যে মেয়েরা কত সময়
মিলন করতে পারে চলুন আজকে আমরা নিম্নে জেনে নেই মেয়েরা কত সময় মিলন করতে
পারে-
২০২০ সালের একটি সমীক্ষা হয় তার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে যৌন মিলনের সময়
মহিলাদের অর্গাজম পেতে গড সময় লাগে ১৩.৪১ মিনিট। মহিলার বিছানায় থাকার ঘর সময়
নেই তবে ভালবা আক্রান্ত মহিলারা ততক্ষণ স্থায়ী হতে পারে যতক্ষণ না উভয় যৌন মিলন
চালিয়ে যেতে চাই। সব মেয়েদের শারীরিক সক্ষমতা সমান নয় তাই বিভিন্ন মেয়েরা
বিভিন্ন সময় ধরে মিলন করে থাকে তবে বেশিরভাগ মেয়ে আছে যারা গড়ে ২৫ থেকে ৩০
মিনিট পর্যন্ত মিলন করে থাকে।
মিলনের সময় সীমা মানুষের মানসিকতার ওপর অনেকটা নির্ভর করে থাকে। মিলনের
স্থায়িত্ব নির্ভর করে পুরুষ এবং নারীর শারীরিক সক্ষমতার উপর। বিভিন্ন সমীক্ষায়
দেখা গেছে যে মেয়েরা ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মিলন করতে পছন্দ করে তবে কোন কোন
মহিলা কুড়ি থেকে 25 মিনিট পর্যন্ত মিলন করতে আগ্রহী থাকে। মেয়েদের ইচ্ছার উপর
মিলন নির্ভর করে থাকে তবে পুরুষদের মিলনের স্থায়িত্ব ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না
সোজাভাবে বলতে গেলে মিলনের স্থায়িত্ব সঠিকভাবে কেউ বলতে পারে না পৃথিবীতে
বিভিন্ন ধরনের মানুষ থাকার কারণে তাদের মানসিকতা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে যার যেমন
চাহিদা আছে সেটা ততক্ষণ মিলনে আগ্রহী হয়।
সাধারণত দুই থেকে ছয় মিনিট হলো সহবাস করার সাধারণ ব্যাপার তবে অনেক পুরুষ ও নারী
রয়েছে যারা সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা সহবাস করতে পারে। সেজন্য আমাদের উচিত দুইবারের বেশি
মিলনের ফলে যৌনাঙ্গব্যথা অনুভব হতে পারে এ কারণে এক রাতে দুইবারের বেশি মিলন করা
উচিত নয়। মেয়েদের মিলনের চাহিদার উপর নির্ভর করে তারা কত বছর মিলন করতে
চাই তাদের শরীর যদি সক্ষম থাকে তাহলে তারা যদি চায় তাহলে ৭৫ বছর পর্যন্ত মিলন
করতে পারে তবে ভারত এবং বাংলাদেশের মহিলারা ৫০ থেকে ৬০ বছর অব্দি মিলন করে
থাকে।
শারীরিক মিলনের উপকারিতাঃ
যখন আপনার মন প্রশান্ত তখন যেটা আপনি ভাবেন তাহলে শরীর এবং শরীরের সুন্দর একটা গঠন। ভালো তৃপ্তি যুক্ত যৌন মিলন থেকে আপনি অবশ্যই এসব পেতে পারেন যৌন মিলন বিবেধভাবে আপনার শরীরের জন্য উপকারী। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক শারীরিক মিলনের উপকারিতা সম্পর্কে-
শারীরিক মিলন দুশ্চিন্তা রোধ করেঃ
শারীরিক মিলনের একটি বড় সুবিধা হল একটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মোটের ওপর দুশ্চিন্তার ওদের সহায়তা করে। 24 জন নারী এবং 22 জন পুরুষের যৌন কর্মকাণ্ড নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয় সমীক্ষা চলার সময় তাদের স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঝামেলাযুক্ত কাজ দেওয়া হয় এ অবস্থায় সফলদের ক্ষেত্রে দেখা যায় শারীরিক মিলনের সময় অন্যদের তুলনায় তারা কম দুশ্চিন্তা বা উদ্বিগ্ন হন এই যে একে জানলে প্রকাশিত অন্য একটি তথ্য থেকে জানা যায় নিম্ন রক্তচাপ অনেক ক্ষেত্রে নিয়মিত যৌন মিলনের প্রভাব ফেলে। ডাক্তাররা আলিঙ্গনের সাথে নারীর নিম্ন রক্তচাপের একটা সম্পর্ক পেয়েছেন।
শারীরিক মিলন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
