১২ রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ফজিলত ও আমল ২০২৩

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আসসালামওয়ালাইকুম আজকে আপনাদের জানাবো ১২ রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ফজিলত ও আমল ২০২৩ সম্পর্কে। প্রত্যেকটা মুসলমান নর ও নারীর ১২ রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ফজিলত আমল সম্পর্কে জানা উচিত। সেজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানাবো ১২ রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ফজিলত ও আমল ২০২৩ সম্পর্কে। এ মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে হিজরত করেছিলেন। 

১২ রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ফজিলত ও আমল ২০২৩
রবিউল আউয়াল ইসলামিক বর্ষপঞ্ছার তৃতীয় মাস। সৈয়দ ইবনে তাবিজ তার ''আল ইকবাল" নামক গ্রন্থের রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলত সম্পর্কে এভাবে উল্লেখ করেছেন যে উত্তম হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। কেননা এ মাসের রাসুল সাঃ এই মাসে মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে হিজরত করেন। চলুন নিম্নে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই ১২ রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ফজিলত ও আমল  ২০২৩।

পেজ সূচিপত্রঃ ১২ রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ফজিলত ও আমল ২০২৩

ভূমিকাঃ

আহা ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম দিবস হিসেবেই পালন করা হয়। অথচ তিনি এ তারিখে ইন্তেকাল করেছেন। কিন্তু এ দিনটি তার মৃত্যুর দিবস হিসেবে কখনো পালন করা হয় না। সব দেশে ও সব জাতির মধ্যে মহান ব্যক্তিদের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করার রীতি চালু আছে।

আরো পড়ুনঃ

রবিউল আউয়াল ইসলামিক বর্ষপঞ্জির তৃতীয় মাস। তার "আল ইকবাল" নামক গ্রন্থে রবিউল আউয়াল মাসের ফজিল সম্পর্কে এভাবে উল্লেখ করেছেন যে উক্ত মাসটি হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। কেননা এ মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে হিজরত করেছিলেন।

সৈনিক মুভি রহঃ এর বর্ণনা করেছেন যে, এ দিনে রোজা রাখা মুস্তাহাব। কেননা এদিনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মক্কার মুশরিকদের হাত থেকে নিস্তার লাভ করেন।(ইকবালুল আমাল, খন্ড তিন, পৃষ্ঠা ১০৫) উক্ত মাসের নাম থেকেই স্পষ্ট যে মাসটি হচ্ছে বসন্তের ন্যায়। কেননা আরবি ভাষায় রেবা এর অর্থ হচ্ছে বসন্ত। এ মাসে আল্লাহর প্রেরিত পবিত্র নূরী ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম জন্ম গ্রহণের মাধ্যমে এ ধরনের মুখ উজ্জ্বল করে।

হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তি পূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানব কুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতালা রাসূল সাঃ কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায় তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানে। ২৫ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নবী ও লাভ করেন। পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে মহানবিকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী সৃষ্টি করতেন না। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতার এ দিনের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি।

রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্বঃ

ইসলামী বর্ষপঞ্জির তৃতীয় মাস হলো রবিউল আউয়াল। এ মাসের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদের জন্মদিন পালন করা হয়। তবুও সুন্নিদের মত অনুসারে নবী মুহাম্মদ এর সঠিক জন্মদিবস টি হল এই মাসের ১২ তারিখ অপরদিকে শিয়াদের মত অনুসারে এটি হল ১৭ তারিখ। এটিপিও নবী মোহাম্মদ সাঃ এর জন্ম মাস। যিনি চিরকালের জন্য মানবতার গতিপথ পরিবর্তন করবেন।

আরবিতে রবিউল আউয়াল এর অর্থ প্রথম বসন্ত। বসন্তের আগমনে যেমন পুরনো পাতা ঝরে গাছে নতুন করে সজিবাতা ফিরে ঠিক তেমনি প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর আগমনে রোহিত হয়ে যায় অতীতের নবীদের শরীয়ত, প্রতিষ্ঠিত হয় মোহাম্মদী তথা পূর্ণাঙ্গ ইসলাম। এ মাসটি বেশ কিছু কারণে মর্যাদাপূর্ণ ও তাৎপর্যময়।

প্রথম কারণটি হলো এ মাসে পৃথিবীতে আগমন করেন মানবতার মুক্তির দূত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম। দ্বিতীয় কারণ হল এ মাসেই আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা রাঃ কে বিয়ে করেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম। এবং মুসলমানদের জন্য প্রথম মসজিদ তৈরি করা হয় কুবা নামক স্থানে এবং এটি ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম মসজিদ।

