পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম

ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানোর ১৫ টি উপায়

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা যারা আজকে জানতে চেয়েছেন পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে আজকাল জরুরী গর্ভনিরোধক পিল খাওয়ার একটা বেশ জল হয়েছে। অনেকে গর্ভধারণের ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে একই মাসে এ ধরনের জরুরী গর্ভনিরোধক পিল একাধিকবার খেয়েছেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। সেজন্য আমরা আজকে আপনাদের জানাবো পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা খাওয়ার নিয়ম। 

সাধারণত অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের ৭২ থেকে ১২০ ঘন্টার মধ্যে এই পিল খেতে হয়। এপ্রিল খেলে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয়ে জরায়ুতে আসতে দেরি হয়। এ সময়ের মধ্যে জরায়ুতে থাকা শুক্রাণুগুলো নষ্ট হয়ে যায় ফলে ডিম্ব শুক্রানুর সঙ্গে নিষিদ্ধ হতে পারেনা। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম।

পেইজ সূচিপত্রঃ পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম

• ভূমিকা
• পিল খাওয়ার খাওয়ার উপকারিতা
• পিল খাওয়ার অপকারিতা
• পিল খাওয়ার নিয়ম
• পিল কখন খাবেন
• পিল কারা খাবেন না 
• উপসংহার

ভূমিকাঃ

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের চোখে এড়াতে আজকাল জরির গর্ভ নিরোধক পিল খাওয়ার একটা বেশ চল রয়েছে। অনেক গর্ভধারণের চোখে পূর্ণ সময়ে একই মাসে এ ধরনের জরুরী গর্ভনিরোধক পিল একাধিকবার খেয়েছেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। সাধারণত অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের ৭২ থেকে ১২০ ঘন্টার মধ্যে এই পিল খেতে হয়। বের হয়ে আসতে দেরি হয় এই সময়ের মধ্যে জড়ায় উঠে থাকা শুক্রাণুগুলো নষ্ট হয়ে যায় ফলে শুক্রাণুর সঙ্গে নিযুক্ত হতে পারেনা।

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার

তবে মানব দেহে বড় বিচিত্র। অনেক সময় কিছু শুক্রাণু দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকতে পারে তখন এই পিল খাওয়ার পরও গর্ভসঞ্চার হতে পারে। এ পর্যন্ত পাওয়া উপাত্ত অনুযায়ী দেখা গেছে প্রতি ১০০ জনে দুইজন নারী অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল খাওয়ার পরও গর্ভধারণ করেছেন। অনেকে তাই অরক্ষিত সম্পর্কের পর পরের দিন  সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেন পিল খাওয়ার জন্য। কিন্তু এই পিক গুলো অরক্ষিত সম্পর্কের পরপরই খাওয়া উচিত কারণ এগুলো খাওয়ার পরওয়ারক্ষিত সম্পর্ক গড়লে পীরের কার্যকারিতা থাকে না। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

পিল খাওয়ার উপকারিতাঃ

আপনি যদি নিয়মিত পিল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ঝুঁকির অবসান ঘটবে। পিল ব্যবহার করলে ওয়ারিয়ান সিস্ট অ্যানিমিয়া অথারাইটিস এক টপিক প্রেগনেন্সি যৌনাঙ্গে প্রদাহজনিত রোগ ইত্যাদি সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়াও পিরিয়ড চলাকালীন অস্বস্তি খিচুনি যন্ত্রণা লাঘব করে পিল। পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলে স্বাভাবিক নিয়মে গর্ভধারণ সম্ভব গর্ভনিরোধক তিল গুলি বর্তমানে যেভাবে তৈরি করা হয় তাতে তীব্র পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় কোন সম্ভাবনা নেই।

তবে তিন মাসের বেশি সময় ধরে যদি অতিরিক্ত ব্লিডিং হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন তবে যদি ব্রনের সমস্যা আগে থেকেই থাকে তবে ওরাল কনটাসে উপকারী। এছাড়াও স্তনের স্থপতি বা কোমর বেড়ে যেতে পারে সে ক্ষেত্রে বিল চলাকালীন সময়ে ব্যায়াম সুষম আহার ও সময় ফিল বজায় রাখা উচিত। নিম্নে পিল খাওয়ার উপকারিতা গুলো তুলে ধরা হলো-

• বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এপিল গুলো অরক্ষিত সম্পর্ক শেষে খাওয়া নিরাপদ ও কার্যকর।
• এপ্রিল গুলো ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ অর্থাৎ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই যে কোন ফার্মেসী থেকে কেনা যায়।
• নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় বলে অরক্ষিত সম্পর্ক স্থাপনের পর দম্পতিরা নিজেদের সিদ্ধান্তই এই পিল খেতে পারেন।