ভালো যৌন মিলন মানে উন্নত শারীরিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা সপ্তাহে একবার কিংবা দুইবার শারীরিক মিলনে আপনাকে ঠান্ডা লাগা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে। শারীরিক মিলন করেন এমন ১১২ জন মানুষের কাছ থেকে হজমের সহতাকারী মুখের লালা নমুনা সংগ্রহ করেন এগুলো কলেজ ইউনিভার্সিটি পেন্সিল ভেঙে আর বিজ্ঞানীরা। সমীক্ষার সময় এদের কয়েকটি দলে ভাগ করে নেন বিজ্ঞানীরা দলগুলো হলো-
যারা একই সময় নিয়মিত যৌন মিলন করেন, যারা একই সময় যৌন মিলন করেন না, যারা দুই সপ্তাহে কিংবা মাসে একবার যৌন মিলন করে। যারা সপ্তাহে তিনবার তিনবার তার বেশি শারীরিক মিলন করেন তাদের লালান নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা করে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা হলো যারা সপ্তাহে একবার জনমল করেন তাদের স্তর অন্য তিন দলের থেকে অনেক উন্নত।
শারীরিক মিলনের অতিরিক্ত ক্যালরি দহন হয়ঃ
৩০ মিনিটে শারীরিক মিলনে ৮৫ ক্যালোরি কিংবা তার বেশি দহন করতে পারে। একইভাবে ২১ ঘন্টার মিলনে এক পাউন্ড ওজন কমানো সম্ভব যৌন মিলন একটু ভালো ব্যায়াম এর সাহায্যে শারীরিক এবং শরীর ভিত্তিক উভয়ই সংঘটিত হয়।
শারীরিক মিলনের হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ
অনেক বয়স্ক পুরুষ মনে করেন যৌন মিলন করলে স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা থাকে এটি সব সময় সত্য নয়। জার্নাল অফ ইপিডিমিওলজি এন্ড কমিউনিটি হেল্প এ প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যাচ্ছে ৯১৪ জন মানুষকে ২০ বছর যাবত পর্যবেক্ষণ করে যৌন মিলনের সাথে স্টোকের কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। যৌন মিলনের হৃদপিন্ডের ভালো দিকগুলো এখনো শেষ নয় এই গবেষণায় আরও জানা যায় সব থেকে কমপক্ষে দুইবার অথবা ততোধিক শারীর মিলনের ফলে ত্রাসক হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনার মাত্রা প্রায় অর থেকে নামিয়ে আনে। যারা সপ্তাহে একবারের কম শারীরিক মিলন করে থাকেন তাদের থেকে। এবং আপনি শারীরিক মিলনের হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
শারীরিক মিলন পারস্পরিক আন্তরিকতা বৃদ্ধি করেঃ
শারীরিক মিলন করা এবং যৌন মিলনের পূর্ণ তৃপ্তি অর্জনের মানব দেহের অক্সিটশীন হরমোনের স্তর বৃদ্ধি করে। লাভ হরমোন বলা হয়ে থাকে অক্সিট অসিন হরমোন স্বামী স্ত্রী পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস এবং ভালোবাসা শক্তিশালী করে। আপনি যদি আপনার সঙ্গের সাথে মাঝে মাঝে উদার মনোভাবের অনুভূতি অনুভব করেন তবে তার কৃতিত্ব কিন্তু এই অক্সিডোসিন তথা লাভ হরমোনের। শারীরিক মিলনের মাধ্যমে দুজন দম্পতির পারস্পরিক আন্তরিকতা বৃদ্ধি করে।
শারীরিক মিলন আত্মসম্মানবোধের উন্নতি সাধন করেঃ
যেসব মানুষের আত্ম-সম্মানবোধ অন্যের তুলনায় ভালো তারাও অনেক সময় আরও বেশি মানসিক প্রশান্তির প্রত্যাশাই মিলন করে থাকেন তার মতে ভাল মনের যৌন মিলনের শুরুই হয় আত্মসম্মানবোধের দৃঢ়তার ভিত্তিতে এবং এটার ক্রোম উন্নয়ন হয় যদি শারীরিক মিলনের সাথে ভালোবাসার সৎ যুক্তি থাকে। তিনি আরো বলেন অনেক মানুষ তার সাথে আলোচনায় উল্লেখ করেন যে নিজের সম্পর্কে পজেটিভ ধারণা জাগানোর লক্ষ্য তারা অনেক সময় যৌন মিলন করে থাকেন।
শারীরিক মিলন ব্যথা নিরাময় করেঃ