এ মাসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন এবং যেদিন তিনি মদিনায় পৌঁছন তা ছিল সোমবার ১২ ই রবিউল আউয়াল। মানবতার মুক্তির দূত হযরত সাল্লাম এর উপর সালাতের দায়িত্ব পালন শেষে দিন ইসলাম পূর্ণতার মাধ্যমে নিজের প্রভুর আহবানে সাড়া দেন তিনি। কুরআন-হাদিসের এ মাসের জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল বা ইবাদত পাওয়া যায় না তবে কিছু আমল আছে অন্য মাসের মত এ মাসেও করা যায় যেমন প্রতি সোমবারে রোজা রাখা।

সোমবারে রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু কাতাদা রাজি আল্লাহু বলেন সোমবারের রোজা সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এদিন আমি জন্ম লাভ করেছি এবং এদিনেই আমি নবীয়ত প্রাপ্ত হয়েছি, আমার উপর কোরআন নাজিল করা হয়েছে এই দিনেই(মুসলিম হাদিস ১১৬২)

আরো পড়ুনঃ

রবিউল আউয়াল মাসের ফজিলতঃ

আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, হে রাসুল আপনি বলুন যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমাকে অনুসরণ করো,যাতে আল্লাহ ও তোমাদেরকে ভালোবাসেন এবং তোমাদেরকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল, দয়ালু।(সূরা আল ইমরান-আয়াত৩১)। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসাও তার প্রদর্শিত পথ অনুযায়ী জীবন যাপন করা ঈমানের অংশ।

এ প্রসঙ্গে ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহ তার কিতাবের স্বতন্ত্র একটি শিরোনাম এসেছেন, যার অর্থ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ। বিশিষ্ট আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ঐ সত্তার শপথ' যার হাতে আমার প্রাণ, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবেনা, যতক্ষণ আমি তার নিকট-মা্তা, সন্তান সন্তানি ও সকল মানুষ হতে প্রিয় না হব'।(বুখারী শরীফ)

মহামানবের এই জন্মের দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য, তার আদর্শে জীবন গড়ার জন্য মুসলিম বিশ্ব প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী বা সারিতুন নবী ইবাদত বন্দেগির মধ্যে দিয়ে পালন করে। এছাড়া এই মাসে খাদিজাতুল কুবরা রাঃ এর সঙ্গে রাসুলে আকরাম সাঃ এর পরিণয় হয়েছিল দশে রবিউল আউয়াল। করেছিলেন ১ রবিউল আউইয়াল। প্রিয় নবী মোস্তফা রাজিআল্লাহ মসজিদে কুবা নির্মাণ করেন ১৬ রবিউল আউয়াল।

এই মাসের আগমনে মুমিনদের অন্তরে নবীজি সাঃ এর ভালোবাসা তাজা হয়। তাই রবিউল আউয়াল মাসকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বিভিন্ন আয়োজন। আল্লাহর বড় ধরনের কোন নেয়ামতের স্মরণে আনন্দ প্রকাশ খারাপ জিনিস নয়। তবে এগুলো শরীয়তের গণ্ডির ভেতরে হওয়া আবশ্যক। বর্তমানে এক শ্রেণীর মানুষ এই মাসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রথা রীতি-নীতি ও শরীয়ত পরিপন্থী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

দিনের নামে বিদাতে লিপ্ত হচ্ছে। ইসলামের সব কতটুকু সমর্থন করে সেদিকে তাদের বিন্দুমাত্রও ভুরুক্ষেপ নেই। অথচ রবিউল আউয়াল মাসকে কেন্দ্র করে বর্তমানে যে আচার অনুষ্ঠান মেতে ওঠেন অনেকে ইসলামের শরীয়তে এসবের কোন প্রমাণ নেই। এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-" আমাদের শরীয়তে নেই এমন বিষয় যারা আবিষ্কার করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়(বুখারী২৬৫৭)।

রবিউল আউয়াল মাসের আমলঃ 

কোরআন হাদিস এই মাসের জন্য আলাদা কোন আমলের বর্ণনা পাওয়া যায় না। তাই নিজেদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের আমলের বর্ণনা দেওয়ার শরীয়তে বাড়াবাড়ি এবং হারাম কাজ। তবে নবীজির সিরাত আলোচনা করা একটি বড় ইবাদত এমনকি এটি ঈমানের অংশও বটে। নবীদের জন্মের ঘটনার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো তার জীবনাদর্শের অনুসরণ। জন্মের বিষয়টি একান্তই তার ব্যক্তিগত। কিন্তু তার সিরাত বা জীবনাদর্শ সব যুগের, সব মানুষের জন্য। বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য।