পিল খাওয়ার অপকারিতাঃ

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক জরুরি গর্ভনিরোধক পিল খেয়ে থাকেন তবে পিল প্রতিনিয়ত খেলে হতে পারে অনেক সমস্যা। চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক পিল খাওয়ার অপকারিতা গুলো-

• কি খেলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৩৫ বছরের বেশি নারীদের কখনোই পিল খাওয়া উচিত না কারণ এতে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
• বিল লেবানও গ্যাস্ট্রল ও ৩০ মিলিগ্রাম ইনট্রোজেন থাকে যেসব মেয়েদের মাইগ্রেন থাকে তারা যদি পিল কন্টিনিউ করে তাহলে তাদের স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
• উচ্চ রক্তচাপের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো সেবন।
• যারা বেশি পিলখানা তাদের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
• আপনি যদি নিয়মিত পিল খান তবে আপনার বেশি মাথা ব্যথা হয়।
• অতিরিক্ত পিল খাওয়া হতাশার একটি কারণ।
• খিটখিটে মেজাজ ও দেখা যায় পিল খাওয়ার কারণে।
• বেস্টে অনেক ব্যথা হয়।
• যারা ফিল নিয়মিত খান তারা সেক্সের সময় তেমন আনন্দ পায় না।
• বমি বমি ভাব এবং বমি হয়।
• ওজন বেড়ে যায় যারা নিয়মিত পিল খান তাদের।
• তিন বছরের বেশি পিল খেলে তাদের গ্লুকোমা হয়।

পিল খাওয়ার নিয়মঃ

সাধারণত পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে যেকোনো দিন পিল খাওয়া শুরু করা যেতে পারে। প্রতিদিন রাত্রে খাবার খাওয়ার পর নির্দিষ্ট পিলটি খেতে হবে পর পর ২১ দিন খেতে হবে। তারপর এক সপ্তাহ বন্ধ রেখে আবার নতুন প্যাকেট শুরু করতে হবে।

কোন একদিন ভুলে গেলে পরের দিন দুটো পিল খেতে হবে বর্তমানে বাজারে ২১ প্লাস ৭ ও ২৪ প্লাস ৪ টি পিলেরও প্যাকেট পাওয়া যায়। এর সুবিধা হচ্ছে মনে রাখার বা ভুলে যাওয়ার কোন ব্যাপার থাকে না। ২৮ দিন পর পর নতুন প্যাকেট শুরু করলেই হল বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক নারীদের ক্ষেত্রে তিন চার মাস আগে থেকে পিল খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ স্তনের নিচের চুলকানি কেন হয় - স্তন ক্যান্সারের ১৪ টি লক্ষণ 

তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোন ধরনের পিল খাওয়া উচিত তা ঠিক করে নেওয়া ভালো তাহলে নানা পার্শ প্রতিক্রিয়া এড়ানো যায়।

পিল কখন খাবেনঃ

আপনি কখন পিল খাবেন সেটা যদি জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটুকু আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নে জেনে নিইয়া যাক বিল কখন খাবেন-

• কনডম ব্যবহার সঠিকভাবে না হলে।
• জন্মনিরোধক বড়ি খেতে ভুলে গেলে।
• জোর করে অরক্ষিত সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হলে।

পিল কারা খাবেন নাঃ

আপনি কখন পিল খাবেন না অথবা আপনার কখন পিল খাওয়ার দরকার নেই সেটা জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটুকু আপনি পড়ুন। চলুন নিম্নে জেনে নেই তেল কারা খাবেন না-

• ৪০ উর্ধ্ব মহিলাদের জন্য বিল প্রয়োজন নয় এতে হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে।
• সদ্য মা হওয়া মহিলাদের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি এমন পিল খাওয়া উচিত নয় এতে বুকের দুধ কমে যেতে পারে।
• যেসব মহিলাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে।
• যাদের ডায়াবেটিস আছে।
• যেসব মহিলার রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি।
• উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন মহিলাদের।
• যাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে।
• কোন নারী যদি ইতিমধ্যে গর্ভবতী হয়ে থাকেন।
• প্রায় অরক্ষিত সম্পর্ক স্থাপন করেন।

এই পিল খাওয়ার পর যদি গর্ভসঞ্চার জনি থেকে অতিরিক্ত তরল নির্গত হয় এবং কাফনে দিয়ে জ্বর আসে তলপেট ব্যথা যোনিতে রক্তপাত সহজে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে আপনাকে।

উপসংহারঃপিল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যারা মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন পিল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা এবং পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আমাদের আর্টিকেলের ভিতর যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তবে আপনার মহামূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের বেস্ট ঝুলে যাওয়ার কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার 

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।