অন্তরঙ্গ তার ফলে যখন অক্সিট সিন হরমোন প্রচন্ড তরঙ্গায়িত হয় তখন ইন্ট্রোপিন হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় কার্যকরী ব্যথা নাশক ফলে প্রাকৃতিকভাবে যন্ত্রণা হ্রাস পায় তাই যদি আপনার মাথা ব্যথা ঘেটে ব্যথা সহ অন্য শারীরিক ব্যথা থাকে তাহলে যৌন মিলনের পর ইন্দ্রপিন কমে আসবে।
শারীরিক মিলন মুত্রাশয় এবং মুদ্রা নালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি
কমায়ঃ
নিয়মিত বীর্যপাত বিশেষ করে বিশুদ্ধ বয়সের পুরুষের ক্ষেত্রে পরবর্তী মুদ্রাসয়
এবং মুদ্রা নালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। অস্ট্রেলিয়ার গবেষক দলের তথ্য মতে
ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউরোলজি ইন্টারন্যাশনাল এর প্রকাশিত যখন তারা প্রত্যেক
ক্যান্সার রোগী এবং সাধারণ রোগ মুক্ত পুরুষের রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করেন তখন
তারা মুথরাসায় এবং মুদ্রা নালীর ক্যান্সারের সাথে ৩০-৪০ এবং ৫০ বছর বয়সের
শারীরিক মিলনের হারের বড় একটি সম্পর্ক আবিষ্কার করেন।
যে সকল পুরুষ বিশুদ্ধ বয়সে সপ্তাহে পাঁচ অথবা ততোধিক বীর্যপাত ঘটিয়েছেন তাদের মুত্রাশয় এবং মুদ্রাণ আলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ কম অর্থাৎ কম শারীরিক মিলন মানে বেশি মুদ্রাসয় এবং মুদ্রাণ আলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি অন্য একটি গবেষণায় ডাক্তাররা বলেন মাসে ২১ বার কিংবা ততোধিক যৌন মিলনের ফলে বৃদ্ধ বয়সে মুদ্রাশয় এবং মুদ্রণ আলীর ক্যান্সারের সম্ভাবনা ২১ বারের কম এমন কি চার থেকে সাত বার মিলনকারীদের চেয়েও ৩৩ ভাগ কম।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের পেট ব্যথা হলে করণীয় কি - পেট ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
শারীরিক মিলন পিলভিক প্লোর পেশী শক্তিশালী করেঃ
নারীর জন্য শারীরিক মিলনের সময় সামান্য পরিমাণ কিগ্যাল প্লোর ব্য্যামে নানাবিধ উপকারিতা দেখা যায় এতে অধিক আনন্দ উপভোগের সাথে যৌনাঙ্গ টাইট করা সহ অধিক বয়সে অন্য নারীর তুলনায় বেশি সুস্থ থাকবেন। সাধারনকৃগল ব্যায়ামের জন্য মিলনকালে পিলভিক বেশি কে সংকুচিত করে ধরুন যেমনটি প্রস্রাবের গতিরোধ করার জন্য করে থাকেন। সংকোচিত অবস্থায় ১ থেকে ৩ পর্যন্ত গুণন এবং তারপর ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক হন একই নিয়মে পুনরাবৃত্তি করুন ১০ বার।
শারীরিক মিলন নিরবিচ্ছিন্ন নিদ্রা নিশ্চিত করেঃ
মিলনের পূর্ণ তৃপ্তিতে যে অক্সিটেশন হরমোন নিঃসৃত হয় তা পরবর্তীতে ঘুমে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত ঘুমের সাথে অন্যান্য শারীরিক সুবিধা যেমন সঠিক ওজন এবং রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখে আপনি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করবেন শারীরিক মিলন শেষে অল্প কিছুক্ষণের মাঝে মিলনকারী নারী পুরুষ গভীর নিদ্রায় মগ্ন হয়ে যায়।
উপসংহারঃ এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক মিলনের উপকারিতা
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - সার্বিক মিলনের উপকারিতা সম্পর্কে। এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে এবং আপনাদের কোন উপকারে আসে তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং আমাদের আর্টিকেল এর মাঝে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন যাতে করে আমরা সেটা সংশোধন করতে পারি। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url