আর নবী প্রেমের প্রথম সত্য হলো নবীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন না ঘটলে নবী প্রেমের দাবী অর্থহীন। নবীজি সাঃ এর জন্ম, শৈশব, নবী হিসেবে প্রেরণ, দাওয়াত, জিহাদ, ইবাদত, আখলাক-চরিত্র, নীতি- নৈতিকটা, তাকুয়া-তাহারত, দয়া ও ভালোবাসা, রাগ-ক্রোধ, হাসি, উঠাবসা হাটা ঘুম জাগরণসহ যাবতীয় চলাচল ইত্যাদি মুসলিম উম্মাহের সামনে উপস্থাপন করা। প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখে আইয়ামে বিজের তিনটি রোজা রাখার কথা এসেছে হাদিসে।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনে আ'স রাঃ থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন, প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম পালন, সারা বছর ধরে সিয়াম পালনের সমান।(বুখারী,১১৫৯,১৯৭৫) এছাড়া প্রতি সপ্তাহের সোমবার অভ্যাস হতে পারে রোজা রাখার অভ্যাস করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুইদিন বিশেষ রোজা রাখতেন। তেন এ বিষয়ে নবীজী সাঃ বলেন বৃহস্পতি ও সোমবার আল্লাহতালার সামনে বান্দার আমল উপস্থাপন করা হয়, তাই আমি চাই আমার পেশ করার সময় আমি যেন রোজা অবস্থায় থাকি।(সুনানে নাসায়ী,২৩৫৮)

পবিত্র কোরআনেরশাদ হয়েছে,' তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকাল দিবস কামনা করে, তাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবন রয়েছে উত্তম আদর্শ'।(সূরা আল আহযাব২১) নবীজির জন্মের ঘটনার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো তার জীবনের উদ্দেশ্যের অনুসরণ। জন্মের বিষয়টি একান্তই তার ব্যক্তিগত কিন্তু তার সিরাত বা জীবনাদর্শ সব যুগের, সব মানুষের জন্য। বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য আর নবী প্রেমের প্রথম শর্ত হলো নবীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন না ঘটলে নবী প্রেমের দাবি অর্থহীন।

উক্ত দিনের বিশেষ আমল সমূহঃ

রোজা রাখা। দুই রাকাত নামাজ আদায় করা। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে তিনবার সূরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পড়ে সূরা ইখলাস পড়া।

১৭ই রবিউল আউয়ালঃ

বিশ্বস্ত হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ১৭ই রবিউল আউয়াল তারিখে রাসুল সাঃ এই ধারাতে জন্মগ্রহণ করেন। তারিখে বিভিন্ন আমল রয়েছে। আমলসমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ 

  • উক্ত দিনের নিয়ামত করে গোসল করা।
  • রোজা রাখা।

ইমাম আঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে উক্ত দিনে রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তাকে এক বছরের রোজা রাখার সমপরিমাণ সওয়াব প্রদান করবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জিয়ারত করা। থেকে বর্ণিত হয়েছে আমার ইন্তেকালের পরে যে কেউ অথবা নিকট থেকে আমার জিয়ারত পাঠ করবে আমার জিয়ারত করল।

মিলাদুন্নবী কখনঃ

ওমানবের এই জন্মের দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য তার আদর্শের জীবন গড়ার জন্য মুসলিম বিশ্বে প্রতিবছর ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী  ইবাদত বন্দেগির মধ্যে দিয়ে পালন করে। এছাড়াও এই মাসে খাদিজাতুল কুবরা রাঃ এর সঙ্গে রাসূলের আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর পরিণয় হয়েছিল ১০ ই রবিউল আউয়াল। মহানবী সাল্লাল্লাহু সালাম হিজরতের উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলেন ১ রবিউল আউইয়াল। তিনি মদিনায় পৌঁছছেন ১২ই রবিউল আউয়াল। প্রিয় নবী মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মসজিদে কুবা নির্মাণ করেন ১৬ রবিউল আউয়াল।

আরো পড়ুনঃ

সৌদি আরবের মক্কা নগরে বিখ্যাত কুরাইশ বংশ ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। শেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম ওফাতের পূর্ণ স্মৃতিময় দিন বা রবিউল আউয়াল। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম একটি বিশেষ মর্যাদার দিন। বাংলাদেশও অত্যন্ত মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগণবীর্যের মধ্যে দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম উদযাপিত হয়।

দেশের কথা ও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই রোববার ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হবে 28 সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার।

উপসংহারঃ ১২ রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ফজিলত ও আমল ২০২৩

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আপনারা যারা এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন ১২ রবিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ফজিলত ও আমল ২০২৩ সম্পর্কে। আপনারা যারা আজকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা জানতে পারবেন ১২ রবিউল আউয়াল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url